চলারপথে রিপোর্ট :
সম্প্রতি ভারতের মুম্বাইয়ে এক হিন্দু পুরোহিতও বিজিপি নেতা কর্তৃক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে আখাউড়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।
আজ ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌর শহরের সড়ক বাজার ষ্টেশন রোডে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত সমন্বয় কমিটির আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। মানব বন্ধনে সংগঠনের বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেয়।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরি, মোঃ লিটন মিয়া, মোঃ সামসুল আলম, বোরহান উদ্দিন রেজা, গোলাম সামদানি শিবলী প্রমুখ। বক্তারা মহানবী (সা:) নিয়ে কটুক্তির নিন্দা জানান এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে ভারত সরকারকে নিন্দা জানানোর আহবান জানানো হয়।
মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামীকাল ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান। সকাল ৯ টায় তিনি বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত এক কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন।
কর্মী সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুমসহ কেন্দ্রীয়, আঞ্চলিক ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন।
এদিকে জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন উপলক্ষে গতকাল রোববার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় একটি রেষ্টেুরেন্টে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছে জেলা জামায়াতে ইসলামী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা ও কুমিল্লা-নোয়াখালী অঞ্চলের টিম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আবদুস সাত্তার, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা ও কুমিল্লা-নোয়াখালী অঞ্চলের টিম সদস্য সাবেক জেলা আমীর অধ্যক্ষ কাজী নজরুল ইসলাম খাদেম, জেলা নায়েবে আমীর কাজী ইয়াকুব আলী, জেলা সেক্রেটারি মুহা. মোবারক হোসাইন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোঃ আতিকুল ইসলাম ভূইয়া প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় লিখিত বক্তব্যে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুহা. মোবারক হোসাইন বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে সাংবাদিকদের সাথে মিলিত হবার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছিল।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অনিবার্য গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছি। জামায়াতের উপর যারপরনাই নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েও জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি।
এ পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে বৈষম্যহীন স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে আমীরে জামায়াত ডাঃ শফিকুর রহমান ১০ দফা সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেছেন। আগামীকাল ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া আগমন উপলক্ষে দলের কর্মী, সমর্থক ও সহযোগিদের নিয়ে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
মতবিনিময় সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজনের নেতৃত্বে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়ার প্রায় অর্ধশত সংবাদ-কর্মী অংশ নেয়।
এদিকে মঙ্গলবারের কর্ম সম্মেলনের সমর্থনে আজ ১৪ অক্টোবর সোমবার সকালে জেলার সবকটি উপজেলায় আমীরে জামায়াতকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল করেছে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের আয়োজনে আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার ছবিআকাঁ ক্লাস চলাকালীন সময়ে প্রকৃতির সান্নিধ্যে শিশু ও ৯ম আর্ট ক্যাম্প, আমাদের গ্রাম বাংলা শীর্ষক আলোচনা, পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিশিষ্ট লেখক কবি মোঃ আঃ কুদদূস।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের উপদেষ্টা চিত্রশিল্পী মোঃ আসাদুর রহমান আলমগীর ও প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোঃ খান বিটুর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, শিশু নাট্যমের উপদেষ্টা সহকারী অধ্যাপক তাসমিয়া সুলতানা এ্যানি, উপদেষ্টা ও সাবেক ছাত্র ডাঃ রিয়াজ উদ্দিন মিতুল, ঢাবির সহকারী রেজিস্ট্রার মোঃ রিফাত আমিন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সম্পাদক দিপ্ত মোদক।
প্রধান অতিথি বিশিষ্ট লেখক কবি মোঃ আঃ কুদদূস বলেছেন, শিশুদের মানবিক মানুষ করে গড়ে তুলতে হলে শিল্প সংস্কৃতির বিভিন্ন ধারায় তাদের কে নিয়ে যেতে হবে। তিনি ছোট বেলার স্মৃতিচারণ করে বলেছেন খালে বিলে, পুকুরে নদীতে সাঁতার কেটে ও গ্রামের যে ফল গাছে উঠে ফল পেড়েছি আর এখন শিশুরা ইট-পাথরের দালান-কোঠায় বসবাস করে ফার্মের মুরগী বানিয়ে ফেলছি।
