চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগমকে (শিউলি আজাদ) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৬ অক্টোবর রোববার রাতে ঢাকার নিকেতনের বাসা থেকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তাঁকে গ্রেফতার করে। রাতেই তাঁকে সরাইল থানা পুলিশের জিম্মায় দেয়া হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক। আজ ৭ অক্টোবর সোমবার সকালে তিনি বলেন, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগমকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আমাদের জিম্মায় রয়েছেন। আজ তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
তিনি বলেন, ৩ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানায় করা একটি হত্যা মামলায় উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি ওই মামলার ৪ নম্বর আসামি। সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা সুলতান উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে ২০২১ সালের ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সময় সরাইল বিশ্বরোড মোড় এলাকায় আসামিদের গুলিতে নিহত হন উপজেলার কাটানিশার গ্রামের মুজান মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া (২৭)। তিনি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক ছিলেন। ওই ঘটনায় মামলা করেন সুলতান উদ্দিন।
উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি প্রয়াত এ কে এম ইকবাল আজাদের সহধর্মিনী।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দর থেকে পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে শাহিন শেখ নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
২৫ নভেম্বর শনিবার রাতে তাকে রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত শাহিন উপজেলার বৌলগ্রামের শাহ আলম শেখের ছেলে।
জানা গেছে, টেকেরহাট বন্দরে শনিবার রাতে মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল এক ভুয়া পুলিশ সদস্য। এসময় বিষয়টি সাধারণ মানুষের সন্দেহে হলে এলাকাবাসী তাকে আটক করে রাজৈর থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তাকে আটক করে।
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ডাকাতি মামলাসহ বিভিন্ন ধরনের একাধিক মামলা রয়েছেন। এ সময় তার কাছ থেকে পুলিশের একটি ভুয়া আইডি কার্ড একটি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে।
৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সরাইল মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনীর কবল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সরাইলকে মুক্ত করেন। এদিন সকালে বিনা বাধায় মুক্তিবাহিনী ও মিত্র বাহিনী শহরে প্রবেশের মধ্য দিয়ে হানাদারমুক্ত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া। আনুষ্ঠানিকভাবে উড়ানো হয় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। মুক্ত দিবস উদযাপনে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও সরাইল উপজেলা প্রশাসনসহ নানা সংগঠন। সূত্রমতে, ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে শত্রুমুক্ত করতে জেলার আখাউড়া সীমান্ত এলাকায় মিত্রবাহিনী সদস্যরা পাকবাহিনীর ওপর বেপরোয়া আক্রমণ চালাতে থাকে।
১ ডিসেম্বর আখাউড়া সীমান্ত এলাকায় ২০ পাকিস্তানী সৈন্য নিহত হয়।
৩ ডিসেম্বর আখাউড়ার আজমপুরে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। সেখানে ১১ পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়। শহীদ হন ৩ মুক্তিযোদ্ধা। এরই মধ্যে বিজয়নগর উপজেলার মেরাশানী, সিঙ্গারবিল, মুকুন্দপুর, হরষপুর, আখাউড়া উপজেলার আজমপুর, রাজাপুর এলাকা মুক্তিবাহিনীর দখলে চলে আসে।
৪ ডিসেম্বর পাক হানাদাররা পিছু হটতে থাকলে আখাউড়া অনেকটাই শত্রুমুক্ত হয়। এখানে রেলওয়ে স্টেশনের যুদ্ধে পাক বাহিনীর দু’শতাধিক সেনা হতাহত হয়।
৬ ডিসেম্বর আখাউড়া উপজেলাকে শত্রুমুক্ত করার পর মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনী ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের দিকে দিকে অগ্রসর হতে থাকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের চারপাশে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর শক্ত অবস্থানের কারণে পিছু হটতে বাধ্য হয় পাক হানাদাররা। ৬ ডিসেম্বর শহর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় রাজাকারদের সহায়তায় তৎকালীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজের অধ্যাপক কে.এম লুৎফুর রহমানসহ কারাগারে আটকে রাখা অর্ধশত বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ মানুষকে শহরের কুরুলিয়া খালের পাড়ে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে পাক হানাদাররা। পরদিন ৭ ডিসেম্বর রাতের আঁধারে পাক হানাদাররা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ছেড়ে আশুগঞ্জের দিকে পালাতে থাকে। এর ফলে ৮ ডিসেম্বর বিনা যুদ্ধে মুক্ত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ওই দিন সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পুরাতন কাচারি ভবনের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাঞ্চলীয় জোনের প্রধান জহুর আহমেদ চৌধুরী। একই দিনে শত্রুমুক্ত হওয়ায় সরাইল থানা চত্বরেও উত্তোলন করা হয় লাল-সবুজ পতাকা।
এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মহানগর ও জেলা সদর উপজেলায় অবস্থিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষের (২০২৫) জন্যও প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশির) অধীন বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
আজ ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র গণমাধ্যমেক এই তথ্য জানিয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে আগামী সপ্তাহে আদেশ জারি হতে পারে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক অনুবিভাগ-১) খ ম কবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবারই বছরের শেষ সময়ে এসে পরবর্তী বছরের ভর্তির প্রক্রিয়া চলে। ভর্তি শেষে জানুয়ারিতে ক্লাস শুরু হয়। আগে কেবল প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির কাজটি হতো লটারির মাধ্যমে। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয়গুলোতে সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে একই প্রক্রিয়ায় ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই করা হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ প্রযোজনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীনির্ভর ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমা আজ ১৩ অক্টোবর সারা দেশের সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে। সিনেমাটি দেশবাসীকে দেখার আহ্ববান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভারতের খ্যাতিমান পরিচালক শ্যাম বেনেগালের পরিচালনায় ‘মুজিব’ সিনেমায় বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ। বৃহস্পতিবার সিনেমাটর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখেন। এ সময় তাঁর পাশে বসা ছিলেন বঙ্গবন্ধু চরিত্রে অভিনয় করা আরিফিন শুভও।
সিনেমা দেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে কী বলেছেন এমন প্রশ্নে সাংবাদিকদের আরিফিন শুভ জানিয়েছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর মেয়ে (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) মনে করেছে আমি তুলে ধরতে পেরেছি, আমি পেরেছি কি না সেটা ভাবার বা প্রয়োজন আমি দেখি না। যাঁর বাবার চরিত্র করেছি তার মনে হয়েছে আমি পেরেছি। যিনি তাকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন, একজন কন্যার যদি তাঁর বাবাকে নিয়ে মনে হয়, আমার বাবার চরিত্র এ সুন্দর করেছে। উনি রীতিমতো আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, কীভাবে করছে? কীভাবে করলা এত সুন্দর করে?’
সিনেমাটি প্রসঙ্গে কিছু বলার আছে কি না এমন প্রশ্নে আরিফিন শুভর উত্তর, ‘আমার তিন বছরের চেষ্টা সিনেমায় দেওয়া আছে। মানুষ দেখুক সেটার জন্য অপেক্ষা, নতুন করে কিছুই বলার নেই।’
বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ প্রযোজনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীনির্ভর ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমা শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সারা দেশের ১৫৩ সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে।
ভারতের খ্যাতিমান পরিচালক শ্যাম বেনেগালের ‘মুজিব’ সিনেমায় বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ, শেখ হাসিনার একটি চরিত্রে চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া ও বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেছার বড়বেলার চরিত্রে অভিনয় করছেন নুসরাত ইমরোজ তিশাসহ শতাধিক অভিনেতা কাজ করছেন সিনেমাটিতে।
২০২১ সালের জানুয়ারির শেষ দিকে মুম্বাইয়ের দাদা সাহেব ফালকে স্টুডিওতে সিনেমাটির প্রথম ধাপের শুট শুরু হয়। সিনেমাটিতে সহযোগী পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন দয়াল নিহালানি। চিত্রনাট্য লিখেছেন অতুল তিওয়ারি ও শামা জায়েদি। শিল্প নির্দেশনার দায়িত্বে রয়েছেন নীতিশ রায়। কস্টিউম ডিরেক্টর হিসেবে আছেন শ্যাম বেনেগালের মেয়ে পিয়া বেনেগাল।