অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আবারও দেশের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ ৬ অক্টোবর রোববার সেনাবাহিনী সদরদপ্তরে ‘সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। পদোন্নতি পর্ষদের বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-শ্রমিক-জনতার বিপ্লবে সিক্ত নতুন বাংলাদেশে সবাইকে স্বাগত জানান। এসময় জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের তিনি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
তিনি আরো স্মরণ করেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সশস্ত্র বাহিনী তথা সেনাবাহিনীর শহীদসহ সকল বীর সেনানীদের, যাদের আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
ড. ইউনূস বলেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে দেশকে এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা করেছে। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আবারও দেশের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
অনুষ্ঠান স্থলে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী, চিফ অব জেনারেল স্টাফ এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার। সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সচিব উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় নির্মীয়মাণ একটি সেতুর বিকল্প সড়কে পাথর রাখার ঘটনায় সিমেন্টবাহী একটি ট্রাক খাদে পড়ে যায়। এ সময় আটকা পড়ে ঢাকা-আগরতলা সার্ভিসের বাস। এতে এই গরমে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
আজ ২৪ এপ্রিল বুধবার সকালে আখাউড়া-আগরতলা সড়কের আব্দুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আখাউড়া উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সড়ক থেকে পাথর সরিয়ে নেওয়ার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করেন সংশ্লিষ্টরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার গাজীর বাজার এলাকা পার হয়ে একটি সেতুর নির্মাণকাজ করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজটি করানো হচ্ছে।
বেইলি সেতু ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে বিধায় এর পাশ দিয়ে বিকল্প সড়ক করা হয়। সকাল থেকে ওই বিকল্প সড়কে নির্মাণকাজের জন্য পাথর রাখা হয়। এতে সড়কটি একেবারে সংকীর্ণ হয়ে পড়ে। ছোট ছোট যান চলতেও বেশ বেগ পেতে হয়।
সকালে স্থলবন্দরগামী সিমেন্টবাহী একটি ট্রাক ওই জায়গাটি পার হতে গিয়ে উল্টে খাদে পড়ে যায়। পরে একটি প্রাইভেট কার পার হতে গিয়েও এখানে আটকে যায়।
এদিকে ঢাকা-আগরতলা পথের রয়েল মৈত্রী পরিবহনের বাসও বাংলাদেশে প্রবেশ করে আটকা পড়ে। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাবেয়া আক্তার। যাত্রী দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে তিনি উদ্যোগ নিয়ে পাথর সরানোর ব্যবস্থা করলে এ পথে যান চলাচল শুরু হয়।
রয়েল মৈত্রী বাসের যাত্রী প্রশান্ত গুপ্ত বলেন, ভারতের আগরতলা থেকে তারা গাড়িতে ওঠেন। আখাউড়া স্থলবন্দর আসার পর জানতে পারেন সড়কে সমস্যার কথা। এ অবস্থায় তাঁদের দুই ঘণ্টার মতো অপেক্ষা করতে হয়।
ইউএনও রাবেয়া আক্তার জানান, খবর পেয়ে তিনি সেখানে ছুটে যান। মূলত সড়কে সেতু নির্মাণকাজের পাথর রাখায় সমস্যা দেখা দেয়। পাথর সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে আটক চট্টগ্রামের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়।
আজ ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়াম থেকে তাকে নিয়ে হেলিকপ্টারটি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।
গত ১২ সেপ্টেম্বর সকালে ভারতে পালানোর সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া সীমান্তে আটক হন চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের ওই সংসদ সদস্য। অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তার বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মামলা দেয়।
ওই মামলায় রাতেই তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। পরে চট্টগ্রামে দায়ের হওয়া একাধিক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংশ্লিষ্টদের কাছে চিঠি আসে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারের সুপার শহিদুল ইসলাম জানান, অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলায় ফজলে করিম কারাগারে ছিলেন। বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যান। পরে পুলিশের তত্ত্বাবধানেই তাকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়।
