চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে ১১২ পিস ইয়াবা, মাদক বিক্রির নগদ ৩৬ হাজার টাকা, ৪টি মোবাইল, ১ কেজি গাঁজাসহ ৩ জন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ ৫ অক্টোবর শনিবার ভোর ৪টা ৪৫ মিনিটে তেজখালী ইউপি আকানগর (মধুপুর) শিল্পী বেগমের বাড়িতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে গ্রেফতারকৃতরা হলেন শিল্পী বেগম, আকানগর (মধুপুর) গ্রামের মৃত হাছন আলীর মেয়ে; মো. ফারুক (৩৫), পাহাড়িয়াকান্দির মৃত হাছন আলীর ছেলে ও শহিদ উল্লাহ, আকানগর গ্রামের মোহন মিয়া ছেলে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুরে সোনারামপুর ইউনিয়নে এক গৃহবধূকে (১৯) বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে বখাটেরা। এছাড়া ধর্ষণের সময় ধারণ করা ভিডিও অনলাইনে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখানোর অভিযোগে তিনজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ দুলারামপুর গ্রামের লবিশ মিয়ার ছেলে মনু মিয়া (২০), হবি মিয়ার ছেলে আলমগীর (২০) ও দুলাল মিয়ার ছেলে আরিফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর নানি বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার রাতে তিনজনকে আসামি করে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই গৃহবধূকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, সোনারামপুর ইউনিয়নে নানার বাড়িতে থাকতেন এই নারী। শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে ওতপেতে থাকা এলাকার বখাটে মনু মিয়া, আলমগীর, আরিফ তাকে জোর করে মুখ চেপে ধরে পাশের জমিতে নিয়ে যায়। সেখানে তিনজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে ওই নারীকে। এ সময় তারা ধর্ষণের ঘটনা ভিডিও করে রাখে।
ঘটনার পর নারী বিষয়টি চেপে গেলেও আসামিরা বিভিন্ন নম্বর থেকে ধারণ করা ভিডিও দেখিয়ে ওই নারীকে তাদের সঙ্গে পুনরায় দেখা করতে বলে। দেখা না করলে এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। নারী বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে মঙ্গলবার রাতে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি নুরে আলম জানান, অভিযোগ পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে রাতে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করে বুধবার আদালতে প্রেরণ করেছি। তাদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে। আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে আলমগীর ও আরিফ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘‘বঙ্গমাতা গোল্ড কাপ টুর্ণামেন্ট চ্যাম্পিয়ন’’ বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিজয়ীদের কে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন, জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার।
গত ২১ মার্চ ঢাকা আর্মী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত চুড়ান্ত প্রতিযোগীতায় ঢাকা বিভাগের নলমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ২-১ গোলে হারিয়ে বাঞ্ছারামপুর এই গোরবান্নিত বিজয় অর্জন করে। খেলা শেষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয়ী এবং বিজিতদের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স সাপ ট্রফি বিতরণ করেন।
এসময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন ও সচিব ফরিদ আহমেদ এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাহ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিজয়ীদেরকে উৎসাহিত ও প্রজন্মকে খেলাধূলায় উজ্জীবিত করার জন্য, মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী, সাবেক মন্ত্রী ও জন নন্দিত নেতা ক্যাপ্ট: (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এমপি’র নির্বাচনী এলাকার ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যালয়ের বিজয়ী খেলোয়ারদের কে শীঘ্রই জেলাপরিষদ থেকে সম্বর্ধনা প্রদান করার কথা জানিয়েছেন জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী বৃন্দাবন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক মোঃ রাহাত উদ্দিনকে নৃশংসভাবে হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন রূপসদী বৃন্দাবন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
আজ ১১ আগষ্ট রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী বৃন্দাবন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষক, বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। রূপসদী বৃন্দাবন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন এবং বর্তমান শিক্ষার্থীদের আয়োজনে মানববন্ধনে বক্তব্যে রাখেন, সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল হালিম, প্রাক্তন ছাত্র শাকিব হাসান, অন্তর জালালী, সানী আহমেদ, মোঃ আলাউদ্দিন, মোঃ জুম্মন আহমেদ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শিক্ষক রাহাত উদ্দিন একজন আদর্শ শিক্ষক ও সমাজসেবক ছিলেন।
তিনি সকল ছাত্র-ছাত্রীদের সন্তানের মত করে দেখতেন এবং ভালোবাসতেন। তিনি ছাত্র-শিক্ষকদের বিপদে আপদে সবার আগে এগিয়ে আসতেন। তার মৃত্যুতে বিদ্যালয় ও অত্র ইউনিয়নবাসী একজন অভিভাবক হারালো। আগামীতে কোন শিক্ষক, সুশীল সমাজ কিংবা সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপরে যেকোন ধরনের আক্রমণ রূপসদীবাসী শক্ত হাতে দমন করবে। প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করে বক্তারা বলেন, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, নিহত ওই শিক্ষকের মরদেহ গত ৮ আগস্ট কুমিল্লা হোমনা উপজেলা সরকারি হাসপাতালে পাওয়া যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার দশদোনা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, উপজেলার আইয়ূবপুর গ্রামের মৃত জিলানীর ছেলে মো. নূরে আলম (৩২) ও নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার দামদরোদী গ্রামের নিরঞ্জন দাসের ছেলে রনি দাস (২৪)।
পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না দেওয়ায় আজ ১২ মে শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরে আলম।
তিনি বলেন, দশদোনা গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোটর সাইকেল চালক নূরে আলম নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারীর রনিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটার সাইকেল চালক মারা যান এবং আহত রনিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে উপজেলার ফেরিঘাট এলাকায় সেও মারা যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
দেশের শীর্ষস্থানীয় মিডিয়া হাউজ ইস্ট ওয়েষ্ট মিডিয়া গ্রুপ কমপ্লেক্সে দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে সাংবাদিকবৃন্দ ও ছাত্র জনতা মানববন্ধন করেছে। আজ ১ সেপ্টেম্বর রবিবার বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজ মাঠে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ ঘটনায় হামলায় জড়িতদের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি করেছেন বক্তারা। সাংবাদিকরা সরকারের কাছে বাংলাদেশের সকল সাংবাদিক এবং মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার নিশ্চিতে জোর দাবি জানান।
এতে উপস্থিত ছিলেন এম এ আউয়াল, রিপন মিয়া, মো. জহিরুল হক, মোল্লা মোঃ নাছির, দিলীপ কুমার সূত্রধর, মীর মোশারফ হোসনে, মোঃ শামিম শিবলী, মোঃ শফিকুল ইসলাম, সুমন চক্রবর্তী, আশিকুর রহমান, মাহবুবুর রহমান বাবু, মোঃ নাছির উদ্দিন, মোঃ বাহারুল ইসলাম, মোঃ পলাশ সরকার এবং আতাউর রহমান সনেট প্রমুখ।
বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের সম্পাদক ও হিসাব বিজ্ঞান বিভিাগরে বিভাগীয় প্রধান মো. চাঁন মিয়া সরকার বলেন, হামলাকারীদের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। তা না হলে মিডিয়া প্রতিষ্ঠান ও সাংবাদিকরা উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ঝুঁকি নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ সংগ্রহ ও পরিবেশন করতে উৎসাহ হারাবে সাংবাদিকরা।