শিশু নাট্যম যে উদ্যোগ নিয়েছে প্রকৃতির সান্নিধ্যে শিশু এ ভাবনা নিয়ে গ্রামে আর্ট ক্যাম্পের আয়োজন করা শিশু মেধা বিকাশে ভালো একটি কাজ। তিনি আরো বলেন, গ্রাম বা প্রকৃতি নিয়ে কবিতা, আর্টিকেল লিখেননি বা ছবিআকাঁ ও ছবি তুলেননি পৃথিবীতে এমন কবি বা শিল্পী নেই। এ পৃথিবীতে আমরা শিশুদের পুতুল বানিয়ে ফেলেছি, এ জায়গা থেকে শিশুদের মুক্তি দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।
প্রধান অতিথি পল্লী কবি জসীম উদ্দিন ও শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের জন্মদিন উপলক্ষে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
তার পূর্বে শিশু নাট্যমের ছবি আঁকা বিভাগের ছাত্র এসএসসি পরীক্ষার্থী তন্ময় দেবনাথ প্রান্ত ও আবদুল্লাহ আল জিহাদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
আফসানা হক সাথী (৩৩) নামে এক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার কেরি পোকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল ১ নভেম্বর বুধবার রাত ১০টায় জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সাথী আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে। সাথী দুই ছেলে নিয়ে শহরের মধ্যপাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন।
সাথীর বাবা ফজলুল হক জানান, সাথী নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর বিষ্ণুপুর গ্রামের আলী হায়দারের ছেলে ইমরান খান সবুজের সঙ্গে সাথীর বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে সবুজ যৌতুকের টাকার জন্য একাধিকবার সাথীকে মারধর করেছে। সবুজ অন্য নারীদের প্রতি আসক্ত ছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সব জেনেও সাথী সন্তানের কথা ভেবে সংসার করছিল। কয়েকদিন আগে আবার পরকীয়ায় লিপ্ত হয় সবুজ। এসব নিয়ে সবুজ প্রায়ই সাথীর সঙ্গে ঝগড়া করতো। বুধবারও সাথীর সঙ্গে সবুজ একই কারণে ঝগড়া করে। এর জেরে রাতে সবার অজান্তে কেরি পোকা মারার ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সাথী। পরে সাথীকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করলে ওইখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। সাথীর মৃত্যুর কথা শুনে সবুজ হাসপাতালে মরদেহ রেখে পালিয়ে যায়।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে “সর্বজনীন পেনশন স্কীম” সম্পর্কিত অবহিতকরণ সভা আজ ১০ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হেলেনা পারভীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম.এম মাহমুদুর রহমান, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির প্রমুখ।
সভায় বক্তব্য রাখেন কসবা পৌরসভার মেয়র এম.জি হাক্কানী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা জাসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আকতার হোসেন সাঈদ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা কমান্ডের সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ, শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম।
সভায় বলা হয়, ২০১৫ সালে প্রনীত জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলে সামাজিক সুরক্ষার বিষয়টি অর্ন্তভুক্ত করা হয় এবং ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের বাজেট বক্তৃতায় সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তনের সুষ্পষ্ট অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।
এই প্রেক্ষাপটে মহান জাতীয় সংসদ কর্তৃক সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ (২০২৩ সালের ৪ নং আইন) প্রনয়ন করা হয়। সর্বজনীন পেনশন স্কীমে রয়েছে “প্রবাস” “প্রগতি” “সরক্ষা” ও “সমতা” নামের ৪টি ব্যবস্থা।
“প্রবাস” স্কীমে বিদেশে কর্মরত বা অবস্থানকারী যে কোন বাংলাদেশী নাগরিক তার অভিপ্রায় অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধের শর্তে নির্ধারিত হারে চাঁদা প্রদান পূর্বক এই স্কীমে অংশ গ্রহন করতে পারবেন। প্রবাস হতে দেশে ফিরে আসার পর সম পরিমান টাকা দেশীয় মুদ্রায় পরিশোধ করা সহ প্রয়োজনে স্কীম পরিবর্তন করতে পারবেন। পেনশন স্কীমের মেয়াদ পূর্তিতে পেনশনার দেশীয় টাকায় পেনশন পাবেন।
এই আইনের অধীনে চাঁদাদাতাগন অনলাইন প্লাটফরমে রেজিষ্ট্রেশন করে যে কোন একটি পেনশন স্কীমে যুক্ত হতে পারবেন।
“প্রগতি” স্কীমে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোন কর্মচারী বা উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক তফসিলে বর্নিত হারে চাঁদা প্রদানপূর্বক এই স্কীমে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তার কর্মচারীগনের জন্য এই স্কীমে অংশ গ্রহনের ক্ষেত্রে স্কীমের চাঁদার ৫০% কর্মী এবং বাকী ৫০% প্রতিষ্ঠান প্রদান করবে। কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সর্বজনীন পেনশন স্কীমে অংশ গ্রহণ না করলেও উক্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোন কর্মচারী নিজ উদ্যোগে এককভাবে এই স্কীমে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন।
“সুরক্ষা” স্কীমে অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত বা স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তি যেমনঃ- কৃষক, শ্রমিক, রিকসা চালক, কামার, কুমার, জেলে তাঁতিসহ সকল অনানুষ্ঠানিক কর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিগন নির্ধারিত হারে চাঁদা প্রদান করে এই স্কীমে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন।
