চলারপথে রিপোর্ট :
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বুনতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব এস এস তরুণ দে। তিনি বলেছেন, ছাত্র-জনতার একটি অনিবার্য বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে। জনতার এ বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পরাজিত শক্তি নানা গুজব রটানোসহ ষড়যন্ত্র করে চলছে। তাই দুর্গাপূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে কোনো অশুভ শক্তি যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
গতকাল ১১ অক্টোবর শুক্রবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন। এসময় আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর স্বর্গীয় সূর্য কুমার দাস চৌধুরীর বাড়ির পূজা মণ্ডপে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা সনাতনী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ও সার্বজনীন ধর্মীয় উৎসব। একটি পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার ভেতর দিয়ে এবার পূজা শুরু হয়েছে। তবে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পীঠস্থান। আমাদের নেতা তারেক রহমান এ সম্প্রীতি বজায় রাখতে দলের নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে আহবান জানিয়েছেন। আমরা সে লক্ষে কাজ করছি। তাই পূজায় ধর্মীয় আবেশ বজায় রাখতে হবে।
চট্টগ্রামে পূজা মঞ্চে ইসলামী গান পরিবেশনের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি আয়োজক ও অংশগ্রহনকারী শিল্পীদের অতি আবেগের কারণে হতে পারে। হয়তো কিছুটা ভুল বুঝাবুঝিও থাকতে পারে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও দায়িত্বশীলরা এটি বিচক্ষণতার সাথে হ্যান্ডেলিং করছে। এই ঘটনায় কোনো সাম্প্রদায়িক সংঘাত লাগানোর চেষ্টা ছিল কি না তাও যাচাই করা হচ্ছে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- সরাইল উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সদস্য সচিব নূরে আলম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মেহেদী হাসান পলাশ, উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক মশিউর রহমান মাস্টার, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আমিন মাস্টার এবং আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু আব্দুল্লাহ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. হুমায়ূন কবির, উজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোখলেসুর রহমান, লালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান বাবুল, সাধারণ সম্পাদক শামীম চৌধুরী, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি তাফসির আহমেদ, যুবদল নেতা সাইদুল ইসলাম ও আব্দুর রাহীম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে তরুন দে বিভিন্ন পূজামণ্ডপ কমিটির হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন বিএনপি’র পদত্যাগী সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া। গতকাল রোববার বিকেলে রশিদ নামের একজন তার পক্ষে মনোনয়নপত্র নেন বলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান জানিয়েছেন। সাত্তারসহ মোট ৭ জন মনোনয়নপত্র নিয়েছেন জেলা নির্বাচন অফিস থেকে। বৃহস্পতিবার দল থেকে তার পদত্যাগের পর আলোচনা ছড়িয়েছিলো তিনি স্বতন্ত্র নির্বাচন করতে পারেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) থেকে নির্বাচিত বিএনপি’র সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া সম্প্রতি সংসদ থেকে দলের সিদ্ধান্তে পদত্যাগ করেন। এরপর দলও ছাড়েন। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে ১০৪ কেজি গাঁজাসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৭ আগস্ট শনিবার সকাল ৮টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার মো. মমিন শেরপুর জেলার সদর উপজেলার নয়াপাড়া (মোকচ্ছেদপুর) এলাকার ফজল হকের ছেলে ও একই উপজেলার তেতুলতলা এলাকার নওশের মিয়ার ছেলে মো. নয়ন মিয়া।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করে আশুগঞ্জ থানার ওসি সফিউল কবির বলেন, শনিবার সকালে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা করা হয়। অভিযানকালে টোল প্লাজার সামনে থেকে পিকআপভ্যানসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে পিকআপভ্যান তল্লাশি করে ১০৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে কালিকচ্ছ নোয়াগাঁও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন শাখার অফিস উদ্বোধন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। আজ ৭ জুন বুধবার বাদ আসর কালিকচ্ছ বাজারের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে কালিকচ্ছ নোয়াগাঁও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মোঃ আমিন শাহ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন- মোঃ বাক্কার মিয়া,মনিরুজ্জামান মানিক মিয়া, মোঃ বশির মিয়া,মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ রতন মিয়া,মোঃ লিটন মিয়া,মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ আলকাছ মিয়া,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ খবির উদ্দীন, ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন শাখার সভাপতি এবং অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মোঃ আমিন শাহ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কালিকচ্ছ নোয়াগাঁও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক কর্তিক সরকার।
