বিজয়নগরে ৩৮টি ভারতীয় মহিষ উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আজ ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার ভোররাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এই মহিষগুলো উদ্ধার করা হয়।
বিজিবি সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোররাতে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা এলাকায় দুটি ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে ৩৮টি ভারতীয় মহিষ উদ্ধার করা হয়। এ সময় মহিষ পাচারকারীরা পালিয়ে যায়।
উদ্ধারকৃত মহিষের আনুমানিক মূল্য ৭৬ লাখ টাকা। এসব মহিষ আখাউড়া কাস্টমসে জমা দেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে ৩৮৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ কাজী রফিকুল ইসলাম (৪৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ২১ জুন বুধবার ভোরে উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের মির্জাপুর-সহদেবপুর সড়কে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত কাজী রফিকুল ইসলাম উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের খাটিঙ্গা গ্রামের কাজী তাজুল ইসলামের ছেলে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার ভোরে মির্জাপুর-সহদেবপুর সড়কের আবু তালেব মিয়ার বাড়ির পাশে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার শরীরে তল্লাশী চালিয়ে ৩৮৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে ২২ কেজি গাঁজাসহ আবুল হোসেন (২৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় মাদকদ্রব্য বহনকারী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকসা জব্দ করা হয়। আজ ১৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আবুল হোসেন হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর-হরষপুর সড়কের পাইকপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে একটি অটোরিকসা আটক করা হয়।
পরে অটোরিকসায় তল্লাশী চালিয়ে ২২ কেজি গাঁজাসহ আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দু’পক্ষের মারামারির দুই মাস পর আহত হারুন মিয়া (৬০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি তার নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে হারুন মিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে সে মারা যায়। গত অক্টোবর মাসে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর ভাবে আহত হয়েছিলেন হারুন মিয়া। হারুন মিয়ার মৃত্যুর পর উপজেলার পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হারুন মিয়া উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীমুড়া গ্রামে মৃত কিতাব আলীর ছেলে। হাসপাতাল ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত লক্ষীমুড়া গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে হারুন মিয়ার পরিবার ও মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে করিম মিয়ার পরিবারের জমিতে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে করিম মিয়ার পক্ষের লোকেরা হারুন মিয়াসহ তার পরিবারের ৪-৫ জনকে পিটিয়ে জখম করে। তারপর বিজয়নগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর করিম মিয়ার লোকজন হারুন মিয়াকে হত্যা করার হুমকি দেন? পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান দু’পক্ষের লোকদেরকে ডেকে তা আপস করার চেষ্টা করেন। পরে হারুন মিয়া তার ছেলে-ভাতিজাকে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথিমধ্যে শেখ হাসিনা সড়কের উত্তর পাশে করিম মিয়ার লোকজন অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা করেন। তাতে হারুন মিয়ার একটি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে যায়। পরে তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। হারুন মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে এক মাস হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। পরবর্তীতে বাড়িতে তার চিকিৎসা চলে।
এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা যায়- এই হামলার ইন্দনদাতা পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়া।
নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়ার উপর হামলা হয়েছে। আমার চাচার হত্যা সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানায়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একজন মারা গেছেন বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যু রহস্য উন্মোচন হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১০টি দোকান ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আজ ১০ জানুয়ারি বুধবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার মির্জাপুর মোড়ে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে স্থানীয় সন্তোষ দাসের টিনশেডের মার্কেটে কুরিয়ার সার্ভিসের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। সেই আগুনের লেলিহান শিখা মুহুর্তের মধ্যে আশপাশ দোকান ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্য এবং স্থানীয়দের সহায়তায় আধা ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। আগুনে মুদি মাল, কনফেকশনারী, বিকাশ, কম্পিউটার, ওষুদের ফার্মেসী, কাঠের ফার্নিচার, কুরিয়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য দোকান ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা জানান।
বিজয়নগর উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের লিডার মোশারফ হোসেন নিয়াজী জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়াস সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনারস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুনের উৎপত্তি কিসে থেকে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট দেখে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া আফরোজ জানান, মির্জাপুর মোড়ে আগুনের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রনয়ন করে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিবসহ তিন নেতাকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গে অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে।
২২ মে বুধবার বিকেলে যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দফতর সম্পাদক (সহ-সভাপতি) কামরুজ্জামান দুলালের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মুখলেছুর রহমান লিটন, যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ আহমেদ জয় ও মোর্শেদ কামাল।
বহিষ্কারাদেশে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা বর্হিভূত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে যুবদলের সকল পর্যায়ের পদ থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়। এর আগে, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় চলমান জাল জালিয়াতির নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
প্রসঙ্গত, আগামী ৫ জুন বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ আহমেদ জয় (আনারস), ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মোর্শেদ কামাল (চশমা) ও সদস্য সচিব মুখলেছুর রহমান লিটন (বৈদ্যুতিক বাল্ব) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।