চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছাত্র-জনতার সরকার। সেই সরকারকে আমরা সহযোগিতা করব। কিন্তু যত দ্রুত সম্ভব, একটা সুষ্ঠু ভোট দিতে হবে।’ গতকাল ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির মতবিনিময় সভায় রুমিন ফারহানা এসব কথা বলেন। শাহবাজপুর ইউনিয়নের রাজাবাড়িয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ওই সভা হয়। সভায় কয়েক শ নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। সভা শুরু হয়েছে বিকেল সাড়ে পাঁচটায়।
সভায় ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘দেশের মালিক আপনারা-জনগণ, আপনারা যাকে ভোট দেবেন, তারাই দেশ চালাবে। আপনাদের ভোট ছাড়া যারা দেশ চালাবে, তারা অবৈধ।’
রুমিন ফারহানা আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনা শেষমেশ দেশ থেকে পলাইতে বাধ্য হয়েছে। আমাদের লড়াই কিন্তু শেষ হয় নাই। এখন সুষ্ঠু ভোটের লড়াই চলছে। আমরা এখনো নির্বাচনের তারিখ নিতে পারি নাই।’ সরাইল-আশুগঞ্জ থেকে নির্বাচনের বিষয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘অনেকে বলে আপনি তো ঢাকা থেকে নির্বাচন করতে পারেন। আপনি গ্রামে সরাইল-আশুগঞ্জে থেকে কেন নির্বাচন করতে চান। আমি বলি নাড়ির টানে এখানে আসি। আমি আপনাদের সন্তান। আমি এখান থেকে নির্বাচন করতে চাই। আল্লাহ যদি আমাকে এই আসন থেকে সংসদ সদস্য করে। তাহলে আমাদের ছেলে মেয়েদের আর ঢাকায় যেতে হবে না। এখানেই তাদের চাকরির ব্যবস্থা করে দেব। এখানকার শিক্ষার উন্নয়ন করব। বাচ্চাদের পড়াশোনার মান, স্কুল-কলেজের পড়াশোনার মান উন্নত করব।’
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় ১৬ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে সরাইল থানার পুলিশ। এসময় মাদকের কাজে ব্যবহৃত একটি ডিআই পিকআপ জব্দ করে পুলিশ।
আজ ১৬ নভেম্বর শনিবার ভোর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উপজেলার নোয়াগাও ইউনিয়নের বাড়িউড়া বাজারের পূর্ব উত্তর পাখি মাজারের দক্ষিণ পাশে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপর থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ কুট্টাপাড়া গ্রামের মৃত জাফর ঠাকুর এর ছেলে ইমন ঠাকুর (২৪) ও বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া (২৩)।
জানা যায়, ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে সরাইল উপজেলার নোয়াগাও ইউনিয়নের বাড়িউড়া বাজারের পূর্ব উত্তর পাখি মাজারের দক্ষিণ পাশে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে একটি ডিআই পিকাআপ ১৬ কেজি গাঁজা বহন করে যাচ্ছিল। এমন গোপন সংবাদ ভিত্তিতে সরাইল থানা পুলিশ গাড়িটি আটক করে। এসময় গাড়িতে থাকা দুই মাদক কারবারি গাড়ি রেখে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদেরকে গ্রেফতার করে। বিশেষ কায়দায় গাড়ির সিটের নিচে প্লাস্টিক বস্তায় কসটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ১৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।
সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রফিকুল হাসান বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ঢালাও হারে মামলা দিয়ে মামলা বাণিজ্য করা হচ্ছে।
সেই সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে পতিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের শেল্টার দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শেখ হাসিনার পতনে নেতৃত্ব দেওয়া ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।
আজ ৮ মে বৃহস্পতিবার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এসবের জন্য একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেন সারজিস।
ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে সারজিস এসব অন্যায় অপকর্ম থেকে দলটির নেতাকর্মীদের বেরিয়ে আসার আহ্বানও জানান।
সেই সাথে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, জনগণের সামনে মুখোশ উন্মোচিত হলে মুখ দেখানো কঠিন হয়ে পড়বে।
সারজিস তার পোস্টে লিখেছেন, ‘মিথ্যা মামলা দেওয়ার পূর্বে ফোন দিয়ে মামলায় আসামি হিসেবে নাম না দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে। মিথ্যা মামলায় নাম দেওয়ার পর নাম কাটানোর জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে।
অন্যায়-আপকর্মে জড়িত ছিল না তারপরও চাপে রাখার জন্য কিংবা অর্থনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য ব্যবসায়ীদের নামে মিথ্যা মামলায় দেওয়া হচ্ছে।’
