চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় দুই ভারতীয় নাগরিক আটক হয়েছে। ১১ অক্টোবর শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার বাউতলা এলাকা থেকে বিজিবি তাদেরকে আটক করে।
আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার জয়পুর এলাকার মান্নান মিয়া ছেলে মুন্না মিয়া (২৪) ও একই এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া (২১)। তাদেরকে আখাউড়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, আটককৃত ব্যক্তিরা অবৈধ পথে বাংলাদেশে আসে। ব্যক্তিগত কাজে তারা বাংলাদেশে আসে বলে বিজিবিকে জানিয়েছে।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী নাসির উদ্দীন হাজারী বলেন, আওয়ামীলীগ জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকার জিয়ার পরিবারকে অনেক কস্ট দিয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বাড়ি থেকে জোর করে বের করে দিয়েছে। খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার সুযোগ দেয়নি। তবে আল্লাহর রহমতে এবং দেশবাসীর দোয়ায় বেগম খালেদা জিয়া এখন অনেকটা সুস্থ হয়েছেন। নাসির উদ্দীন হাজারীর আয়োজনে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামবায় ২৯ মার্চ শনিবার বিকালে নিজ এলাকা আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের চান্দপুর মাঠে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্যাতন করে দেশের বাইরে পাঠানো হয়েছে। নাসির উদ্দীন হাজারী ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে আখাউড়া কসবা আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন।
নাসীর হাজারী আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিগত ১৫ বছর বিএনপিকে কোন প্রোগ্রাম করতে দেয়নি। এমনকি আমরা ইফতার মাহফিলও করতে পারিনি। জুলাই আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে অনেক শহীদের রক্তের বিনিময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। আজকে অনেক দিন পর আমরা সকলে একসাথে ইফতার করতে পারছি। তিনি জুলাই আগষ্ট শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। চলতি বছরের মধ্যেই সংসদ নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান তিনি। তিনি দল থেকে যে মনোনয়ন পায় আমরা তার পক্ষে কাজ করবো।
মোঃ হুমায়ুন কবির হাজারী সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি (নাসিরনগর) এস এম শাফি মাহমুদ, জেলা তাতী দলের সভাপতি ইকবাল আহমেদ, উপজেলা বিএনপি নেতা আবুল ফারুক বকুল, মোঃ লুৎফর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুজন হাজারী।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মো. মনির হোসেন চেয়ারম্যান এবং শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু ও মোছা. রোকসানা আক্তার বেসরকারিভাবে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ শেষে সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ও আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আক্তার রাতে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদ্বয় সবাই নতুন। মো. মনির হোসেন মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের তিন বারের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি এবং রোকসানা আক্তার যুব মহিলালীগ নেত্রী।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী মো. মনির হোসেন (ঘোড়া) প্রতীকে ২৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। সাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু (মাইক) প্রতীকে ১৫ হাজার ৫৩ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান এবং মোছা. রোকসানা আক্তার (কলস) প্রতীক নিয়ে ২০ হাজার ২০৫ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে টানা ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের ব্যবস্থাপনায় “বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি’’ (এপিএ)’র আওতায় আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভার প্রধান অতিথি ছিলেন সৈয়দ এ মুমেন-পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ), গণযোগাযোগ অধিদপ্তর, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, ঢাকা।
