চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়ন শাখা অফিস উদ্বোধন করা হয়েছে। ১২ অক্টোবর শনিবার বিকাল ৩ টায় সোনারামপুর বাজার হাজী সিদ্দিক মার্কেটে অফিস উদ্বোধন করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়ন শাখার সেক্রেটারী মো: আল মামুনের সঞ্চালনায় জামায়াতে ইসলামি সোনারামপুর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা নাজমুল আলম আরিফ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আমীর মাওলানা কাজী আবুল বাশার, উপজেলা সহকারী সেক্রেটারী মাওলানা আলাউদ্দীন সাদী, উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য শামীম নূর ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাহজাহানপুর ওয়ার্ড সভাপতি মাসুদুর রহমান, ওয়ারী ওয়ার্ড সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: মো: ইসমাইল, উপজেলা ইসলামি ছাত্র শিবির সেক্রেটারী সোহেল আহমেদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন দরিয়াদৌলত ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মো: শাহ আলম, মো: লিটন মিয়া, মো: মতিউর রহমান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সোনারামপুর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মো: নাসির উদ্দিন, জামায়াত কর্মী আনিসুর রহমান, মো: আলমগীর মাস্টার, মো: মমিন মাস্টার ডা: শফিক, ডা: রফিকুল ইসলাম, ডা: মফিজুল ইসলাম, ডা: আবুল হোসাইন, মো: ইউনূস বিন রমজান, রুবেল মিয়া, অনিক, সেলিম, মো: ইদ্রিস, মো: জালাল উদ্দিন, জুবায়ের ফয়সাল, মো: ইসমাইল, মো: আবদুল জব্বার, আবু হানিফ, মনির হোসেন, আবুল কালাম, আল মামুন, রাসেল আহমেদ, হাবীব, দ্বীন ইসলাম, আবু হানিফ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈদ্যনাথতলার সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিকনির্দেশনায় স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে বলে মন্তব্য করেছেন অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম এম.পি।
আজ ১৭ এপ্রিল বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন তাজ বলেন, ‘একদল স্বার্থান্বেষী একাত্তর থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত দেশ-বিদেশে সরকারবিরোধী অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। ওই সব লোকজনের অপপ্রচারের বিষয়ে আপনাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে।’
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহা. আবুল মনসুরের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলার নারী ভাইস চেয়ারম্যান জলি আক্তার, ভাইস চেয়ারম্যান সায়েদুল ইসলাম বকুল ভূইয়া, পৌর মেয়র তফাজ্জল হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নজরুল ইসলাম, বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী জাদিদ আল রহমান জনি প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
তিতাস নদীর ওপর নির্মিত শেখ হাসিনা ওয়াই সেতুর কোটি টাকার জমি দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করা হয়েছে। আরো দোকানঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে দোকানপাট নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় সেতুর জায়গা দখলমুক্ত করতে ইউএনওর কাছে আবেদন করেছেন হোমনা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আহসান উল্লাহ নামে এক ব্যবসায়ী। গত ১৫ মার্চ আবেদন করলেও রহস্যজনক কারণে বন্ধ হচ্ছে না দোকান নির্মাণের কাজ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর ও কুমিল্লার হোমনা উপজেলার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ রক্ষা করতে নির্মাণ করা হয় শেখ হাসিনা ওয়াই সেতু। এই সেতুর নিচের এলজিইডির জায়গায় দোকানঘর তুলে দখল করে নিয়েছেন কয়েকজন ব্যক্তি। কয়েকজন ব্যক্তি দোকানঘর নির্মাণ করে দখল কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বাধা দিতে গেলে উল্টো হুমকি-ধমকি ও