সারজিস আরো লিখেছেন, ‘অপরদিকে টাকা কিংবা ম্যানপাওয়ার সাপ্লাইয়ের বিনিময়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের অসংখ্য সন্ত্রাসীকে শেল্টার দেওয়া হচ্ছে।’
এসবের পেছনে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের আধিপত্য সবচেয়ে বেশি জানিয়ে সারজিস আরও লিখেছেন, ‘রাজনৈতিক দলের কিছু কালপ্রিট নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে এই কাজগুলো করা হচ্ছে। একটি রাজনৈতিক দলের আধিপত্য এখানে সবচেয়ে বেশি।’
রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সাথে ভাগ বাটোয়ারায় জড়িয়ে পড়েছে পুলিশ- এমন অভিযোগ এনে সারজিস বলেন, ‘অধিকাংশ পুলিশ এক্ষেত্রে আগের মতই সঙ্গ দিচ্ছে।
রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের প্রতি তাদের চাটুকার মনোভাবের তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি। ভাগ বাটোয়ারা করে কাজ চলছে।’
পোস্টের শেষাংশে রাজনৈতিক দলটির নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে সারজিস বলেন, ‘সময় থাকতে এসব অন্যায় অপকর্ম, মামলা বাণিজ্য থেকে বেরিয়ে আসুন।
জনগণের সামনে মুখোশ উন্মোচিত হলে মুখ দেখানো কঠিন হয়ে পড়বে।’ সূত্র : যায়যায়দিন
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১৩ মে সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে এক মা তাঁর মাদকাসক্ত ছেলেকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই ছেলেকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন। ওই নারীর ছেলের নাম আজমল শাহ (৩৭)।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বুড্ডা গ্রামের সাদেক মিয়ার ছেলে কয়েক বছর আগে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। বছরখানেক ধরে তিনি উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপন করে আসছেন। নেশার টাকার জন্য আজমল নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। সম্প্রতি নেশার টাকার জন্য আজমল আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তাঁকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে আজমলের মা-বাবা সব চেষ্টাই করেছেন। কয়েক মাস ধরে আজমলের অত্যাচারে মা-বাবা অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। তিন বছর আগে স্ত্রীও আজমলকে ফেলে চলে যান।
বাধ্য হয়ে মা এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে কয়েক দিন আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আজমল। এর জের ধরে গতকাল সকালেও আজমল ঘরের আসবাব ভাঙচুর করতে থাকেন। ছেলের অত্যাচার-নির্যাতন সইতে না পেরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় অসহায় মা মনেজা বেগম দুপুর ১২টার দিকে আজমলকে আটক করেন। পরে পুলিশে সোপর্দ করেন।
সোমবার বেলা দুইটার দিকে ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেসবা উল আলম ভূঁইয়া ছুটে যান বুড্ডা গ্রামে। সেখানে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে আজমল শাহকে ১২ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন। মনেজা বেগম ইউএনওর কাছে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘ছেলে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। তার অপকর্মে আমরা অতিষ্ঠ হইয়া পড়ছি, আমরার জীবন শেষ কইরা ফালাইছে। তার কাছ থেকে আমারে বাঁচান।’
খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে ইউএনও মেসবা উল অলম ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাদকাসক্ত ওই যুবকের অত্যাচারে মা-বাবা ও স্ত্রী অতিষ্ঠ হয়ে গেছেন। তিনি নিয়মিত মা-বাবাকে মারধরও করতেন। তাঁকে আমরা হাতেনাতে মাদকাসক্ত অবস্থায় পেয়েছি। তিনি দোষ স্বীকার করেছে। তাঁকে এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলার মাটিতে আর কোনো পাতানো নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সে নির্বাচন প্রতিহত করা হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।
আজ ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার তারুণ্যের রোড মার্চ রংপুর থেকে দিনাজপুর অভিমুখে যাওয়ার পথে সৈয়দপুরে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে আয়োজিত পথসভায় তিনি একথা বলেন।
রোডমার্চটি ওই দিন বেলা দেড়টায় সৈয়দপুর পথসভায় এসে মিলিত হয়। তিনি বলেন, বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীকে মিথ্যে মামলা দিয়ে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। নিম্ন আদালতে গেলে জামিন দেওয়া হয় না। মিথ্যা মামলায় দিনের পর দিন বিএনপির নেতাকর্মীদের কারাগারে রাখা হয়েছে।
