চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে আইনশৃংখলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ হল রুমে আয়োজিত সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) মোঃ মোজাহারুল হকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপি সভাপতি জমির উদ্দিন বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাছুম, উপজেলা জামাতের আমীর আবু সাঈদ, উপজেলা হেফাজত নেতা মাওলানা জহিরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের নেতা আবুল কালাম আজাদ, বিজয়নগর প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মোঃ জিয়াদুল হক বাবু, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দবীর উদ্দিন ভূইয়া প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, বর্তমান সরকার আইনের শাসন বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। কেউ যাতে বিনা অপরাধে মামলায় হয়রানি না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আইন নিজের হাতে তোলা যাবে না। মাদক ব্যবসায়ীদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলে মাদক থেকে দূরে রাখা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিগত ২০২২ – ২০২৩ অর্থ বছরের সার্বিক বিশ্লেষণে “সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা” গড়ার প্রত্যয়ে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কর্মদক্ষতায় জেলার পেশাগত জ্ঞান, দক্ষতা, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ সহ ০৭ টি ক্যাটাগরিতে বিচার বিবেচনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত হওয়ায় বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ কে বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম এর পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম এর নেতৃবৃন্দ সম্মাননা স্মারক প্রদান কালে ইউএনও কে বলেন, আপনার এই কর্মদক্ষতার স্বীকৃতি সুফল ভোগ করব আমরা বিজয়নগরবাসী। আমরা দেখছি আপনি বিজয়নগর যোগদানের পর থেকে নিষ্ঠা ও সততার সাথে প্রশাসনিক বিভিন্ন কাজের গতি ফিরে আসছে। পাশাপাশি ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, মাদকদ্রব্য উদ্ধার ভূমিকা, বাল্য বিবাহ নিয়ন্ত্রণ, ভূমিদস্যু বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান, অবহেলিত মানুষের প্রশাসনিক হয়রানি বন্ধের মত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যাচ্ছেন। আপনার কর্মগুনে চির দিন বিজয়নগরবাসী আপনাকে মনে রাখবে।
এ সময় বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম এর সভাপতি মোঃ আব্দুর রশিদ খাঁন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক, বিজয়নগর উপজেলা প্রেসক্লাব এর সভাপতি এস এম কামরুল হাসান শান্ত, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক শাহনেওয়াজ শাহ, সহ-সম্পাদক মোঃ আব্দুল হামিদ, জিয়াউর রহমান, মোঃ সাইমন মিয়া, সদস্য সুজন মিয়া, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।
এসময় সবার উদ্দেশ্যে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি বিজয়নগর উপজেলায় যোগদানের পরে উপজেলার সবার সহযোগিতায় চমৎকার কাজের পরিবেশ পেয়েছি। এবং নবগঠিত বিজয়নগর উপজেলায় অনেক কাজ করার সুযোগ রয়েছে। তাই মনে করি এই অর্জন বিজয়নগরবাসীর পাপ্য। সরকারি কর্মচারী হিসেবে চেষ্টা করে যাচ্ছি সরকারের সকল কাজের যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আকস্মিক সৃষ্ট বন্যা কবলিত মানুষের চিকিৎসা ও ওষুধ সহযোগিতায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করেছে বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম।
এ সময় হতদরিদ্রদের নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। ২৬ আগস্ট সোমবার বন্যাদুর্গত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা বায়েক ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়ার শশীদল ইউনিয়নের বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করেন তারা। দিনব্যাপী এই কর্মসূচিতে কয়েকশত মানুষের মাঝে ফ্রি মেডিকেল সেবার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধ ও নগদ টাকা দেওয়া হয়েছে।
বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম আয়োজিত এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সভাপতি আব্দুর রশিদ খাঁন, সাধারণ সম্পাদক এস এম কামরুল হাসান শান্ত, সহ-সভাপতি এবিএম মোর্শেদ কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মুজিবুর রহমান, প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক শাহনেওয়াজ শাহ্ ও আবুল কাশেম।
