আখাউড়ায় প্রায় এক কোটি টাকার ভারতীয় পণ্যসামগ্রী ও মদ জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আজ ৫ অক্টোবর শনিবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসাগর সীমান্তবর্তী জয়নগর খলাপাড়া এলাকা থেকে সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (বিজিবি-৬০) সদস্যরা এই ভারতীয় পণ্য ও মদ জব্দ করে। এদিন দুপুরে বিজিবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এই সংক্রান্ত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে উপজেলার গঙ্গাসাগর সীমান্তবর্তী জয়নগর খলাপাড়া এলাকায় সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (বিজিবি-৬০) টহল দলের অভিযানের সময় ৬৪৮ পিস ভারতীয় অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের ডিসপ্লে, দুই লাখ পিস বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় ট্যাবলেট, ২৪টি হুইস্কি মদের বোতল এবং ২৪টি বিয়ারের বোতল জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত পণ্যের বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি তিন লাখ টাকা।
এ সময় বিজিবি টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারিরা পালিয়ে যায়। সীমান্তে চোরাচালান রোধে বিজিবির এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় কেরির বড়ি খেয়ে সানজিদা আক্তার (১৪) নামে এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামে সোমবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আজ ১ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তর জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠিয়েছে। নিহত সানজিদা জয়পুর গ্রামের প্রবাসী নোয়াব মিয়ার মেয়ে। সে একটি মাদ্রাসায় ১০ শ্রেণীতে পড়তো।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একই গ্রামের দিলু মিয়ার পুত্র নুর মোহাম্মদ নামে এক ছেলের সাথে সানজিদার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়ের পরিবার বিষয়টি মেনে নিতে পারে নি। কিছু দিন আগে মেয়েটিকে কুমিল্লায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে একটি মাদ্রাসায় ভর্তি করে লেখাপড়ার জন্য। ছেলেটি সেখানে গিয়ে মেয়ের সাথে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করলে মেয়ের পরিবার জানতে পেরে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। এনিয়ে পরিবারের লোকজন তাকে শাসন করে। এ ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যা সে কেরির বড়ি খেয়ে ফেলে। পরিবারের লোকজন বুঝতে পেরে প্রথমে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে কুমিল্লা হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে দশটার দিকে তার মৃত্যু হয়। আখাউড়া মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিবেশি একটি ছেলে ওই মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করতে চাইতো। বিষয়টি মেয়ের পরিবার মেনে নিতে পারেনি। এ ঘটনায় গত রাতে মেয়েটি কেরির বড়ি খেয়েছে বলে শুনেছি।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ওসি মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকারে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে প্রেম ঘটিত বিষয় থেকে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে তথ্য পেয়েছি। এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ হোসেনের-(আনারস প্রতীক) সভা থেকে বিরিয়ানি জব্দ করে মাদরাসায় দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পৌরসভার সড়ক বাজার এলাকায় চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ হোসেনের-(আনারস প্রতীক) সমর্থনে অনুষ্ঠিত সভায় অভিযান চালিয়ে বিরিয়ানি গুলো জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম রাহাতুল ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার রাতে আখাউড়ার সড়ক বাজারে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ হোসেন ভূইয়ার আনারস প্রতীকের সমর্থনে সভার আয়োজন করে জাতীয় রিকশা ও ভ্যান শ্রমিক লীগ এবং হকার্স লীগ। সেখানে হকার্স লীগের সভাপতি মুসলিম মিয়ার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল্লাহ ভূইয়া বাদল, আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম সামদানী, দানিস খলিফা ও মহাবীর আলম প্রমুখ। সেখানে সভা শেষে ভুড়িভোজের জন্যে কয়েক ডেকচি বিরিয়ানি রান্না করে রাখা হয়।
এই খবরে সভায় উপস্থিত হন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম রাহাতুল ইসলাম। তিনি সেখান থেকে দুই ডেকচি বিরিয়ানি জব্দ করেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম রাহাতুল ইসলাম বলেন, আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। সেখান থেকে দুই ডেকচি বিরিয়ানি জব্দ করা হয়। বিরিয়ানি গুলো স্থানীয় একটি মাদরাসায় দিয়ে দেয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় একটি বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শিকারমুড়া এলাকার মো. আনিছুর রহমান জহরলালের বাসায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালানোর পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
বাড়ির মালিক আনিছুর রহমান জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে হঠাৎ তার ঘরের টিনের চালে আগুন দেখতে পান। মুহূর্তেই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ঘরে থাকা সকল আসবাবপত্র। পুড়ে যাওয়া আসবাবপত্রের আনুমানিক মূল্য ৫ লাখ টাকা।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিদ্যুতের শর্ট-সার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি প্রশান্ত চক্রবর্তী। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সরকারি সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় প্রশাসনের বাজার মনিটরিং অভিযানকালে আদালতের সাথে থাকায় সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আজ ১ এপ্রিল শনিবার বেলা সাড়ে তিনটার পৌর শহরের সড়ক বাজারে সাতরং ফ্যাশনের মালিকের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার সাংবাদিকরা হলেন হান্নান খাদেম, রুবেল আহমেদ, জালাল হোসেন। হামলায় আহত রুবেল আহমেদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় রুবেল আহমেদ বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দেয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
খবর পেয়ে তাৎক্ষিনভাবে ঘটনাস্থলে এসে ৫জনকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে।
লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অংগ্যজাই মারমা বাজার মনিটরিং অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় সড়কে অবৈধভাবে মোটর সাইকেল পার্কিং করায় তিন মোটর সাইকেল মালিককে অর্থ জরিমানা করা হয়।
এরমধ্যে সাতরং ফ্যাশনের মালিক সোহাগ মিয়াকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। জরিমানা করায় সোহাগ মিয়া ক্ষুব্ধ হয়ে আদালতের সাথে অসৌজন্য মূলক আচরণ করেন।
অভিযানকালে পেশাগত কাজে সাংবাদিক হান্নান খাদেম, জালাল হোসেন মামুন অমিত হাসান ও হাসান মাহমুদ পারভেজ উপস্থিত ছিলেন। পরে বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে সাংবাদিক হান্নান খাদেম, মামুন ও রুবেল আহমেদ ফল কেনার জন্য বাজারে গেলে সাংবাদিকদের দেখে সোহাগ মিয়া উত্তেজিত হয়ে বলেন ‘তোদের কারণে আমার জরিমানা হয়েছে’ এ কথা বলেই সোহাগ মিয়া ও দোকানের কর্মচারীসহ ৭/৮ জন যুবক সাংবাদিকদের উপর হামলা করে মারধর শুরু করে। হামলায় রুবেল আহমেদ আহত হয়। হামলাকারীরা একটি ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। পরে বাজারের লোকজন এগিয়ে এসে সাংবাদিকদের রক্ষা করে।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ওসি মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু হয়েছে। এজহার নামীয় ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকী আসামিদেরকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে।