চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর ফরহাদ শামীমের বদলির প্রতিবাদে উপজেলা সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৪ অক্টোবর শুক্রবার সকাল সকাল ১০ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষার্থীর সহ বিভিন্ন পেশার লোকজন মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় তিনি শিক্ষার্থীদের পাশে সার্বক্ষণিক ছিলেন। আন্দোলনে আহতদের অর্থ সহায়তা প্রদান করেছেন এবং হাসপাতালে গিয়ে তাদের খোঁজ খবর নিয়েছেন। আন্দোলনের পর যে সব ছাত্র ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাজ করেছে, তাদেরকে উপজেলা প্রশাসন থেকে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেছেন।
বক্তারা সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে বলেন, ইউএনও তানভীর ফরহাদ শামীমের বদলির আদেশ অবিলম্বে বাতিল করা হোক এবং তাকে পুনরায় বহাল করা হোক। নতুবা আরো কঠিন কর্মসূচি দেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কার্যক্রম বহাল রাখার দাবিতে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২০ অক্টোবর রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলা পরিষদ রোডে মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর তারা স্মারক লিপি প্রদান করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নবীনগর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন, নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুর আজ্জম, রসুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার মনির হোসেন, নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আক্তারুজ্জামান, বিদ্যাকুট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাকারুল হক, ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মুসা, লাউর ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, বড়িকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লাল মিয়া, বিটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী জাফর দস্তগীর, বড়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেনসহ উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সংরক্ষিত মেম্বারগণ।
কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুফতী আমজাদ হোসাইন আশরাফী বলেন, যদি চেয়ারম্যান-মেম্বারদের অপসারণ করা হয়, তাহলে বিগত সরকারের আমলের ১৬ বছরে যত সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারী নিয়োগ করা হয়েছে তাদের সবাইকে অপসারণ করতে হবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মহোদয়ের কাছে আমাদের দাবি একটাই আমাদেরকে অপসারণ না করে আমাদের মেয়াদ পর্যন্ত বহাল রেখে জনগণের সেবা করার সুযোগ দিতে হবে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে চাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে একটি বিপণীবিতানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১২টি দোকান পুড়ে সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয়ে গেছে।
আজ ২২ নভেম্বর শুক্রবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলা সদরের নবীনগর পৌর মার্কেটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব চৌধুরী জানান, বিকেলে নবীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থিত পৌর মার্কেটের একটি দোকানে আগুন লাগে। পরে তা আশপাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি আরো জানান, কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে সেটি এখনও নিশ্চিত নয়। আগুনে তেল, লেপ-তোষক ও ফার্মেসিসহ ১২টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য তাইয়ান আহমেদ ফাহাদ (২৬) মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আজ ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে নিহত হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৩ টায় জেলার রাধিকা-নবীনগর সড়কের নবীনগর ব্রাহ্মণহাতা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় মোটর সাইকেলে থাকা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব লিটন সরকারসহ দুই জন আহত হয়েছে। নিহত তাইয়ান আহমেদ ফাহাদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরের পৌর এলাকার ৫নং ওয়ার্ডের হুমায়ূন কবীরের ছেলে।
জানা গেছে, দলীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহন করার জন্য জেলার বাঞ্ছারামপুর থেকে বিএনপি’র অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মোটর সাইকেল যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসার পথে ব্রাহ্মণহাতা নামক স্থানে একটি অটোরিক্সার সাথে ধাক্কা লেগে নিয়ন্ত্রণ হারায়। এসময়ে দুজন আহত হলে তাদের জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনা হয়। জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মিতুল তাইয়ান আহমেদ ফাহাদকে মৃত ঘোষণা করে। অন্য আহতদের জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্র্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণহাতা এলাকাবাসী অটোরিকসার চালককে আটক করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে ১০ কেজি গাঁজাসহ ৪ নারী মাদক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে নবীনগর থানা পুলিশ।
১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে উপজেলার শিবপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আক্কাস আলীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ শিবপুর সিএনজি স্টেশনে রাস্তার উপর চেক পোষ্টে ডিউটি করার সময় বিশেষ অভিযানে তাদের গাঁজাসহ আটক করে।
আটককৃত আসামিরা হচ্ছে, কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার উত্তর কান্দা গ্রামের মো.রুবেল মিয়ার স্ত্রী মোসাঃ বৃষ্টি আক্তার প্রঃ সনিয়া (১৯) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার চর চন্নিপুর গ্রামের সোহেল ওরফে সোহাগের স্ত্রী, সিমা আক্তার (২০), আখাউড়া উপজেলার রাজাপুর (আশ্রয়ন প্রকল্প) গ্রামের মো.শাকিল ওরফে রুবেলের মেয়ে মোসাঃ তামান্না আক্তার (১৪) এবং মো.আবুল কাশেমের মেয়ে মোসাঃ সাদিয়া আক্তার (১৭)।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম জানান, তাদের হেফাজত হতে ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার পূর্বক নবীনগর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করে আজ ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার তাদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দু’পক্ষের মারামারির দুই মাস পর আহত হারুন মিয়া (৬০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি তার নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে হারুন মিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে সে মারা যায়। গত অক্টোবর মাসে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর ভাবে আহত হয়েছিলেন হারুন মিয়া। হারুন মিয়ার মৃত্যুর পর উপজেলার পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হারুন মিয়া উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীমুড়া গ্রামে মৃত কিতাব আলীর ছেলে। হাসপাতাল ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত লক্ষীমুড়া গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে হারুন মিয়ার পরিবার ও মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে করিম মিয়ার পরিবারের জমিতে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে করিম মিয়ার পক্ষের লোকেরা হারুন মিয়াসহ তার পরিবারের ৪-৫ জনকে পিটিয়ে জখম করে। তারপর বিজয়নগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর করিম মিয়ার লোকজন হারুন মিয়াকে হত্যা করার হুমকি দেন? পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান দু’পক্ষের লোকদেরকে ডেকে তা আপস করার চেষ্টা করেন। পরে হারুন মিয়া তার ছেলে-ভাতিজাকে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথিমধ্যে শেখ হাসিনা সড়কের উত্তর পাশে করিম মিয়ার লোকজন অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা করেন। তাতে হারুন মিয়ার একটি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে যায়। পরে তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। হারুন মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে এক মাস হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। পরবর্তীতে বাড়িতে তার চিকিৎসা চলে।
এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা যায়- এই হামলার ইন্দনদাতা পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়া।
নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়ার উপর হামলা হয়েছে। আমার চাচার হত্যা সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানায়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একজন মারা গেছেন বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যু রহস্য উন্মোচন হবে।