চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর এলাকা থেকে হত্যা মামলার পলাতক আসামি নজর মিয়াকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯।
র্যাব-৯ এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর একটি আভিযানিক দল গত ২ অক্টোবর দিবাগত রাতে ১৮:৩০ টায় সরাইল উপজেলার শাহবাজপুরে অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার পলাতক অভিযুক্ত আসামি নজর মিয়া (৬০), পিতা- মৃত রহিম গার্ড মন্নু মিয়া, শাহবাজপুর, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত আসামিকে সরাইল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এছাড়াও, উক্ত মামলার অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৯ এর চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে এক ইউপি চেয়ারম্যান তার ওপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের পাঁচ কর্মকর্তাসহ বাহিনীর ১০-১২ জন সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন।
পানিশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে আজ ১২ মার্চ রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করেন। শুনানি শেষে আদেশের জন্য আগামী ১৫ মার্চ তারিখ ধার্য করেন বিচারক এশারমিন নিগার।
নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে দায়ের করা মামলায় সরাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেহাবুর রহমান, উপপরিদর্শক জয়নাল আবেদীন ও পঙ্কজ দাশ, সহকারী পরিদর্শক দিলীপ কুমার নাথ এবং জেলা গোয়েন্দা বিভাগের এক উপপরিদর্শককে আসামি করা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মামলা আরজিতে দাবি করেন, গত ৩ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়নের সীতাহরণ গ্রামে দুইপক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হলে তিনি বিষয়টি সরাইলের ওসিকে জানান। পরে সরাইল থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা বিভাগ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরই একাধিক পিকআপে এবং ৫-৭টি মোটর সাইকেল সরাইল থানা পুলিশ এবং জেলা গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা ঘটনাস্থল সীতাহরণ বাজারে গিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এ সময় তারা স্থানীয় লোকজনকে সরিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজকে মারধর শুরু করে।
তিনি নিজেকে ইউপি চেয়ারম্যান পরিচয় দেয়ার পরও সালিশ মীমাংসা করতে না পারার অভিযোগ তুলে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে পিকআপ ভ্যানে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি দাবি করেন, পুলিশের ভয়ে ঘটনার দিন তিনি হাসপাতালে না গিয়ে বাসায় চিকিৎসা নেন। ৪ ফেব্রুয়ারি তিনি পুলিশ সুপার বরারব লিখিত অভিযোগ করলেও তা গ্রহণ করা হয়নি।
এ বিষয়ে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে আদালতে মামলা করতে বাধ্য হয়েছেন। এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের অনুরোধ জানান ইউপি চেয়ারম্যান।
সরাইল থানার ওসি আসলাম হোসেন আদালতে মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কিছুদিন আগে ওই ইউপি চেয়ারম্যানকে আটক করা হয়েছিল। তবে তাকে শারীরিক নির্যাতনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে ধরন্তী বিলে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ রবির হোসেন নামে (১৭) এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ ২৪ জুন শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় দমকল বাহিনীরা সদস্যরা বিল সংলগ্ন তিতাস নদী থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করে।
সে কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধরন্তী গ্রামের জলিল মিয়ার ছেলে।
সরাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: তরিকুল জানান, শুক্রবার রাতে রবির তার ভাইকে সঙ্গে নিয়ে ধরন্তী বিলে মাছ ধরতে গিয়ে বিলের পানিতে তলিয়ে যায়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে শনিবার (২৪ জুন) সকালে দমকল বাহিনীর সদস্যরা তিতাস নদীতে অভিযান চালিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে। কিশোরের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিরাজুম মুনিরা কায়ছানকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আজ ২৬ মার্চ বুধবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করে পোস্ট দেওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ফেসবুক পোস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। পোস্টটি প্রকাশের পরপরই রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলে বিএনপির নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়েন এসিল্যান্ড সিরাজুম মুনিরা কায়ছান।
