চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৩৬ বোতল ফেন্সিডিল, ১০৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ২ কেজি গাঁজাসহবিপুল পরিমান মাদকসহ ৭ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃংখলা বাহিনী। এ সময় একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়। আজ ৬ অক্টোবর রোববার সকালে ও শনিবার বিকেলে পৃথক অভিযানে জেলার নাসিরনগর, আশুগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-৯-এর সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ মশিহুর রহমান সোহেল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ মিডিয়া উইংস থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের সেলিনা আক্তার (৪০), একই এলাকার লাকী আক্তার (৩২), উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের মোঃ ফরিদ মিয়া (৩৪) ও একই এলাকার রুমা আক্তার (৩০), হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার নাজমুল (২৯), আশুগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের আবদুল জলিল (৪৫) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রামের মোঃ ইমন মিয়া (২৩)।
পুলিশ মিডিয়া উইংস থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, রোববার সকালে আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে থেকে ১৪০ বোতল ফেন্সিডিলসহ নাজমুল ও আবদুল জলিলকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।
অপর অভিযানে রোববার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রাম থেকে ১০৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মোঃ ইমন মিয়াকে গ্রেফতার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পুলিশ।
পৃথক অভিযানে শনিবার রাতে র্যাব সদস্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা থেকে ৯৬ বোতল ফেনসিডিল এবং ২ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী সেলিনা আক্তার, লাকী আক্তার, মোঃ ফরিদ মিয়া ও রুমা আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
অবৈধ রিক্সার লাইসেন্স বাতিল, প্রকৃত রিক্সার শ্রমিকদের লাইসেন্স দেওয়া, জলাবদ্ধতা নিরসনসহ আট দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা কমিটি ও রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন।
আজ ২৩ আগস্ট বুধবার দুপুরে এ ঘেরাও কর্মসূচি পালিত হয়।
কমিউনিস্ট পার্টি ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি সৈয়দ মো. জামালের সভাপতিত্বে ঘেরাও কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম, আসমা খানম, অসিত পালসহ অনেকে।
এসময় বক্তারা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়া না হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি শেষে পৌর মেয়রের কাছে স্মারকলিপি দেন তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ড. মুুহম্মদ শহীদুল্লাহ গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড (২০২৩) পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভার প্যানেল মেয়র, পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মীর মোঃ শাহীন।
বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গত শনিবার ঢাকার ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মীর মোঃ শাহীনের হাতে এই সম্মাননা এ্যাওয়ার্ড তুলে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক উপমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক সিদ্দিকী।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন এম.এ আউয়াল।
বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আতাউল্লাহ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দেশবরেণ্য গীতিকার ও সুরকার মোঃ মাসুদুর রহমান মিলকী ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলনের সহ-সভাপতি লায়ন খন্দকার রেজাউল করিম।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব এম. এইচ আরমান চৌধুরী।
এ ব্যাপারে সম্মাননা পাওয়া মীর মোঃ শাহীন বলেন, জাতীয়ভাবে সম্মাননা পেয়ে আমি গর্বিত। সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ আমার আরো বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, এর আগেও আমি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কাজের স্বীকৃতি পেয়েছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কেন্দ্রীয় মন্দির শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালীবাড়িতে নব-নির্মিত চারতলা বিশিষ্ট “ভক্ত নিবাস” এর উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ১২ মে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ভবনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
পরে মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, যারা সাম্প্রদায়িকতার সাথে জড়িত তাদেরকে আমি মানুষ বলিনা, তারা মানুষ নামধারী বর্বর।
