চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে লরিট্রাক ও প্রাইভেটকার মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাইভেটকারের চালক নিহত হয়েছে।
আজ ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মো. সাকিব মিয়া ঢাকা মহাখালী (ওয়াললেস গেইট) এলাকার গনি মিয়ার ছেলে।
ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে খাটিয়াতা হাইওয়ে থানার ওসি মারগুব তৌহিদ জানান, সোমবার সকালে উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বুধন্তী মাদরাসার সামনে দ্রুতগতির একটি লরিট্রাক ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে প্রাইভেটকারের চালক গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিসৎক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতের লাশ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা আছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে নিউজ :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ হাজার ১৭৯ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৯২৬ বোতল ইস্কফ সিরাপ, ২৪ কেজি গাঁজা, ১৪৬ বোতল ফেন্সিডিল, ৫ বোতল বিয়ার, ৬৫ পিস ভারতীয় শাড়ী, ২ হাজার ১০০ পিস ভারতীয় মেডিসিন এবং ১৫৪ কেজি ভারতীয় চিনি উদ্ধার করেছে বিজিবির সদস্যরা। এ সময় মোঃ মোকাব্বির (৩০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
গত সোমবার রাতে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের ( সরাইল ব্যাটালিয়ন) এর সদস্যরা জেলার বিজয়নগর উপজেলা, আখাউড়া উপজেলার কাশেমপুর, আনোয়ারপুর, চাঁনপুর, আজমপুর, নোয়াবাদি ও হীরাপুর এবং পাশ্ববর্তী হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার হরষপুর ও ধর্মঘর এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান, মাদক, শাড়ি ও মেডিসিন উদ্ধার ও এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী মোকাব্বির বিজয়নগর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়ন ( সরাইল ব্যাটালিয়ন) থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, চোরাচালানকৃত শাড়ী, মেডিসিন এবং চিনি আখাউড়া কাষ্টমসে জমা দেয়া হয়েছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যগুলো ধ্বংসের জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে ও গ্রেফতারকৃত মোকাবিবরকে বিজয়নগর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার ছতরপুর জামিয়া রশিদীয়া মাদরাসার ছাত্র মুজাহিদ। বয়সমাত্র ৯বছর। আর এই অল্প বয়সেই হাফেজে কুরআন হওয়ার গৌরব অর্জন করে এলাকাবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এই বালক। তার এ কৃতিত্বে অভিভাবকসহ শিক্ষক ও সহপাঠীরা আনন্দিত। তার উজ্জল ভবিষ্যৎ কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তার পরিবার।
মুজাহিদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মহেষপুর পাক্কাবাড়ীর ইসমাঈল ভুঁইয়ার ছেলে। তিনি জানান, ছোটবেলা থেকেই কোরআন হিফজের বিষয়ে মুজাহিদের প্রবল ইচ্ছা ও আকর্ষণ ছিল। মাদরাসায় ভর্তির জন্য মুজাহিদ নিজেই বায়না ধরলে তাকে ২০২২ সালে জামিয়া রশিদিয়া ছতরপুর মাদ্রাসার (নুরানি) বিভাগে ভর্তি করানো হয়। শুরুতে তাকে বাংলার পাশাপাশি পবিত্র কোরআনের রিডিং পড়ানো হয়। এর পরে হিফজের উপযুক্ত হলে আল্লাহর রহমতে ১৪ মাসের মধ্যেই কোরআনের হাফেজ হয়ে ওঠে।
তার শিক্ষক হুসাইন আহমাদ বলেন, মুজাহিদের বাবা পেশায় একজন রাজ মিস্ত্রি। দিন এনে দিন খাওয়া পরিবার। তার লেখা পড়ার যাবতীয় খরচ আমাদের পক্ষ থেকে বহন করা হয়েছে। সে অত্যন্ত মেধাবী ছেলে। সঠিক পরিচর্যা হলে সে জগত বিখ্যাত একজন আলেম হতে পারবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আমাদের মাদ্রাসায় মুজাহিদ সহ আরো অনেক এতিম ও গরীব অসহায় মেধাবীদের যাবতীয় খরচ আমরা বহন করে থাকি।
হাফেজ মুজাহিদ বলেন, আমি চেষ্টা করেছি, আল্লাহ সহায় ছিলেন বলেই মহাগ্রন্থ কোরআন আয়ত্ত করতে পেরেছি। ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার জন্য আলেম হওয়ার স্বপ্ন তার।
মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি রহমতুল্লাহ কাসেমীর কাছে জানতে চাইলে বলেন, ছেলেটি অত্যন্ত নম্র-ভদ্র। পড়ালেখার সমস্ত খরচ তার বিভাগীয় প্রধান শিক্ষক হুসাইন আহমাদ এর বড় ভাই বহন করেছেন। আল্লাহ পাক ওনার এই সহযোগিতা কে কবুল করুন এবং তাকেও দ্বীনের দায়ী হিসেবে যেন আমরা গড়ে তুলতে পারি সকলের নিকট দোয়া চাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে টাকা নিয়ে চাকরি না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এখন ঘুষের টাকা ফেরত দেয়া নিয়ে টালবাহানা শুরু করেছেন ওই কর্মকর্তা। টাকা ফেরত পেতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী আরিফ সিদ্দিকী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান’র সহায়তায় দাউদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত পিয়ন পদে খণ্ডকালীন কর্মরত অবস্থায় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে পরিচয় হয়। পরে তিনি স্থায়ীভাবে নিরাপত্তা প্রহরী পদে চাকরি পাবার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকতার নিকট শরণাপন্ন