বাংলাদেশ কৃষক সমিতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির উদ্যোগে সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে কৃষক সমিতির এক কর্মী সভা আজ ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মী সভায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা কাজী সাজ্জাত জহির চন্দন বলেন, কৃষকের কৃষি কাজের লাভ চলে যায় লুটেরাদের হাতে, আগে কৃষকের উঠত জমিদারের গোলায় এখন কৃষকের ফসলের লাভ চলে যায় দেশী বিদেশী লুটেরাদের হাতে। কৃষকের ঘামের বিনিময়ে অর্জিত ফসল কাজী ফার্ম, আশা সমিতি, ব্র্যাক, এসিআই কোম্পানী, আফতাব গ্রুপ, লাল তীরসহ বিভিন্ন লুটেরাদের হাতে।
তিনি আরো বলেন, অনতিবিলম্বে কৃষকে সহজ শর্তে কৃষি ঋণ প্রদান, ভূমি অফিসের দুর্নীতি বন্ধ, পল্লী বিদ্যুৎ এর অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ এবং কঠোরভাবে ভূমি ব্যবহার নীতি প্রণয়ন ও কার্যকর করার দাবি জানান।
কৃষক সমিতির জেলা কমিটির সভাপতি এম এ রকিবের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাজিদুল ইসলাম, জেলা কমিটির সহ সভাপতি আহমেদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহানুর ইসলাম ভূইয়া, আবদুল মালেক, মোজাম্মেল পাঠান, অসিত পাল, খোরশেদ আলম হামদু, কাজী আনিসুর রহমান, জিনু মিয়া ও ইদ্রিস মিয়া প্রমুখ।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
বাড়ির গেট-দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে পরিবারের লোকদের হাত-পা বেঁধে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ ৮ আগস্ট মঙ্গলবার ভোরে সদর উপজেলার রামরাইল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এ সময় ডাকাতরা ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও তিন লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়া হামলায় নারীসহ চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- বাড়ির কর্তা সাইদুল ইসলাম (৭০), তার স্ত্রী জুৎস্না চৌধুরী (৬০), ছেলে মাইনুদ্দিন ইসলাম (২৬) ও মেয়ে আয়েশা আক্তার মুক্তা (২৮)। এর মধ্যে আয়েশা আক্তার মুক্তার দুই হাতের আঙুল ভেঙে যাওয়ায় ও মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করা হয়েছে।
সাইদুল ইসলামের আরেক মেয়ে সাদেকা ইসলাম রত্না বলেন, আমার দুই ভাই ও এক বোন দেশের বাইরে থাকে। বোন সম্প্রতি সুইডেন থেকে বেড়াতে দেশে আসে। সোমবার সন্ধ্যায় সে আবার প্রবাসের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে চলে গেছেন। মঙ্গলবার ভোরে আমার বোন আয়েশা আক্তার মুক্তা ঘরের বাইরে টয়লেটে যায়। এই ফাঁকে ২৫/৩০ জনের একটি ডাকাত দল আমাদের বাড়ি ঘিরে ফেলে। এর মধ্যে ১০/১২ জন আমাদের বাড়ির বাউন্ডারির দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে। বাউন্ডারির ভেতরে ঢুকে ভবনের কলাপসিবল গেট ও দরজা ভেঙে সাতজন ঘরে প্রবেশ করে। ঘরে ঢুকে তারা দেশীয় অস্ত্রের মুখে আমার বাবা, মা ও ভাইকে মারধর করে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। এরই মাঝে আমার বোন টয়লেট থেকে ঘরে ঢুকলে তার মাথায়ও আঘাত করে মেঝেতে ফেলে দিয়ে মারধর করে। এতে তার দুই হাতের আঙুল ভেঙে যায়। ডাকাত দল আমাদের ঘরে থাকা প্রায় তিন লাখ টাকা ও ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় আমার মায়ের কান ছিড়ে স্বর্ণের দুল দিয়ে যায়।
আহত আয়েশা আক্তার মুক্তা বলেন, আমি টয়লেট থেকে এসে দেখি সাতজন লোক আমার ভাইকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে। তারা আমার দুই শিশুর গলায় ছুরি ধরে রেখেছিল। তাদের সবার মুখে মাস্ক পরা ছিল। তারা আমার মাথায় আঘাত করে। এরপর আমি লুটিয়ে পড়ি। দুই হাতে কখন আঘাত পেলাম বলতে পারিনি। জ্ঞান ফেরার পর দেখেছি দুই হাতে ব্যান্ডেজ।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এই ঘটনায় ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও প্রায় তিন লাখ টাকা ডাকাতরা নিয়ে গেছে। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমরা ডাকাতদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। তবে, এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৩ জানুয়ারি শুক্রবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির (বিআরসি) আয়োজনে চার পর্যায়ের দূরত্বে এই হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চার পর্যায়ের দূরত্বে এই হাফ ম্যারাথন দৌঁড় হয়। এর মধ্যে ছিলো ২ কিলোমিটার, ৫ কিলোমিটার, ১০ কিলোমিটার ও ২১ কিলোমিটার।
আজ সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ২১ কিলোমিটারে অংশগ্রহণকারী দলটি স্থানীয় নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়। পর্যায়ক্রমে রওনা দেয় ৫ এবং ১০ কিলোমিটারের দলটি এবং সর্বশেষ শিশুদের ২ কিলোমিটারের দলটি সোয়া সাতটায় রওনা দেয়। ২১ কিলোমিটারে অংশ নিয়েছেন ১২০ জন। ১০ কিলোমিটারে ২০০ জন, ৫ কিলোমিটারে ৬০ জন ও ২ কিলোমিটারে ২০শিশু। এর মধ্যে ৩৫০ জন পুরুষ, ৩০জন নারী, ২০ জন শিশু এবং পাঞ্চাশোর্ধ ৩৬জন।
নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে দৌড় প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে তিতাস নদীর উপর নির্মিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও বিজয়নগর উপজেলার সংযোগ সড়ক শেখ হাসিনা সড়ক (সীমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া) পথে ছড়িয়ে পড়েন দৌড় প্রতিযোগীরা। নির্দেশিত পথে যাঁর যাঁর দূরত্ব অনুযায়ী তাঁরা ছুটে চলেন।
দৌড় শেষে শেখ হাসিনা সড়কের (সীমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া) শিমরাইলকান্দি সেতুর দক্ষিণপাশের একটি জমিতে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা এডমিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয প্রধান অধ্যাপক দিলারা আক্তার খান।
অংশগ্রহণকারী সবার জন্য একটি করে শুভেচ্ছা স্মারক, সনদ, টি-শার্ট, সকালের নাশতার পাশাপাশি প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারকারীদের চ্যাম্পিয়ান ও রানার্সআপ ট্রফি দেওয়া হয়।
মোট ৯ টি পর্যায়ে ২৭ জনের মাঝে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের পাশাপাশি নগদ টাকা দেয়া হয়। সোনালী সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সসহ মোট ১০টি প্রতিষ্ঠান এই আয়োজনে সহায়তা করেন। মেডিকেল সহায়তায় ছিল নোভেল জেনারেল হাসপাতাল। ৭০জন স্বেচ্ছাসেবক এই আয়োজন সফলে কাজ করেছেন।
এর আগে কনকনে হিম বাতাস আর কুয়াশাকে উপেক্ষা করে বিভিন্ন জেলার দৌড় পাগল চার শ নারী-পুরুষ জড়ো হন নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। কেউ বয়সে তরুণ-তরুণী, কেউ শিশু। অনেকেই আবার বয়স্ক। তবে উচ্ছাসে সবাই সমানে সমান। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পথে দৌড়ানোর জন্য এসেছেন তাঁরা। ভোরের আগেই নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ছিলো উৎসাহী মানুষের ভিড়ে জম। পরে বিজয়ীদের ট্রফি এবং সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রেলপথে চলাচলরত আন্তঃনগর ‘কালনী এক্সপ্রেস’ ট্রেন শিগগিরই যাত্রাবিরতি করবে। ১৫ জানুয়ারি বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম এ তথ্য দিয়েছেন। এছাড়া রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলামও এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, ‘কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন থামানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি তা কার্যকর হবে।’
ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু, চট্টগ্রাম-জামালপুর-চট্টগ্রাম রুটের ‘বিজয় এক্সপ্রেস’ ও ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটের ‘কালনী এক্সপ্রেস’-এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে যাত্রাবিরতি এবং বিদ্যমান ট্রেনসমূহের আসন সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানানো হচ্ছিল। এ বিষয়ে জেলা নাগরিক ফোরাম গত কয়েক বছর ধরে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে।
আরও পড়ুন
কৃষিজমি থেকে মাটি কাটার দায়ে দুইজনকে জেল-জরিমানা
বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম এ ব্যাপারে গেল বছরের ২ অক্টোবর রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে একটি চিঠি দেন, যাতে জেলার ট্রেন যাত্রীদের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরা হয়। জেলা প্রশাসকের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট রেল যোগাযোগের সংযোগস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে মাত্রাতিরিক্ত যাত্রীদের ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। ট্রেনের আসন সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হওয়ায় যাত্রীরা দাঁড়িয়ে বা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেল ভ্রমণ করছেন। ভীড়ের কারণে টিকেটধারী যাত্রীরা নির্ধারিত বিরতির সময়ে ট্রেনে উঠতে পারছেন না এবং ট্রেনে ওঠার জন্য নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। এছাড়া ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কাজ চলমান থাকায় যানজটে চরম দুর্দশার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী ট্রেনকেই তাদের প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে।
ওই চিঠি দেওয়ার পরও জেলা প্রশাসক তার চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। সর্বশেষ গত ১২ জানুয়ারি রেল সচিবের সাথে টেলিফোনে কথা বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রেলযাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়টি তুলে ধরেন। এরপর দ্রুতই রেল সচিব এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেন।
আরও পড়ুন
আখাউড়ায় জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত
