চলারপথে রিপোর্ট :
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে ভারতীয় পুরোহিতের কটূক্তি এবং সেই বক্তব্যকে বিজেপির এক নেতার সমর্থন দেওয়ার প্রতিবাদে আশুগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৪ অক্টোবর শুক্রবার জুমার নামাজের পর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ গোলচত্বর থেকে আশুগঞ্জ উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত ও ছাত্র জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিলটি বের আশুগঞ্জ রেলগেইট হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার গোল চত্বর এসে মিছিলটি শেষ করে শুরু হয় প্রতিবাদ সমাবেশ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আহ্বায়ক এফরান সিদ্দিকি ঈশানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুফতি রেদোয়ান হোসেন আল কাদ্বেরীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন আশুগঞ্জ উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতে সভাপতি অধ্যক্ষ আলহাজ্ব কাজী মোঃ মহিউদ্দিন মোল্লা।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন মাওলানা জোবায়ের আল মাহমুদ, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, ক্বারী আল আমিন আল ক্বাদেরী, ফখরুল ইসলাম নিহামী, খন্দকার আনিসুর রহমান আল ক্বাদেরী, খন্দকার বাবুল শাহ, মিজানুল রহমান, সোহাগ মিয়া, জোবায়েদ মোল্লা, নুর মোহাম্মদ জামান, আলাউদ্দিন আহম্মেদ, ফয়সাল আহমেদ, মোহাম্মদ মারুফ, আদিব, শ্রাবণ, রাসেল ইসলাম, মারুফ খান, রাহাদ, আমানত উল্লাহ, মোহাম্মদ মোহন, ফাহিমসহ বিশেষ ব্যক্তিবর্গ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘গত আগস্ট মাসে রাসুল (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করেন ভারতের মহারাষ্ট্রের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ। তাঁকে সমর্থন করেছেন বিজেপির বিধায়ক নীতেশ রানে। এ দু’জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হলেও এখনো রাজ্য সরকার তাঁদের গ্রেফতার করেনি। এর প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে মহারাষ্ট্রের মুসলিম জনতা। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। মহানবীকে অবমাননাকারীদের গ্রেফতার করে সঠিক বিচারের দাবি জানাই।’
চলারপথে রিপোর্ট :
চালের বস্তায় ধানের জাত, মিলগেটের মূল্য, উৎপাদনের তারিখ ও প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠানের নাম লিখতে হবে। এমনকি প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠানের অবস্থান (জেলা ও উপজেলা) উল্লেখ করতে হবে। থাকতে হবে ওজনের তথ্যও। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এমন নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আজ ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে ডায়ার মিল পরিদর্শন করেছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ডিসি ফুড) আলমগীর কবির। এ সময় অন্যান্যদের মাঝে আশুগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিযন্ত্রক আব্দুর রউফ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ তকদির হোসেন, সরাইল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নূর আলী, কসবা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাউছার সজীব, আশুগঞ্জ খাদ্য গোদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, এলএসডি) মোহাম্মদ সোলাইমান মিয়া ও রজনীগন্ধা এ্যাগ্রোফুডের স্বত্বাধিকারী হাসান ইমরান উপস্থিত ছিলেন।
এসময় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ডিসি ফুড) আলমগীর কবির বলেন, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্য ও পছন্দমত জাতের ধানের চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখিন হচ্ছেন।