আজকে রোডমার্চ শুরু হলো, আর এ কর্মসূচি সেদিন শেষ হবে যে দিন এ সরকারের পদত্যাগ ঘটবে।
সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকারের সভাতিত্বে অনুষ্ঠিত পথসভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বর্তমান সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। তারা গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠাতে চায়। নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ, বিদ্যুৎ থাকছে না, উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
সেচ ও কৃষিকাজ করতে পারছে না কৃষকরা। ব্যাংক খালি করে দিয়েছে, রিজার্ভ থেকে টাকা চুরি করছে তারা।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, শুধু বিএনপি নয়, দেশের সবগুলো রাজনৈতিক জোট ঘোষণা দিয়েছে এ সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন নয়। এই সরকার বার বার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি সেখানে অংশ নেবে।
পথসভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) রাশেদ ইকবাল খান, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, চলচিত্র অভিনেতা ও জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক শিবা শানু এবং স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে উপনির্বাচনে আইনি প্রক্রিয়ায় মনোনয়ন পত্র বাতিল হওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ ইব্রাহিম সমর্থন জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে। আজ ১৫ অক্টোবর রবিবার বিকালে সরাইল প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি এ সমর্থন ব্যক্ত করেন।
সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আইয়ুব খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান বাবুলের সঞ্চালনায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী মোঃ ইব্রাহিম। বক্তব্যে তিনি বলেন, সব নিয়ম কানুন মেনে উপনির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গত ১১ অক্টোবর মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিনে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কার্যালয়ে জমা দেন। পরদিন জেলা রিটার্নিং অফিসার এর কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই শেষে ভূয়া স্বাক্ষর ও মৃত ব্যক্তির স্বাক্ষর দেওয়ার অভিযোগে তার মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়।
আইনগত প্রক্রিয়ায় তার প্রার্থীতা বাতিল হওয়ার কথা স্বীকার করে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে সমর্থন দিয়ে বলেন, আমার দাদা জাতীয় পার্টি করতেন। এর ধারাবাহিকতায় আমার বাবাও জাতীয়পার্টি করে গেছেন।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় পার্টিতে আমার পদ পদবী নেই। তাই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলাম। আগামীতে জাতীয় পার্টির পদ-পদবী নেওয়ার চেষ্টা করে পরবর্তীতে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চাইব।
এ সময় জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এডভোজেট আব্দুক হামিদ খান ভাসানীসহ প্রেসক্লাবের অন্যান্য সংবাদকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) সংসদীয় আসনে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা ৬ বার এমপি ছিলেন। এছাড়াও একবার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যুতে মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) আসনটি শূন্য ঘোষণা করে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিনে মোট ৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। এদের মধ্যে যাছাই বাছাইয়ে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, স্বতন্ত্র পদে সাবেক দুইবারের এমপি এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এডভোকেট আব্দুল হামিদ ভাসানী, এনপিপি’র রাজ্জাক হোসেন ও জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম এই ৫ জনের প্রার্থীতা বৈধ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ ইব্রাহিম মিয়া এর প্রার্থীতা অবৈধ বলে ঘোষনা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। তফসিল অনুযায়ী আগামী ৫ নভেম্বর এ আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।