মিথ্যা মামলার ভয় দেখানোর ঘটনা ঘটছে। সেতুর পিলার ঘেঁষে দোকানপাট নির্মাণ করার কারণে বহু বছরের পুরোনো রামকৃষ্ণপুর বাজারে যাওয়ার রাস্তা বন্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমন কি, মানুষের চলাচলের রাস্তাও বন্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বুধবার সরেজমিন দেখা গেছে, সেতুর নিচে সরকারি জমি দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করছে ১২-১৫ জন। পিলার ঘেঁষে এসব দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। বাজারের ব্যবসায়ীদের দাবি, দোকান নির্মাণে ভূমি অফিস থেকে বাধা দেওয়া হলেও মানছে না কেউ।
অভিযোগদাতা আহসান উল্লাহ বলেন, ‘রামকৃষ্ণপুর গ্রামের শাহ আলম এলজিইডির জায়গা দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করছেন। এতে আমার ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, হাঁস-মুরগি ও গরুবাজারের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। তাই আমি বাদী হয়ে ইউএনওর কাছে অভিযোগ করেছি। ভূমি অফিস থেকে বাধা দিলেও মানছেন না শাহ আলম গংরা।’
জানা গেছে, ১০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দেশের একমাত্র ওয়াই আকৃতির শেখ হাসিনা তিতাস সেতুটি ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করা হয়। আগে সেতুটি দেখার জন্য আসতেন দর্শনার্থীরা। কিন্তু সেতুর জায়গা দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করায় সৌন্দর্য ফিকে হয়ে গেছে। দখলদারদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবারের ঈদের সময় সেতু এলাকায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা।
স্থানীয়দের জোর দাবি, ভূমিখেকোদের কবল থেকে জমি উদ্ধার করে রামকৃষ্ণপুর বাজার রক্ষা ও সেতুর সৌন্দর্য ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
রামকৃষ্ণপুর বাজারের ইজারাদার সফিকুল ইসলাম আকন্দ বলেন, সেতুটি নির্মাণের পরে বাঞ্ছারামপুর, হোমনা ও মুরাদনগরে যাতায়াতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসছে। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বিষয়টিকে পুঁজি করে সেতুর জায়গা দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করছেন রামকৃষ্ণপুর গ্রামের শাহ আলম। এ কারণে আমি ইজারা নিয়েও গরুবাজার বসাতে জায়গা পারছি না। অবৈধ দখল বন্ধ না হলে সেতুর দুই পাশের আরও জায়গা বেহাত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে শাহ আলম বলেন, ‘শুধু আমি না, অনেকেই দোকানঘর নির্মাণ করে দখল করছেন। তাদের দেখে আমিও দোকানঘর নির্মাণ করেছি। সরকারের প্রয়োজন হলে জায়গা ছেড়ে দেব।’
চান্দেরচর ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (নায়েব) আমান উল্লাহ জানান, উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নির্দেশে সরকারি জমি দখলকারী শাহ আলমকে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু বাধা অমান্য করে দোকানঘর নির্মাণ করছে।
হোমনা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামের ভাষ্য, সেতুর জায়গা অধিগ্রহণ করেছে এলজিইডি বিভাগ। জমির মূল্যও পরিশোধ করা হয়েছে। এ জমি দখল করতে দেওয়া হবে না।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইউসুফ হাসান জানান, অভিযোগ পেয়ে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের মাধ্যমে নিষেধ করা হয়েছে। সমস্ত স্থাপনার তালিকা করে উচ্ছেদ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্ষেমালিকা চাকমার দাবি, অভিযোগ পেয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জমিটি এলজিইডি বিভাগের হওয়ায় সরাসরি ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব হচ্ছে। দখল বন্ধ না হলে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, ওয়াই সেতুর নিচের বাঞ্ছারামপুর অংশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। হোমনা অংশে অবৈধ দখলদার থাকলে তা দ্রুত অপসারণ করার জন্য হোমনা উপজেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুরের সোনারামপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আয়নালের বিরুদ্ধে মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। ছয় মাস ধরে বালু তোলার কারণে নদী পাড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদী পাড়ের জমির মালিকরা বালু তুলতে নিষেধ করলেও আমলে নিচ্ছেন না অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আইয়ুবপুর ইউনিয়নের কড়িকান্দি থেকে মেঘনা নদী দশানী, চর শিবপুর, ইছাপুর হয়ে শান্তিপুর দিয়ে প্রবাহিত হতো। কালের বিবর্তনে মেঘনার প্রবাহ বদলে কড়িকান্দি দিয়ে নরসিংদীর সদর উপজেলার চর দিগলদী ইউনিয়নের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে শান্তিপুর গিয়ে মিলিত হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, ইছাপুর গ্রামের পশ্চিম পাশে পুরাতন মেঘনা নদী থেকে খননযন্ত্র দিয়ে বালু তুলে ইছাপুর গ্রামে বিক্রি করা হচ্ছে। মেঘনা নদীর যে অংশ থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, এর দুই পাশে ফসলি জমি ও পশ্চিম পাশে বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের খুঁটি রয়েছে। নদী থেকে তোলা প্রতি ঘনফুট বালু ইছাপুর গ্রামে বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা দরে।
অনাথ রামপুর গ্রামের শিশু মিয়া জানান, ইছাপুর গ্রামের যুবলীগ নেতা আয়নাল ছয় মাস ধরে মেঘনা নদী থেকে বালু তুলে বিক্রি করে আসছেন। বাধা দিলে উল্টো হুমকি দেন তিনি। বালু উত্তোলনের কারণে ফসলি জমি মেঘনা নদীতে চলে যাচ্ছে। ইছাপুর গ্রামের শাহ আলম বলেন, ‘আয়নাল অনেক প্রভাবশালী। তাই বাধা দিয়েও কিছু করতে পারছি না।’
অভিযোগের বিষয়ে কথা হয় সোনারামপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আয়নালের সঙ্গে। তাঁর ভাষ্য, তিনি অল্পস্বল্প বালু উত্তোলন করেছেন। তাতে কারও ক্ষতি হচ্ছে না। নৌকা দিয়ে বালু নিয়ে জায়গা ভরাট করছেন। এলাকার কিছু লোক মিথ্যাচার করছেন।
সোনারামপুর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা এমরান হোসেন জানান, বালু উত্তোলনের বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তিনি ঢাকায় রয়েছেন। সরেজমিন দেখে এসিল্যান্ডকে জানাবেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী আতিকুর রহমান জানান, খোঁজ নিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার গলাচিপা বিলে বাঁধ দিয়ে মাছ মাছ ধরছেন ইজারাদার। বাঁধের কারণে নৌচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বাঁধের দু’পাশে কচুরিপানা আটকে ফসলি জমিতে উঠে যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রূপসদী ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামের পশ্চিমপাশে রূপসদী মৌজায় গলাচিপা বিল। এর পাশে ছলিমাবাদ ইউনিয়নের পাঠামারা, রূপসদী ইউনিয়নের খাউরপুরা, হোগলাকান্দি ও রূপসদী গ্রাম। গ্রামগুলোতে অবস্থিত বাজারে বর্ষাকালে নৌকা দিয়ে পণ্য আনা-নেওয়া করেন ব্যবসায়ীরা। চলতি বছর ২২ একর আয়তনের বিলটি ৫৩ হাজার ৩০০ টাকায় ইজারা নেন রূপসদী ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য রবীন্দ্র দাস। ইজারা নিয়ে বিলের দক্ষিণ ও উত্তরপাশে বাঁশ ও জাল দিয়ে আড়াআড়ি বাঁধ নির্মাণ করেন। বাঁধের কারণে নৌচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। দুর্ভোগে পড়েছেন চার গ্রামের মানুষ।
গলাচিপা বিলে গিয়ে দেখা গেছে, হোগলাকান্দা বাঞ্ছারামপুর সড়কের গলাচিপা সেতুর দক্ষিণপাশে বাঁশ ও জাল দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। বিলে কোনো নৌকা প্রবেশ করতে পারছে না। বিলের উত্তরপাশেও বাঁশ ও জাল দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এই বাঁধের কারণে রূপসী দক্ষিণপাড়া জামাই বাজার, হোগলাকান্দা বাজার, দক্ষিণ বাজার ও খাউয়ূরপুরা বাজারের ব্যবসায়ীরা নৌপথে পণ্য আনতে পারছেন না। বাঁধের কারণে কচুরিপানা সরতে না পারায় ফসলি জমিতে উঠে যাচ্ছে।