এ অবস্থার উত্তরণের লক্ষ্যে চালের বাজার মূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয় তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং এ সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে খাদ্য মন্ত্রনালয় এ নির্দেশনা জারি করেছে। যা গত পহেলা বৈশাখ থেকে কার্যকর হয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী চালের উৎপাদনকারী মিলমালিকদের গুদাম থেকে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের প্রাক্কালে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্য, ওজন এবং ধান বা চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। বস্তার ওপর এসব তথ্য কালি দিয়ে লিখতে হবে। এক্ষেত্রে মিলগেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩-এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মো. আমিনুল ইসলাম :
আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাদের সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদত করার জন্য। আমরা এ ইবাদত কতটুকু ঠিকভাবে করে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারছি তা ভেবে দেখার বিষয়। কিংবা কীভাবে ইবাদত করলে আমরা তাঁর প্রিয় বান্দা হয়ে পরকালে তাঁর নৈকট্য লাভ করতে পারব তা আমাদের সবার জানা উচিত। সুরা মায়েদার ৪২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ সুবিচারকারীদের ভালোবাসেন।’সুরা হুজুরার ৫৮ নম্বর আয়াতে বর্ণিত হয়েছে, ‘তবে তোমরা তাদের মধ্যে ন্যায়ানুগ পন্থায় মীমাংসা করে দেবে এবং সুবিচার করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সুবিচারকারীদের ভালোবাসেন।’ সুতরাং যারা দুনিয়ার বুকে বিচার করেন তারা যেন অবশ্যই সুবিচার করেন। ন্যায় প্রতিষ্ঠা করেন।
সুরা বাকারার ৩ ও ৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘যারা গায়েবের ওপর ইমান আনে, নামাজ প্রতিষ্ঠা করে এবং তিনি যা কিছু দান করেছেন তার থেকে আল্লাহর নির্দেশিত পথে ব্যয় করে এবং তাদের রবের কাছ থেকে পাওয়া হেদায়েতের ওপর রয়েছে এরাই হচ্ছেন সফলকাম।’ সুতরাং আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়ার অন্যতম শর্ত হলো নামাজ আদায়, জাকাত আদায়, গায়েবের ওপর ইমান আনা এবং সর্বোপরিভাবে আল্লাহ-প্রদত্ত আদেশ-নিষেধ মেনে জীবন পরিচালিত করা। ধৈর্যশীলরাও আল্লাহর প্রিয় বান্দা।
আল্লাহ বলেন, ‘হে আমার বিশ্বাসী বান্দারা! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর। যারা এ দুনিয়ায় সত্য কাজ করে তাদের জন্য রয়েছে পুরস্কার। আল্লাহর পৃথিবী প্রশস্ত। যারা সবরকারী তাদের পুরস্কার প্রায় অগণিত।’ সুরা জুমার আয়াত ১০। যারা তওবাকারী ও গুনাহ করার পর আল্লাহর স্মরণে লজ্জিত হন এবং ক্ষমা চান তারাও আল্লাহর পছন্দনীয় বান্দা। এদের ব্যাপারে আল্লাহ বলেন, ‘তারা যখন কোনো অশ্লীল কাজ করে বসে কিংবা এর দ্বারা নিজেদের ওপর নিজেরা জুলুম করে ফেলে এবং সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহকে স্মরণ করে নিজেদের গুনাহর জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। আসলে আল্লাহ ছাড়া আর কে আছে তাদের গুনাহ মাফ করে দিতে পারে?’ সুরা আলে ইমরান আয়াত ১৩৫।
যারা আল্লাহর রসুল (সা.)-কে ভালোবাসে তারাও দুনিয়ার বুকে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হিসেবে পরিচিত। সুরা আলে ইমরানে আল্লাহ বলেন, ‘হে নবী! তুমি বল, তোমরা যদি আল্লাহকে ভালোবাস তাহলে আমার (নবীর) কথা মেনে চল, আল্লাহতায়ালাও তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তিনি তোমাদের গুনাহ মাফ করে দেবেন। আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়াবান।’ আয়াত ৩১। সুবহানাল্লাহ! এ আয়াতটি কত মর্যাদাপূর্ণ।
আল্লাহর রসুল (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে যে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়া ও গুনাহ থেকে মাফ পাওয়া যায় এর চেয়ে বড় উদাহরণ আর কী হতে পারে। তাকওয়া অবলম্বনকারী ও মুত্তাকি হওয়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে পারি।
সুরা বাকারায় বর্ণিত হয়েছে, ‘তোমরা তোমাদের মুখমন্ডলগুলো পূর্ব বা পশ্চিম দিকে ফেরাও এতে কোনো নেকি নিহিত নেই, বরং বড় সত্য কাজ বা নেকির কাজ হচ্ছে ইমান আনবে আল্লাহর ওপর, কিয়ামত দিবসের ওপর, ফেরেশতাদের ওপর এবং নবী-রসুলদের ওপর। আর সম্পদের ওপর তার ভালোবাসা থাকার পরও তা ব্যয় করবে, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আত্মীয়স্বজন, এতিম-মিসকিন, মুসাফির ভিক্ষুক ও বন্দিদশা থেকে মুক্ত করার কাজে। আর যারা নামাজ কায়েম করে, জাকাত প্রদান করে এবং যারা প্রতিশ্রুতি দিলে তা পালন করে এবং অভাবে রোগে শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য ধারণ করে। এরাই হচ্ছে প্রকৃত সত্যাশ্রয়ী ও তাকওয়া অবলম্ব^নকারী মানুষ।’ আয়াত ১৭৭।
