চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে আইনশৃংখলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ হল রুমে আয়োজিত সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) মোঃ মোজাহারুল হকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপি সভাপতি জমির উদ্দিন বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাছুম, উপজেলা জামাতের আমীর আবু সাঈদ, উপজেলা হেফাজত নেতা মাওলানা জহিরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের নেতা আবুল কালাম আজাদ, বিজয়নগর প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মোঃ জিয়াদুল হক বাবু, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দবীর উদ্দিন ভূইয়া প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, বর্তমান সরকার আইনের শাসন বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। কেউ যাতে বিনা অপরাধে মামলায় হয়রানি না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আইন নিজের হাতে তোলা যাবে না। মাদক ব্যবসায়ীদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলে মাদক থেকে দূরে রাখা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে প্রচণ্ড বৃষ্টিতে মাটির ঘর ধসে রাফিন (১২) ও মিশু (১০) নামে আপন দুই ভাইবোনের মৃত্যু হয়েছে। আজ ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভোরে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত দুই ভাইবোন ওই গ্রামের মন্নাফ মিয়ার সন্তান। এ ঘটনায় বাবা মন্নাফ (৪৫), মা রোকসানা (৩০) ও বোন ইশু (১০) আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ইশুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, মন্নাফ কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে মাটির ঘরে থাকতেন। গতকাল রাতে অন্যান্য রাতের মতোই সবাই একসঙ্গে ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোররাতে প্রচণ্ড বৃষ্টি হলে মাটির ঘরটি ধসে পড়ে। এতে তারা পাঁচজনই মাটির নিচে চাপা পড়েন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাফিন ও মিশুকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত তিনজনের মধ্যে ইশুকে আশঙ্কাজক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে হাফিজুর রহমান (৬০) নামের এক বৃদ্ধকে হত্যা করেছে মেয়ের জামাই। আজ ৪ নভেম্বর শনিবার ভোরে উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হাফিজুর রহমান ওই এলাকা গুলু মিয়ার ছেলে। অভিযুক্ত মেয়ের জামাতা শামীম মিয়া ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। তিনি একই ইউনিয়নের পেটুয়া গ্রামের তাজু মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩ বছর আগে হাফিজুর রহমানের মেয়ে নাহিদা আক্তারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে শামিম মিয়ার বিয়ে হয়। নাহিদা আক্তার ও শামিম মিয়ার সংসারে ২ বছরের একটি শিশু সন্তান আছে। বেশ কিছুদিন ধরে পারিবারিক নানান বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই প্রেক্ষিতে ৮ অক্টোবর নাহিদা আক্তার তার স্বামী শামিম মিয়াকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। এর পর তিনি স্বামীর বাড়ি ফিরে না গেলে শামীম তার বাবা হাফিজুর রহমানকে হত্যার হুমকি দেয়।
নাহিদা আক্তার এরই মধ্যে পরিবারের লোকজনদের কিছু না জানিয়ে আবার স্বামীর সংসারে ফিরে যান। কিন্তু তাদের মধ্যে ফের কলহ শুরু হয়। এরই জেরে ৩ নভেম্বর শুক্রবার নাহিদা আবার বাবার বাড়ি চলে আসেন। নাহিদাকে ফিরিয়ে নিতে শামীমের বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা তাদের বাড়ি আসে। কিন্তু শামীমের সংসারে নাহিদা আক্তার ফিরে যাবে না বলে জানিয়ে দেয়। এরই জেরে ভোরে শামীম শ্বশুর বাড়ি এসে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে তার শ্বশুর হাফিজুর রহমানকে হত্যা করে পালিয়ে যান।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘাতক শামীমকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রীতি খন্দকার খন্দকার ওরফে হালিমা নিখোঁজ রয়েছেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে বিজয়নগর থানায় জিডি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার তার স্বামী এই জিডি করেন।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ২টা থেকে বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটায় এই রির্পোট লেখা পর্যন্ত প্রার্থীর কোন খবর পাওয়া যায়নি বলে মাসুদ খন্দকার জানিয়েছেন। তিনি জানান প্রচারণা চালাতে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হন। তবে পুলিশ বলছে বিষয়টি সাজানো হতে পারে। তবে জিডির অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওসি আসাদুল ইসলাম।
