অনলাইন ডেস্ক :
ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক-বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ১৭৫টি রকেট ছুড়েছে লেবাননের ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। ৭ অক্টোবর রোববার মধ্যরাত থেকে সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এসব রকেট ছোড়া হয় বলে জানিয়েছে তুরস্কভিত্তিক বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সি। এ হামলায় এখন পর্যন্ত কোনো ইসরায়েলে হতাহতের কোনো ঘটনাও ঘটেনি।
এদিকে, ইসরায়েলের সম্প্রচার সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২ জানায়, উত্তর ইসরায়েলের নাহারিয়া, হাইফা, এক্রে এবং ক্রায়ট শহরকে লক্ষ্য করে শতাধিক রকেট ছুড়েছে হিজবুল্লাহ। তবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই অধিকাংশ রকেট ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান অভিযানের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এদিনই হামাস জানায়, সোমবার তেল আবিবকে লক্ষ্য করে বেশকিছু রকেট ছুড়েছে গোষ্ঠীটি।
ইরানের সমর্থনপুষ্ট হিজবুল্লাহকে ধ্বংস করতে চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে দক্ষিণ লেবাননে অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। হিজবুল্লাহর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি ও সামরিক স্থাপনাগুলো রয়েছে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে।
লেবাননে ইসরায়েলি বাহিনীর গত প্রায় ২ সপ্তাহের অভিযানে ১ হাজার ২৫১ জন নিহত, ৩ হাজার ৬১৮ জন আহত এবং ১২ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ ও গোষ্ঠীটির কয়েকজন শীর্ষ কমান্ডারও রয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা, লক্ষ্মীপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ টানা সাতদিন বন্ধ থাকবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর। এ সময় বন্দরে আমদানি-রফতানিসহ সবধরনের বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে বন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের পারাপার থাকবে স্বাভাবিক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া।
তিনি জানান, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরে চিঠির মাধ্যমে ছুটির বিষয়টি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের তারা জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে আগামী ১০ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত বন্দরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এরপর লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে ১৬ ও ১৭ অক্টোবর আরো দুদিন বন্দরে বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। পরের দিন ১৮ অক্টোবর শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে ১৯ অক্টোবর শনিবার থেকে বন্দরে পুনরায় বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু হবে।
আখাউড়া চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ইনচার্জ মো. খায়রুল আলম বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা ও লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে বন্দরে বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী বৈধ যাত্রীদের পারাপার থাকবে স্বাভাবিক।
ডেস্ক রিপোর্ট :
বিশ্বব্যাংকের বোর্ড অব এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টরসে বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্ক (২০২৩-২৭) আলোচনা করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশের নতুন তিনটি প্রকল্পে ১.২৫ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন অনুমোদন করেছে।
আজ ২৮ এপ্রিল শুক্রবার নতুন ৩ প্রকল্পে এ অর্থায়ন অনুমোদন করা হয়।
সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-৪১ এ কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্কের (সিপিএফ) আওতাভুক্ত হবে। বিশ্বব্যাংকের এই অর্থ বাংলাদেশকে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জনে বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সহায়তা করার পাশাপাশি উচ্চ এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হবে। এছাড়া, বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থানে সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়তা করবে। যা ফলে আর্থ-সামাজিক অন্তর্ভুক্তি এবং জলবায়ু ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবে।
কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্কের (সিপিএফ) আওতায় আটটি উদ্দেশ্যেকে গুরুত্ব দিয়ে প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব করেছে। বিস্তৃতভাবে বেসরকারি খাতের উন্নয়নের জন্য ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করা; দীর্ঘমেয়াদী এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য আর্থিক মধ্যস্থতাকে শক্তিশালী করা; উন্নত সেবা প্রদানের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের উন্নত কার্যকারিতা; মানব পুঁজি উন্নয়ন পরিষেবার জন্য উন্নত গুণমান এবং ন্যায়সঙ্গত অ্যাক্সেস; নারী এবং দুর্বল গোষ্ঠীর জন্য উন্নত অর্থনৈতিক সুযোগ; অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধির জন্য স্থানিক এবং ডিজিটাল সংযোগ শক্তিশালী করা; জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা বিল্ডিং এবং স্থায়িত্বের জন্য ডেল্টা ব্যবস্থাপনার উন্নত কার্যকারিতা এবং সবুজায়ন বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারে উত্পাদনশীলতা বাড়ানো।
বাংলাদেশ ও ভুটানের বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, এই কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্কটি বিশ্বব্যাংক গ্রুপ এবং বাংলাদেশের মধ্যে পাঁচ দশকের শক্তিশালী অংশীদারিত্বের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশ আরো সমৃদ্ধ হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে, সেহেতু উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের চাহিদা পূরণের জন্য আরো শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান এবং নীতির প্রয়োজন হবে। এই সিপিএফ চাকরি প্রদানের জন্য সরকারের সংস্কার কর্মসূচিকে সমর্থন করবে এবং অন্তর্ভুক্তি ও স্থিতিস্থাপকতাকেও সমর্থন করবে।
সিপিএফ প্রস্তুত করার জন্য, বিশ্বব্যাংক গ্রুপ সরকার, বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, একাডেমিয়া, মিডিয়া এবং অন্যান্য উন্নয়ন অংশীদারদেরসহ মূল স্টেকহোল্ডার গ্রুপগুলোর সঙ্গে দেশব্যাপী এবং অনলাইন আলোচনা করেছে বলে জানান তিনি।
বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ‘মাল্টিল্যাটারাল ইনভেস্টমেন্ট গ্যারান্টি এজেন্সি’র (মিগা) ভাইস প্রেসিডেন্ট অব অপারেশনস জুনাইদ কামাল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের একটি উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য রয়েছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের মর্যাদা অর্জনের জন্য ব্যক্তিগত পুঁজি এবং বৈশ্বিক আর্থিক বাজারে অ্যাক্সেস ক্রমবর্ধমান প্রয়োজন হবে।
বাংলাদেশ, নেপাল এবং ভুটানের আইএফসি কান্ট্রি ম্যানেজার জানান, বাংলাদেশ বিশ্বের অসামান্য উন্নয়ন প্রবৃদ্ধির গল্পগুলির মধ্যে একটি। আরো বহুমুখী এবং প্রতিযোগিতামূলক বেসরকারি খাতের উন্নয়নে উদ্বুদ্ধ করার জন্য অতিরিক্ত সংস্কার রপ্তানি বাড়াবে এবং মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। এছাড়া, এই অর্থ জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা এবং প্রশমিত করতে সাহায্য করার জন্য বিনিয়োগের অর্থায়ন ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব বহন করবে।
বিশ্বব্যাংক জানায়, পুষ্টি, উদ্যোক্তা এবং টেকসই কৃষি ও গ্রামীণ রূপান্তরের জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে পারবে বাংলাদেশ সরকার। সবুজ এবং জলবায়ু সহনশীল উন্নয়ন ক্রেডিট দেশটিকে সবুজায়ন এবং জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক উন্নয়নে উত্তরণে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হবে এবং ২৫০ মিলিয়ন ডলারের টেকসই মাইক্রো এন্টারপ্রাইজ এবং রেসিলিয়েন্ট ট্রান্সফরমেশন প্রকল্প মাইক্রো-এন্টারপ্রাইজ সেক্টরকে আরো গতিশীল, কম-দূষণকারী, সম্পদ-দক্ষ, এবং জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক বৃদ্ধির খাতে রূপান্তরে ব্যয় করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
গাজা উপত্যকায় বোমা হামলার মধ্যে ইসরাইলকে বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। যুদ্ধ বন্ধে বাধ্য করতে মুসলিম দেশগুলোকে ইসরাইলের কাছে তেল ও খাদ্যপণ্য রপ্তানি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
খামেনি বলেন, ‘গাজায় বোমা হামলা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। ইহুদিবাদী শাসকদের কাছে তেল ও খাদ্য রপ্তানির পথ বন্ধ করা উচিত।’
ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে খামেনি বলেন, ‘ধৈর্যধারণের মাধ্যমে গাজার জনগণ বিশ্ববাসীর বিবেককে জাগ্রত করেছে।’
তিনি বলেন, ‘দুনিয়াতে কী ঘটছে দেখুন। ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও ইতালিসহ খোদ যুক্তরাষ্ট্রের বহু মানুষ রাস্তায় নেমে স্লোগান দিচ্ছেন। এসব দেশের নেতারা জনতার কাছে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন। গাজায় ইসরাইলের হামলাকে সমর্থন করতে পারে না তারা।’
মুসলিম বিশ্বকে উদ্দেশ করে খামেনি বলেন, ‘মুসলিম বিশ্বের এ কথা ভুলে গেলে চলবে না যে, শুধু ইহুদিই নয়, গাজার নিপীড়িত সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যও দাঁড়িয়েছে।’
ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা দক্ষিণ ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানোর দাবি করার কয়েক ঘণ্টা পর এক বিবৃতিতে ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান বলেছেন, ‘ইসরাইলের দ্বারা সংঘটিত এসব অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গোষ্ঠী ও আন্দোলনকারীরা নীরব থাকবে না, এটাই স্বাভাবিক। কারও পরামর্শের জন্যও অপেক্ষা করবে না তারা। তাই যুদ্ধ বন্ধে আমাদের অবশিষ্ট রাজনৈতিক সুযোগগুলো ব্যবহার করতে হবে।’
পরিস্থিতি ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে’ বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।
৭ অক্টোবরে হামলার পর গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার অঙ্গীকার করেছে ইসরাইল। হামাসের হামলায় ইসরাইলে এক হাজার ৪০৫ জন নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা দুই শতাধিক জিম্মিকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে গেছেন। এ হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় নজিরবিহীন বোমা হামলা এবং উপত্যকাটিতে অবরোধ আরোপ করেছে ইসরাইল। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরাইলের হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত প্রায় আট হাজার ৮০০ মানুষ নিহত হয়েছেন।
ইসরাইলের অবিরাম হামলায় ধ্বংসস্তূপ ও মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। ফলে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এ আগ্রাসন বন্ধ না হলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে এই অঞ্চলে তেহরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো পদক্ষেপ নিতে পিছ পা হবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের ধর্মীয় নেতারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস। সাদাছড়ি বহনকারী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে নিরাপদে পথ চলতে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রতি বছর ১৫ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশেও বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে নানা কর্মসূচি পালনের কথা রয়েছে।
এবারের সাদাছড়ি দিবসের স্লোগান হিসেবে ঠিক করা হয়েছে- ‘দৃষ্টিজয়ে ব্যবহার করি, প্রযুক্তিনির্ভর সাদাছড়ি’। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থা ও সংগঠন নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই দিবসটি পালন করে থাকে। দিবসটি উপলক্ষে আজ জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সাদাছড়ি বিতরণ, আলোচনা সভা ও র্যালি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
লায়ন্স ইন্টারন্যাশনালের হিসাবমতে, বিশ্বে ২৮ কোটি ৫০ লাখ মানুষ পুরোপুরি ও আংশিকভাবে চোখে দেখে না। এসব দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষ চলাচলের জন্য হাতে সাদাছড়ি ব্যবহার করে। যাতে যারা চোখে দেখে তারা তাদের চলাচলে সহযোগিতা করে। ১৯৬৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য এই দিবসটি পালন শুরু হয়।
চলারপথে ডেস্ক :
তেল বিক্রি করে রেকর্ড মুনাফা করেছে সৌদি আরবের কোম্পানি আরামকো। ২০২২ সালে তারা মুনাফা করেছে ১৬১ দশমিক ১ বিলিয়ন বা ১৬ হাজার ১১০ কোটি ডলার।
বিবিসির খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২১ সালের তুলনায় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল কোম্পানিটি ৪৬ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি মুনাফা করেছে। শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত হওয়ার পর এটি এক বছরে তাদের সর্বোচ্চ আয়।
শুধু আরামকো নয়, আমেরিকার এক্সনমবিল, ব্রিটেনের শেভরনও গত বছর বিপুল আয় করেছে। এক্সনমবিল মুনাফা করেছে ৫ হাজার ৫৭০ কোটি ডলার। আর শেভরনের মুনাফার পরিমাণ ৩ হাজার ৯৯০ কোটি ডলার।
২০২২ সালের মাঝের চার মাসে রেকর্ড ৪২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার মুনাফা করার কথা জানিয়েছিল আরামকো। ওই সময়ই বিশ্বব্যাপী তেলের দাম সবচেয়ে বেশি ছিল। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত প্রতি ব্যারল তেল ৮২ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। তবে গত বছরের জুনে তা ১২০ ডলার ছুঁয়েছিল।
ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা শুরু করার পর বিশ্ববাজারে তেল ও গ্যাসের দাম অনেকটা বেড়েছে। সাত বছর পর ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়।
গত বছর জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছিলেন, বৈশ্বিক সংকট কাজে লাগিয়ে অনেক তেল-গ্যাস কোম্পানি অনৈতিকভাবে মুনাফার রেকর্ড করেছে। তিনি এসব কোম্পানির ওপর বেশি হারে করারোপের আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে করের অর্থ চরম অভাবগ্রস্তদের সহায়তায় ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
তবে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর আগে থেকেই বিশ্ববাজারের জ্বালানির দাম বাড়তে শুরু করেছিল। টানা দেড় বছর কোভিডজনিত নানা বিধিনিষেধ থাকার পর উন্নত দেশগুলো তখন কোভিডজনিত সব ধরনের বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে তেলের দাম আরো বেড়ে যায়।