বিশেষ অতিথি ছিলেন মোঃ আজিজুর রহমান- সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, আখাউড়া, আবুল হোসাইন- বীর মুক্তিযুদ্ধা ও ওয়ারেন্ট অফিসার, মোছাঃ ইয়াছমিন আক্তার- প্রধান শিক্ষক, মোগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বর্তমান সময়ের জন্য মোবাইল ফোনকে অপরিহার্য আখ্যা দিয়ে প্রধান অতিথি পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের সৈয়দ এ মুমেন বলেন মোবাইল যেমন আমাদের বর্তমান প্রজন্মের জন্য প্রয়োজন তথাপি তার অধিক মাত্রা ব্যবহার মস্তিকের জন্য ব্যাপক ক্ষতির কারণ। বিশেষ করে যেসব শিশু অধিক পরিমান সময় মোবাইল ব্যবহার করে তার মানসিক ও শারীরিক বিকাশ দুটোই ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়।
প্রধান অতিথি বলেন, বহু প্রতিকূলতার শর্তেও আমাদের দেশে শতকরা ৯৭% শিশু প্রতি বছর শিক্ষা অর্জনের জন্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে ভর্তি হচ্ছে যা আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন। তিনি আরো বলেন শুধু শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না তারা যাতে যথার্থ বিদ্যা অর্জনের মাধ্যমে দেশের কাজে এগিয়ে আসতে পারে তার জন্য শিক্ষকদের পাশাপাশি মায়েদের অনস্বীকার্য ভুমিকা পালন করতে হবে। আমরা বর্তমান সমাজে যে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা দেখতে পায় যেমন বাল্য বিবাহ, মাদক আসক্ত, চুরি, ডাকাত, ছিনতাই, রাহাজানি ইত্যাদি তার মুলে আছে প্রকৃত নৈতিকতা সম্পূর্ণ শিক্ষার অভাব। যদি আমরা এসব সামাজিক সমস্যার মূলোৎপাটনকরতে চায়, একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠন করতে চাই তাহলে নৈতিকতা সম্পূর্ণ শিক্ষার কোন বিকল্প নাই। উক্ত নারী সমাবেশে বাল্যবিবাহ ও মাদক আসক্তকে একটি সামাজিক সমস্যা হিসাবে আখ্যা দিয়ে অন্যান বক্তারা বলেন, বাল্যবিবাহ ও মাদক আসক্ত আমাদের জন্য একটি ভয়াভহ সমস্যা। এ সমস্যা দূর করার জন্য একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। একটি বাল্য বিবাহ শুধু একটি মেয়ের জীবন ধ্বংস করেন তা নয় বরং দুটি পরিবারই শেষ হয়ে যায়, ঠিক তেমনি মাদক আসক্ত ব্যক্তি পুরো সমাজের জন্য হুমকিস্বরুপ।
জেলা তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাসের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে নারী সমাবেশ সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
উক্ত নারী সমাবেশে প্রায় চার শতাধিক নারী উপস্থিত ছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে কারাভোগ শেষে নারীসহ দুই বাংলাদেশি নাগরিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরেছেন।
আজ ৮ এপ্রিল সোমবার দুপুরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে আখাউড়া সীমান্তের চেকপোস্ট দিয়ে তাঁরা দেশে ফেরেন। ভারতের আগরতলায় নিযুক্ত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের মাধ্যমে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
দেশে ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলেন, ঢাকা কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকার সাথী আক্তার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার পেয়ারাকান্দির মো. মাসুদ মাহাদী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা চঞ্চল কুমার দে, আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম রাহাতুল ইসলাম, ৪২ বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার প্রশান্ত কুমার, ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খাইরুল আলম, আখাউড়া আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার শাহআলম এবং ভারত থেকে ফেরত আসা দের পরিবারের সদস্যরা।
মো. মাসুদ মাহাদী জানান, গত একবছর আগে আখাউড়া উপজেলার রাজাপুর সীমান্ত এলাকায় ঘুরতে গিয়ে নিজের অজান্তেই সীমানা অতিক্রম করে ফেলেন। ঘুরাঘুরি করার সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক হন। পরে আদালত তাকে একমাসের সাজা দেয়। সাজা ভোগ শেষে তিনি সেদেশে সেইভ হোমে ছিলেন এক বছর। এক বছর পর তিনি দেশে ফিরলেন।
ত্রিপুরায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা চঞ্চল কুমার দে বলেন, দুজন বাংলাদেশিকে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করেছি। তারা পাসপোর্ট ছাড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে সেদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়। সেখানে তারা সাজা ভোগ করেন। সাজা শেষে ডিটেনশন সেন্টারে ছিলেন। পরে দুই দেশের প্রক্রিয়া শেষে তাদেরকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হলো।