দীর্ঘ ২০ বছর পরে দেশে ফিরে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর মাজারে শ্রদ্ধা ও ফাতিহা পাঠ করছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেকসহ সফর সঙ্গী হিসাবে দেশে ফিরেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃতি সন্তান শাহ মোঃ ইব্রাহিম। গতকাল ১৩ অক্টোবর রবিবার দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। তার আগমন উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাকর্মী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপি ও যুবদল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
যুক্তরাজ্য কৃষক দলের সদস্য সচিব শাহ ইব্রাহিম বলেন, আপনারা দেখেছেন স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা চোরের মতো দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। গর্তে ঢুকে পড়েছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু আমরা এই মাটির ভূমিপুত্র, আমরা এই মাটিতে ফিরে এসেছি। জনগণ এখন তারেক রহমানকে রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে দেখতে চাই। এমএ মালিকের সফরসঙ্গী হিসেবে দেশে ফিরেছেন যুক্তরাজ্য জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সদস্য সচিব, যুক্তরাজ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরামের আহবায়ক শাহ মো ইব্রাহীম মিয়া। তিনি এর আগে এবছরেই ১৯ সেপ্টেম্বর দেশে এসেছিলেন। এবারে তিনি দীর্ঘ ১৯ বছর পর বাংলাদেশে আসা যুক্তরাজ্য বিএনপি সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এম এ মালিক ভাইয়ের সফরসঙ্গী হিসেবে আসলেন। ঢাকা বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে যান এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী নেতাকর্মীদের নিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নয়াপল্টন কার্যালয়ে যান। তিনি জানান, ঢাকায় চারদিন অবস্থান করে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। ১৭ অক্টোবর তিনি নিজের জন্মস্থান সিলেটে যাবেন। সেখানে দুই সপ্তাহ থাকবেন। সর্বশেষ ২০০৫ সালে দেশে এসেছিলেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বাসিন্দা বিএনপি নেতা এমএ মালিক। এরপর আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলে পড়ে দেশে ফিরতে পারেননি তিনি। ওয়ান-ইলেভেনের পর থেকেই যুক্তরাজ্যে ধারাবাহিক ভাবে আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী নানা কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিয়ে আলোচনায় ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় এই যুবদল নেতা। ২০২৩ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে সফরকালে ওয়াশিংটনে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন তিনি। সে সময় কর্মসূচি প্রত্যাহার করার জন্য এমএ মালিককে আলোচনায় বসতে চায়ের দাওয়াত দেন শেখ হাসিনা। তা প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতির পাশাপাশি বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় গুরুত্ব পাচ্ছে মাদকের বিষয়টি। আওয়ামীলীগে ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মাদক বিরোধী পোষ্ট ও স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।
আজ ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের সিঙ্গারবিল বাজারে এক পথ সভায়ও মাদকের বিষয়টি তুললেন নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
সিঙ্গারবিল বাজারের পথ সভায় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনের টানা তিনবারের সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, বাজারে দুধ ও পাওয়া যায় মদও পাওয়া যায়। আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম আপনারা কোনটা কিনবেন। তবে আমার পরামর্শ থাকবে আপনারা দুধ কিনবেন।
পথসভায় র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের আমলে বিজয়নগরে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়িত হয়েছে। আমি গত ১৩ বছরে কি করতে পেরেছি সেটা আপনারা জানেন। আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট দেয়ার সময় আপনারা বিষয়টি বিবেচনা করবেন। তিনি মাদক ব্যবসায়ীকে না বলে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করার আহবান জানান।
এ সময় র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির সাথে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভ‚ইয়া, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিসেস নাছিমা লুৎফুর রহমান (নাসিমা মুকাই আলী), উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সিঙ্গারবিল বাজারের পথ সভার পর মোকতাদির চৌধুরী এমপি সিংগারবিল বাজার থেকে বিষ্ণুপুরে যান।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগ, স্বতন্ত্র ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এই আসনের টানা তিনবারের সংসদ সদস্য। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব ছিলেন। গত ১৩ বছরে নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
মহান বিজয়ের মাস ব্যাপক কলেবরে উদযাপনের লক্ষ্যে নানান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ।
আজ ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সভায় এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
