চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে এক হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নাসিমা বেগম নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ১৩ অক্টোবর রোববার দুপুরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত নাসিমা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মিনারকোট গ্রামের আনিস খাঁর স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, জেলা পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে গোপন সংবাদের মাধ্যমে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ভোররাতে মিনারকোট এলাকায় তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। পুলিশ আসার খবর পেয়ে গ্রেফতার এড়াতে নাসিমা কৌশলে বসতঘরের শয়নকক্ষে ইয়াবাগুলো লুকিয়ে রাখেন। একপর্যায়ে পুলিশ তার শয়নকক্ষের নিচ থেকে এক হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল হাসিম বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানে এক হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নাসিমাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে সোপর্দ করা হয়। আমাদের মাদকবিরোধী অভিযান নিয়মিত চলছে। যেকোনো মূল্যে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় আগুন পুড়িয়ে হত্যা করার নারীর খণ্ডিত মাথা উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ওই নারীর পরিচয় জানা গেছে।
আজ ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের গাজির বাজার এলাকার একটি পুকুর থেকে মরদেহের মাথাটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত নারীর নাম হরলুজা (৫০)। তিনি স্থানীয় নুরুল ইসলাম ব্যাপারীর স্ত্রী। তিনি ওই এলাকায় একটি কলোনিতে বসবাস করতেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আখাউড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছমিউদ্দিন জানান, এ ঘটনায় ফারহান রনি নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রনি আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ ভূইয়ার ছেলে। তিনি একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার স্বীকারোক্তিতে মরদেহের খণ্ডিত মাথা একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকালে উপজেলার গাজীর বাজার এলাকার এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে রাজহাঁস চুরি হয়। সকাল ৭টার দিকে হাঁস খুঁজতে এসে শাহনেওয়াজ ভূঁইয়ার জায়গায় পরিত্যক্ত টিনের ভাঙা ঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন। সেখানে থাকা ফারহান রনি জানান, তিনি পাতা পোড়াচ্ছেন। এ কথায় বিশ্বাস না হলে হাঁসের মালিক দুই ভাই এনামুল ও রোমান এবং তাদের চাচাতো ভাই উবায়দুল ঘরের ভেতরে কী আছে দেখতে চান। এতে ফারহান ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের মারার হুমকি দেন। এতে আরো সন্দেহ তৈরি হয়। পরে গ্রামের লোকজনসহ ওই ঘরে ঢুকে গর্তে মরদেহ পুড়তে দেখা যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী উপজেলা আখাউড়ায় মাটি খুঁড়তে গিয়ে একটি মর্টার শেল পাওয়া গেছে।
আজ ৪ মার্চ সোমবার দুপুরে আখাউড়া উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রাম থেকে মর্টার শেলটি উদ্ধার করা হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, মর্টার শেলটি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার। যা অবিস্ফোরিত রয়ে গেছে। এর আগেও ওই জায়গার পাশ থেকে মর্টার শেল উদ্ধার হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সকালে চাঁনপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়ার আবুল হাসিমের বাড়ির আঙ্গিনায় লিচু গাছের গোঁড়ার মাটি খোঁড়া হচ্ছিল। কিছুটা মাটি খোঁড়ার পর মর্টার শেলটি পাওয়া যায়। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মর্টার শেলটি দেখতে লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরে আলম বলেন, এটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহার হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। সে সময় শেলটি অবিস্ফোরিত থাকে। পুলিশ শেলটিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নিরাপদ স্থানে রেখেছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কুমিল্লা সেনানিবাসে খবর দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েল গেজ ডাবল রেললাইন নির্মাণ এবং আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনের উন্নয়ন কাজে ব্যবহারের জন্য আখাউড়ায় রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে বিশাল জায়গা জুরে ইট ভেঙ্গে সুরকি করা হচ্ছে।
