চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা ডালিম নামের এক যুবককে নৃশংসভাবে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত রুবেল ও তার সহযোগীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।
আজ ৬ অক্টোবর রবিবার দুপুরে আইয়ুবপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও এলাকাবাসীর আয়োজনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সাগর, বিএনপি নেতা মাহফুজ মিয়া, মোঃ নবী মিয়া, উপজেলা শ্রমিকদলের কার্যকরী সদস্য জহিরুল হক, আইয়ুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য মোঃ জিলানি, মোঃ নাজিম উদ্দিনসহ অন্যান্যরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কড়িকান্দি গ্রামের ডালিমের উপর আক্রমণকারী চিহ্নিত সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ রুবেল এবং তার সহযোগীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষ বিচার করা হোক। যেন সন্ত্রাসীরা এই ধরনের অন্যায়মূলক বেআইনি কাজ আর কারো সাথে না করতে পারে।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি সুজন চন্দ্র পাল বলেন, গত ২৭ সেপ্টেম্বর কড়িকান্দি ফেরিঘাটে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ মারামারি করে, মারামারিতে ডালিম নামের একজন আহত হয়। এ ঘটনার সাথে জড়িত তিনজনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করি। মামলাটি তদন্তে আছে। তদন্ত শেষে আরো যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট প্রেরণ করার হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় আবদুল আহম্মদ ওরফে রুবেল নামে এক যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শকসহ (তদন্ত) তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
গতকাল রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রুবেলের মা বাদী হয়ে এ মামলা করেন। জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার মামলাটি আদেশের জন্য রেখেছেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরুণ কান্তি দে, এএসআই আল আমিন মানিক ও উপজেলার মধ্যপাড়ার রবি উল্লাহকে। ভুক্তভোগী রুবেল বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের চরশিবপুর গ্রামের লিল মিয়ার ছেলে।
মামলার আর্জি সূত্রে জানা যায়, মামলার তিন নম্বর আসামি রবি উল্লাহর সঙ্গে রুবেলের পরিবারের লোকজনের আগে থেকে বিরোধ ছিল। রবি উল্লাহর বিরুদ্ধে তারা আদালতে মামলাও করেছেন, যা চলমান রয়েছে। ১৪ মার্চ বিকাল ৪টার দিকে তারই প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় কোনো কারণ ছাড়াই এক নম্বর আসামি এএসআই আল আমিন অপর ৪ পুলিশ সদস্যকে নিয়ে বাড়ি থেকে রুবেলকে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে তাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুসি, লাথিসহ লাঠি দিয়ে মারধর করে তারা। থানায় নিয়ে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তরুণ কান্তি দে ও এএসআই আল আমিন আবারও তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায়। এতে রুবেলের পুরো শরীর মারাত্মক জখম হয়। থানায় নির্যাতনের বিষয়ে রুবেলের মা আমেনা বেগম সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিলে ১৬ মার্চ দুপুর ২টায় রুবেলকে একটি মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
রুবেলের মা আমেনা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে ১৪ মার্চ বাড়ি থেকে তুলে নেওয়া হয় অথচ ১৬ মার্চ আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ। ২৪ ঘণ্টার বেশি হেফাজতে রেখে আমার ছেলেকে নির্যাতন করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী মাসুদুর রহমান বলেন, বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের ধারায় দুই পুলিশ সদস্যসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আদেশ দেওয়ার জন্য রেখেছেন। ২০ মার্চ সোমবার আদেশ দিতে পারেন। এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরুণ কান্তি দের বক্তব্য জানতে তার মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম বলেন, শুনেছি আদালতে একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তবে আমাদের পুলিশের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা। এএসআই আল আমিন মানিক বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
চলারপথে রিপোর্ট :
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী একে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, খালেদা জিয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। তারেক রহমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিশ্বের মানুষ বলে, ‘দুর্নীতিতে অনার্স, মানি লন্ডারিংয়ে মাস্টার্স’।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় পৃথিবীর সেরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করছেন। মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বিশ্বমানের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করছেন।
আজ ৬ মার্চ সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে উজানচর কংশ নারায়ণ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে লেখা ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইটি বিতরণ করা হয়। এ উপলক্ষে স্কুলের পার্শ্ববর্তী মাঠে সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম।
উপমন্ত্রী বলেন, ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইয়ে বঙ্গবন্ধুর সাম্রাজ্যবাদবিরোধী মনোভাব, অসাম্প্রদায়িক ভাবাদর্শ ও বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার গভীর পরিচয় মেলে। বইটি থেকে অনেক কিছু জানার আছে, যা এ সময়ে বলা সম্ভব নয়।
সমাবেশে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উজানচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী জাদিদ আল রহমান জনির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের এমপি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমিন, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মহি প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় আবদুল আহম্মদ ওরফে রুবেল (২৬) নামে এক যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের চরশিবপুর গ্রামের লিল মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আবদুল আহম্মদের মা আমেনা বেগম। ডাকযোগে পাঠানো অভিযোগটি ২২ মার্চ বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে৷
অভিযুক্তরা হলেন, বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরুণ কান্তি দে, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আল-আমিন মানিক ও উপজেলার দুর্গাপুরের মধ্যপাড়ার বাসিন্দা রবি উল্লাহ।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রবি উল্লাহ সঙ্গে আবদুল আহম্মদ ওরফে রুবেলের পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে আবদুল আহম্মদের পরিবার রবি উল্লাহর বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও করেছে। মামলাটি চলমান। এরই জেরে রবি উল্লাহর সঙ্গে আহম্মদের বিরোধ আরো প্রকট হয়। রবি উল্লাহ ক্ষিপ্ত হয়ে আহম্মদ ও তার পরিবারের লোকজনের ক্ষতি করার চেষ্টা করে আসছিলেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ মার্চ বিকেলে রবি উল্লাহর প্ররোচনায় ও প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় অন্যায়ভাবে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার এএসআই আল আমিনসহ চারজন সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্য আবদুল আহাম্মদকে তার বাড়ি থেকে আটক করেন। থানায় নিয়ে রবি উল্লাহর কথা মতো পরিদর্শক তরুণ কান্তি দে ও এএসআই আল-আমিন দফায় দফায় লাঠি দিয়ে আবদুল আহাম্মদকে মারধর করেন। মারধরের কারণে আহাম্মদের পুরো শরীরে রক্তাক্ত জখম হয়।
আটকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আব্দুলকে আদালতে না পাঠিয়ে থানায় শারীরিকভাবে নির্যাতন অব্যাহত রাখলে তার মা সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নেন। বিষয়টি জেনে তড়িঘড়ি করে আটকের একদিন পর ১৬ মার্চ দুপুরের দিকে আবদুলকে একটি মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
সেখানে আব্দুলের শরীরের জখম দেখে আদালতের পুলিশ সদস্যরা তাকে গ্রহণ না করে চিকিৎসার পরামর্শ দেন। সেসময় আদালত থেকে আবদুলকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে পুনরায় আদালতে নেওয়া হয়। পরে আদালত তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এই ঘটনায় গত ১৯ মার্চ রবিবার নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে তাদের তিনজনকে আসামি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আহাম্মদের মা আমেনা বেগম বাদী হয়ে অভিযোগ দেন। পরদিন ২০ মার্চ সোমবার জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার মামলাটি খারিজ করে দিয়ে এ বিষয়ে পুলিশ সুপারকে জানানোর সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে কিছু নির্দেশনা দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আহম্মদের মা।
আবদুল আহম্মদের স্ত্রী মায়া মনি বলেন, আমার স্বামীকে আটকের পর পুলিশ হেফাজতে রেখে নির্যাতন করে। ১৪ মার্চ তাকে আটক করলেও ১৬ মার্চ তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আদালতের পাঠায়।
তিনি আরো বলেন, আবদুলকে প্রচুর নির্যাতন করে আদালতে পাঠালে কোর্ট পুলিশ আহতাবস্থায় তাকে গ্রহণ করেনি। আদালত থেকে চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে যাওয়ার প্রমাণ সিসিটিভি ফুটেজ দেখলে মিলবে। পুলিশের ভয়ে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দেবেন।
বাঞ্ছারামপুর প্রতিনিধি :
বাঞ্ছারামপুরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধের জের ধরে সাবেক ইউপি সদস্য অলি মিয়া (৪৮) কে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকেরা।
গত রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলাপর ছলিমাবাদ ইউনিয়নের তাতুয়াকান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ মুরশিদ মিয়া (৪৫), ফুল মিয়া (৩৬), স্বর্ণালী আক্তার (২৩) ও শিল্পী বেগমকে আটক করেছে।
নিহত অলি মিয়া ছলিমাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ছিলেন। তিনি তাতুয়াকিান্দি গ্রামের মৃত সহিদ মিয়ার ছেলে।
পুলিশ, স্থানীয় সূত্র ও পরিবারের সদস্যরা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও বিল থেকে মাটি কাটার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাবেক মেম্বার অলি মিয়ার সাথে একই এলাকার ইকবাল মিয়ার বিরোধ চলে আসছিলো। এনিয়ে উভয় দলের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আদালতে পাল্টাপাল্টি মামলা চলমান। অলি মিয়া তার পরিবার পরিজনসহ উপজেলা সদরে বসবাস করতো। গত রবিবার সন্ধ্যায় অলি মিয়া বাড়িতে যাওয়ার পথে বাড়ির সন্নিকটে পৌছলে তাকে একা পেয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে টেটাবিদ্ধ ও এলোপাথারী কুপিয়ে তাকে হত্যা করে।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রঞ্জন বর্মন তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে ছলিমাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনিছুজ্জামান বকুল বলেন, অলি মেম্বার ছলিমাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তার হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের আমরা দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করি।
এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম জানান, সোমবার জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিহত অলি মিয়ার ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। লাশ দাফনের পর মামলা হবে। তিনি বলেন, হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ মুরশিদ মিয়া (৪৫), ফুল মিয়া (৩৬), স্বর্ণালী আক্তার (২৩) ও শিল্পী বেগমকে আটক করেছে।
তিনি বলেন, ইকবালের বিরুদ্ধে বাঞ্ছারামপুর থানায় ৯টি ও অলি মিয়ার বিরুদ্ধে ৪টি মামলা রয়েছে। এলাকার পরিবেশ বর্তমানে নিয়ন্ত্রনে আছে।
পরবর্তী অপ্রীতিকর ঘটনার আশংকায় এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈদ্যনাথতলার সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিকনির্দেশনায় স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে বলে মন্তব্য করেছেন অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম এম.পি।
আজ ১৭ এপ্রিল বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন তাজ বলেন, ‘একদল স্বার্থান্বেষী একাত্তর থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত দেশ-বিদেশে সরকারবিরোধী অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। ওই সব লোকজনের অপপ্রচারের বিষয়ে আপনাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে।’
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহা. আবুল মনসুরের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলার নারী ভাইস চেয়ারম্যান জলি আক্তার, ভাইস চেয়ারম্যান সায়েদুল ইসলাম বকুল ভূইয়া, পৌর মেয়র তফাজ্জল হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নজরুল ইসলাম, বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী জাদিদ আল রহমান জনি প্রমুখ।