চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় রিকশা-ভ্যান শ্রমিকলীগের সভাপতি মুসলেম মিয়াকে (৪৯) আটক করেছে পুলিশ। তিনি আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় মাদক ব্যবসার জড়িয়ে সাধারণ ভ্যানচালক থেকে কয়েক বছরে বিপুল অর্থ বিত্তের মালিক বনে যান।
৫ অক্টোবর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরশহরের উপজেলা কমপ্লেক্স সংলগ্ন নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করেন। মারামারি, অগ্নিসংযোগ ও বিস্ফোরক আইনের ধারায় আখাউড়া থানার একটি মামলার আসামী তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৩০/৩৫ বছর আগে বাবার সাথে আখাউড়ায় আসেন মুসলেম মিয়া। তার বাবা ভাঙ্গারী কুরিয়ে বিক্রি করতেন। মুসলেম মিয়া ভ্যানগাড়ির ঠেলা শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। ধীরে ধীরে নিজেই ভ্যানগাড়ি চালানো শুরু করেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে পেশা পরিবর্তন করে রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় মাদক বিক্রি শুরু করেন মুসলেম মিয়া। এরপর তার ভাগ্যের চাকা ঘুরতে থাকে। রিকশা-ভ্যান শ্রমীক লীগ নামে ভুঁইফোড় সংগঠনের সভাপতি হয়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মিছিল সমাবেশে শ্রমিক নিয়ে যোগদান করে করে মুসলেম ভুঁইয়া আলোচনায় ছিলেন। আওয়ামী লীগের এক নেতার আর্শীবাদে তিনি সাধারণ শ্রমিক থেকে নেতা বনে যান। রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় রিকশা-ভ্যান শ্রমীক লীগের অফিস করেন। ওই অফিসে অপরাধমূলক কর্মকান্ড করতেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হলে তিনি কিছু দিন গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সাধারণ ভ্যান শ্রমিক থেকে কয়েক বছরে পৌরশহরের কলেজ পাড়া এবং উপজেলা কমপ্লেক্স সংলগ্ন এলাকায় ৪টি জায়গার মালিক হয়েছেন তিনি। ২টি পাকা বাড়ি করেছেন। একটিতে তিনি থাকেন। আরেকটি ভাড়া দেওয়া। বাকী ২টি প্লট খালি রয়েছে। এছাড়াও নগদ টাকার মালিক হয়েছেন তিনি।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবুল হাসিম বলেন, আটক মুসলেম মিয়া মারামারি, অগ্নিসংযোগ ও বিস্ফোরক আইনের মামার আসামী।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলায় খেলাঘর আসরের নববন্ধন খেলাঘর আসরের প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সম্মেলন উদ্বোধন করেন খেলাঘর আসর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত।
শিক্ষক অলক কুমার চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, খেলাঘর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারন সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জুয়েলুর রহমান।
সম্মেলনে শিশুদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, প্রান্তিকা সাহা, হুমায়রা লাবিবা খুশবু ও রুদ্রজিৎ পাল। তাদের বক্তব্যে অচিরেই আখাউড়াতে একটি আঞ্চলিক ক্যাম্প করার দাবি জানানো হয়। এ দাবির প্রতি সমর্থন জানান প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিরা। আলোচনা শেষে ২১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কমিটিতে দৈনিক কালের কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ পাল বাবুকে সভাপতি, দৈনিক ভোরের কাগজের আখাউড়া প্রতিনিধি জুটন বনিককে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়।
কমিটিতে সহ-সভাপতি কাজী স্বপ্না সিফাত, পরিমল সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান খান, আশীষ সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ সঞ্জয় সাহা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ রুবেল আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক মাসুকুর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক তাহমিনা আক্তার।
কার্যকরি সদস্য হলেন, আশিষ বিশ্বাস, পলাশ সাহা, নাহিদা আহমেদ শিথিলা, বাসুদেব বিশ্বাস, শুক্লা রায়, মোঃ সাগর, প্রানেশ ঘোষ, সাজ্জাদ খান প্রান্ত, দুর্জয় বনিক, মনি দাস।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় প্রাইভেটকার ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে মো. হোসাইন নামে পাঁচ বছরের এক শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ওই শিশুর নানীসহ তিনজন। নিহত হোসাইন আখাউড়া উপজেলার ছতুরা শরীফ এলাকার রিপন মিয়ার ছেলে।
