চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্গাপূজা উপলক্ষে মন্দির পাহারায় আখাউড়াতে আলাদা কমিটি করবে বিএনপি ও জামায়াত। দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত প্রস্তুতিসভায় ওই দুই দলের নেতারা এ কথা জানান। এ বছর উপজেলায় মোট ২৪টি মন্দিরে পূজা উদযাপিত হবে।
সভায় জানানো হয়, গত ৫ আগস্ট পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজত থেকে শুরু করে ছাত্ররা হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘর রক্ষায় কাজ করে গেছে।
পূজা উপলক্ষে প্রশাসনের পাশাপাশি সকলে মিলে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ করবে। এ সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের নির্বিঘ্নে পূজা করার আহ্বান জানানো হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভিন রুহির সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন- সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার ল্যা. ইফতেখার মাহমুদ, আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল হাসিম, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ মো. খাইরুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন আব্দু, সদস্য সচিব মো. খোরশেদ আলম ভূঁইয়া, উপজেলা জামায়াতের আমির মো. ইকবাল হোসেন, সেক্রেটারি বোরহান উদ্দিন খান, জাসদ সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন জালু।
এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন- উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস কুমার চক্রবর্তী, আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মো. আরাফাত হোসেন, ধরখার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সাফি উদ্দিন, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মতিন, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক দীপক ঘোষ, সদস্য সচিব বিশ্বজিৎ পাল, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি চন্দন ঘোষ, শ্রী শ্রী রাধামাধব আখড়া কেন্দ্রীয় মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক অলক চক্রবর্তী প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম বলেন, শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদির নেতৃতে গত ১ দশকের বেশি সময় ধরে ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিপুরার মানুষের সহায়তা আমাদেরকে আমৃত্যু বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করেছে।
আজ ১১ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে আখাউড়া চেকপোষ্ট দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে যাওয়ার সময় সীমান্তের শূণ্য রেখায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এশিয়ান কনফ্লুয়েন্স (সিভিল সোসাইটি) পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে কাজ করে তাদের আমন্ত্রণে আগরতলা যাচ্ছি। আগরতলার পলো টাওয়ার হোটেলে একটি সভা হবে। সভায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের একজন মন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ত্রিপুরার ম‚খ্যমন্ত্রী থাকার কথা রয়েছে।
সভায় এই অঞ্চল দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধি, মানুষের যাতায়াতের সুবিধার বিষয়ে আলোচনা করবো। তছাড়া রেল যোগাযোগ, সড়ক যোগাযোগে বিনিয়োগ হচ্ছে এগুলো আপডেট করবো।
সামনের দিনে আরও কিছু কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। তিনি আরও বলেন সীমান্তের ১০০ মিটারের ভেতরে সাধারণত কোন স্থাপনা করার নিয়ম নাই। কিন্তু ভারত-বাংলাদেশ উভয় উভয়ের উপর নির্ভরশীল। তাই আমরাও ছাড় দিয়েছি।
ভারতও ছাড় দিয়েছে। বাংলাদেশের সাথে উত্তর-প‚র্ব ভারতের ৭টি রাজ্যের বাজার তৈরি হয়েছে। তাদের ক্রমবধর্মান উন্নতি হচ্ছে। এটাকে আমাদের বাজারের সাথে সম্পৃক্ত করতে চাই। এজন্য কানেক্টিভিটির কোন বিকল্প নাই। সেটার উপায় খোঁজা, দেখা।
এ পর্যন্ত দু’পক্ষের সরকার যতটুকু করেছে এটা কতটুকু প্রভাব ফেলেছে সেখান থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে সামনের দিনে কাজ করা। এমন একটি ধারণা নিয়ে যাচ্ছি।
বিএসএফ’র আপত্তির কারণে আখাউড়া ইমিগ্রেশন ভবনের নির্মাণ কাজ ৬ বছর ধরে বন্ধ থাকা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আপডেট আছে। শিগ্রই দেখবেন। অপেক্ষা করেন সমাধান দেখবেন।
এসময় মন্ত্রীর সফরসঙ্গী ছিলেন নাঈম রাজ্জাক এমপি, সহকারি পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক, মোঃ আল আমিনুল ইমাম, পরিচালক স্টেট মিনিস্টার অফিস।