পুলিশ সুপার মো. জাবেদুর রহমানও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সাংবাদিকদেরকে তিনি জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে ফজলে করিমকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তাকে বহনকারী হেলিকপ্টার স্টেডিয়াম থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
চলারপথে ডেস্ক :
বড় দলকে বাংলাদেশ প্রথম হারাল, এমন নয়। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডকে সিরিজ হারানোর সুখস্মৃতি এখনও খুব একটা দূরের গল্প নয়। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই জয়টা আলাদা। তাদের সঙ্গে প্রথম বলে তো অবশ্যই , একই সঙ্গে টি-টোয়েন্টিতে খেলার ধরন, মানসিকতা, উইকেট সবকিছু মিলিয়েই।
সপ্তাহিক কর্মদিবসের প্রথম দিন বিকেল তিনটায় খেলা, তবুও গ্যালারি ছিল ভর্তি। তাদের গর্জনের সুরেও বোধ হয় ‘ভালো দল’ দেখার সেই সাক্ষী। মিরপুরে সন্ধ্যে নামার আগে জ্বলে উঠা মোবাইলের ফ্লাশলাইটে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টিতে বদলে যাওয়ার শুরু হলো কি না, উঠবে এখন এই আলোচনাও।
অনেকদিন ধরে হতাশার টি-টোয়েন্টি দল বিশ্বকাপের পর খেলতে নেমেছিল প্রথমবার। একাদশ, স্কোয়াডেও বদলও এসেছিল বেশ কিছু। ‘পারফরমারদের’ নিয়ে গড়া ‘সাকিব আল হাসানের দল’ দেখিয়েছে নতুন আশার আলো, দিয়েছে টি-টোয়েন্টিতে ভালো করার বার্তাও।
আজ ১২ মার্চ রবিবার মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এক ম্যাচ আগেই প্রথমটিতে জেতা স্বাগতিকদের জন্য নিশ্চিত হয়েছে সিরিজও। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে সব উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড পায় ১১৭ রানের সংগ্রহ। ৭ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছায় স্বাগতিকরা।
টস হেরে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। সফরকারীদের স্কোরকার্ডে তখন জমা হয়েছে ১৬ রান, ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই প্রথম আঘাত হানেন তাসকিন। তাকে বড় শট হাঁকাতে গিয়ে ডিপ থার্ড ম্যানে হাসান মাহমুদের হাতে ক্যাচ দেন ডেভিড মালান। ৮ বল খেলে এই ব্যাটার করেন ৫ রান। সঙ্গী হারালেও তিনে নামা মঈন আলীকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন ফিল সল্ট। ইংলিশদের চাপে ফেলতে তাসকিনকে দিয়ে টানা তিন ওভার করান সাকিব। উইকেটের দেখা না পেলেও ওই ওভারগুলোতে ১৯ রান দেন এই পেসার।
সপ্তম ওভারে নিজেই বোলিংয়ে এসে সল্টকে সাজঘরের পথ দেখান সাকিব। বাঁহাতি এই স্পিনারের ফ্লাইটেড ডেলেভারিতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে বসেন ইংলিশ ওপেনার। সাকিব দারুণ ক্যাচ নিলে ১৯ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন সল্ট।
এরপর দারুণ এক ইয়র্কারে জস বাটলারের স্টাম্প ভাঙেন হাসান। ৪ রানে বাটলার ফিরে গেলে মেহেদী হাসান মিরাজকে স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে শামীম পাটোয়ারির তালুবন্দি হন মঈন। ৫৭ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড।
এরপর স্যাম কারানের সঙ্গে ৪৪ রানের জুটি গড়েন বেন ডাকেট। তাদের জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ, ১৬ বলে ১২ রান করা কারান হয়েছেন স্টাম্পিং। এক বল পরেই ক্রিস ওকসকেও শূন্য রানে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন মিরাজ।
এই স্পিনার ৪ ওভারে কেবল ১২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার। কম খরুচে ছিলেন বাংলাদেশের প্রায় সব বোলারই। তাসকিন আহমেদ নিজের ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন, এক উইকেট নিতে সাকিব ৩ ওভারে দেন ১৩ রান। ১ উইকেট নেওয়া হাসান মাহমুদ ২ ওভারে ১০ রান দেন। মোস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে এক উইকেট নেন।
অল্প রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা বাংলাদেশের দরকার ছিল কেবল উইকেটে টিকে থাকা। মাঝেমধ্যে বড় টার্ন নিচ্ছিল বল, পিচও ছিল কিছুটা স্লো; কিন্তু মিরপুরের এই উইকেটে কীভাবে খেলতে হয় বাংলাদেশের ব্যাটারদেরই তা সবচেয়ে ভালো জানা। শুরুটা অবশ্য ছিল কিছুটা হতাশার।
