অনলাইন ডেস্ক :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় আল আমিন হোসেনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেফতার দেখিয়েছেন আদালত। এ মামলায় আনিসুল হক এজাহারনামীয় ৪ নাম্বার আসামি।
আজ ৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার কারাগার থেকে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার সাব ইন্সপেক্টর মো. আহসান হাবীব তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে ৫ আগস্ট রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় আনন্দ মিছিল বের করেন ছাত্র-জনতা। এসময় বাড্ডা থানার পাশে ফুলকলি মিষ্টির দোকানের সামনে আওয়ামী লীগের এলোপাতাড়ি হামলা ও গুলির মুখে পড়ে তাৎক্ষণিক মৃত্যুবরণ করেন আল আমিন হোসেন। এ ঘটনায় বাড্ডা থানায় মামলা করেন আল আমিনের মা।
উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেফতার করা হয়। নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলীকে (২৪) হত্যার অভিযোগে করা মামলায় পরদিন ১৪ আগস্ট তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মাইশা আফরিন সুবর্ণা (১৪) নামের এক কিশোরী বিয়ের তিনমাসের মাথায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে কিশোরীর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মাইশা আফরিন সুবর্ণা উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের বীরপাশা গ্রামের নাসির উদ্দিনের মেয়ে। নাসির উদ্দিন বলেন, তার কিশোরী মেয়ে সুবর্ণা অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পার্শ্ববর্তী বিন্নিঘাট এলাকার ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (২২) তার মেয়েকে পছন্দ করতেন। পরে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্য তার মেয়ে সুবর্ণাকে অত্যাচার করতো মনির। বিয়ের সময় মনিরকে ১ লাখ টাকা যৌতুক দেওয়ার পর সে আরও যৌতুককের টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তার মেয়েকে তালাক দিবে একথা বলেন মনির। সে কথা শুনে সুবর্ণা শনিবার বিকেলে শোবার ঘরের বাশের তীরের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। তিনি আরও বলেন, মনিরের চাপের কারণে তার মেয়ে সুবর্ণাকে বিয়ে দিতে হয়। মনিরের কারনে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এক কিশোরী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ উদ্ধারের পর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
মালয়েশিয়ায় সহজে ও কম সময়ে ই-পাসপোর্ট এবং ভিসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ‘কল সেন্টার’ উদ্বোধন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
আজ ৫ জানুয়ারি শুক্রবার কুয়ালালামপুরে সাউথগেট কমার্শিয়াল সেন্টারে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে তিনি এর উদ্বোধন করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান ফিতা কাটেন।
এসময় এ সার্ভিসের জন্য চুক্তিবদ্ধ আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান ‘এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিমিটেড’ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, প্রবাসী মিডিয়াকর্মীসহ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
‘জাতীয় প্রবাসী দিবস’ উপলক্ষে সেবা সপ্তাহ পালন করছে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন। এর শেষ দিনে এ কল সেন্টার উদ্বোধন করা হলো।
‘কল সেন্টার’ চালুর জন্য হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীদের সেবা ও কল্যাণ নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘প্রবাসী-বান্ধব নীতি’ অনুসরণ করছেন। এ লক্ষ্যে ৩০ ডিসেম্বরকে ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস’ ঘোষণা করেছে সরকার। বাংলাদেশ হাইকমিশন তাদের সীমিত জনবল দিয়ে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত ১২ লক্ষাধিক প্রবাসীদের পাসপোর্টসহ অন্যান্য সেবা এবং বিদেশিদের ভিসা সেবা দিয়ে আসছে। সাম্প্রতিক সই করা চুক্তির আওতায় গত একবছরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় এসেছেন। ফলশ্রুতিতে, পূর্বের যে কোনো সময়ের তুলনায় হাইকমিশনের কাজের পরিধি বেড়েছে।
