চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাশকতা ও বিস্ফোরক মামলায় ড. ইয়াকুব মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনীর সদস্যরা।
আজ ৩ অক্টোবর ৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পৌর এলাকার ঘোকর্ণঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিন সন্ধ্যার দিকে যৌথবাহিনীর পক্ষ থেকে দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৌর এলাকার ঘোকর্ণঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ইয়াকুব মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। যৌথবাহিনীর এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইন মেনে সড়কে চলি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি এই শ্লোগান নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২২ অক্টোবর রবিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়।
র্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ আয়োজিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল্লাহ্ আল মামুনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন, সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরামূল্লাহ, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বিআরটিএ এর সহকারী পরিচালক আবু আশারফ সিদ্দীকী প্রমুখ।
সভায় জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আখতার হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক মারা গেছেন। গতকাল ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের দারমা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আখতার ওই গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, বিকেলে বিদ্যুৎ চলে গেলে ঘরে থাকা আইপিএস সংযোগ স্থাপন করতে যান আখতার। এসময় হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে আসে। এতে তিনি স্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তিনি মারা যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, মারা যাওয়া যুবকের মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়নি। পরিবারের যদি কোনো অভিযোগ থাতে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে জন্মের পর নবজাতক বদলে ফেলার অভিযোগে চিকিৎসক ও পরিচালকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন এক পরিবার। বৃহস্পতিবার (০৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এক আদেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক আরেফিন আহমেদ হ্যাপি মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
এরআগে, একই দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন জেলা শহরের শিমরাইলকান্দি এলাকার অজান্তা আক্তার নামে এক নারী। এতে বিবাদী করা হয়েছে জেলা শহরের মৌড়াইলের খ্রিস্টান মেডিকেল সেন্টার (মিশন হাসপাতাল) এর চিকিৎসক কামরুন্নাহার ও হাসপাতালটির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক দুলাল দাসকে।
মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী মো. জাকারিয়া বলেন, জেলা শহরের শিমরাইলকান্দি এলাকার ছাল ছাবিল আক্তার রিয়া নামে এক প্রসূতি গত ২ ডিসেম্বর মিশন মেডিকেল সেন্টারে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। নবজাতকটি জন্ম গ্রহণের পরই শিশুটিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিকাল ৪টার দিকে নবজাতক কন্যা সন্তানটিকে তার মায়ের কাছে হাসপাতালের স্টাফরা দিয়ে যায়। এর কিছুক্ষন পর তারা এসে বলে যে, এই কন্যা সন্তানটি আপনার না, আরেকটি কন্যা সন্তান দিয়ে বলে এটি আপনার। আবার এর কিছুক্ষন পর এসে বলে এটিও আপনার না, আরেকটি শিশু কন্যা সন্তান এনে দিয়ে বলে এটি আপনার। এভাবে তিনবার নবজাতক শিশু দিয়ে বদল করে বলে তাদের সন্তান নয়। ৪র্থবারের মাথায় শিশু তারা দেয়। এতে প্রসূতির পরিবারে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। এতে ওই পরিবারের সদস্যরা ধারণা করছেন, যোগসাজসে প্রতারনা ও শঠতার আশ্রয় নিয়ে তাদেরকে আসল শিশু না দিয়ে অন্য শিশু দিয়েছে। তাই এই ঘটনায় প্রসূতির বোন অজান্তা আক্তার বাদি হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ডিবির ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবাদী চিকিৎসক কামরুন্নাহার বলেন, ‘এই প্রসূতি আমার অধিনে চিকিৎসাধীন ছিল। নবজাতক জন্ম হওয়ার পর শিশু চিকিৎসককে দেখানো হয়। এরপর তার পরিবারের সদস্যরা কানে আজান দিয়েছে। নবজাতক বদল হওয়ার মতো কোন ঘটনা ঘটেছে বলে জানা নেই। আমার কাছে যেহেতু চিকিৎসাধীন ছিল, আমাকেও এমন কিছু জানায়নি, শুনেছি মামলা হয়েছে। তদন্তে সত্য উদঘাটন হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এর ৫৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ ১৭ জুলাই সোমবার বিকেলে শোভাযাত্রা, কেক কাটা ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা সদরসহ ছয়টি উপজেলায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।
পৌর এলাকার লাখী বাজারে সমিতির প্রধান কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে কে. দাস মোড়, কুমারশীল মোড়, কোর্ট রোড, টিএ রোড, মসজিদ রোড, মহাদেব পট্টি, জগৎ বাজার ও সড়ক বাজার প্রদক্ষিণ করে আবারও লাখী বাজারে এসে শেষ হয়। র্যালিতে জেলা শহরের সকল জুয়েলারি দোকান মালিক ও কারিগরেরা অংশ নেন।
সন্ধ্যায় লাখী বাজারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা স্বর্ণ শিল্পী ও জুয়েলারি সমিতির সভাপতি মতিলাল দেবনাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক সুনীল বণিক, সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ বণিক জাদু, মৃদুল বণিক, স্থানীয় পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজান আনসারী, উপদেষ্টা সাধন বণিকসহ অন্যরা। এ সময় উপদেষ্টাদেরকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, বাজুসের বর্তমান সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর দায়িত্ব নেওয়ার পর গত এক বছরে জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়নে যা করেছেন, তা বিগত প্রায় ৬০ বছরেও হয়নি। সারাদেশে ১২ লাখেরও বেশি লোক এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত।
তিনি চাইছেন সারাদেশের জুয়েলারির সঙ্গে জড়িত সবাইকে নিয়ে একটি ট্রেন তৈরি করা, যেই ট্রেন সোজা পথে চলবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ ৩০ জুলাই মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত আব্দুর রহমান (৫) সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামের সুমন মোল্লার ছেলে ও একই এলাকার রহমত মিয়ার ছেলে আবদুল্লা (৬)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সকালে পরিবারের সবাই ঘরে ছিলো। এ সময় শিশু আব্দুর রহমান ও আবদুল্লা বাড়ির উঠানে খেলা করছিল। খেলার এক পর্যায়ে শিশু দুইজন বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে ডুবে যায়। পরে পরিবারের লোকজন শিশু দুটিকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে পুকুরে শিশুদের জুতা ভাসতে দেখে। পরে স্থানীয়রা দুই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।