শহরের হালদারপাড়াস্থ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুর সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা তাজ মো. ইয়াছিন, মুজিবুর রহমান বাবুল, গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, অ্যাড. মাহবুবুল আলম খোকন, সৈয়দ মিজানুর রেজা, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শেখ মো. আনার, সৈয়দ এহতেশামুল বারী তানজিল, সেলিম রেজা হাবিব, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল কালাম ভূঞা, সাধারণ সম্পাদক এমএএইচ মাহবুব আলম, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি অ্যাড. লোকমান হোসেন (ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান), বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াহিদ খান লাভলু, ওয়াসেল সিদ্দিকী, গাজি রতন মিয়া, আবু হোরায়রাহ, জায়েদুল হক, মাহমুদুর রহমান জগলু, কাচন মিয়া, মো. মনির হোসেন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, জেলা কৃষকলীগ আহবায়ক সাদেকুর রহমান শরীফ, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি আবদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহ পরান, জেলা তাঁতী লীগ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানী লিঃ এর উচ্চ চাপ ক্ষমতাসম্পন্ন সরবরাহ লাইনের উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করে যানবাহন চলাচলের পাঁয়তারা করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসী।
আজ ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ভাদুঘর এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পৌর এলাকার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফের ছেলে ইমতিয়াজ মোহাম্মদ বাবুল।
লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, জেলার ১৭ ও ১৮ নং গ্যাস কূপের আওতায় শহরের শিমরাইলকান্দি থেকে ভাদুঘর পর্যন্ত গ্যাস ফিল্ডের নিজস্ব জায়গার মাটির ৬ ফুট নীচ দিয়ে উচ্চ চাপক্ষমতা সম্পন্ন গ্যাসের উৎপাদন লাইন নির্মাণ করে এবং দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলার জন্য বিজিএফসিএল এর পক্ষ থেকে সাইন বোর্ড ও মাইকিং করে প্রচার করে। অথচ স্থানীয় হারুন মিয়া, রফিকুল ইসলাম, খোকন মিয়া, বশির মিয়া ও জালাল মিয়াসহ একটি স্বার্থন্বেষী ভূমি খেকো মহল প্রভাব খাঁটিয়ে এই পাইপ লাইনের উপর দিয়ে পায়ে হাঁটা এবং ভারীযান পরিবহনের জন্য রাস্তা নির্মাণের পায়তারা করছে। ওই রাস্তা দিয়ে ভারীযান চলাচল করলে যেকোন সময় গ্যাস পাইপ লাইনের বিষ্ফোরণের আশঙ্কার পাশাপাশি শহরের ঘনবসতি মানুষের মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। বিস্ফোরণে তা যেন মাগুরছড়া ও চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর মতো ভয়াবহ বিপর্যয় না ঘটে। যেকোন ধরণের বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এসময় এলাকাবাসীর পক্ষে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন মোঃ সেলিম মিয়া, মোকলেছ মিয়া, আব্দুর রহিম প্রমুখ।
বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানীর লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (এডমিন) মাহমুদুল নবী মিলন বলেন, সেখানের রাস্তা নির্মানের কোন সুযোগ নেই। আমাদের নিরাপত্তাকর্মীরা প্রতিনিয়ত দেখাশুনা করছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পল্লী বিদ্যুতের কমপ্লিট শাটডাউনের কারণে দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে জেলার ৯টি উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে হাসপাতালের রোগীসহ গ্রাহকদের ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। পরবর্তীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ সংযোগ সমঝোতার ভিত্তিতে পুনরায় চালু করা হয়।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি আইবি-পল্লী বিদ্যুৎ একীভূতকরণ ও অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নসহ চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন চলছে। এ পরিস্থিতিতে পল্লী বিদ্যুতের ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, এর মধ্যে চারজনকে বৃহস্পতিবার সকালে আটক করা হয়। এছাড়া ২০ জন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মকবুল হোসেন এবং উপ মহাব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান ভূঁইয়াও রয়েছেন। শাটডাউনের ফলে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ভোগান্তিতে পড়েন। বিশেষ করে হাসপাতালে রোগীদের জন্য এটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। বিভিন্ন উপজেলার মিল কারখানা বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরাও অসুবিধার মুখে পড়েন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম জানান, সারাদেশের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পল্লী বিদ্যুতের শাটডাউন চলছিল। বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সম্ভাব্য ঘূূর্ণিঝড় ‘‘মোখা’’ মোকাবেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের এক জরুরী প্রস্তুতি সভা আজ ১৩মে শনিবার সকাল ১০টায় রেড ক্রিসেন্ট ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
ইউনিটের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকারের সভাপতিত্বে ইউনিটের সেক্রেটারী আলহাজ¦ মোঃ শাহ আলমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জায়েদুল হক ইউনিটের কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, নজরুল ইসলাম , শাহাজাদা, মাসুকুল কবীর, সালাউদ্দিন সরকার, ইউনিট লেবেল অফিসার পঙ্কজ সরকার, যুব রেড ক্রিসেন্টের পক্ষে ফাহিম মুনতাসির আফরিন আক্তার জুই প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় গৃহীত এক প্রস্তাবে সম্ভাব্য ঘূূর্ণিঝড় ‘‘মোখায়’’ ক্ষতিগ্রস্তদের জরুরী সাহায্যে যুব রেড ক্রিসেন্ট কর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহবান জানানো হয়। তাছাড়া রেড ক্রিসেন্ট ভাইস চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারী তত্ত্বাবধানে জরুরী পরিস্তিতি মোকাবেলায় পচিশ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।