চলারপথে রিপোর্ট :
সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, আখাউড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজলসহ চারজনের নামে মামলা হয়েছে। ২০১৮ সালে হওয়া আমীর খা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আখাউড়া) আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডের শিকার উপজেলার চানপুর গ্রামের আমীর খার স্ত্রী লাকী বেগম বাদী হয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অন্য দু’জন আসামী হলেন আখাউড়া থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন তরফদার ও এস. আই আব্দুল হালিম। আদালত এক আদেশে এ সংক্রান্ত কোনো মামলা থানায় আছে কিনা এর নথি তলব করেছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, তাকজিল খলিফা কাজল চানপুর এলাকার তার মালিকাধীন একটি বাড়িতে প্রায়ই অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হতেন। এ ঘটনায় বাঁধা দেন আমীর খা। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হন। ২০১৮ সালের ২১ মে আনিসুল হক ও তাকজিল খলিফার নির্দেশে দুই পুলিশ কর্মকর্তা এসে আমীর খানকে নিয়ে যান। ২৫ মে উপজেলার বনগজ এলাকায় আমীর খার লাশ পাওয়া যায়। দুই পুলিশ কর্মকর্তা গুলি করে এ হত্যাকান্ড ঘটায় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় রেললাইন পার হতে গিয়ে চলন্ত ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মনির মিয়া (৩২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
১১ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলের দিকে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের দরুইন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মনির মিয়া দরুইন গ্রামের বশির মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন পাওয়ারট্রলি চালক।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক জসিম উদ্দিন খন্দকার বলেন, দরুইন এলাকার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল সমাধির গেইট সংলগ্ন সড়ক দিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন মনির। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম ডাবল রেললাইন পার হওয়ার সময় দুই দিক থেকে ট্রেন চলে আসে। তিনি একটি রেললাইন পার হলেও অপর রেললাইনে উঠা মাত্র চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন।
তিনি আরো বলেন, এতে তার হাত, পা ও মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দেশ বরেণ্য শিল্পপতি আব্দুল মোনেমের ৩য় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বিকালে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের ধলেশ্বর গ্রামের রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী আকছির এম. চৌধুরী।
আকরাম হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনায় স্মরণ সভায় বরেণ্য এই গুণি ব্যক্তির জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা করে বক্তব্য রাখেন, আখাউড়া প্রকৃতি ও পরিবেশ ক্লাবের আহবায়ক সাংবাদিক রুবেল আহমেদ, বেসরকারি গ্রন্থাগার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন কানু, স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী নেছার উদ্দিন ভুঁইয়া, আমির চৌধুরী, রনি চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন, রতন চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। বক্তারা বলেন, আমরা জীবনে সবাই সফল হতে চাই, সেরা হতে চাই, বিখ্যাত হতে চাই।
এদের মধ্যে শুধুমাত্র হাতেগোনা কয়েকজন সফলকাম হন। তেমন একজন সফল মানুষ বিশিষ্ট শিল্পপতি আব্দুল মোনেম। তিনি তার সংক্ষিপ্ত জীবনে পৃথিবীতে রেখে গেছেন অনেক কীর্তিগাঁথা যা মানুষ মনে রাখবে সুদীর্ঘ সময়কাল। ভোগ করবে এর সুফল। তার একক প্রচেষ্টায় তিনি শূন্য থেকে শীর্ষ সারিতে আরোহণ করেছেন। তাঁর জীবন থেকে অনেক কিছু শিক্ষা নেওয়ার আছে বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে আব্দুল মোনেমের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পাঠ করা হয়।
উল্লেখ্য, মরহুম আব্দুল মোনেম এর নানার বাড়ি আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর গ্রামে। তিনি তার শৈশবের একটি বড় অংশ আখাউড়ায় নানার বাড়িতে কাটিয়েছেন। আখাউড়া পৌরশহরের তারাগনে তার শশুর বাড়ি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় সারা দেশের ন্যায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার ৫ টি কেন্দ্রে এসএসসি, ১ টি কেন্দ্রে দাখিল ও ১ টি কেন্দ্রে ভোকেশনাল কারিগরি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দিনের পরীক্ষায় ২৪ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, প্রথম দিনের এসএসসির বাংলা পরীক্ষার্থী ছিল ১ হাজার ২৫২ জন, অনুপস্থিত ছিল ১০ জন, দাখিলে কোরআন মজিদ বিষয়ের পরীক্ষার্থী ছিল ৩২০ জন, অনুপস্থিত ১৩ জন এবং ভোকেশনাল পরীক্ষায় ৬৬ জনের মধ্যে ১ জন অনুপস্থিত ছিল।
আখাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মেঃ আবুল হোসেন বলেন নকলমুক্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এসএসসি সমমান প্রথম দিনের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, আপনারা যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন এই আপনারা যে কাজটি করেছে এই কাজটি এই বাংলাদেশে আমরা বা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের পক্ষে করা সম্ভব হবে না। এই কারণে আপনারা হলেন শ্রেষ্ঠ সন্তান।
আজ ৩ মার্চ শুক্রবার বিকেলে আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের ধলেশ্বর গ্রামে রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার চত্বরে রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার ও আকছির চৌধুরী চ্যারিটি ট্রাস্ট স্কুলের আয়োজনে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার ও আকছির চৌধুরী চ্যারিটি ট্রাস্ট স্কুলের সভাপতি আকছির এম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় আরও বক্তৃতা করেন সুপ্রিম রেজিস্ট্রার জেনারেল গোলাম রব্বানী, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার সাইফুর রহমান, হাইকোর্ট রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিউর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার প্রমুখ।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন আমি যখন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ছিলাম চেয়ারম্যান হিসেবে তখন আমার মনে পড়ত আমার সামনে মুক্তিযোদ্ধারা সাক্ষী দিচ্ছে। আমার কোর্টে বিচার হয়েছে আলী আহসান মোজাহিদ, মীর কাশেম আলী, এইচ এম কামরুজ্জামান, মাওলানা ইউসুফ। ওই সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের একটা জিনিস আমি লক্ষ করেছি তারা কখনো সাক্ষী দিতে গিয়ে বাড়িয়ে কথা বলতে না। তারা বলেছে আমি এইটুকু করেছি।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আরও বলেন আমরা ৫ম সংশোধনী মামলায় বলেছি জিয়াউর রহমান, রাষ্ট্রপতি সায়েম সাহেব, খন্দকার মোশতাক তারা যে কাজটি করেছিল এই কাজটি ছিল বেআইনী কাজ ছিল। ৫ম সংশোধনী মামলা তখন বিচারপতিরা বলেছেন অবৈধ। এবং বলেছেন ৫ম সংশোধনী মামলায় যতগুলো কাজ হয়েছে সেগুলোও ছিল অবৈধ। তারা আরও বলেছেন সায়েম সাহেবের ক্ষমতা দখল ও আহরণ ছিল বেআইনী। জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাকের ক্ষমতা দখল বেআইনী ছিল। এই বেআইনী কাজটি তারা জাজম্যান দিয়ে বলেছেন বেআইনী। একটা গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতন করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনীর সাহায্যে করেছে এইটাও ছিল বেআইনী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরে আবেগের তারনায় হোক বা বঙ্গবন্ধুর মায়ার কারণেই হোক যারা অস্ত্র হাতে নিয়ে এই বেআইনী কাজের প্রতিবাদ করেছে ও একটি গণতান্ত্রিক সরকারকে অস্ত্র দিয়ে ছড়িয়ে দিয়ে একটি অগণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে জারি করেছিল। তাদের বিরোধে যারা অস্ত্র ধরে ছিল, তাদের সেই দিনের এ্যাকশন আর আমাদের ৫ম সংশোধনী মামলায় সুপ্রিমকোর্ট যে কথা বলেছেন। কাজ তো একটায়। আমরা কলমে করেছি। আর তারা অস্ত্র হাতে নিয়ে চেষ্টা করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নতুন কারিকুলাম সম্পর্কে শিক্ষকদেরকে সুস্পষ্ট ধারনা প্রদানের উদ্দেশ্যে আখাউড়া উপজেলায় ডিসেমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম স্কিম আওতায় শ্রেণী শিক্ষকগণের ৭ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে আজ ১৮ ডিসেম্বর সোমবার থেকে পৌরশরের নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। উপজেলার ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৭টি দাখিল মাদ্রাসার ৩১২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে।
১০ টি বিষয়ে বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ৩০ জন মাস্টার ট্রেইনার প্রশিক্ষণ করাবেন। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আক্তারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল হোসেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন একাডেমিক সুপার ভাইজার কফিল উদ্দিন মাহমুদ, নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত বনিক, সহকারী প্রধান শিক্ষক কাজী মোঃ ইকবাল, তুলাই শিমুল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ সাজ্জাত হোসেন প্রমুখ।
প্রশিক্ষণগ্রহণকারী শিক্ষক জিয়াউল হক উজ্জল বলেন, এ প্রশিক্ষণ আমাদের অনেক সহায়ক হবে। বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক মাস্টার ট্রেইনার ইমতিয়াজ উল কবির বলেন, প্রশিক্ষণগ্রহণার্থী শিক্ষকরা নতুন কারিকুলামকে ভালোভাবে গ্রহণ করছে। এটি একটি ভালো উদ্যোগ বলে মনে করেন তিনি।
জানতে চাইলে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল হোসেন বলেন, নতুন কারিকুলাম সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য বিষয় ভিত্তিক শ্রেণী শিক্ষকদেরকে সুস্পষ্ট ধারনা প্রদান করাই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে।