চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে অবৈধ অস্ত্র, মাদক পাচারকারী, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন আসিফ চৌধুরীর নেতৃত্বে ৯ অক্টোবর বুধবার গভীর রাতে গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার লাউর ফতেহপুর গ্রামে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে মোঃ আলী আকবর (৫৫) এবং মোঃ মতি মিয়া (৪৫) নামে দুজনকে আটক করে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সম্মিলিত যৌথ বাহিনী।
এ সময় গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ৪টি রামদা, ২টি চাকু, ১টি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ১টি হত্যা মামলাসহ মোট ৫টি মামলা রয়েছে। পরে তাদেরকে নবীনগর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
যৌথ বাহিনীর নবীনগর ক্যাম্প ইনচার্জ ক্যাপ্টেন আসিফ চৌধুরী জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের আটক না করা পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
লতিফা বেগম (৪২) নামে এক গৃহবধূকে গায়ে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দিয়েছে তার দেবর জালাল মিয়া।
গতকাল রবিবার দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার উত্তর দাররা গ্রামে বাড়িতে পিঠা বানানোর সময় লতিফার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন জালাল।
এতে লতিফার সারা শরীরে আগুন ধরে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। লতিফার অবস্থা শংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা।
পারিবারিক কলহের জের ধরে ছোট ভাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আহত লতিফার স্বামী মো. জাকারিয়া।
তিনি জানান, চার-পাঁচ দিন আগে লতিফা বেগমের সঙ্গে জালালের স্ত্রীর কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যেও ঝগড়া হয়। এ ঘটনার জেরেই তার স্ত্রীকে পুড়িয়ে দিয়েছে জালাল। ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে উত্তরদাররা গ্রামের জিন্নত আলী ব্যাপারির ছেলে জাকারিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় লতিফা বেগমের। তাদের দুই ছেলে রয়েছে। বড় ছেলে আবুধাবি প্রবাসী। আর ছোট ছেলে কলেজে পড়ে। মো. জাকারিয়াও আবুধাবিতে থাকতেন। দেড় বছর আগে তিনি দেশে আসেন। লতিফা বেগমের গ্রামের বাড়ি একই উপজেলার কালঘড়া গ্রামে। তার পিতার নাম হেলাল সরকার।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলায় পরিবারের লোকজনের হাতে মার খেয়ে আহত বাকপ্রতিবন্ধী এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আজ ২৩ জুন শুক্রবার রাতে প্রতিবন্ধী হেদায়েত উল্লার বাবা মজিদ মোল্লাকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বাকপ্রতিবন্ধী হেদায়েত উল্লাহ।
জানা যায়, কয়েক মাস আগে হেদায়েত উল্লাহর বাবা-ভাই মিলে তার স্ত্রী রাকিবা আক্তারকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। স্ত্রী রাকিবা আক্তারকে বাড়িতে আনার জন্য পরিবারের লোকজনের কাছে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করলেও তারা তার স্ত্রীকে আনতে রাজি হয়নি। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৬ জুন পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তর্কবিতর্ক করে হেদায়েত উল্লাহ। তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে হেদায়েত উল্লাকে মারধর করে বাবা-ভাইসহ পরিবারের লোকজন। পরে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে নবীনগর হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থা অবনতি হলে পরবর্তীতে তাকে ঢাকা নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়।
তার স্ত্রী রাকিবা আক্তার বলেন, আমার স্বামীকে পরিবারের লোকজন নির্মমভাবে মারধর করে হত্যা করেছে। আমার একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। এখন আমি কি করব? আমি এর সঠিক বিচার চাই।
নবীনগর থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোহাম্মদ সোহেল বলেন, রাতেই আমরা অভিযুক্ত মজিদ মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে পরদিন প্রেরণ করেছি। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রাকিবা আক্তার বাদী হয়ে মজিদ মোল্লা, তার স্ত্রী ও ছেলের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন।
নবীনগর প্রতিনিধি :