আজ ১১ জুন মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের তন্তর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে জেলার সদর উপজেলার ঘাটিয়ারা গ্রামের পুষ্প আক্তার ও কসবা উপজেলার ঘুরিয়ারুপ গ্রামের মিঠু মিয়া জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আখাউড়ার ধরখার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মাসুদ জানান, উপজেলার তন্তর এলাকায় কুমিল্লা অভিমুখী প্রাইভেটকারের সঙ্গে বিপরীতমুখী অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশার যাত্রী নানীর কোলে থাকা এক শিশু মারা যায়। আহত দু’জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় প্রাইভেটকার ও অটোরিক্সাটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা যায়নি। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য ও যাত্রীসেবার মান বাড়াতে শীঘ্রই আখাউড়া স্থলবন্দরে অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মানজারুল মান্নান।
আজ ২৬ অক্টোবর শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এসব কথা জানান তিনি। বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর সবকিছুই নতুনভাবে গঠন করতে হচ্ছে। তবে আশা করছি শীঘ্রই আখাউড়া স্থলবন্দরের উন্নয়নমূলক অবকাঠামোগত কাজগুলো শুরু হবে। এর ফলে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্যে প্রসার ঘটবে। আর বাণিজ্য বাড়লে রাজস্বও বাড়বে।
তিনি আরো বলেন, আমদানি-রপ্তানি পণ্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে সরকারকে অনেক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এ বন্দর দিয়ে সব পণ্য আমদানির অনুমতি দিলে বাণিজ্য বাড়বে।
এ বিষয়টি আমরা আগেও উপস্থাপন করেছি। যখন বন্দরে অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বাড়বে, তখন হয়তো সরকার সব ধরনের পণ্য আমদানি পণ্যের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে।
মানজারুল মান্নান সংশ্লিষ্টদের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে আখাউড়া স্থলবন্দরের যাত্রী পারাপার ও রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এসময় চেয়ারম্যানের সঙ্গে ভারতের আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য আতিকুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজালা পারভীন রুহি, আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান, রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান খান ও আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খাইরুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ও বিজয়নগর উপজেলায় বিজিবি’র পৃথক অভিযানে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য উদ্ধার হয়েছে। ২৫ অক্টোবর শুক্রবার রাতে আখাউড়ার বাউতলা সীমান্ত ও বিজয়নগরের চান্দুরা এলাকায় বিজিবি-২৫ ও বিজিবি-৬০ ব্যাটালিয়ন এ অভিযানচালায়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, রাত ১০টার দিকে বাউতলা এলাকায় বিজিবি’র ৬০ ব্যাটালিয়নের অভিযানে ৫২৬০ পিস ভারতীয় অবৈধ মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে জব্দ করা হয়। এসব ডিসপ্লে’র আনুমানিক মূল্য দুই কোটি ৬৩ লাখ টাকা। ২৫ ব্যাটালিয়নের অভিযানে রাত একটার দিকে চান্দুরা এলাকায় অভিযানে ৪৫০ কেজি জিরা, ৯৪২ মিটার সোফা ও কুশন কাভারের কাপড়, ১২ হাজার ৮৪৭ পিস বিভিন্ন ওষুধ, ছয় হাজার ৬৩৮ পিস সানগ্লাস, ২৮পিস শাড়ি, এক ৭৪৩ পিস ডগ ফুড, ২৩ হাজার ৫২০ পিস প্রসাধনী। এসব পণ্যের আনুমানিক মূল্য দুই কোটি ৬১ লাখ ৩০ হাজার ৭৪০ টাকা। এসব পণ্য আখাউড়া কাস্টমসে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে বিজিবি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সামাজিক বন্ধনকে সুসংহত রাখার লক্ষ্যে সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আজ ১০ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন পুলিশ সুপার মো. সাখাওয়াত হোসন। সমাবেশে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রশাসনের কর্মকর্তা, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা, ইমাম-পুরোহিত সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার কয়েক’ শ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমার সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পৌরভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ জামশেদ শাহ, উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জালাল উদ্দিন, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এ. মতিন, মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম চৌধুরী, ধরখার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাফিকুল ইসলাম, যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি চন্দন কুমার ঘোষ, উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক দীপক ঘোষ, সদস্য সচিব সাংবাদিক বিশ্বজিত পাল বাবু, মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ মাহমুদী, মাওলানা কাজী মাইনুদ্দিন, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু প্রমুখ।