মেডিকেল টিমে ছিলেন, বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিডিপিএ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ফার্মাসিস্ট মো. আলমগীর কবির, বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্বাস্থ্য সহকারী অ্যাসোসিয়েশন বিজয়নগর উপজেলা শাখার সভাপতি মো. আলাল উদ্দিন, সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিন আলম, স্বাস্থ্য সহকারী মো. সফিউল্লাহ, মো. মাসুকুর রহমান,মো. ইকবাল হোসেন।
বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম আয়োজিত মেডিকেল টিম ও প্রয়োজনীয় ঔষধ সেবা ফ্রি প্রদানে হঠাৎ সৃষ্ট বন্যা কবলিত মানুষের মনে সাহস ও ভরসা সৃষ্টি করে।
সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে অনেকেই বলেন, এমন বন্যা কখনো আমাদের অঞ্চলে হয়নি। আমরা বন্যা মোকাবেলা করার তেমন কোন অভিজ্ঞতা নেই। সৃষ্ট বন্যার পর থেকে সারাদেশে মানুষ শুকনো খাবার ও কিছু সময় রান্না করা খাবার নিয়ে সহযোগিতা করতে আসলেও এতদিনে কেউ চিকিৎসা সেবা দিতে আসেনি। আমাদের এলাকার সব ফার্মেসি বন্ধ। যোগাযোগ সমস্যার কারণে চিকিৎসা নিতে বাহিরেও কোথাও যেতে পারছি না। শিশু থেকে বৃদ্ধ অধিকাংশ লোক পানিবাহিত রোগ আক্রান্ত রয়েছে। আবার শুকনো খাবার বা বাহিরের রান্না করার খাবারের কারণে অনেকে অসুস্থ অবস্থায় রয়েছে। আপনাদের এই সেবার মাধ্যমে মানুষের মনে বেঁচে থাকার প্রাণ সঞ্চয় হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
খুবই নিস্তব্ধ ও সুনসান নীরব দুলালপুর গ্রামটি। লালমাটির ওপর তৈরি পাঁকা সড়ক দিয়ে ভেতরে ঢুকলেই দুই পাশে দেখা যায় হরেক রকমের বাগান। আর সেখানেই স্থানীয় আলমগীর ভূঞা গড়ে তুলেছেন চায়না থ্রি জাতের কমলার বাগান। বাগানজুড়ে ধরে আছে অনেক রঙিন কমলা। গত বছরও এ বাগানে প্রচুর কমলা ধরেছিল। দ্বিতীয়বারের মতো বাগানে কমলার বাম্পার ফলন হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের একটি গ্রাম দুলালপুর। ২০১৯ সালে বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নে চায়না জাতের কমলা বাগানের যাত্রা শুরু হয়। প্রবাসফেরত আলমগীর ভূঞা এই এলাকায় সর্বপ্রথম চায়না থ্রি জাতের কমলার বাগান চাষের উদ্যোগ নেন। পরীক্ষামূলক চাষেই তিনি লাভবান হয়েছেন। ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে দুলালপুরের এই কমলা বাগান। বিভিন্ন হণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গত মৌসুমে আলমগীর ভূঞা ১৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকার কমলা বিক্রি করেছিলেন। কমলা বাগানে কর্মরত মো. রাসেল গণমাধ্যমকে বলেন, এ বছর আলমগীর ভূঞা দুই বিঘা জমিতে চায়না থ্রি জাতের কমলার চাষ করছেন। বিশাল এই বাগানে রয়েছে ১৭৫টি গাছ। তবে বাগানে পরিচর্যা ও যত্নে দিতে হয় অক্লান্ত শ্রম ও অর্থ। দুই বিঘা জমির কমলা চাষে খরচ পড়েছে সাড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা। গত বছরের তুলনায় যত্ন ভালো হওয়ায় ও স্থানীয় কৃষি অফিসারের সঠিক পরামর্শে ১৬ খেকে ১৭ লাখ টাকার কমলা বিক্রি হবে বলে আশা রাসেলের। জানা যায়, আলমগীর মিয়ার চাষ দেখে অনেকেই এখন কমলা চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে বিষ্ণপুর গ্রামে এখন পাঁচজন কমলাচাষ করছেন। তারা হলেন—ছতুরপুর গ্রামের খোকন মিয়া, মহেশপুর গ্রামের নুরুজ্জামান, কালু মিয়া, ইগরতলির তৈয়বুর রহমান।
কথা হয় আরেক কমলা চাষি মহেশপুর গ্রামের নুরুজ্জামানের সঙ্গে। তিনি জানান, প্রবাস থেকে ফিরেছেন চার বছর আগে। এলাকায় ফিরেই চাষাবাদ শুরু করেন। গত মৌসুমে আলমগীর মিয়াকে দেখেই নতুন উদ্যোক্তা হয়ে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা খরচ করে তিন বিঘা জমিতে চায়না থ্রি জাতের রঙিন কমলা চাষ করেন। নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে ভালো মুনাফা হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন নুরুজ্জামান।
বাগানে প্রবেশ করলেই বাশের বেড়া দিয়ে বানানো হয়েছে একটি ছোট ঘর। তার পাশেই টেবিল চেয়ার ও মাপ নির্ধারণের জন্য ডিজিটাল মেশিন নিয়ে বসে রয়েছেন বাগানের কর্মরত লোকজন। পাশেই একটি বিশাল ঝুড়িতে রাখা আছে কমলা। বাগানে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী অথবা কমলা নিতে আসা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতেই ঝুড়িতে কমলাগুলো বাছাই করে রাখা হয়েছে। ব্যবসায়ী অথবা দর্শনার্থী সবার কাছ থেকে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় রঙিন কমলা। তবে অনেকেই আবার ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। সেই কমলাগুলো পাকাপোক্ত হওয়ার আগেই এমন দরে বিক্রি করছে। বাগানের ভেতর ঢুকতেই দেখা মিলে মনোমুগ্ধকর অপূর্ব দৃশ্য। বাগানজুড়ে ধরে আছে অনেক কমলা। প্রতিটি গাছের থোকায় থোকায় সবুজ পাতার ফাঁকে যেন রঙিন কমলাগুলো উঁকি দিচ্ছে।
বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল উদুদ জানান, বিজয়নগর কৃষিতে সম্ভাবনাময় একটি উপজেলা। এ উপজেলায় নানা সবজি ও ফলমূল আবাদ হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ অঞ্চলের লিচুর খ্যাতি পুরো দেশজুড়ে। কাঁঠাল, পেয়ারা, ড্রাগন, আম, আনারস, বড়ই, গ্রিন মাল্টা চাষ হচ্ছে। এরই মধ্যে চায়না কমলা চাষ শুরু হয়। বাণিজ্যিকভাবে নতুন করে কমলা চাষে অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন। এখন পর্যন্ত ৯ বিঘা জমিতে চায়না কমলা আবাদ করেছেন পাঁচজন কৃষক। এ বছর বিষ্ণপুর ইউনিয়নের এই পাঁচ বাগানে ২৫ লাখ টাকার কমলা বিক্রি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তবে আশা করি সেটি ছাড়িয়ে যাবে এবং সামনে কমলার বাগান আরও বাড়বে বলে কৃষি বিভাগ মনে করেন।
এদিকে কমলা বাগানগুলো এখন ভ্রমণের স্থান হিসেবে রূপ নিয়েছে। রঙিন কমলার স্বাদ নিতে ভ্রমণপিপাসুরা আসছেন প্রতিনিয়ত। বাগান পরিদর্শন শেষে টাটকা কমলা ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে বাড়ি। কমলা বাগানের এমন দৃশ্য দেখতে প্রতিনিয়ত ভিড় জমান দর্শনার্থীরা।
বাগানে ঘুরতে আসা এক দম্পতি জানান, ফেসবুকের ছবি দেখে বাগানে এসেছেন নিজের চার বছরের ছেলেকে নিয়ে। কমলা বাগান দেখে অনেকটাই মুগ্ধ হয়েছেন। এই বাগানের কমলা খেতে নাকি বেশ সুস্বাদু বলে জানান তিনি।
চলারপথে নিউজ :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ হাজার ১৭৯ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৯২৬ বোতল ইস্কফ সিরাপ, ২৪ কেজি গাঁজা, ১৪৬ বোতল ফেন্সিডিল, ৫ বোতল বিয়ার, ৬৫ পিস ভারতীয় শাড়ী, ২ হাজার ১০০ পিস ভারতীয় মেডিসিন এবং ১৫৪ কেজি ভারতীয় চিনি উদ্ধার করেছে বিজিবির সদস্যরা। এ সময় মোঃ মোকাব্বির (৩০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
গত সোমবার রাতে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের ( সরাইল ব্যাটালিয়ন) এর সদস্যরা জেলার বিজয়নগর উপজেলা, আখাউড়া উপজেলার কাশেমপুর, আনোয়ারপুর, চাঁনপুর, আজমপুর, নোয়াবাদি ও হীরাপুর এবং পাশ্ববর্তী হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার হরষপুর ও ধর্মঘর এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান, মাদক, শাড়ি ও মেডিসিন উদ্ধার ও এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী মোকাব্বির বিজয়নগর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়ন ( সরাইল ব্যাটালিয়ন) থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, চোরাচালানকৃত শাড়ী, মেডিসিন এবং চিনি আখাউড়া কাষ্টমসে জমা দেয়া হয়েছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যগুলো ধ্বংসের জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে ও গ্রেফতারকৃত মোকাবিবরকে বিজয়নগর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদনের অভিযোগে এক কারখানা মালিককে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ১১ জানুয়ারি শনিবার বেলা সোয়া তিনটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বৈশামুড়া গ্রামে পলিথিন তৈরির কারখানায় সরাইল ইউএনও মো. মোশারফ হোসাইন এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। সাজাপ্রাপ্ত কামাল মিয়া (৪০) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার আবদুল গফুরের ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সরাইল ইউএনও মো. মোশারফ হোসাইন জানান, উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বৈশামুড়া গ্রামে অবৈধভাবে পলিথিন প্রস্তুত করা হচ্ছিল। এমন সূত্রের ভিত্তিতে ভিত্তিতে দুপুরে কারখানায় অভিযান চালিয়ে কারখানার মালিক কামাল মিয়াকে আটক করা হয়।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এর ৬ (ক) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ১৫ ধারায় এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা না দিলে আরো ১৫ দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় সরাইল থানা পুলিশ উপস্থিত ছিল।