চলারপথে রিপোর্ট :
অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালানোর সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা থেকে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সদ্য সাবেক যুগ্মসচিব এ. এ. এম. জি. কিবরিয়া মজুমদারকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ ১২ অক্টোবর শনিবার দুপুরে বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা কসবার পুটিয়া সীমান্ত থেকে তাকে আটক করে। সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি জানিয়েছে বিজিবি। কিবরিয়া ঢাকার সবুজবাগ এলাকার মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দুপুর সাড়ে ১২টায় বিজিবির সালদা নদী সীমান্ত ফাঁড়ির একটি টহল দল পুটিয়া সীমান্ত থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় কিবরিয়া মজুমদারকে আটক করে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এজন্য গ্রেফতার এড়াতে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন তিনি।
বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল এ. এম. জাবের বিন জব্বার জানান, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে কেউ যেন দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে – সেজন্য সীমান্তে সজাগ দৃষ্টি রাখছে বিজিবি সদস্যরা।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশে প্রতি কেজি ইলিশের সর্বোচ্চ দাম ৭০০ টাকা নির্ধারণ চেয়ে সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার এ আইনি নোটিশ পাঠান।
আজ ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার ডাকযোগে ও ই-মেইলে সংশ্লিষ্টদের এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আমদানি ও রপ্তানি দপ্তরের প্রধান নিয়ন্ত্রকের ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে এ নোটিশ।
নোটিশে আগামী সাতদিনের মধ্যে ইলিশের পাইকারি ও খুচরা বাজার মনিটরিং, সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পাচার রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জি জানানো হয়েছে। এছাড়া সাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোর বাস্তবতা মেনে ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে একটি অভিন্ন সময়ে বা কাছাকাছি সময়ে ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার বিষয়ে ভারতকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে যে কোনো দেশে ইলিশ রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে যেন রপ্তানি করা না হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে। অন্যথায় উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে নোটিশে। এতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ মূলত বঙ্গোপসাগরের মাছ। এটি বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়। বাংলাদেশের চেয়ে ভারত ও মিয়ানমারের সমুদ্রসীমা অনেক বেশি বিস্তৃত। ভারত ও মিয়ানমারের সমুদ্রসীমায় প্রচুর ইলিশ উৎপাদন হয়।
এছাড়া ভারতের বিভিন্ন নদীতেও ইলিশ পাওয়া যায়। ইলিশ সাগরের মাছ হলেও ডিম পাড়ার জন্য যখন পদ্মা নদীতে আসে তখন ইলিশ মাছ পদ্মা নদীর বিভিন্ন প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে পরিপুষ্ট হয় এবং প্রাকৃতিকভাবে অত্যন্ত সুস্বাদু হয়ে উঠে। মূলত পদ্মা নদীর ইলিশ মাছই স্বাদে ও গন্ধে উৎকৃষ্ট। যেহেতু ইলিশ সাগরের মাছ তাই এই মাছ পুকুরে বা অন্য কোনো স্থানে চাষ করতে হয় না। ফলে ইলিশে কোনো প্রকার উৎপাদন খরচ নেই।
অনলাইন ডেস্ক :
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি যেমন মাথাচাড়া দেবে, জঙ্গিবাদও মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। আজ ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন ভারত সফররত ড. হাছান মাহমুদ।
মন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন একসঙ্গে বাংলাদেশে ৬৩ জেলায় বোমা হামলা হয়েছিল। শায়খ আব্দুর রহমান, বাংলা ভাই, আফগানিস্তানের ট্রেনিংপ্রাপ্তরা প্রকাশ্যে মহড়া দিত। এই হচ্ছে বিএনপি সরকারের আমল।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে ২০০১ সালে যে নির্বাচনে আমরা হেরে যাই এবং বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তারপর অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর অন্যায়ভাবে নির্যাতন হয়েছে। নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার অপরাধে মা-মেয়েকে এক রাতে ধর্ষণ করা হয়েছে। গৃহহারাদের জন্য তখন ঢাকায় আমাদের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অফিসে লঙ্গরখানা ও আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছিল।
নিজ দলের আদর্শ তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে দেশ হিসেবে সংগ্রাম করেছে এবং অসাম্প্রদায়িক দল হিসেবে যে দলটি প্রতিষ্ঠিত, সেটি হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে।
