চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে যাত্রীবেশে মাদক পাচারের সময় দুই নারীকে আটক করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।
আজ ২ অক্টোবর বুধবার সকালে সরাইল উপজেলার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ইসলামাদ (নোয়াগাঁও) এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন- মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার টেপড়া (শহিদুলের বাড়ি) গ্রামের মো. সবুজ শেখের স্ত্রী রহিমা বেগম (৩০) ও জামালপুরের সদর উপজেলার মহেশপুর (আনাকাছা) গ্রামের মো. আয়নাল মিয়ার স্ত্রী রেহেনা বেগম (৪০)।
বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পক্ষ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সরাইল উপজেলার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ইসলামাদ (নোয়াগাঁও) এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় সবুজ বাংলা হোটেলের পাশে যাত্রীবেশে অপেক্ষা করার সময় দুই নারীকে আটক করা হয়। পরে তাদের তল্লাশি করে ৪০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৩ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সরাইল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল ও নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তরুণ-তরুণীদের মতো ভোটকেন্দ্রে হাজির হয়েছেন প্রবীণ ভোটাররাও। নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরে খুশি তারা।
আজ ৮ মে বুধবার দুপুর পৌনে ১২টায় সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে নাতির কোলে করে আসেন ৯০ বছর বয়সী কাশেম মিয়া। নাতির কোল থেকে নেমে দাঁড়ানোটাই অসাধ্য কিন্তু ভোট দেওয়ার ইচ্ছে ধরে রাখতে পারেননি এই বৃদ্ধ। কথা হলে কাশেম মিয়া বলেন, ‘ভোট দিতাম আইসি।’
এ ছাড়া যেন আর কোনো কথাই মুখে ফুটছে না। এ সময় নাতি ইদ্রিস বলেন, সকাল থেকেই ভোট দিতে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করছেন। বয়স হয়ে গেছে, তারপরও ভোট দিতে এসেছেন। দাদাকে কোলে নিয়ে ভোট দেওয়াটা হয়ত একদিন স্মৃতি হয়ে থাকবে। একই কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা ৭০ বছরের ওসমান গণি বলেন, ছেলের কাঁধে ভর করে ভোট দিতে এসেছি। এই বয়সে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হলে কষ্ট হত। কিন্তু তা হয়নি বলে বেশ ভালোভাবেই ভোট দিতে পেরেছি। ভোট দিয়ে ভালো লাগছে।
এদিকে বুধবার সকালে সরাইল উপজেলার বাড়িউড়া কাদেরিয়া সুন্নিয়া ইবতেদায়ি মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর কথা হয় প্রবীণ নাগরিক রহিমার সঙ্গে। প্রায় ৯০ বছরের এই নাগরিক ভোট দিতে এসেছেন ছেলের স্ত্রী সাকেরা বেগমের হাত ধরে।
রহিমা বেগম বাড়িউড়া গ্রামের মৃত জারু মিয়ার স্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ভোট দিতে আইসি। কবে মরে যাই কইতে পারি না।’
অন্যান্য ভোটকেন্দ্রগুলোতেও প্রবীণ ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে প্রতিটি কেন্দ্রেই বয়স্ক ভোটারদের লাইনে দাঁড়াতে হয়নি। তারা সরাসরি ভোট দিয়েছেন।
সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং অফিসার মোমিনুর রহমান বলেন, নাতির কোলে করে আসা বৃদ্ধ কাশেম মিয়াকে আমি নিজে ভোট দিতে সাহায্য করেছি। তাছাড়া পুলিং অফিসারদের বলা ছিল এ সমস্ত ভোটারদের যেন আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হয়।
বাড়িউড়া কাদেরিয়া সুন্নিয়া ইবতেদায়ি মাদরাসার প্রিসাইডিং অফিসার রাশেদুল ইসলাম বলেন, প্রবীণ ভোটাররা যে কষ্ট করে ভোট দিতে আসেন এটাই সৌভাগ্য। ভোট দিতে এসে তারা যেন হেনস্তা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে ১৪ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে সাদিয়া আক্তার (১৭) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রী। নিখোঁজ সাদিয়া উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের নন্দীপাড়া গ্রামের মো. ফারুক মিয়ার মেয়ে। গত ১৬ মার্চ ভোরে সে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় মেয়ের সন্ধান চেয়ে সরাইল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন তার বাবা ফারুক মিয়া।
সাধারণ ডায়েরির তথ্য থেকে জানা যায়, কালিকচ্ছ কলেজ পাড়া মহিলা মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার রুবি। সম্প্রতি অজ্ঞাত এক ছেলে সাদিয়ার মোবাইলে ফোন করে কথা বলত। পরিবার বিষয়টি উদঘাটনের চেষ্টা করলেও মেয়ের কাছ থেকে ওই ছেলের নাম ও মোবাইল নাম্বার সম্পর্কে কোনো তথ্য পায়নি। গত ১৬ মার্চ ভোরে পরিবারের লোকজন ঘুম থেকে উঠে দেখেন সাদিয়া ঘরে নেই। এরপর বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত তার সাথে পরিবারের কোনো যোগযোগ নেই।