বছর খানেক আগে স্কুলের সামনের পুকুরটি ভরাট করে সেখানে ইট ভাঙ্গার কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ইট ভাঙ্গা হয়। এসব ইটের কনা, ধুলাবালি, বাতাসে মিশে বাতাসকে দূষিত করছে।
এসব দূষিত বাতাস আর ধুলাবালি নিঃশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করছে শিক্ষার্থীরা। শ্রেণী কক্ষের চেয়ার টেবিলে জমছে ধুলাবালি। ধুলাবালিতে কাপড়-চোপড় ময়লা হচ্ছে। এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পড়ালেখা করছে বিদ্যালয়ের প্রায় ১ হাজার ছাত্রছাত্রী। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে এ ব্যাপারে অবগত করা হলেও সর্তকর্তামূলক কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
সরজমিনে রেলওয়ে স্কুলে গিয়ে যায়, বিদ্যালয় মাঠের সামান্য দূরে মেশিন দিয়ে ইট ভাঙ্গার কাজ চলছে। শ্রমিকরা ইট ভেঙ্গে সুরকি করে স্তুপ আকারে রাখছে। পাশের রাস্তায় দিয়ে পথচারীসহ ছাত্রছাত্রীরা নাকে হাত চাপা দিয়ে যাতায়াত করছে। ভাঙ্গা ধুলিকনা বাতাসে মিশে চোখে মুখে লাগছে। বিদ্যালয়ের বাড়ান্দায় ধুলাবালু জমে আছে।
এ ব্যাপারে রেলওয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ আসাদুজ্জামান খান বলেন, ধুলাবালির কারণে ছাত্রছাত্রীদের খুব অসুবিধা হচ্ছে। মেয়েরা বমি বমি ভাব হয়। তাদের মাথা ব্যথা হয়। ক্লাশ রুমে বসে থাকা দূর্বিষহ হয়ে পড়েছে। শ্বাস প্রশ্বাস গ্রহণে অসুবিধা হয়।
বিষয়টি ঠিকাদারের লোকজনকে বলার পরও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তিনি ইট ভাঙ্গা বন্ধ করার দাবী জানান।
জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা বলেন, ধুলিকানা বাতাসে মিশে বায়ুদুষণ হচ্ছে। নিঃশ্বাসের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা এসব দুষিত বাতাস গ্রহণ করছে। এতে ফুসফুস জনিত প্রদাহ, শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ হতে পারে। অনেকের ধুলাবালুতে এলার্জি থাকে। তাদের হাঁচি-কাশি হতে পারে।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েল গেজ ডাবল রেল লাইন প্রকল্পের উর্ধতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ওয়ার্কস) মোঃ আব্দুল্লাহ বলেন, ছাত্রছাত্রীদের অসুবিধার হওয়ার বিষয়টি আমি আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। আমি সরজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় পৃথক স্থানে গলায় ফাঁস দিয়ে এক নারীসহ ২ জন আত্মহত্যা করেছে। আজ ২৫ মার্চ শনিবার সকালে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের নীলাখাদ এবং গঙ্গাসাগর পশ্চিম দিঘির পাড় এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আখাউড়া থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠিয়েছে। নিহতরা হলেন নীলাখাদ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধার জহিরুল হকের ছেলে মোঃ নয়ন (৪৬) এবং দিঘির পাড়েরর সাগর মিয়ার স্ত্রী আলিফা আক্তার (২০)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নয়ন মিয়া সকলের অগোচরে বসত ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বাড়ির লোকজন জানালা দিয়ে দেখতে পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে গঙ্গাসাগর গ্রামের পশ্চিম দিঘির পাড় এলাকায় সাগর মিয়ার স্ত্রী নিজ রুমে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না প্যাচিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠিয়েছি। প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, দু’জনেই ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে, পারিবারিক কলহের জেরে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় মূল্য তালিকা না থাকায় ২ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ২৯ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে পৌর শহরের সড়ক বাজারে মুদিমাল ও কাঁচা মালের দোকানীকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আক্তার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী। আদালতকে সহযোগিতা করেন আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো: শফিকুল ইসলামসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নিয়মিত বাজার তদারকির অংশ হিসেবে সোমবার শহরের সড়ক বাজারে মুদিমাল ও কাঁচা মালের দোকানে অভিযান চালানো হয়।
এসময় মূল্য তালিকা না থাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে লোকনাথ সবজি ভান্ডারকে ৫ হাজার ও মাসুদ স্টোরকে ৩ হাজার টাকা জরিমানাসহ সর্বমোট ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযানকালে দোকানীদের বেশি দামে মুদিমাল বিক্রি না করতে মৌখিকভাবেও সতর্ক করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আক্তার বলেন, বাজার স্থিতিশীল রাখতে উপজেলা প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।