অনুষ্ঠান শেষে মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন কালিকচ্ছ বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মোঃ ইউসুফ আকরাম।
চলারপথে রিপোর্ট :
শুরুর মাত্র ৩৮ দিনের মাথায় গ্যাস সংকটে আবারও উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানায়। গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ১ মার্চ শনিবার দিবাগত রাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ইউরিয়া সার উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ।
বছরের বেশির ভাগ সময় গ্যাস না পেয়ে উৎপাদন বন্ধ থাকায় দিন দিন অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে প্রিলড ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী কারখানাটি। এর আগে, গত বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ না থাকায় সার উৎপাদন বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে শ্রমিকদের দীর্ঘ আন্দোলনের পর ১৫ নভেম্বর গ্যাস সরবরাহ শুরু করে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। এরপর সব ধাপ অতিক্রম করে গত ২৩ জানুয়ারি থেকে সার উৎপাদন শুরু হয়।
আশুগঞ্জ সার কারখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিদিন অন্তত সাড়ে ১১০০ টন ইউরিয়া উৎপাদনে সক্ষম আশুগঞ্জ সার কারখানা। তবে উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে প্রতিদিন অন্তত ৪৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন হয়। গ্যাস সংযোগ পেলেও চাপ কম থাকায় পুরোদমে ইউরিয়া উৎপাদন করা যাচ্ছিল না। এ অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। ফলে রাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
আশুগঞ্জ সার কারখানার মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) এ বি মাহমুদ গণমাধ্যমকে জানান, গ্যাস ছাড়া সার উৎপাদন করা যায় না। ফলে কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কবে নাগাদ উৎপাদন চালু হবে, স্পষ্ট করে তা বলা যাচ্ছে না।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাক প্রকৌশলী জাহিদুর রেজা গণমাধ্যমকে জানান, সরকারি সিদ্ধান্তে আশুগঞ্জ সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কবে আবার গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে, সেটি সরকারি সিদ্ধান্ত। হয়তো চলতি মৌসুমে কারখানাটিতে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত হয়েছে।
আজ ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার সরাইল উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলমের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. মঈন উদ্দিন মঈন এম.পি।
সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. ইসমত আলী, সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিন ঠাকুর, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী রোকেয়া বেগম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাহফুজ আলী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. আমিন খান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শরীফ উদ্দিন।
বক্তারা বলেন, ৭১ এ ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে জীবনের মায়া ছেড়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। আর ৫৩ বছর এখন রাজাকারের উত্তরসূরি ও তাদের স্বজনদের দ্বারা বিনাকারণে অন্যায় ভাবে হেনস্থা হচ্ছি। মুক্তিযোদ্ধা না হয়ে রাজাকার হলে কোটি কোটি রোজগার করতে পারতাম। আওয়ামী লীগের বড় নেতা হতে পারতাম। কারণ এখন দেখছি সরাইলে মুক্তিযোদ্ধার চেয়ে রাজাকারের উত্তরসূরিদের কদর ও সম্মান বেশী। এমন একটি গুরূত্বপূর্ণ দিবসের আলোচনা সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা অনুপস্থিত। তাড়াহুড়া করে ফুল দিয়ে পালিয়ে দ্রুত চলে যাওয়ার মতো নেতাদের দলে কোন প্রয়োজন নেই। সরাইলে আওয়ামী লীগের নেতারা নিজেদের স্বার্থে দল করেন। দলীয় জাতীয় অনুষ্ঠানের কোন গুরুত্ব উনাদের কাছে নেই। বক্তারা বলেন, ভাল না লাগলে দল ছেড়ে দিন। ষড়যন্ত্র আর কায়দা কানুন করে আওয়ামী লীগ করলে তৃণমূলে আপনাদের স্থান হবে না।