চলারপথে রিপোর্ট :
বিজিবির বিশেষ অভিযানে বিজয়নগরে প্রায় অর্ধকোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় পণ্য জব্দ করা হয়েছে।
এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে- মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে, ভারতীয় ট্যাবলেট, ভারতীয় ক্রিম, ভারতীয় উন্নতমানের জর্জেট শাড়ি এবং ভারতীয় সিগারেট।
৫ অক্টোবর শনিবার বিজিবির সরাইল ব্যাটালিয়ন ২৫ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সরাইল ব্যাটালিয়ন ২৫ বিজিবির অধীনস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা বাইপাস নামক এলাকায় একটি বিশেষ অভিযানে সিলেট হতে ঢাকাগামী এস এ পরিবহনের একটি কাভার্ড ভ্যান হতে এসব ভারতীয় মালামাল জব্দ করতে সক্ষম হয়।
বর্তমানে জব্দকৃত ভারতীয় চোরাচালানী মালামালসমূহ বিজিবি’র হেফাজতে রয়েছে যা আখাউড়া কাস্টমস্ অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
বিজয়নগর প্রতিনিধি :
বিজয়নগরে মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জের ধরে চাচাতো ভাই আশরাফুল ইসলাম (৩৫) এর ছুরিকাঘাতে অপর চাচাতো ভাই মোঃ নিয়ামুল (২৫) নিহত হয়েছে।
আজ ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেলে উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের নলগরিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘাতক আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে।
নিহত নিয়ামুল নলগরিয়া গ্রামের তাহের মিয়ার ছেলে এবং গ্রেফতারকৃত আশরাফুল ইসলাম একই বাড়ির আবদুল মোতালেবের ছেলে। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, আশরাফুল ইসলাম ও নিয়ামুল উভয়েই মাদক ব্যবসা করতো। মাদক ব্যবসা নিয়েই তাদের মধ্যে বিরোধ ছিলো।
এই বিরোধের জেরে বুধবার বিকেল চারটার দিকে আশরাফুল ইসলাম নিয়ামুলকে তার বাড়ির সামনে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তর্কবির্তকের এক পর্যায়ে নিয়ামুলকে ছুরিকাঘাত করে আশরাফুল।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ামুলকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রাজু আহমেদ বলেন, আশরাফুল ইসলাম ও নিয়ামুল উভয়েই মাদক ব্যবসায়ী। মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জের ধরে আশরাফুল নিয়ামুলকে ছুরিকাঘাত করলে হাসপাতালে নেয়ার পর নিয়ামুল মারা যায়। আমরা ঘাতক আশরাফুলকে গ্রেফতার করেছি। নিয়ামুলের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো প্রক্রিয়া চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা জাপান ইটভাটার শ্রমিকের লাশ পাওয়া গেছে।
আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে স্থানীয়রা ধানের জমিনের আইলে লাশ পরে থাকতে বিজয়নগর থানা পুলিশকে অবহিত করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শ্রমিক মোঃ ফজলুল হক (৫৫) এর লাশ উদ্ধার করে।
সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর গ্রামের মৃত মোঃ হেলাল উদ্দিন ছেলে।
জাপান ইটভাটার মালিক পক্ষ দাবি করেন, শ্রমিকের দায়িত্ব সর্দারের। আর তাদের খোঁজ রাখার দায়িত্বও সর্দারের। শনিবার সন্ধ্যায় ওষুধ আনতে ডাকবাংলো মোড় যাওয়ার জন্য বের হয়।
বিজয়নগর থানার এস.আই মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান, জমিতে লাশ পরে থাকার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে মাদক ও বিভিন্ন সরঞ্জামসহ উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিলুফা ইয়াসমিন ও তার স্বামী মিনার মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা যায়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে আজ ১৩ অক্টোবর রবিবার ভোর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী কর্তৃক অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় মাদক ব্যবসায়ী মোঃ মিনার মিয়া (৬০) ও তার স্ত্রী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেম্বার মোছাঃ নিলুফা ইয়াসমিন (৪৫)কে নিজ বাড়ি হতে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ৭৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২টি পাসপোর্ট, ৭৮টি ভুয়া এনআইডি কার্ড, ৫ হাজার ইন্দোনেশিয়ান রুপি, ১ হাজার ১ শ ৪০ ভারতীয় রুপি এবং মাদক বিক্রির নগদ প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের উদ্ধারকৃত দ্রব্যসামগ্রীসহ বিজয়নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদেরকে আটক না করা পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরের মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে হামলার শিকার হয়ে আক্তার মিয়া (৭০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন।
আজ ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার ভোরে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের পূর্ব পাশে সড়কে এই ঘটনা ঘটে। আক্তার মিয়া ওই এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভোরে মসজিদে নামাজ পড়তে যান আক্তার মিয়া। এর কিছুক্ষণ পর সড়কে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যায় স্থানীয়রা। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরো বলেন, এই ঘটনায় পরিবারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন হিসেবে আক্তার মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলামকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে। সাইফুল একজন মানসিক প্রতিবন্ধী এবং তিনি বিভিন্ন মাজারে ঘুরে বেড়াতেন। তার বাবার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিল না। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনের বিজয়নগরে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির নৌকা প্রতীকের পোষ্টার ছিড়ে ফেলার দায়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমানের (কাঁচি প্রতিক) সমর্থক আক্কাছ ভূইয়াকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ২০ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মেহেদি হাসান শাওন উপজেলার আউলিয়া বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অভিযুক্ত আক্কাছ ভূঁইয়াকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে তা আদায় করেন। অর্থদন্ডপ্রাপ্ত আক্কাছ ভূঁইয়া উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মধু ভূইয়ার ছেলে।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মেহেদি হাসান শাওন বলেন, দুপুরে উপজেলার আউলিয়া বাজার এলাকায় একটি পিকআপ ভ্যান থেকে রাস্তার উপর টানানো (ঝুলন্ত) নৌকা প্রতীকের পোষ্টার ছিড়ছিলো কাঁচি প্রতীকের সমর্থক আক্কাছ ভূঁইয়া।
স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ অনুসারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অভিযুক্ত আক্কাছ ভূঁইয়া পোষ্টার ছিঁড়ার কথা স্বীকার করায় ৭(২) ধারা লঙ্ঘনের অপরাধে ১৮(১) ধারা অনুসারে আক্কাছ ভূঁইয়াকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করে তা আদায় করা হয়। অভিযুক্ত আক্কাছ ভূঁইয়া ভবিষ্যতে আচরণ বিধিমালা প্রতিপালনের বিষয়ে সতর্ক থাকবেন মর্মে জানান।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসাদুল ইসলামসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।