নবীনগরে পাওনা টাকার জের ধরে এশিয়ান টিভির অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ইনচার্জ নজরুল ইসলামের উপর হামলার ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হচ্ছে শ্রীরামপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে সোহাগ মিয়া(৩১)ও একই গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে খন্দকার শাহানেওয়াজ অপু (৩২)। ২১ জানুয়ারি শনিবার সকালে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে সাংবাদিক নজরুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার রাতে নবীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
জানা যায়, উপজেলার রছুল্লাবাদ গ্রামের ইসমাইল মোল্লার ছেলে এশিয়ান টিভির অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ইনচার্জ নজরুল ইসলাম পাশের শ্রীরামপুর গ্রামের সোহাগ মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে সিভিল সার্জন অফিস সহায়ক পদে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ছয় লক্ষ, একই গ্রামের রফিক মিয়ার স্ত্রীকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা পদে চাকুরী দেয়ার কথা বলে ছয় লক্ষ এবং স্বাস্থ্য পরিদর্শক পদসহ বিভিন্ন সরকারি চাকুরী দেওয়ার কথা বলে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে মোট ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। চাকুরী না দিতে পারলে ১৫ দিনের মধ্যে পুরা টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়টি ঐ স্ট্যাম্পে উল্লেখ্য রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন পার হয়ে যাওয়ার পরও চাকুরী কিংবা টাকা ফেরত না দেওয়ায় সোহাগ মিয়া বাদী হয়ে গত ২৪/০২/২০২০ সালে গাজীপুর সদর থানার একটি লিখিত অভিযোগ করেন যাহার এসডিআর নং ১২৪৫ এবং রফিক মিয়া বাদী হয় গত ২৩/০১/২০২১ সালে নবীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন যাহার এসডিআর নং ১১৭।
এছাড়াও আমীর হোসেনের ছেলে মাইনউদ্দিনকে নির্বাচন কমিশন অফিসে, মোহাম্মদ আলীর শ্যালক জনি কে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চাকুরী দেয়ার কথা বলে নগদ ৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় নজরুল ইসলাম।
প্রাইমারী শিক্ষিকা চাকুরী প্রত্যাশী খুকি আক্তার জানান, রুবেলের মাধ্যমে নজরুলের সাথে পরিচয় হলে তার স্বামী রফিকুল ইসলাম নজরুলকে ৬ লক্ষ টাকা দেয় এবং নজরুল তার চাকুরী নরসিংদী হয়েছে মর্মে ভেরিফিকেশন করিয়ে ঐখান থেকে বদলী করে শ্রীরামপুর নিয়ে আসতে পুনরায় ৫০ হাজার টাকা নেয়।
সিভিল সার্জন অফিসের অফিস সহায়ক পদে চাকুরী প্রত্যাশী সোহাগ মিয়া বড় ভাই রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি তাকে বিশ্বাস করে তিনজনের চাকুরীর জন্য ২২ লাখ টাকা দেয়,টাকা ও চাকুরী ফেরত না দেওয়ায় থানায় জিডিও করেছি।
নির্বাচন কমিশন অফিসে চাকুরী প্রত্যাশী মাইনউদ্দিনের পিতা আমীর হোসেন জানান, তার ছেলেকে নির্বাচন কমিশন অফিসে চাকুরী দিবে বলে ২ লাখ টাকা নিয়েছে নজরুল, কিন্তু চাকরী কিংবা টাকা কোনোটাই ফেরত দেয়নাই।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চাকুরী প্রত্যাশী জনির মামাতো বোন তাসলিমা আক্তার জানান, উপজেলার মালাই গ্রামের তার মামাতো ভাই জনিকে মন্ত্রণালয়ে চাকুরী কথা বলে তার স্বামী মোহাম্মদ আলীর নিকট থেকে ১ লক্ষ টাকা নিয়ে আর দেখাই করে না।
এ ব্যাপারে নজরুল ইসলাম টাকা লেনদেনের বিষয় অস্বীকার করে বলেন আমার অনুষ্ঠানকে বানচাল করতে অপু ও সোহাগ মিয়ার নেতৃত্বে ১০/১২ জন আমার উপর হামলা চালায়।
নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, এশিয়ান টিভির ১০ম বর্ষপূর্তির কেক কাটা অনুষ্ঠানের পাশে হামলার ঘটনায় দুইজনকে সন্দেহ ভাজন ভাবে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনার তদন্ত চলছে, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্যেখ্য গত ১৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে রসুল্লাবাদ বাজারে এশিয়ান টিভির ১০ম বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে কেক কাটার অনুষ্ঠানের মঞ্চের পাশে পাওনাদাররা ইসমাইলকে আটক করে মারধর করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকের অবহেলায় আশা নামে ৩ মাসের এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। আশা উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের কনিকাড়া গ্রামের আশ্রাফ মিয়ার মেয়ে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত দুইদিন ধরে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় ভুগছিল শিশু আশা। পরে মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় শিশুটিকে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে তার পরিবার। জরুরি বিভাগে কোনো চিকিৎসক না থাকায় হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু সেখানেও চিকিৎসক ছিল না। পরে দ্বিতীয় তলা থেকে জানানো হয় চিকিৎসকের কোয়ার্টারে নিয়ে যেতে। চিকিৎসক সেখানে রোগীর চিকিৎসা দিচ্ছিলেন।