বিএনপি নির্বাচনে আসবে কিনা- এ প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, বিএনপি গণমানুষের দল বলে তারা দাবি করে। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন এমন কি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও তাদের দলের সবাইকে অংশ নিতে বারণ করেছে। এ সত্ত্বেও তাদের অনেকেই কাউন্সিলর, মেম্বার এমনকি চেয়ারম্যান পদেও নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।
বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতার প্রশ্নে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আমাদের সাথে ভারতের এবং অন্যান্য দেশের আন্তরিক সহযোগিতা আছে। আমাদের শুধু বাণিজ্যে সহযোগিতা নয়, নিরাপত্তা থেকে শুরু করে নানাবিধ সহযোগিতা আছে। আমরা মনে করি আমাদের অঞ্চলকে নিরাপদ রাখা, এখানে শান্তি, স্থিতি বজায় রাখা আমাদের আন্তরিক দায়িত্ব। একইসাথে ভারতেরও দায়িত্ব। অর্থাৎ এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজন আমাদের দুই দেশের সহযোগিতা।
ঢাকা।।
২২তম আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) ডিএমপির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বার্তায় ট্রাফিক নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে।ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়, আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন আগামীকাল শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে।সম্মেলন উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের নিম্নলিখিত এলাকাগুলোর রাস্তা বন্ধ/রোড ডাইভারশন দেওয়া হবে— কাটাবন ক্রসিং, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিং, কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং, কাকরাইল চার্চ ক্রসিং, ইউবিএল ক্রসিং, হাইকোর্ট ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার, জগন্নাথ হল ক্রসিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভাস্কর্য ক্রসিং ও উপাচার্য ভবন ক্রসিং।অনুষ্ঠান উপলক্ষে আসা গাড়ি নিম্নলিখিত এলাকাগুলোতে পার্কিং করবে— মহসিন হল মাঠ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ভিআইপি), মলচত্বর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পলাশী ক্রসিং থেকে ভাস্কর্য ক্রসিং পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে, ফুলার রোড রাস্তার দুই পাশে, দোয়েল চত্বর ক্রসিং থেকে শহিদুল্লাহ হল ক্রসিং পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে, সবজি বাগান থেকে নেভাল গ্যাপ পর্যন্ত, সুগন্ধা থেকে অফিসার্স ক্লাব ক্রসিং পর্যন্ত, হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল গলি, নেভাল গেট এলাকা, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের বিপরীত পাশে, মিন্টো রোড ক্রসিং থেকে পুলিশ ভবন ক্রসিং এবং দিলকুশা ও মতিঝিল এলাকার রাস্তার দুই পাশে।
অনলাইন ডেস্ক :
দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পালা শেষ হলো। অবশেষে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে প্রথম বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু হলো শুক্রবার। এর মাধ্যমে দেশের রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হলো পর্যটনশহর কক্সবাজার। এখন থেকে ট্রেনে চড়ে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াতের স্বপ্নপূরণ করতে পারবেন কক্সবাজারবাসী।
আজ ১ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে আইকনিক রেলস্টেশন থেকে প্রায় ১ হাজার ৩০ জন যাত্রী নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’। এর আগে, গত ১১ নভেম্বর কক্সবাজার-দোহাজারি রেলপথের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার গোলাম রব্বানী বলেন, এক সপ্তাহ আগে থেকে অনলাইন ও অফলাইনে সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। এখন শুধু ৯ ডিসেম্বরের পরের টিকিট বিক্রি হচ্ছে। কক্সবাজার এক্সপ্রেসে ২০ বগিতে আসন সংখ্যা ৭৮০টি। প্রায় ১ হাজার যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি যাত্রা করবে। চাহিদা বাড়লে বগিও বাড়ানো হবে।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ৯টি স্টেশন রয়েছে। সবখানে জনবলও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ননস্টপ যাত্রা করবে। শুধু চট্টগ্রাম ও ঢাকায় যাত্রা বিরতি করবে। কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে নামলে যাত্রীরা পাবেন তারকা মানের হোটেল, অত্যাধুনিক শপিংমলে কেনাকাটাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা।
এদিকে, প্রথম ট্রেনের টিকিট পেয়ে উচ্ছ্বসিত যাত্রীরা। ঢাকার টিকিট করা যাত্রী জহির উদ্দিন বলেন, কক্সবাজার থেকে প্রথম এই যাত্রা ইতিহাস হয়ে থাকবে। তাই আগে থেকে টিকিট বুকিং করে রাখছি।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ চট্টগ্রামে বেলা ৩টা ৪০ মিনিটে এবং ঢাকায় পৌঁছবে রাত ৯টা ১০ মিনিটে। পর্যটন শহর থেকে রাজধানী ঢাকা যেতে সময় লাগবে ৮ ঘণ্টা ১০ মিনিট। কক্সবাজার থেকে ঢাকা পর্যন্ত শোভন চেয়ারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯৫ টাকা, এসি চেয়ারের ভাড়া ১ হাজার ৩২৫ টাকা, এসি সিটের ১ হাজার ৫৯০ টাকা এবং এসি বার্থের ভাড়া ২ হাজার ৩৮০ টাকা।