খাউয়ূরপুরা গ্রামের কৃষক লিল মিয়া জানান, বাঁধের কারণে কচুরিপানা সরতে না পেরে বর্ষার পানি বাড়ায় তা ফসলি জমিতে উঠে গেছে। ধইঞ্চা, পাট ও ধানক্ষেতের অবস্থা খুবই খারাপ।
হোগলাকান্দি গ্রামের সুমন মিয়া বলেন, ‘বর্ষাকালে আমরা নৌকা দিয়ে পাশের জমিতে ও খালে মাছ ধরতাম। কিন্তু বিলে বাঁধ দেওয়ার কারণে নৌকা নিয়ে কোথাও যেতে পারছি না। বর্ষাকাল এলে আমরা এটার ওপরেই চলতাম। এখন মাছ ধরতে না পারায় পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে আছি।’
রূপসদী দক্ষিণপাড়া জামাই বাজারের ব্যবসায়ী মিন্টু মিয়ার দাবি, বর্ষাকালে গলাচিপা বিল দিয়ে নৌকায় করে পণ্য বহন করতেন তারা। কিন্তু এখন বিলে বাঁধ থাকায় পণ্য বহন করতে পারছেন না। এতে অনেকদূর ঘুরে পণ্য আনতে হচ্ছে। ফলে খরচ অনেক বেড়ে গেছে।
গলাচিপা বিলের ইজারাদার রবীন্দ্র দাস জানান, বিল থেকে অবৈধভাবে বালু তোলার কারণে সময়মতো মাছ ধরতে পারেননি। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিলে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করতে হচ্ছে। এতে কারও ক্ষতি হচ্ছে না। বিলের পাশের জমিও বিলের আওতায়, তাই সেখানেও বাঁধ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ভূমি অফিসের লোকজনও জানে। তবে গলাচিপার বিলে বাঁধের বিষয়টি জানা নেই বলে দাবি করেছেন রূপসদী ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান।
রূপসদী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিমের ভাষ্য, বিলে বাঁধ দেওয়ার বিষয়টি তাঁকে অনেকে জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ইউএনওর সঙ্গে আলাপ করতে হবে। বাঁধ দেওয়ার কারণে এই এলাকার মানুষের নৌচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাঈদা আক্তার জানান, প্রবহমান জলাধারের কোনো জায়গায় বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের সুযোগ নেই।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী আতিকুর রহমান বলেন, ‘বাঁধ দেওয়ার বিষয়টি জানি না। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কি মিত্র চাকমার ভাষ্য, বিলে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা যাবে না। বিশেষ করে নৌচলাচল ব্যাহত হয় এমন কোনো কাজ করা যাবে না। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী একে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, খালেদা জিয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। তারেক রহমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিশ্বের মানুষ বলে, ‘দুর্নীতিতে অনার্স, মানি লন্ডারিংয়ে মাস্টার্স’।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় পৃথিবীর সেরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করছেন। মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বিশ্বমানের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করছেন।
আজ ৬ মার্চ সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে উজানচর কংশ নারায়ণ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে লেখা ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইটি বিতরণ করা হয়। এ উপলক্ষে স্কুলের পার্শ্ববর্তী মাঠে সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম।
উপমন্ত্রী বলেন, ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইয়ে বঙ্গবন্ধুর সাম্রাজ্যবাদবিরোধী মনোভাব, অসাম্প্রদায়িক ভাবাদর্শ ও বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার গভীর পরিচয় মেলে। বইটি থেকে অনেক কিছু জানার আছে, যা এ সময়ে বলা সম্ভব নয়।
সমাবেশে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উজানচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী জাদিদ আল রহমান জনির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের এমপি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমিন, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মহি প্রমুখ।