পরে ৫ মিনিট অপেক্ষার পর পরিবারের লোকজনের অনুরোধে রোগীকে দেখে পুনরায় দ্রুত নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে অক্সিজেন দেওয়ার পরামর্শ দেন। তখন জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক সামিহা সুলতানা শিশুটিকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। প্রায় ১ ঘণ্টা শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটাছুটি করেও কোনো সেবা পাননি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় শিশু আশার মৃত্যু হয়েছে বলে তার পরিবার দাবি করে।
মৃত শিশুর মামা আমজাদ হোসেন বলেন, বাচ্চাটি সুস্থ ছিল। হাসপাতালে নিয়ে প্রথমে জরুরি বিভাগে যায়। সেখানে ডাক্তার না থাকায় দ্বিতীয় তলায় যেতে বলে। দ্বিতীয় তলায় গেলে নিচ তলায় পাঠায়। নিচতলা থেকে পুকুর পাড় কোয়ার্টারে পাঠায়। প্রায় ১ ঘণ্টা পর জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকের অবহেলায় শিশুটি মারা গেছে।
উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম জানান, দ্বিতীয় তলায় যাওয়ার কথা আমি বলিনি, হয়তো আমার আশপাশে থাকা অন্য কেউ বলে থাকতে পারে। এ সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের দায়িত্বে ছিলেন চিকিৎসক সামিহা সুলতানা।
তিনি জানান, ৩টা ৪৫মিনিটে বাচ্চাটিকে আমার কাছে নিয়ে আসে। আমি যখন বাচ্চাটিকে দেখি তখন হার্ট সাউন্ড পাইনি। চোখের আলোর কোনো রিঅ্যাকশন পাইনি। শ্বাস নিচ্ছিল না। তখন কনফার্ম হওয়ার জন্য ইসিজি পরীক্ষা করতে বলি। ইসিজি পরিক্ষায় শিশুটি বেঁচে আছে, এমন কিছু দেখিনি। তারপর শিশুটি মৃত বলে ঘোষণা করি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশালয় সাহা জানান, শিশুটির পরিবার নবীনগর থানায় অভিযোগ করতে গেলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমাকে অবগত করেন। পরে উভয়পক্ষের কথা শুনে বুঝতে পারি রোগীর পরিবার জরুরি বিভাগের চিকিৎসককে বুঝিয়ে বলতে পারেনি। তারা শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখাতে চেয়েছিল। কিছুক্ষণ পরে ডা. সামিহার কাছে গেলে পরীক্ষা করে শিশুটি মৃত ঘোষণা করেন। তদন্ত করে অবহেলায় যদি শিশুটির মৃত্যু হয়, তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের দুই গ্রামের হতদরিদ্র মানুষদের ন্যায্যমূলের টিসিবির পণ্য ক্রয় করতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী জাকি উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান কাজী জাকি উদ্দিন দম্ভোক্তি করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কোনো নিউজ করার থাকলে করেন’।
২০ মার্চ সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবির পণ্য ক্রয়ের লাইনে দাঁড়িয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়েছে দুই গ্রামের মানুষদের।
ভুক্তভোগীরা জানান, আমরা সকাল থেকে কম দামে টিসিবি পণ্য কেনার জন্য পরিষদের লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। এখন দুপুর হয়ে গেছে চেয়ারম্যান বা টিসিবি পণ্যের দেখা নেই।
তাদের মধ্যে ৬নং ও ৯নং ওয়ার্ডের হতদরিদ্র সাধারণ মানুষরা জানান, আমাদের ওয়ার্ডের মেম্বারের সঙ্গে চেয়ারম্যানের বিরোধের কারণে, গত তিন মাস যাবত আমরা টিসিবির পণ্যসহ ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি কোনো সুবিধা পাচ্ছি না। আমাদের ওপর অন্যায় করা হচ্ছে। আমরা এর বিচার চাই।
ওই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার ইয়ার হোসেন ও ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. ইলিয়াস জানান, গত তিন মাস যাবত আমাদের ওয়ার্ড দুটিতে টিসিবি পণ্যসহ সব ধরনের সেবা বন্ধ করে দিয়েছেন চেয়ারম্যান। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে আমাদের দুই ওয়ার্ডের সাধারণ হতদরিদ্র মানুষ।
তারা আরো জানান, চেয়ারম্যান সাধারণ মানুষজনকে জিম্মি করে জন্মনিবন্ধন ফি ২শ টাকা ও ওয়ারিশ সার্টিফিকেট বাবদ ৫শ টাকা করে নিচ্ছেন। আমরা এসবের বিরোধিতা করায় এসব করছেন তিনি। জন্মনিবন্ধন করতে গেলে সরকারি ফি থেকে অধিক মূল্য দিতে হয় তাও আবার সময়মতো সেবা গ্রহণ করতে পারছি না। শুধু জন্মনিবন্ধন নয়, ইউনিয়নের বিভিন্ন সেবা থেকে আমরা বঞ্চিত।
এ বিষয়ে জানতে ইউনিয়ন পরিষদে গেলে চেয়ারম্যানের অফিস তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। পরে মোবাইল ফোনে ইউপি চেয়ারম্যান কাজী জাকি উদ্দিন জানান, আমি মসজিদের ছাদ ঢালাই করছি। এখন আসতে পারব না। আমার বিরুদ্ধে কোনো নিউজ করার থাকলে করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার একরামুল সিদ্দিক বলেন, এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি, আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।