সেবা প্রদানের পুরো প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের পাশাপাশি প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান তার বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রবাসী-বান্ধব নীতি ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ‘কল সেন্টার’ চালু হলো।
শিগগির ই-পাসপোর্ট ও ভিসা প্রদান কার্যক্রম চালু হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ই-পাসপোর্ট এবং মালয়েশিয়া ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশের ভিসা প্রদানের লক্ষ্যে কুয়ালালামপুরের কেন্দ্রস্থলে জালান দুয়া-চান শো লিনে (সিটি সেন্টারের পাশে) প্রায় ১৪ হাজার বর্গফুট ভবন ভাড়া নিয়ে ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার’ করা হয়েছে।
কল সেন্টারের নম্বর- 0392120267। সোম থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পাসপোর্ট ও ভিসা বিষয়ে এ নম্বরে কল দিয়ে পরামর্শ নেওয়া যাবে।
অনলাইন ডেস্ক :
আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে এক জোড়া নতুন ট্রেন চলাচল করবে। এছাড়া খুলনা-যশোর-মংলা-যশোর-খুলনা রুটে আরো একটি কমিউটার ট্রেন চলাচল করবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
আজ ৬ ডিসেম্বর বুধবার রেল ভবনে সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পর্যটন নগরী কক্সবাজার ও রাজধানী ঢাকার মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে কাক্সিক্ষত ট্রেন চলাচল শুরু হয় গত ১ ডিসেম্বর। বর্তমানে একটি ট্রেন এই রুটে চলাচল করছে।
গত ১১ নভেম্বর কক্সবাজারে নবনির্মিত আইকনিক স্টেশনে এই রেলপথ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর ট্রেনের সময়সূচি নির্ধারণসহ প্রয়োজনীয় সব কাজ শেষ করে রেল বিভাগ।
অনলাইন ডেস্ক :
নিজ কার্যালয়ে সালিশে বসে এক আইনজীবীকে রড দিয়ে পেটানোর অভিযোগে ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. এনামুল কবিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ ১৯ জুন সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ শাখা-১ থেকে এ বিষয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
এতে উল্লেখ করা হয়, ‘ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. এনামুল কবিরকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ১২(১) অনুযায়ী ১৮ জুন থেকে তাকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার আদেশ দেওয়া হলো। সাময়িক বরখাস্তকালে তিনি সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা আবশ্যক ও সমীচীন বিবেচিত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
গত ১৫ জুন ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবীকে রড দিয়ে পেটানোর অভিযোগ আনা হয় অতিরিক্ত ডিআইজি এনামুল কবিরের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী আইনজীবী আশিকুর রহমান নিজেই এ অভিযোগ তোলেন। এ ঘটনায় আইনজীবী সমিতি জরুরি সভা করে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে স্থায়ী বরখাস্তের দাবি জানিয়ে আল্টিমেটাম দেয়। দেশের বিভিন্ন স্থানেও একই দাবিতে আইনজীবীরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদলিপি দেন।
ওই সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আইনজীবী সমিতির সদস্য আশিকুর রহমান তার ভাই নেত্রকোনা থানায় কর্মরত পুলিশের এসআই মিজানুর রহমান সুজনের বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে অভিযোগ করেন। বুধবার (১৪ জুন) দুপুরে ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন ও অর্থ) এনামুল কবিরের কার্যালয়ে অভিযোগের শুনানি নেওয়া হয়।