তিনি বলেন, সামনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ওই নির্বাচনে আমিও দলের কাছে আবার মনোনয়ন চাইব। তবে এই নির্বাচনে এই আসন থেকে যে কোনো লোক নির্বাচন করলে আমার আপত্তি নেই। তবে তাকে বাঙ্গালীর প্রাণের গান ও শ্লোগান “ আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি এই গান গাইতে হবে এবং “জয় বাংলা” শ্লোগান বলতে হবে। যে এই গান গাইবে না ও এই শ্লোগান বলবে না, আমি তার সাথে নেই। স্বাধীনতা ও জয় বাংলার প্রশ্নে আমি আপোষহীন। যারা এই কথায় বিশ্বাস করেন তারা আগামী নির্বাচনে আমার পাশে থাকবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট মাহাবুবুল আলম খোকন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সহকারি পরিচালক মনি শংকর কীর্তনিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী, আনন্দময়ী কালী বাড়ির ট্রাস্টি কমিটির সভাপতি অরুপ সাহা, সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার রায়, সদস্য বিভাষ রায়, আশিষ কুমার পাল, সাংবাদিক উজ্জ্বল চক্রবর্তী, মোঃ শাহাদাৎ হোসেন, অ্যাডভোকেট রাকেশ রায় সহ সনাতন ধর্মের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলার সুহিলপুর গরুর বাজারের সরকারি জমি ইজারা না নিয়ে নির্মাণ করা স্থাপনা সরানোর কাজ শুরু হয়েছে।
স্থানীয় প্রভাবশালীরা নিজ উদ্যোগে স্থাপনা থেকে ইট সরানোর কাজ শুরু করেছেন।
জানা গেছে, সদর উপজেলার সুহিলপুর গরুর বাজারের সরকারি জমি ইজারা না নিয়ে দোকান নির্মাণ করে তা মোটা অঙ্কের টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এতে বাজার সংকুচিত হয়ে পড়ে। স্থানীয় ব্যক্তিরা বলেন, চার জনপ্রতিনিধির আত্মীয়স্বজন ও ঘনিষ্ঠজনেরা এর সঙ্গে জড়িত। প্রায় দেড় মাস ধরে দোকান নির্মাণের এ কাজ চললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ঘটনায় গত ২২ জানুয়ারি সুহিলপুর গ্রামের আরিফুল হক চৌধুরী, আবদুল ছোবান, মো. কামাল ও শামিম জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
আজ ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার গিয়ে দেখা যায়, সুহিলপুর গরু বাজারের উত্তর ও পূর্বদিকে সরকারি খাস জায়গা ইজারা ছাড়াই নির্মাণ করা দোকানের চারপাশের দেয়াল ভেঙে ইট সরানোর কাজ চলছে। সুহিলপুর গ্রামের শাহিন মিয়া নামে এক রাজমিস্ত্রীর সর্দার দোকান ভাঙার কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তবে ছয়টি দোকানের পশ্চিম দিকে দুটি শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে। সুহিলপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তোফাজ্জাল হোসেন কাজটি তদারকি করছেন।
শাহিন মিয়া বলেন, সবগুলো দোকানের স্থাপনার (দেয়ালের ইট) ইট-সিমেন্ট ভাঙ্গা হবে। বাজারের উত্তর পশ্চিম দিকে নির্মাণ করা ছয়টি দোকান এবং উত্তর-পূর্ব দিকের একটি দোকানের স্থাপনা ভাঙ্গা হবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, গত রবিবার সদর উপজেলার সুহিলপুর গরু বাজার পরিদর্শন করি। ইজারা না পেয়েও যারা দোকান নির্মাণ করেছেন, তারা নিজ উদ্যোগে স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞা করে একদিনের সময় চেয়েছে। তাই তাদের একদিনের সময় দেয়া হয়েছে। জায়গাটি কাউকে ইজারা দেয়া হয়নি। তাই এখানে দোকান ঘর করার কোনো সুযোগ নেই। যদি তারা নিজ উদ্যোগে স্থাপনা না সরান তাহলে আমরা অভিযান চালিয়ে স্থাপনা উচ্ছেদ করব।
চলারপথে রিপোর্ট :
জন্ম নিবন্ধনের কাগজে সই আনতে গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে সংরক্ষিত নারী সদস্য ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী নারী বিয়ের জন্য চাপ দিলে চেয়ারম্যান প্রথমে রাজি হলেও পরে অস্বীকার করেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত চেয়াম্যানের নাম মো. সোলাইমান মিয়া। তিনি তালশহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। অন্যদিকে ভুক্তভোগী একই ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য।
ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় সাত মাস আগে একটি জন্ম নিবন্ধনে স্বাক্ষর নিতে তিনি চেয়ারম্যান সোলাইমান মিয়ার বাড়িতে যান। সেখানে একা পেয়ে চেয়ারম্যান তাকে ধর্ষণ করেন। পরে ওই নারী ঘটনা প্রকাশ করে দিতে চাইলে, সোলাইমান মিয়া তাৎক্ষণিকভাবে তার কাছে মাফ চান এবং তাকে বিয়ে করবেন বলে কথা দেন। পরে ওই নারী সদস্যকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রায় ৭ মাস ধরে ঢাকার ঈশা খাঁ হোটেলসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক বজায় রাখেন।
দুই মাস আগেও তিনি দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে জানান। পরে চেয়ারম্যানের কথায় সেই বাচ্চাও নষ্ট করে ফেলেন ভুক্তভোগী।
এখন ইউপি চেয়ারম্যান সোলাইমান মিয়া তাকে বিয়ে না করলে ভুক্তভোগী ওই নারী বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করবেন বলে জানান। পাশাপাশি তাকে বিষের বোতল হাতে নিয়ে ঘুরতেও দেখা গেছে বলে জানায় স্থানীয়রা।
এদিকে এসব ঘটনা ওই নারীর স্বামী জেনে ফেলেন এবং এর জেরে গত ২৫ মে তাকে তালাক দেন।
অন্যদিকে গত ২৯ মে রাতে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ৬ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে বিষয়টি জোরপূর্বক আপস মীমাংসা করে দিয়েছেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে।
এ বিষয়ে তালশহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সোলমান মিয়া বলেন, এ ধরনের অভিযোগের কথা আমি শুনেছি। তবে এখনো মূল কারণ সম্পর্কে অবগত হইনি। আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।