– লেখক : অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিষয়ে অবহিতকরণ ও উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবারসকালে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নাগরিকদের পেনশন স্ক্রিমে স্পট রেজিস্ট্রশন করানো হয়।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্যামল চন্দ্র বসাকের সভাপতিত্বে এ সময় পেনশন স্কিমের উপরে বক্তৃতা করেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) কাজী তাহমিনা সারমিন, আশুগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার শরীফুজ্জামান।
সভাপতির বক্তব্যে ইউএনও শ্যামল চন্দ্র বসাক বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাংলাদেশের সব নাগরিকের টেকসই ভবিষ্যৎ আর্থ-সামাজিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় ইচ্ছে ও তার দূরদর্শী নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ। সর্বজনীন পেনশন স্কীম চালু হলে কাউকে আর বৃদ্ধাশ্রমে যেতে হবে না। তিনি সকল স্তরের জনগণকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের অন্তর্ভূক্ত হবার আহবান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রামে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মোটর সাইকেলে থাকা মোহাম্মদ মুজাহিদ চৌধুরী নামের এক ট্রাফিক সার্জেন্ট নিহত হয়েছেন। ১৩ মার্চ সোমবার রাত ১১টার দিকে বন্দরের আউটার রিং রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোহাম্মদ মুজাহিদ চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর গ্রামে।
তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বন্দর ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত ছিলেন।স্ত্রী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সন্তানের মুখ দেখার আগেই সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলেন এ ট্রাফিক সার্জেন্ট। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সিএমপির বন্দর ট্রাফিক জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, পতেঙ্গা এলাকায় ডিউটি ছিল মুজাহিদের। আরেক সার্জেন্ট ও কনস্টেবলের সঙ্গে আলাদা আলাদা মোটর সাইকেলে তারা ফৌজদারহাটের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে ওয়াই জংশন এলাকায় পৌঁছালে দ্রুতগামী একটি প্রাইভেটকার তাকে পেছন দিক থেকে ধাক্কা দেয়। এতে সড়কে ছিটকে পড়েন মুজাহিদ। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পাহাড়তলি থানার পুলিশ প্রাইভেটকার চালককে আটক করেছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো জানান, মুজাহিদের স্ত্রী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আগামী মাসেই তিনি সন্তান প্রসব করবেন বলে চিকিৎসক সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছেন। প্রিয় সন্তানের মুখ দেখার জন্য অধীর আগ্রহে ছিলেন মুজাহিদ। সন্তানের মুখ দেখার আগেই সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল তার।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে পারিবারিক রাস্তা নিয়ে বিরোধের জের ধরে চাচাতো ভাইয়ের ঘুষিতে মো. সোহেল মিয়া (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে।
আজ ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার আড়াইসিধা বাজারের পাশের রঙিলা পারায় এই ঘটনাটি ঘটে। নিহত সোহেল একই এলাকার মুক্তিযোদ্ধা রোকন উদ্দিন মিয়ার ছেলে।
নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে রোকন উদ্দিন মিয়ার পরিবারের সঙ্গে আবুল কাশেম মিয়ার ছেলেদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কাশেম মিয়ার পরিবারের আলমগীর, খলিল, মাইনুদ্দিন ও রমজানের সঙ্গে রোকন মিয়ার পরিবারের লোকজনের হাতাহাতি শুরু হয়। পরে সোহেল মিয়াকে আলমগীর, খলিল, মাইনুদ্দিন ও রমজান মিয়া ঝাপটে ধরে কিল ঘুষি মারতে শুরু করে। এ সময় সোহেল গুরুতরভাবে আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের লাশ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।