হন। তাকে উপজেলার বুল্লা আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ে নিরাপত্তা প্রহরী পদে চাকরি পাইয়ে দেয়ার চুক্তিতে দুই ধাপে ৮০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন শিক্ষা কর্মকতা। একজন নিরাপত্তা প্রহরী আবশ্যক বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশিত হলে শিক্ষা কর্মকর্তার পরামর্শে ভুক্তভোগী আরিফ সিদ্দিকীসহ ৪ জন আবেদন করেন। আবেদনের সাথে সকল কাগজপত্রও জমা নেওয়া হয়। পরে আইডি কার্ডের সাথে সকল কাগজের তথ্য ভুল থাকায় জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন না করলে চাকরি দেওয়া যাবে না বলে শিক্ষা কর্মকর্তা। পরে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নির্বাচন অফিসারের মাধ্যমে দ্রুত সংশোধনের কথা বলে আরো ৪০ হাজার টাকা নেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে আবেদনের ভিত্তিতে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানান। এরই মধ্যে বুল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যায়। ভুক্তভোগী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট টাকা ফেরত চাইলে তিনি আড়িয়ল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক লিটন দেব ও সাতবর্গ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাসুক ভুইয়ার মাধ্যমে দুই ধাপে ৪৫ হাজার টাকা ফেরত দেন। অবশিষ্ট ৭৫ হাজার টাকা ফেরত দেয়া নিয়ে এখন টালবাহানা শুরু করেছেন অভিযোগ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ৩ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও নির্বাচন অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল জলিল জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি অভিযোগ আছে বলে শুনেছেন। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
এদিকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি কোন লোকের কাছ থেকে টাকা নেয়নি। আমার কথা বলে যদি কেউ টাকা নিয়ে থাকে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এইচ. ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, একটা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে দোষী প্রমাণিত হলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস ২০২৩ইং উদযাপন উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৫ মার্চ বুধবার বেলা ১২ টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবিত্রী রানী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার দবীর উদ্দিন ভূঁইয়া, ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াউল হক বকুল, চান্দুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ এম শামীউল হক চৌধুরী, পত্তন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাস্টার, বিজয়নগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম কামরুল হাসান শান্ত, সদস্য সাংবাদিক শাহনেওয়াজ শাহ্সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তরের অফিসারবৃন্দ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিল।
ভোক্তা অধিকার দিবসের আলোচনা সভা শেষে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু ১০৩তম জন্মদিন, ২৫ মার্চ কালো রাত্রী ও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস পালনের জন্য প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার পাঁচগাও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন খাঁন এর বিরুদ্ধে মিথ্যা কাল্পনিক ও মানহানিকর অভিযোগ তুলে অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের প্রতিবাদে পাঁচগাও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান ছাত্র ছাত্রী, সাবেক ছাত্রছাত্রীবৃন্দ ও এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রতিবাদ প্রদর্শন করেন।
আজ ৪ জুন রবিবার সকাল সাড়ে নয়টার সময় উপজেলার পাঁচগাও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রতিবাদ প্রদর্শন করা হয়।
পাঁচগাও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান ছাত্র ছাত্রী, সাবেক ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ ও এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রতিবাদ প্রদর্শন করে এমন ন্যাক্কার জনক ঘটনার পিছনের মূল হোতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এসময় এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন, ডা. আলী মিয়া, আব্দুল হাই, আব্দুর রহিম, আজিজুর রহমান, আব্দুল কাইয়ুম, তাজুল ইসলাম খান, সামসুল হক খান, আবুল কাশেম, সিরাজুল ইসলাম, জিয়া আলমগীর ও ছাত্রছাত্রীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন, তোহিদ ইমরান, আশরাফুল ইসলাম, মাজহারুল ইসলাম মাসুম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের জেরে পরিকল্পিত ভাবে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানো জন্য পাঁচগাও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন খাঁনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন প্রধান শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন খাঁন এর গ্রামের পার্শ্ববর্তী পাড়ার এক মহিলা।