এর আগে ২০২৩ সালের মার্চে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো জেলা প্রশাসনের পাক্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির বিষয়টি উঠে আসে। ২০২৩ সালের ৫ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে রেল সচিবকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনার এক বছর পার হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে জেলা নাগরিক ফোরাম তাদের রেল যাত্রাবিরতির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকে। ২০২৩ সালের ১৫ জুন এবং ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রেলওয়ে সচিব বরাবর স্মারকলিপি দেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরাম।
আরও পড়ুন
জমিতে সেচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ১
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য বলেন, আমরা প্রায় পাঁচ বছর ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি, তবে তেমন কোনো সুফল পাইনি। শুনতে পেলাম রেল মন্ত্রণালয় আমাদের দাবির আংশিক পূরণ করেছে। কালনী এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতি হবে, এটি আমাদের জন্য একটি সুসংবাদ। তবে আমাদের মূল দাবি হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে একটি স্পেশাল ট্রেন চালু করতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ আজ ৮ অক্টোবর রবিবার শুরু হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মৌড়াইলস্থ সাহেরা গফুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সপ্তাহের উদ্বোধন করেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৯টি উপজেলায় ৩ হাজার ১৭৬টি প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কুলগামী ৫ থেকে ১৬ বছরের ৮ লক্ষ ২২ হাজর ৮২ জন ছাত্র ছাত্রীকে কৃমি বড়ি খাওয়ানো হবে। এছাড়া স্কুল বহির্ভূত ৬ হাজার ৬৬২ জন ছাত্রছাত্রীকেও এই কৃমি বড়ি খাওয়ানো হবে।
আগামী ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত বড়ি খাওয়ানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাষ্ট্র পুনর্গঠন থেকে পিছিয়ে গেলে দেশ এবং দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আমরা যদি শুধু নিজেদের স্বার্থের জন্য তর্কে লিপ্ত থাকি, তাহলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার। আগামী দিনে সংসদ কীভাবে পরিচালিত হবে, সংসদের মেয়াদ কতদিন হবে, একজন মানুষ কতবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন-এমন বিভিন্ন বিষয় আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে সক্ষম। এগুলো নিয়ে আমরা মাত্রাতিরিক্ত আলোচনা করলে রাষ্ট্র পুনর্গঠন থেকে আমরা পিছিয়ে পড়ব। আর রাষ্ট্র পুনর্গঠন থেকে যদি আমরা পিছিয়ে যাই, তাহলে দেশ এবং দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আজ ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার আব্বাস উদ্দিন খান মডেল কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তারেক রহমান। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে আরো বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর জনগণের ভোট দেওয়ার কোনো উপায় ছিল না। জনগণের ভোট দেওয়ার ক্ষমতা অস্ত্রের বলে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। অস্ত্র দিয়ে আমরা দেখেছি কখনও ডামি নির্বাচন, কখনও আমরা দেখেছি ভোটারবিহীন নির্বাচন। সেকারণেই আমরা দেখেছি উন্নয়নের নাম করে লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে নিয়ে গেছে। কোনোরকম জবাবদিহিতা ছিল না বলেই দেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
তারেক রহমান আরো বলেন, ‘নির্বাচন অথবা বিচার ব্যবস্থা-প্রত্যেকটি ব্যবস্থাকে আবার পুনর্গঠন করতে হবে। রাষ্ট্রকাঠামোর এই পুনর্গঠন প্রক্রিয়া যত দ্রুত শুরু করা যাবে, আমরা তত দ্রুত দেশকে উন্নত করতে পারব। বিএনপি একমাত্র দেশকে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী গড়ে তুলতে সক্ষম হবে। এ সময় দেশ পুনর্গঠনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
জেলা বিএনপি’র আহবায়ক এডভোকেট আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো: সেলিম ভুইয়া, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো: মোস্তাক আহম্মেদ, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, বিএনপি’র কুমিল্লা বিভাগীয় সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সায়েদুল হক সাইদ, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহি কমিটির সদস্য শেখ মোঃ শামীম, সালাউদ্দিন শিশির, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও জেলা বিএনপি নেতা মোঃ কবির আহম্মেদ ভুইয়া প্রমুখ।
এদিকে দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর জেলা বিএনপির এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে জেলার সর্বত্রই ছিল উৎসবের আমেজ। সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিভিন্ন রং-বেরঙের ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসতে থাকে। দুপুর ১২টার আগেই দলীয় নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সমাবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।