“সমতা” স্কীমে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক সময়ে সময়ে প্রকাশিত আয় সীমার ভিত্তিতে দারিদ্র সীমার নি¤েœ বসবাসকারী স্বল্প আয়ের ব্যক্তিগন তফসিলে হারে চাঁদা দিয়ে এই স্কীমে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন এবং সমতা স্কীমে কর্তৃপক্ষ বিধি অনুসারে সমপরিমান অর্থ জমা দিবে।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কীম বর্তমান সরকারের একটি অন্যতম কার্যক্রম। এটি সরকারের সর্বোত্তম কাজ। তিনি বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কীম একটি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী। যারা সরকারি চাকুরী করেন বা অন্য কোন ভাবে সরকারি ভাতা ভোগ করেন তারা এই সর্বজনীন পেনশন স্কীম করতে পারবেন না। তবে যারা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ভাতাভোগী তারা যদি নিজেদের ভাতা সরকারের কাছে সারেন্ডার করলে তাহলে ওইসব ব্যক্তি পেনশন স্কীমের অর্ন্তভুক্ত হতে পারবেন।
তিনি বলেন ১৮ বছরের অধিক বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে সর্বজনীন পেনশন স্কীমের আওতায় আনা সম্ভব হলে তারা একটি সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতাভুক্ত হবেন। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা কার্যকর হলে ধীরে ধীরে বিদ্যমান সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর সুবিধাভোগীর সংখ্যা কমে আসবে।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম আরো বলেন, ১৮ বছর থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল বাংলাদেশি নাগরিক জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট মূল্যমানের চাঁদাদাতা হিসেবে সর্বজনীন পেনশন স্কীমের অংশ নিতে পারবেন। তবে বিশেষ বিবেচনায় ৫০ বছরের বেশি বয়সের নাগরিকগণ স্কীমে অংশগ্রহণের তারিখ থেকে নিরবিচ্ছিন্ন ১০ বছর চাঁদা প্রদান শেষে আজীবন পেনশন প্রাপ্ত হবেন। সকল স্কীমের জন্য চাঁদার কিস্তি প্রদানকারীর পছন্দ মাফিক মাসিক-ত্রৈমাসিক বা বার্ষিক ভিত্তিতে পরিশোধের সুযোগ থাকবে। চাঁদাদাতগণ ইচ্ছে করলে অগ্রীম হিসেবে চাঁদার টাকা পেনশন ফান্ডে জমা দিতে পারবেন। সর্বজনীন পেনশন স্কীমে অংশগ্রহণকারী চাঁদাদাতাগণ নিরবিচ্ছিন্নভাবে চাঁদা প্রদানে শর্তে ৬০ বছর পূর্তিতে আজীবন মাসিক নির্ধারিত হারে পেনশন পাবেন। স্কীমের চাঁদাদাতা স্কীমে জমাকৃত বা জমার বিপরিতে প্রাপ্ত পেনশন বাবদ অর্থ তার মৃত্যুর পর গ্রহণ বা উত্তোলনের নিমিত্ত এক বা একাধিক নমিনি মনোনয়ন করতে পারবেন। তবে চাঁদাদাতা কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা প্রদান করার পূর্বে মৃত্যুবরণ করলে জমাকৃত অর্থ মুনাফাসহ নমিনীকে ফেরত দেয়া হবে। ব্যাংকে সরাসরি গিয়ে, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে এবং ডেভিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে চাঁদার টাকা জমা দেয়া যাবে। প্রবাসী স্কীমে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি নাগরিকগণ ক্রেডিটকার্ড বা ডেভিট কার্ডের বৈধ চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রায় মাসিক চাঁদা জমা দিতে পারবেন।
অবহিতকরণ সভায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ, রাজনীতিবিদ, জেলার ৯টি উপজেলার উপজেলা চেয়ারম্যানগণ, ৯টি উপজেলার ইউএনওগণ, বিভিন্ন পৌরসভার মেয়রগণ, সাংবাদিক, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণসহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের কাছাকাছি জায়গায় ঢাকা থেকে নোয়াখালীগামী আন্তঃনগর উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের হোস পাইপ চলন্ত অবস্থায় ছিঁড়ে যায়। এরফলে লেভেল ক্রসিং এলাকায় ট্রেনটি আটকা পড়লে শহরের প্রধান সড়ক বন্ধ হয়ে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। মেরামত শেষে প্রায় এক ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ ঘটনাটি ঘটে আজ ১৩ মে সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে। একাধিক সূত্র ও গণমাধ্যম সূত্র জানায়, উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি সন্ধ্যায় ৬টা ৩১ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে যাত্রাবিরতি করে। পাঁচ মিনিট যাত্রাবিরতি দিয়ে ট্রেনটি স্টেশন ছেড়ে যায়। কিছুদূর যাওয়া মাত্র ট্রেনের দুই বগির মাঝের হোস পাইপ ছিঁড়ে যায়। এতে ট্রেনটি থেমে যায়। পরে মেরামত শেষে ৭টা ৪০ মিনিটে ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছেড়ে যায়। ওইসময়ে ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।
প্রসঙ্গত: ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার প্রধান সড়ক টিএ রোডের লেভেল ক্রসিংয়ে আটকা পড়ায় দু’দিকের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের। অনেকে যানবাহন থেকে নেমে অনেক দূর ঘুরে গন্তব্যে যান। অনেক যানবাহন বিকল্প হিসেবে উড়াল সেতু ব্যবহার করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জসিম উদ্দিন বলেন, চলন্ত অবস্থায় হোস পাইপ ছিঁড়ে যায়। মেরামত শেষে প্রায় এক ঘণ্টা পর ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।