প্রীতি খন্দকারের স্বামী মাসুদ খন্দকার বলেন, ৫ জুন বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে তার স্ত্রী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে (পদ্মফুল প্রতীক) নির্বাচন করছেন। সার্ভার ক্রুটির কারণে প্রীতির মনোনয়ন জমা দিতে সমস্যা হওয়ার ফলে হাইকোর্ট থেকে প্রার্থীতা ফিরে পান তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নে দুইজন সহযোগী নিয়ে নির্বাচনি প্রচারনায় যান প্রীতি। হরষপুরের ঋষি পাড়ায় ঢুকে প্রচার করা অবস্থায় দুজন মহিলা বাহিরে আসেন আর প্রীতি ভোটারদের সাথে ভিতরে কথা বলছিলেন। ১০মিনিট ২০মিনিট পার হলেও যখন বের হচ্ছেনা বিধায় দুইজন মহিলা ভিতরে যান। ভিতরে গিয়ে প্রীতিকে খোঁজে পাচ্ছিলো না।
বিষয়টি সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ থানার ওসি মহোদয়কে অবগত করা হয়।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম বলেন, প্রার্থীর স্বামী রাতে এসেছিলেন। তাকে নিয়ে রাতে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। যেখান থেকে নিখোঁজ হয়েছেন সেখানে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন প্রার্থী প্রচারে এসেছিলেন। তবে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলায় ৩ হাজার কেজি (৭৫ মণ) এমওপি সারসহ পিকআপ জব্দ করা হয়েছে।
আজ ১৯ জুন সোমবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রামপুর এলাকা থেকে সারসহ পিকআপটি জব্দ করা হয়। এ সময় পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সজিব মিয়া (২৫) নামে এক যুবককে আটক করা হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাব্বির আহমেদ বলেন, চরইসলামপুর মেসার্স জাকির হোসেন ট্রেডার্স থেকে পিকআপে ৫০ কেজি ওজনের ৬০ বস্তা (৩ হাজার কেজি) সার সজিব মিয়া আশুগঞ্জ উপজেলায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পিকআপসহ সার জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সৌদি আরবে ৪৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় ১১৭ দেশের ১৬৬ জন হাফেজ এর সাথে প্রতিযোগিতা করে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী বাংলাদেশের বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের প্রতিযোগী হাফেজ মোঃ ফয়সাল আহমেদকে গণসংবর্ধনা দিয়েছে বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদ।
১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের প্রাঙ্গণে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজয়নগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান খাঁন শাওন।
ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াউল হক বকুলের সভাপতিত্বে ও ইছাপুরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ ইসহাক সরকার এর সঞ্চালনায় প্রধান আকর্ষণ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংবর্ধিত হাফেজ ফয়সাল আহমেদ এর শিক্ষক শায়েখ নেছার আহমেদ আন আনছারী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ বাবুল আক্তার, বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ, বিজয়নগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল এর সাবেক কমান্ডার মোঃ দবির আহমেদ ভূমিকা, বিজয়নগর উপজেলা প্রেসক্লাব এর সভাপতি এস এম কামরুল হাসান শান্ত, ইছাপুরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুল আমিনসহ বিজয়নগর উপজেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও হাফেজ ফয়সাল আহমেদ এর স্বজনরা উপস্থিত ছিল।
উল্লেখ্য, গত ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কায় অনুষ্ঠিত ‘৪৩তম বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় ১১৭টি দেশের ১৬৬ জন হাফেজের মধ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করেন বাংলাদেশের হাফেজ ফয়সাল আহমেদ।