চলারপথে রিপোর্ট :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আশুগঞ্জে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার মূল নায়ক আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ মিজানুর রহমান ওরফে আডা মিজানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ বাজার থেকে আশুগঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল হোসাইন জানান, আটক মিজানের বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ থানায় একাধিক বিস্ফোরক মামলা রয়েছে।
আজ ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে আশুগঞ্জ গোল চত্বর এলাকায় শিক্ষার্থীদের মিছিলে অতর্কিত হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এর মূল নেতৃত্ব দেন মিজান। শিক্ষার্থীদের উপর হামলার সময়ের মিজানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে নিন্দার ঝড় উঠেছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক স্থানে বজ্রপাতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
আজ ৮ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আশুগঞ্জ উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
বজ্রপাতে মৃতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত জালু মিয়ার ছেলে শাহজাহান মিয়া (৫০) ও আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা গ্রামের নাসির মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া (২২)।
এছাড়া একইদিন মাছিহাতা ইউনিয়নের খেওয়াই গ্রামে বজ্রপাতে তিনটি গরু মারা গেছে।
মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আল-আমিনুল হক পাভেল জানান, বিকেলে বৃষ্টি শুরু হলে শাহজাহান মাঠে গরু আনতে যান। এ সময় বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। পাশাপাশি একই সময়ে বজ্রপাতে খেওয়াই গ্রামে কৃষক মনা ভূঁইয়ার তিনটি গরু মাঠে ঘাস খাওয়া অবস্থায় মারা গেছে।
তিনি জানান, নিহতের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা সহায়তা করা হয়েছে।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ জানান, হৃদয় প্রতিদিন মেঘনার চরে চরচারতলা গ্রামের জসীম উদ্দিনের মহিষের পাল দেখভাল করতেন। বিকেলের দিকে হঠাৎ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এর পরই মুসলধারে বৃষ্টির সঙ্গে শুরু হয় প্রচণ্ড মেঘের গর্জন। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই হৃদয়ের মৃত্যু হয় এবং উজ্জ্বল নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হন।
চলারপথে রিপোর্ট :
গভীর রাতে পথে পথে ঘুরে পথচারী, অসহায় দরিদ্র রোজাদারদের মাঝে সেহেরি খাওয়ার জন্য রান্না করা খাবার বিতরণ করছেন মানবিক আশুগঞ্জ নামে একটি সামাজিক সংগঠনের একদল তরুণ। তাদের নিজস্ব অর্থায়ণে রান্না করা খাবারের প্যাকেট নিয়ে সংগঠনের তরুণ সদস্যরা প্রতিদিন গভীর রাতে ছুটে যায় রেল স্টেশন, বাস স্টেশনসহ উপজেলা শহরের বিভিন্ন অলিতে গলিতে। এইসব স্থানে ঘুমিয়ে থাকা পথচারী, নৈশ প্রহরীসহ অসহায় দরিদ্র মানুষ গুলোকে ঘুম থেকে জাগিয়ে সেহেরি খাওয়ার জন্য তুলে দেয়া হচ্ছে রান্না করা খাবারের প্যাকেট।পুরো রমজান মাসই চলবে এই সেহেরি বিতরণ কার্যক্রম।
আজ ২০ মার্চ বুধবার ভোর রাতে সেহেরিতে রান্না করা খাবারের প্যাকেট বিতরণ আয়োজনে মানবিক আশুগঞ্জের তরুণদের সাথে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সাংবাদিক সেলিম পারভেজ। এসময় আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, সংগঠনের সভাপতি মো. আলাউদ্দিন আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেনসহ মানবিক আশুগঞ্জের অর্ধশতাধীক তরুণ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। মানবিক আশুগঞ্জ এর’ পথে পথে ঘুরি,সেহেরি বিতরণ করি, কর্মসূচির অংশ হিসেরে বুধবার ভোর রাতে রেল স্টেশন, বাস স্টেশনসহ উপজেলা শহরের বিভিন্ন সড়কে দুই শতাধীক পথচারী,নৈশ প্রহরীসহ অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে রান্না করা খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়।
মানবিক আশুগঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. আলাউদ্দিন আহম্মেদ জানান ২০১৯ সালে ৭০জন তরুণ সদস্য নিয়ে সংগঠনটি মানবিক কর্ল্যাণে কাজ শুরু করে। গত ৫ বছর যাবত নিজস্ব অর্থায়ণে প্রতি রমজান মাসে প্রতিদিন রাতে সেহেরি বিতরণ কার্যক্রম, সুনামগঞ্জে বন্যার্তদের সহায়তা প্রদানসহ মানব কল্যাণে বিভিন্ন সামাজিক কাজে অংশ নিয়েছে। বর্তমানে সংগঠনে ২ শতাধীক সেচ্ছাসেবী তরুণ সদস্য রয়েছে। মানব কল্যাণে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম পারভেজ বলেন আজকে যেখানে তরুণ সমাজ মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে সেখানে মানব কল্যাণে কাজ করছে মানবিক আশুগঞ্জের তরুণরা। তা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। এই তরুণরা উপজেলার মুখ উজ্জল করেছে। তিনি উপজেলা তথা দেশের সকল অর্থ ও বিত্তবানদেরকে মানবিক আশুগঞ্জের এই তরুণদের পাশে দাড়ানো আহবান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভেজালের সঙ্গে কোনো প্রকার আপস করা হবে না উল্লেখ করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেছেন, খাদ্য, বস্ত্র কিংবা প্রসাধনী যাই হোক বাজারে কোনোভাবেই ভেজাল পণ্য বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। বাজারে ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনাসহ অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি তিনি ভোক্তা সাধারণকে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আমরা চাই সবাই আইন মেনে ব্যবসা করুক। ভোক্তারা যেন ন্যায্যমূল্যে পণ্য পান। ব্যবসায়ীরা মূল্য ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ভোক্তাদের স্বস্তি দেবেন এ আশাবাদ করি।
গতকাল ৩ জুন শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উজান ভাটি হোটেলে আলোকিত নারী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ভোক্তা অধিকার ও নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূল সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আলোকিত নারী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মেহেরুন নিছা মেহেরিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শহিদুল হারুন।
অন্যদের মাঝে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার পুলিশ সুপার কবি নুরুল ইসলাম বিপিএম, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু আসিফ আহমেদ, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহেনা মকবুল, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মুজিবুর রহমান, উপজেলা বিএনপি নেতা নাছির উদ্দিন, কামাল আহমেদ জয় ও উপজেলা যুবলীগ নেতা মতিউর রহমান সরকার প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তবে্য ভোক্তা অধিকারের ডিজি সফিকুজ্জামান আরো বলেন, নকল ও ভেজালে ভরে গেছে বাজার। এখন অধিকাংশ আমদানি করা পণ্যে আমদানিকারকের তথ্য থাকে না। থাকে না মেয়াদও। অথচ সেটি উল্লেখ থাকা বাধ্যতামূলক। এ ধরনের সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি ভোক্তাদেরকে নকল ও ভেজাল পণ্যের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।