রান খরায় ভুগতে থাকা লিটন দাস এদিনও আউট হন হতাশাজনকভাবে। ৯ বলে ৯ রান করে এই ব্যাটার স্যাম কারানের বলে পুল করতে যান। ডিপ স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো ফিল সল্টে হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ১৬ রানে এসে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রনি তালুকদারও পারেননি নিজের ইনিংস লম্বা করতে।
১৪ বলে ৯ রান করে এই ব্যাটার ক্যাচ তুলে দেন মঈন আলীর হাতে, জফরা আর্চারের বলে। তাওহীদ হৃদয় ব্যাটিংয়ে এসে দারুণ দুটি শট খেলেন। কিন্তু এই ব্যাটারও পারেননি ইনিংস টেনে নিতে। ২ চারে ১৮ বলে ১৭ রান করে পয়েন্টে দাঁড়ানো ওকসের হাতে তিনি ক্যাচ দেন রেহান আহমেদের বলে।
বাকিরা যখন পথ ধরছেন সাজঘরে, ফর্মে থাকা শান্ত তখন একাই টেনেছেন দলকে। সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেন কেউই তাকে দিতে পারেননি যোগ্য সঙ্গ। এক পর্যায়ে এসে ভয়ই ধরেছিল বাংলাদেশের। এর মাঝে অবশ্য মিরাজের ১৬ বলে ২ ছক্কায় ২০ রান কিছুটা চাপ কমায়। ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে আফিফ হোসেন ধ্রুব যখন ফেরেন, তখনও বাংলাদেশের ১৩ বলে দরকার ১৩ রান।
শান্ত ফিরলেই বাংলাদেশের জন্য ছিল হারের বড় শঙ্কা। কিন্তু ক্রিস জর্ডানের করা ১৯তম ওভারে প্রতি আক্রমণে যান তাসকিন আহমেদ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। এই ওভারে দুজন মিলে হাঁকান তিন বাউন্ডারি, শান্ত অপরাজিত থাকেন ৪৭ বলে ৩ চারে ৪৬ রান করে। জর্ডানের পঞ্চম বলে তাসকিনের চারে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো মিরপুর।
নাজমুল হোসেন শান্ত জড়িয়ে ধরেন ক্রিজে থাকা আরেক ব্যাটার তাসকিন আহমেদকে। শান্ত চিৎকার করে এমন কিছুই বলতে চাইলেন কি না, ‘আমরা এসেছি নতুনের বার্তা নিয়ে’ এটুকু অবশ্য নিশ্চিত হওয়া গেল না।
জয়ের বড় কৃতিত্ব অবশ্য ব্যাটিং করতে শেখা তাসকিনেও। তিনি পরপর দুই চার মেরে সাত বল থাকতে দেশকে সিরিজ জেতান।
অনলাইন ডেস্ক :
চাটুকারিতা করলে মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
আজ ১১ আগস্ট রবিবার দুপুরে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে এসে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, চাটুকারিতা করলে মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমি আপনাদের প্রমিস করছি যদি মিডিয়া চাটুকারিতা করে তাহলে মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে। টকশোতে চাটুকারদের ডাকবেন না। মিডিয়া চাটুকার হবেন না। একটা দেশ ডোবে কখন, যখন মিডিয়া সত্য কথা বলে না।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মিডিয়াগুলো ওই সময় যদি সত্যি ঘটনা তুলে ধরতো তাহলে পুলিশের এই অবস্থা হয় না। মিডিয়া বারবার বলেছে কিছুই হয়নি। কিন্তু বিবিসিতে আমি সব দেখেছি।
তিনি বলেন, টকশোতে জ্ঞান-গর্ভ কোনো আলোচনা হয় না। মিডিয়া সঠিক তথ্য তুলে ধরেন। একটা দেশ তখনই ডোবে যখন মিডিয়া সত্যি কথা বলে না।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরো বলেন, সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী লেখাপড়া জানা লোক, কিন্তু তিনি ছাত্রদের বললেন দুষ্কৃতকারী। এসবের বিচার হওয়া উচিত। মিডিয়ার মালিকদেরও বিচার হওয়া উচিত।
প্রধানমন্ত্রীকে আপনারা প্রশ্ন করেন কী! আপনি অমুক। আপনি অমুক জয় করে আসছেন। এগুলো কেমন প্রশ্ন, যোগ করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২৬৩ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে বিতরণের জন্য ২ কোটি ৩ লাখ টাকা অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ে এ অনুদান অনুমোদন দেওয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এ সংক্রান্ত অনুমোদনের নথিতে স্বাক্ষর করেছেন। শিগগিরই সাংবাদিকদের এ কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণ করা হবে। এর আগে চলতি অর্থবছরে প্রথম পর্যায়ে ২৩৬ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে ১ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, গণমাধ্যমবান্ধব ও সাংবাদিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের কল্যাণে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে দুস্থ, অস্বচ্ছল, দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিকদের এবং মৃত সাংবাদিকদের পরিবারের অনুকূলে আর্থিক সহায়তা বা কল্যাণ অনুদান প্রদান করা হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত ট্রাস্ট থেকে ৩ হাজার ৯৩২ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে ৩৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। সূত্র : বাসস