চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে যাত্রীবেশে মাদক পাচারের সময় দুই নারীকে আটক করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।
আজ ২ অক্টোবর বুধবার সকালে সরাইল উপজেলার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ইসলামাদ (নোয়াগাঁও) এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন- মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার টেপড়া (শহিদুলের বাড়ি) গ্রামের মো. সবুজ শেখের স্ত্রী রহিমা বেগম (৩০) ও জামালপুরের সদর উপজেলার মহেশপুর (আনাকাছা) গ্রামের মো. আয়নাল মিয়ার স্ত্রী রেহেনা বেগম (৪০)।
বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পক্ষ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সরাইল উপজেলার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ইসলামাদ (নোয়াগাঁও) এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় সবুজ বাংলা হোটেলের পাশে যাত্রীবেশে অপেক্ষা করার সময় দুই নারীকে আটক করা হয়। পরে তাদের তল্লাশি করে ৪০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৩ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সরাইল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা।
আজ ৩ আগস্ট শনিবার সকাল থেকে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির আলোকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মহাসড়কে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করে। তবে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কুট্টাপাড়া মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্বরোড় মোড়সহ আশপাশ এলাকা প্রদিক্ষণ করে। মহাসড়কের অবস্থান নেওয়ার কারনে উভয় পাশে যান চলাচল ব্যাহত হয়। আন্দোলন চলাকালে যেকোন সহিংসতা এড়াতে মোতায়েন ছিল বিজিবি।
এ সময় পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ পুলিশ ও ডিবি সদস্যরা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে তাদেরকে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেন। তবে আন্দোলন চলাকালে কোন সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, বিক্ষোভ মিছিলকে ঘিরে কোন প্রকার বিশৃঙ্খল পরিবেশ এড়াতে পুলিশ তৎপর ছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিখোঁজের একদিন পর সরাইল তিতাস নদী থেকে শহিদ মিয়া (৬২) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ২ জুলাই রবিবার দুপুর ১২টার দিকে সরাইল উপজেলার অরুয়াইল বাজারের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হওয়া তিতাস নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শহিদ মিয়া সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের রাণীদিয়া গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় লোকজন ও স্বজনেরা জানান, শনিবার ভোর সাড়ে ৪টায় ফজরের নামাজ পড়ে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজখবর পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ রবিবার অরুয়াইল দক্ষিণ বাজার এলাকার তিতাস নদীতে একটি লাশ নদীতে ভাসতে দেখেন যাত্রীবাহী নৌকার লোকেরা।
খবর পেয়ে শহিদ মিয়ার লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে শহিদ মিয়ার ছেলে মোস্তাকিম তার বাবার লাশ শনাক্ত করেন।
শহিদ মিয়ার জামাতা কিতাব আলী মাস্টার বলেন, আমার শ্বশুর নামাজি লোক, অত্যন্ত পরহেজগার ছিলেন। কুলিয়ারচর থেকে নৌকায় করে বাঁশ আনার উদ্দেশ্যে শনিবার ভোরে বাড়ি থেকে বের হয়। রাতে বাড়িতে না ফেরার কারণে আমাদের মনে সন্দেহ জাগে। আমরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকি। খোঁজ না পেয়ে শনিবার সকালে সরাইল থানায় জিডি করা হয়। তিতাস নদীতে তার লাশ পাওয়া যায়।
সরাইল থানার ওসি মো. আসলাম হোসাইন বলেন, শহিদ মিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোট
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের তেরকান্দা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন, উপজেলা সদরের নিজ সরাইল গ্রামের মৃত ইউনুস মিয়ার ছেলে লোকমান মিয়া (২৯), একই এলাকার আবদুল হান্নানের ছেলে আমজাদ (১৮) ও জিলুকদারপাড়ার মুজিব মিয়ার ছেলে শরিফ (১৫)।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুপুরে তেরকান্দা গ্রামের বরকত আলীর বাড়িতে নির্মাণাধীন সীমানা প্রাচীরে রডের কাজ করছিলেন এই তিন নির্মাণ শ্রমিক। এ সময় বিদ্যুতের তারে রড লাগলে তিনজনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সরাইল প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক এমপি উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়ার পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন আওয়ামী লীগের দুই এমপি। আজ ২৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে সরাইলে উপজেলায় অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম মিলনায়তনে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়া সমর্থক গোষ্ঠীর ব্যানারে আয়োজিত কর্মী সভায় অংশ গ্রহণ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এবং সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলি আজাদ)।
সভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়া, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল হোসেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি শাহানূর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় উপনির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করার পর প্রত্যাহার করা আওয়ামী লীগের তিন প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ নেতা শাহজাহান আলম সাজু উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের এমপি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, আমি হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়াকে সমর্থন করি একজন সাহসী মানুষ হিসেবে। যিনি তারেক রহমানের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় এই বয়সেও শিরদাঁড়া শক্ত করে মাথা উঁচু করে আছেন। আশা করি আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সরাইল-আশুগঞ্জের মানুষ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে কলার ছড়া মার্কায় ভোট দিয়ে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁতভাঙা জবাব দেবে এবং গণতন্ত্রের বিজয় ঘোষণা করবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী আবদুস সাত্তার ভূইয়া বিজয়ী হয়েছিলেন। গত ১১ ডিসেম্বর আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য হয়। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়া। তিনি এই আসনে পাঁচ বার এমপি ছিলেন।
আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ ভাসানী, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল ও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে আজ ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। ধান শুকানোর ‘খলা’ দখল নিয়ে এ সংঘর্ষ হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৪ রাউন্ড গুলি ও তিন রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। ঘটনাস্থল থেকে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, পরমানন্দপুর গ্রামের সরকারি একটি জায়গায় অনেক দিন যাবৎ সাব্বির ও তার লোকজন দান শুকায়। বৃহস্পতিবার কাঞ্চন গ্রুপের লোকজন ওই জায়গার মাটি কেটে দখলে নিতে চায়। এরই জের ধরে দুই পক্ষের দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ সময় ঝগড়ার নেতৃত্ব দেন সানাউল্লাহ গোষ্ঠীর কাঞ্চন মিয়া এবং বুইল্লার দলের পক্ষে জিয়াউল আমিন। পরে সোনাউল্লাহর পক্ষে যোগ দেয় খাঁ বাড়ি, কৈবর্তবাড়ির লোকজন। আর বুইল্লার বাড়ির সাথে যোগ দেয় বুদ্ধির গোষ্ঠী, বড়বাড়ি ও উজিবাড়ির লোকজন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৫০ জন আহত হয়।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বিকেল সোয়া ৪টার দিকে জানান, তিনি ঘটনাস্থলে আছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ লাঠিপেটার পাশাপাশি গুলি ও টিয়ার শেল ছোড়ে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।