ভারতে প্রবেশকালে সীমান্তের শূণ্য রেখায় তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার আরিফ মোহাম্মদ। এর আগে তিনি ঢাকা থেকে সড়ক পথে আখাউড়া চেকপোষ্টে এসে পৌঁছেন। এসময় তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা, আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মোঃ আতিকুল ইসলাম, আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ স্বপন চন্দ্র দাস প্রমুখ।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে যে কয়েকটি পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়- তার মধ্যে সিংহভাগই বরফায়িত মাছ। তবে ১ ফেব্রুয়ারি বুধবার থেকে আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত বন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানি বন্ধ থাকবে। ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার আপত্তির কারণে সেখানকার ব্যবসায়ীরা মাছ আমদানি বন্ধ রাখবেন।আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রপ্তানিকারক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৫০ থেকে ৬০ টন মাছ ভারতে রপ্তানি হয়। প্রতি কেজি মাছের রপ্তানি মূল্য আড়াই মার্কিন ডলার। প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ডলারের মাছ রপ্তানি হয়। তবে ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি আমদানিকৃত মাছের মান যাচাই করণে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং জনবল না থাকায় মাছ আমদানি বন্ধ রাখার জন্য বলেন সেখানকার ব্যবসায়ীদের। এর ফলে আজ থেকে এক মাস মাছ রপ্তানি বন্ধ থাকবে। এতে করে ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, তেমনি সরকারও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে বঞ্চিত হবে। পাশাপাশি বন্দরের রপ্তানি বাণিজ্য আরও বেশি সংকুচিত হয়ে পড়বে।
আখাউড়া স্থলবন্দরেরর সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মোঃ আতিকুল ইসলাম জানান, চিঠির মাধ্যমে মাছ আমদানি বন্ধের বিষয়টি ভারত থেকে ব্যবসায়ীদের জানানো হয়েছে। তবে যেহেতু বন্দর কর্তৃপক্ষ মাছের ট্রাক থেকে মাশুল আদায় হয় বেশি, সেজন্য রপ্তানি বন্ধের ফলে বন্দরের আয়ে ভাটা পড়বে।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘সাগর-রুনি হত্যা মামলার সঠিক তদন্তের জন্য পুলিশকে ৫০ বছর সময় দিতে হবে’ আইনমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের বিষয় জানতে চাইলে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক বলেন, এটা বিতর্কের প্রশ্ন না। আমার কষ্ট হয়। আপনাদের জন্য ভালো কথা বললেও আপনারা অন্য ভাবে নেন। আমি বলেছি, যারা সত্যিকারের এই অপরাধটা করেছে তাদেরকে ধৃত করার জন্য সবরকম চেষ্টা করেও যদি সময় লাগে এবং আপেক্ষিক ভাবে আমি বলেছি ৫০ বছরও যদি লাগে। কিন্তু যারা এই অপরাধ করেছে তাদেরকে ধরার জন্য যত সময় লাগুক তাদেরকে আমরা ধরবো। এই কথাকে আপনারা (সাংবাদিক) মনে করেছেন যে, ৫০ বছর লাগবে।
আজ ২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। আইনমন্ত্রী আরো বলেন, আমার কথা হচ্ছে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। আসল অপরাধিকে ধরা উচিত। আমাদের আইনী কাঠামোতে বলা হয়, যে অপরাধি নয়, তাকে হয়রানি করা যাবে না। প্রকৃত অপরাধীকে ধরতে হবে। সেই কারণে আমি এই কথা বলেছি। আপনারা (সাংবাদিক) গেলেন ক্ষ্যাপে। আমি বুঝলাম না ভালো কথা বললেও আপনারা এরকম ক্ষেপে যান কেন, প্রশ্ন তাঁর।
এই মামলাটির তদন্ত ধীর গতি হচ্ছে কিনা এবং এরকম বিলম্বে তদন্তের আর নজির আছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, আমি যেই কারণে সময়ের কথাটা বলেছি। পৃথিবীতে এরকম অনেক মামলা আছে। ৪২ বছর পরে ইউনাইটেড কিংডমে (যুক্তরাজ্য) একটি খুনের মামলার আসামীদেরকে ধরতে পেরেছে। এমেরিকায় কিছু দিন আগে ২৪ বছর পরে একটি খুনের মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে। আমার কথা হচ্ছে-পুলিশ চেষ্টা করছে। তাদের তদন্ত চলছে। প্রকৃত আসামীকে এখন পর্যন্ত তদেেন্ত ধরতে পারছে না, এই জন্য তদন্তে সময় লাগছে।
তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, আপনারা কি চান তদন্ত বন্ধ হয়ে যাক। আমি এই কারণেই বলেছি, যতক্ষণ পর্যন্ত অপরাধিকে না ধরা হবে ততদিন পর্যন্ত তদন্ত চলবে।
এর আগে ঢাকা থেকে আন্ত:নগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে আইনমন্ত্রী আনিসুল সকাল সোয়া দশটায় আখাউড়া জংশন ষ্টেশনে এসে পৌঁছেন। এসময় দলীয় নেতাকর্মীরা তাঁকে স্বাগত জানান। তিনি ২ দিনের সফরে নিজ নির্বাচনী এলাকায় আসেন। তিনি বিকালে কসবা উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত গণসংবর্ধনায় যোগদান করবেন। পরদিন আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নে একটি সেতু উদ্বোধন এবং দলীয় জনসভায় যোগদান করার কথা রয়েছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আতাউর রহমান নাজিম, আব্দুল মমিন বাবুল, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন, উপজেলা মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক পিয়ারা আক্তার পিওনা প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