এসিল্যান্ডের অফিসিয়াল ফেসবুক পোস্টে লেখা ছিল- “পৃথিবীর বুকে বাংলার নাম আজ উজ্জ্বল, লড়াইয়ের ইতিহাসে লেখা হলো অনন্য মহিমা, সেখানে বীরত্বের গান বাজে নিঃশব্দে, শাসকগোষ্ঠীর শৃঙ্খল ভেঙে মুক্তির সীমানা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্মম গণহত্যা চালায়। সেদিন রাতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন, বাংলাদেশ স্বাধীন! এরপর শুরু হয় আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জিত হয়, কিন্তু এর ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল ২৬ মার্চেই। তাই এই দিনটি আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক, সংগ্রামের চেতনা এবং আত্মত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বল। আমাদের স্বপ্ন একটি দুর্নীতিমুক্ত, প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত বাংলাদেশ। যেখানে সব নাগরিকের সমান অধিকার থাকবে, শিক্ষার মান আরো উন্নত হবে, অর্থনীতি হবে স্বনির্ভর, এবং সর্বোপরি-গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার থাকবে সুসংহত। অর্জিত স্বাধীনতা কেবল একটি ঘটনা নয়, জীবনধারার প্রাত্যহিকতায় মুক্তির আবেশ দায়িত্ব এদেশের প্রতিটি সন্তানের কাঁধে, আগামী দিনে গড়তে হবে সোনার বাংলাদেশ। মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা…”। পোস্টটি মূহুর্তে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর পরই সরাইল উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ জানান এবং এসিল্যান্ডের অপসারণ দাবি করেন।
পরে তিনি দাবি করেন, তিনি নিজে পোস্টটি করেননি। তার ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছিল। পরবর্তীতে আইডি ফিরে পেয়ে পোস্টটি মুছে ফেলেছেন।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, এসিল্যান্ড জানিয়েছেন তার ফেসবুক আইডির পাসওয়ার্ড অনেকের কাছে ছিলো। জেলা প্রশাসক নির্দেশ দিয়েছেন আপাতত তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে ছুটিতে পাঠাতে। পাশাপাশি বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ও মাহে রমজানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সেক্টর সদর দপ্তর, সরাইল ও সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর ব্যবস্থাপনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দুঃস্থ ও দরিদ্র জনগণের মাঝে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৮ এপ্রিল সোমবার বিকালে উপজেলার চাউরা কবি সানাউল হক ডিগ্রী কলেজ মাঠে ১০০টি দরিদ্র পরিবারের মাঝে এ ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সরাইল ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সৈয়দ আরমান আরিফ, পিএসসি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিঙ্গারবিল ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ভুইঁয়া, মেম্বার মামুন চৌধুরী, চাউরা কবি সানাউল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি আসাদুল হক শিপন, সিনিয়র শিক্ষক আবু সালেহসহ, সরাইল ২৫ ব্যাটালিয়নের অন্যান্য অফিসার ও সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
খাদ্য সামগ্রী মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, চিনি, সয়াবিন তৈল ও আলু এবং ইফতার ও রাতের খাবার।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সব সময়ই সমাজের দরিদ্র ও বিপন্ন মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতেও আমাদের এই কাযক্রম অব্যাহত থাকবে বলে বিজিবির পক্ষে থেকে জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পরিস্কার হাত সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলে উপজেলা প্রশাসন ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আয়োজনে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত হয়েছে। ভার্কের সহযোগিতায় দিবসটি পালন উপলক্ষে আজ ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে উপজেলা প্রশাসন চত্বর থেকে ইউএনও’র নেতৃত্বে একটি র্যালি বের হয়।
র্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে উপজেলা পরিষদের সভা কক্ষে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. রূপক মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা: মো. কামরুল ইসলাম, সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. পারভেজ আহমেদ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সিফাত বিন রহমান, মৎস্য কর্মকর্তা মো. মকসুদ হোসেন, বিআরডিবি কর্মকর্তা মো. মাসুদ মিয়া, মাধ্যমিক শিক্ষার অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার ইতি বেগম, ‘তরী’ সরাইল শাখার আহ্বায়ক ও মহিলা কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ মাহবুব খান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার, নোয়াগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনসুর আহমেদ, সরাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক আহমেদ তফছির, উপলদ্ধির নির্বাহী পরিচালক সাংবাদিক মো. শরীফ উদ্দিন ও ভার্কের প্রতিনিধি চিত্তনঞ্জন শীল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মানুষের হাত ধোয়ার গুরুত্ব অনেক। কারণ হাত শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ স্পর্শ করে থাকে। ফলে হাতের জীবাণু মানবদেহের ভেতরে সহজেই প্রবেশ করে জটিল রোগের সৃষ্টি হয়। তাই পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্যকে খাবার আগে পরে লেট্রিন থেকে আসার পরে সাবান দিয়ে দুই হাত ভালভাবে ধৌত করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। শিশুদের মধ্যেও এই প্র্যাকটিস নিয়মিত করতে হবে। হাত ধোয়ার প্র্যাকটিস ও অভ্যাস মানব জাতিকে অনেক দূরারোগ্য ব্যাধিতে থেকে রক্ষা করবে।