এ সময় অতিরিক্ত ডিআইজি আশিকুর রহমানের দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘তুই বাঁকা হয়ে ঘাড় ত্যাড়া করে দাঁড়িয়েছিস কেন? তুই কার সামনে দাঁড়িয়েছিস জানস?’ এ কথা বলেই কাছে গিয়ে তিনি চড়থাপ্পড় মারতে থাকেন। একপর্যায়ে আশিকুর রহমান নিজেকে আইনজীবী পরিচয় দিলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন অতিরিক্ত ডিআইজি এনামুল কবির। তিনি কনস্টেবলের মাধ্যমে রড এনে আশিকুরের হাতে ও পায়ে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। পরে আশিকুর রহমান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি মো. এনামুল কবির জানিয়েছিলেন, ‘অভিযোগ শুনানির জন্য আশিকের পরিবারকে ডাকা হলে এক পর্যায়ে দুই ভাই একদিকে আর পাঁচ ভাই ও তাদের মা অন্যদিকে অবস্থান নেন। সেখানেই ঝগড়া করায় প্রথমে থাপ্পড় ও পরে পুলিশের বেত দিয়ে বাড়ি দিয়েছিলাম। রড দিয়ে মারধর করা হয়নি।’
এ ঘটনায় আশিকুর রহমানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনজীবী সমিতি ১৮ জুন রবিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে অতিরিক্ত ডিআইজির স্থায়ী বরখাস্ত চেয়ে আল্টিমেটাম দিয়েছিল। রবিবার পুনরায় বৈঠক করে আল্টিমেটামের সময় আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাড়ায় জেলা আইনজীবী সমিতি।
এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ নিয়ে গত শুক্রবার ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আইনজীবী আশিকের ভাই গোলাম মোহাম্মদ সোহেল পুলিশ কর্মকর্তাকে নির্দোষ বলে দাবি করেন।
ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বলেন, ‘সরকার নিজস্ব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাময়িক বরখাস্ত করছে। আমরা এতে খুশি।’
তবে ভুক্তভোগী আইনজীবী আশিকুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ কর্মকর্তার স্থায়ী বরখাস্ত চাই এবং আইনজীবীবান্ধব আইন চাই। এটি কেবল আমার দাবি নয়, সারা দেশের আইনজীবীদের দাবি।’
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদারীপুরে কলাগাছিয়া এসিনর্থ উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলাকালীন স্কুলের ফ্যান খুলে পড়ে চারজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আজ ২০ জুন মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলা কেন্দুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম কলাগাছিয়া এসিনর্থ উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত শিক্ষার্থীরা হলো-দশম শ্রেণির হিরামনী, মুনা আক্তার, ইরিনা আক্তার ও সাইমা জাহান। তারা সবাই হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। এদিকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ইরিনা আক্তার, সাইমা জাহান তারা বাসায় ফিরে গেছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের স্কুলের ক্লাস অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১০ মিনিট আগে ঘণ্টা দিলে আমরা পরীক্ষার কক্ষে গিয়ে বসি। তখন হঠাৎ সিলিং ফ্যান খুলে মাথায় পড়ে। এতে আমারা চার থেকে পাঁচজন ছাত্রী আহত হয়েছি। এরপরে কি হয়েছে, তা আমি আর বলতে পারি না। তাৎক্ষণিক আহতদের মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মধ্যে হীরামনী বেশি অসুস্থ। এতে তার সেলাই লেগেছে। অন্যরা হাতে ও পিঠে আঘাত পেয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আহত শিক্ষার্থী হিরামনীর নানা সামচুল হক মোল্লা বলেন, ‘আমার নাতি খুবই অসুস্থ। তার কপালে আঘাত লেগেছে। সে অনেক অসুস্থ ঠিকমতো কথা বলতে পারে না। আমি এটি মানতে পারতেছি না। কী আজব ঘটনা! একটি বেসরকারি স্কুলের ফ্যান খুলে পড়ে শিক্ষার্থী আহত হবে, এটা ভাবা যায়?’
আহত মুনার বাবা ইদ্রিস মাতুব্বর বলেন, আমার মেয়ে খুবই অসুস্থ। তার হাতে ও মাথায় অনেক আঘাত লেগেছে। এ ঘটনা শিক্ষকদের গাফিলতির কারণে ঘটেছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শান্তি রঞ্জন মন্ডল মুঠোফোনে বলেন, পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১০ মিনিট আগে ঘণ্টা দেওয়া হয়। তারপরে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে প্রবেশ করেন। এর কিছুক্ষণ পর ফ্যান পড়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। এখন তাদের কি অবস্থা, সেটা আমি জানি না।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। যদি কোনো অভিযোগ থাকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।