সাদিয়ার বাবা মো. ফারুক মিয়া বলেন, ‘আমার মেয়ে কোথায় আছে, কেমন আছে তা নিয়ে আমরা আতঙ্কে আছি। ঘটনার পর ওইদিনই থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। ১৪ দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত আমার মেয়ের কোনো খোঁজ মিলছে না। আমরা দ্রুত আমার মেয়ের সন্ধান চাই।’
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, ‘মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য আমাদের সব ধরনের প্রচেষ্ট অব্যাহত আছে। তার সন্ধান পেতে আমরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছি।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ছাত্র জীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির প্রতি ঝোঁক ছিল তার। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক থাকা অবস্থায় ক্যাম্পাসে অল্প কদিনে সংগঠক হিসেবে নেতৃত্বের গুণাবলীর জন্য পরিচিতি পান ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী। এমবিবিএস শেষ করে নিজের শহর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল সেন্টারে চিফ মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। সাম্প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা উপ-কমিটির সদস্য করা হয়েছে তাকে।
উপ-কমিটির সদস্য পদ প্রসঙ্গে ডা. আশীষ বলেন, ‘রাজনীতির মধ্যেই ছিলাম, সরকারের স্বাস্থ্য সুরক্ষা পলিসিতে যেখানে যখন আমি ও আমার প্রতিষ্ঠানের কাজ করার সুযোগ ছিল, আমরা ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী প্রান্তিক মানুষের জন্য যে টেলিমেডিসিন সেবা গোঁটা বাংলাদেশ জুড়ে শুরু করেছিলেন, আমার প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ সে প্রকল্পের অন্যতম অংশীদার ছিল।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ এক নবশক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছে। নবরুপের এ বাংলাদেশের ডিজিটাল অংশীদার ছিলাম, এখন স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে কর্মী হয়ে শ্রম দিব, এজন্য রাজনীতির মাঠে।’
তিনি আরো বলেন, ‘মূলধারার রাজনীতিতে থেকে একটা অঞ্চল বা গোষ্ঠীর আর্থ সামাজিক জীবনে যতটুকু ভূমিকা রাখতে যায়, একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে তা সম্ভব নয়। গণমানুষ, জনস্বাস্থ্য বা গণশিক্ষা একটা জাতির সামগ্রিক আগ্রগতির হাতিয়ার। আমার স্বাস্থ্য সেবার গুণগত মান, সেবার পরিধি ও বিস্তার নিয়ে আগে থেকেই কাজ করছিলাম। উপ-কমিটির সদস্য পদ পাওয়ার পর থেকে দায়িত্ব বেড়েছে তা বুঝতে পারছি।’
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি নৌকার টিকিট পান তাহলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে আপনার ভূমিকা কী হবে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি সামান্য কর্মী। এ অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে আমার আত্মার আত্মায়তা হয়েছে এখন তারই প্রতিফিলনে তারা হয়ত আমাকে চাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী যদি মনে করেন আমি যোগ্য অবশ্যই নির্বাচনের মাঠে আমাকে দেখা যাবে, তবে দল আমার ওপর যে দায়িত্ব দেবে তা পালন করে যাব।’
ডা. আশীষ বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে সবাইকে মাঠে কাজ করতে বলা হয়েছে, আমি আমার পেশাগত জায়গা স্বাস্থ্য খাতে গত ১৪ বছরে সরকার যে অমূল পরিবর্তন করেছে তা একটা পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করছি। এটাকে নানা মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। শুধু মাত্র স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকে তাকালে বোঝা যায় শেখ হাসিনা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য কেন এবং কতটা গুরুত্বপূর্ণ।’
ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী ১৯৯০ সালে সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ১৯৯২ সালে নটর ডেম কলেজ থেকে স্টার মার্কস নিয়ে এইচএসএসি পাশ করেন। তিনি সরকারি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল সেন্টারে পেশাজীবনের হাতেখড়ি করেন। ২০০৪ সালে তিনি বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতলের পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন, প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে নিজেদের নাম পরিবর্তন করে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের ব্যবস্থাপনায় ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ)’র আওতায় আজ ১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পাকশিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে নারী সমাবেশের অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে নারী সমাবেশের প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শামসুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সায়মা শাবরীন, প্রধান শিক্ষক পাকশিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রেভা দাস, সমাজ কর্মী মোঃ শিব্বির আহমেদ শাওন এবং সমাজ কর্মী হাজী আইয়ুব আলী। শিক্ষাকে জাতির মেরুদন্ড আখ্যা দিয়ে প্রধান অতিথি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শামসুর রহমান বলেন, দারিদ্র পীড়িত আমাদের দেশে শতকারা ৯৭% শিশু প্রতি বছর শিক্ষা অর্জনের জন্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে ভর্তি হচ্ছে যা আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন।
তিনি আরো বলেন শুধু শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে নিজেকে সীমাবদ্ব রাখলে চলবে না তারা যাতে যথার্থ বিদ্যা অর্জনের মাধ্যমে দেশের কাজে এগিয়ে আসতে পারে তার জন্য শিক্ষকদের পাশাপাশি মায়েদের অনস্বীকার্য ভুমিকা পালন করতে হবে। মোবাইল ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক উল্লেখ করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বলেন বর্তমান যুগ মোবাইলের যুগ, মোবাইল ব্যবহারের মাধ্যমে বাচ্চাদের ব্যাপক শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি সাধন হচ্ছে। তাই আমাদের সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে মোবাইল ব্যবহারের ব্যাপারে।
তিনি আরো বলেন অশিক্ষাই সকল অজ্ঞতার মূল। আমরা বর্তমান সমাজে যে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা দেখতে পায় যেমন বাল্য বিবাহ, মাদক আসক্ত, চুরি, ডাকাত, ছিনতাই, রাহাজানি ইত্যাদি তার মুলে আছে প্রকৃত নৈতিকতা সর্ম্পূন শিক্ষার অভাব। যদি আমরা এসব সামাজিক সমস্যার মূলোৎপাটন করতে চায়, একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠন করতে চাই তাহলে নৈতিকতা সর্ম্পূণ শিক্ষার কোন বিকল্প নাই।
উক্ত নারী সমাবেশে বাল্য বিবাহ ও মাদক আসক্তকে একটি সামাজিক সমস্যা হিসাবে আখ্যা দিয়ে অন্যান বক্তারা বলেন, বাল্য বিবাহ ও মাদক আসক্ত আমাদের জন্য একটি ভয়াভহ সমস্যা। এ সমস্যা দূর করার জন্য একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। একটি বাল্য বিবাহ শুধু একটি মেয়ের জীবন ধ্বংস করেন তা নয় বরং দুটি পরিবারই শেষ হয়ে যায়, ঠিক তেমনি মাদক আসক্ত ব্যক্তি পুরো সমাজের জন্য হুমকি স্বরুপ।
জেলা তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাসের সমাপনী বক্তৃতার মাধ্যমে নারী সমাবেশ সমাপ্তি হয়। উক্ত নারী সমাবেশে প্রায় চার শতাধিক নারী উপস্থিত ছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা ছাত্র-জনতা উদ্যোগে “এসো নবীন রুখে দাঁড়ায়” ধর্ষণকারীর কোন দল নাই” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সারাদেশে গণহারে ধর্ষণের প্রতিবাদে ও ন্যায় বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন।
আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সরাইল উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে ছাত্র জনতা ব্যানারে একটি মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি উপজেলা বিভিন্ন প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সরাইল কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ধর্ষকের কোনো পরিচয় নাই, যে দলের হোক তার টাই বাংলাদেশে হবে না। আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং ছাত্র জনতা সরাইল উপজেলা সারাদেশের বৈষম্যর বিরুদ্ধে ড্রাইরেক অ্যাকশনে গিয়েছি। আমরা যেখানে পাই প্রতিকার চেয়ে প্রতিরোধ করব। এখন আমরা দেখছি যে ধর্ষককারী তার কোন শাস্তি হয় না। কিন্তু যে ধর্ষককারীকে হত্যা করে তাকে আইনের আওতায় আনা হয়। আমরা অতি সত্যে আমাদের উপদেষ্টাকে বলবো আপনারা যদি ছিনতাই, ধর্ষণকারী, চাঁদাবাজি বন্ধ করতে না পারেন তাহলে পদত্যাগ করেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মো. ইফরান খান, আলিফ মাহমুদ নাহিদ, আল-আমিন, রিয়াদুল ইসলাম, মৃদুল, সাইফুল, আমিরুল, আরাফ, তামিম, সানিয়া প্রমুখ।