৭ মাস পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আদা আমদানি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে ১০ টন আদাভর্তি একটি ভারতীয় ট্রাক আখাউড়া স্থলবন্দরে প্রবেশ করে। প্রতি টন আদা আমদানি করা হয়েছে ৪৬৩.৫ মার্কিন ডলার। এর আগে ২ মাস যাবত কোন আমদানী হয়নি।
গাজীপুরের এস. আর. এস. এম. ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান আদাগুলো আমদানি করেছে। স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হাসান এন্টারপ্রাইজ এর কাস্টমস ক্লিয়ারিংয়ে কাজ করছে।
এর আগে গত বছরের ১০ জুলাই আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৫ টন আদা আমদানি করেছিল মদিনা এন্টারপ্রাইজ নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। মূলত রপ্তানিমুখী হওয়ায় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি অনেকটাই অনিয়মিত।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হাসান এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী হাসিবুল হাসান জানান, আমদানীকৃত আদার মূল্য ৪ হাজার ৬৩৫ মার্কিন ডলার। পরীক্ষামূলক ভাবে ১০ টন আমদানী করা হয়েছে। পরবর্তীতে হয়তো আরও আনা হবে।
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ কামরুল জানান প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর আদাগুলো ছাড় দেয়া হবে বন্দর থেকে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় শান্ত নামে এক স্কুল ছাত্রকে মারধরের অভিযোগে রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২১ জন ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শান্ত উপজেলার তুলাই শিমুল উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র। তার দাদা মোঃ শাহজাহান মিয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। গত ১৮ জানুয়ারি সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শীতকালীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। মামলার বিষয়টি নিয়ে রেলওয়ে স্কুলের ছাত্রদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে। অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রশাসনের আয়োজনে খেলায় গিয়ে মারধর ও মামলার শিকার হওয়ায় আয়োজকদের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ ঝাড়েন অভিভাবকরা।
আজ ২৯ জানুয়ারি রবিবার দুপুরে আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম এ ঘটনার তদন্ত করতে রেলওয়ে স্কুলে যান।
মামলার অভিযোগ, উভয় স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাবকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৬ জানুয়ারি উপজেলা পরিষদ মাঠে তুলাই শিমুল উচ্চ বিদ্যালয় ও রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে ভলিবল খেলা ছিল। এসময় ওজনে হাল্কা ও ভারী ‘বল’ নিয়ে দুই স্কুলের ছাত্রদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরে ১৮ জানুয়ারি প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে কয়েকজন কিশোর শান্তকে বেদম মারধর করে। পূর্বের বাক-বিতন্ডার জেরে রেলওয়ে স্কুলের ছাত্ররাই শান্তকে মারধর করেছে বলে শান্তর পরিবারের অভিযোগ। এ ব্যাপারে রেলওয়ে স্কুলের একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমাদের ছাত্ররা কাউকে মারধর করে থাকলে বিষয়টি আমাদেরকে জানাতে পারতো। সেরকম কিছু ঘটে থাকলে প্রশাসন সমাধান করতে পারতো। মামলা হওয়ায় ভয়ে ছাত্ররা স্কুলে আসছে না। আমরা বিব্রত বোধ করছি।
এদিকে মামলায় অভিযুক্ত এক ছাত্রের বাবা জাবেদ খান খাদেম বলেন, শিক্ষকরা আমার ছেলেকে খেলতে নিয়ে গিয়েছিল। তাদের উচিত ছিল ছাত্রদের দেখেশুনে রাখা। আমার ছেলে বলেছে সে কোন মারামারি করেনি। ছাত্রদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার বিষয়টি দু:খজনক। এ ব্যাপারে মারধরের শিকার শান্তর দাদা মোঃ শাহজাহান মিয়া বলেন, পূর্বের ঝগড়ার জেরে রেলওয়ের ছাত্ররা আমার নাতিকে মেরেছে। তাকে কিল ঘুষি ও মাথায় আঘাত করেছে। ঘটনার এতোদিনও বিচার না পেয়ে আমি মামলা করেছি।
তুলাই শিমুল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ সাজ্জাত হোসেন বলেন, আমি রেলওয়ে স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ সেলিম মিয়াকে বিষয়টি সমাধানের জন্য বলেছিলাম। কিন্তু তারা গুরুত্ব দেয়নি।
জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল হোসেন বলেন, মামলা হওয়ার বিষয়টি আমার জানা নাই। আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগে ঠিকানা না থাকায় এবং শিক্ষকদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে রেলওয়ে স্কুলে গিয়েছিলাম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আক্তার বলেন, আমি শুনেছি বিষয়টি তারা নিজেরা সমাধান করে নিবে। মামলা হওয়ার বিষয়টি আপনার কাছ থেকে শুনলাম।