চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২টি দেশীয় তৈরি একনলা বন্দুক, ৭টি কার্তুজ এবং ২টি দা উদ্ধার করা হয়। গতকাল ১৪ অক্টোবর সোমবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের ধারাভাঙ্গা গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
এরা হলেন নরসিংদী জেলার অলীপুর গ্রামের আরমান (৪২), একই গ্রামের কাজী তারেক (৩৪), আমজাদ হোসেন (২৭), সাজ্জাদ মনা (২২), আশরাফুল ইসলাম হিমেল (২০) ও আবু সাঈদ (২৭)।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বালু মহালের সামনে থেকে একটি ইঞ্জিনচালিত স্পিডবোটসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। বালু মহালসহ এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে তারা সংঘবদ্ধ হয়েছিলো। তাদের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি প্রস্তুতি মামলা ও একটি অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে জিনদপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের উদ্যোগে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১১ জুলাই শুক্রবার বিকেলে উপজেলার জিনদপুর বাজারে এই দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় জিনদপুর ইউনিয়ন কৃষকদের আহবায়ক মোঃ মাঈন উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক কে.এম মামুনুর অর রশিদ।
প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মোঃ জিল্লুর রহমান, উদ্বোধক হিসাবে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আল আমিন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নবীনগর উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক হাজী মোহাম্মদ জহিরুল হক জরু মিয়া, সদস্য সচিব মোঃ আনোয়ার হোসেন বাবুলসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি’র অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন অত্র ইউনিয়ন কৃষকদলের সদস্য সচিব মোঃ রাব্বী হাসান।
সম্মেলনে মোঃ মাঈন উদ্দিনকে সভাপতি ও মোঃ রাব্বী হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।
সম্মেলনে মোঃ মাঈন উদ্দিন পূণরায় ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি ও মোঃ রাব্বী হাসান পূণরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন শেষে প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক কে.এম মামুনুর অর রশিদ এর নেতৃত্বে জিনদপুর বাজারে বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে মায়ের সাথে চিকিৎসা করাতে গিয়ে সিয়াম নামে (৬ বছরের) শিশু সন্তান নিখোঁজ হয়ে গেছে। সন্তানকে খুঁজতে গিয়ে দিনভর নিখোঁজ রয়েছে ওই সন্তানের মা রিনা বেগম। নিখোঁজ সিয়াম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর পৌর এলাকার আলিয়াবাদ গ্রামের মালদ্বীপ প্রবাসী রায়হান মিয়ার ছেলে, রিনা বেগম তার স্ত্রী ।
সরেজমিনে নিখোঁজ সিয়ামের বাড়িতে গেলে তার চাচা ওবায়দুল হক বলেন, বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকাল দশটায় রিনা তার ছেলে সিয়ামকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যায়,চিকিৎসা শেষে ডাক্তারের পরামর্শ ও ওষুধ আনতে গেলে সেই সময় হারিয়ে যায় সিয়াম। হাসপাতালে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি, ওই সময় হাসপাতালের সামনে থাকা এক পথচারী রিনাকে বলেন, একটি ছেলে রসুল্লাবাদ গ্রামের অটোরিকশায় উঠতে দেখছি। এই কথা শুনে রিনা ছেলের খোঁজে বেড়িয়ে যায়। আমাকে দুপুর ১ টার দিকে ফোন করে সিয়াম নিখোঁজ হওয়াসহ এসব কথা জানান রিনা। তখন রিনা নবীনগর ফল বাজারে আছে এবং তার মোবাইলে চার্জ নেই একথাও আমাকে বলেছে। এটাই ছিলো তার সাথে শেষ কথা। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।সংবাদ পেয়ে আমরাও সিয়ামকে খোঁজতে বেড়িয়ে যায়।
এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের ছবি দিয়ে নিখোঁজ হবার সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে। দিন শেষে রাত হয়ে গেলো এখনো তাদের কোনো খোঁজখবর পাইনি।একদিকে ছেলে নিখোঁজ অন্য দিকে ছেলেকে খোঁজতে গিয়ে মা নিখোঁজ। এই ঘটনার পর থেকে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে গোটা নবীনগরে এলাকাবাসী ভীড় করছে সিয়ামদের বাড়িতে। পরিবারে চলছে শোকের মাতম। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত মা ও ছেলের কোন খবর পাওয়া যায়নি। বাজারের সিসি ক্যামেরা ফুটেজেও দেখা যাচ্ছে না তাদেরকে।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মাহবুব আলম বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে,পুলিশ এ বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছে।
মো. কামরুল ইসলাম, নবীনগর :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর প্রেসক্লাবের আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বি-বার্ষিক কার্যকরী কমিটি নির্বাচনের ৫টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছে।
৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেলে প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম লিটনের স্বাক্ষরযুক্ত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়।
চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় ১১টি পদের মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিজয়ী হয়েছেন সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে মোঃ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক পদে মোঃ মনিরুল ইসলাম বাবু, দপ্তর ও আপ্যায়ন সম্পাদক পদে মোঃ সেলিম রেজা, সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ও পাঠাগার সম্পাদক পদে শফিকুল ইসলাম, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে এস. এ. রুবেল। বিজয়ী প্রার্থীরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম লিটন জানান, বাকী ৬টি পদে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৩০ জন ভোটারের সরাসরি ভোটে প্রার্থীত পদে নির্বাচিত হবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে ভাড়ায় চালিত নৌকাসহ নিখোঁজের দুই দিন পর হিল্লাল মিয়ার (৩৭) নামে এক মাঝির ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার মেঘনার তীরবর্তী চরলাপাং গ্রামে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করেন তার স্বজনরা। নিহত হিল্লাল মিয়া উপজেলার নবীনগর পূর্ব ইউনিয়নের ডোপাকান্দা গ্রামের মৃত নয়াব আলীর ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, তিতাস, বুড়ি ও মেঘনা নদীতে ছিল নৌকাচালক হিল্লাল মিয়ার বিচরণ।
গত ৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় যাত্রী নিয়ে দুর্গারামপুর যাওয়ার পথে নৌকা থেকে নিখোঁজ হন হিল্লাল মিয়া। পরবর্তী সময়ে দুর্গারামপুর নৌকা ঘাটে হিল্লাল মাঝির নৌকাটি পাওয়া গেলেও মাঝিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ব্যাপারে তার পরিবারের সদস্যরা নবীনগর থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন। তখন নবীনগর থানা পুলিশসহ এলাকাবাসী অনেক খোঁজাখুঁজি করে নিখোঁজের কোনো সন্ধান পাননি।
তবে আজ ৮ অক্টোবর নিখোঁজের দুই দিন পর মেঘনা নদীতে হিল্লাল মাঝির ভাসমান লাশ উদ্ধার করে নিহতের স্বজনরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) হোমায়ন কবির বলেন, হিল্লাল মাঝির নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে তার পরিবারের লোকজন থানায় অভিযোগ দিয়েছিলেন। আমরা খোঁজ নিচ্ছিলাম, তবে মরদেহ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্বজনরা উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম শহিদ ‘সুজয়’-এর স্মরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বিটঘর ইউনিয়নে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সব শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষের সম্মতিক্রমে বিটঘর পুকুরপাড়ের তিন রাস্তার মোড়কে ‘শহিদ সুজয় চত্বর’ নামকরণ ও তার পাশে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সুজয় বিটঘর ইউনিয়নের একমাত্র শহিদ। জাতির দ্বিতীয় স্বাধীনতার দিনে বিজয় উদযাপনের সময় স্বৈরাচার সরকার তাকে পুড়িয়ে মারে। নবীনগর উপজেলার বিটঘর গ্রামের তরুণ টগবগে যুবক তানজিল মাহমুদ সুজয় (১৯) গত ৫ আগস্ট বিকাল ৩টায় সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় পেট্রলের আগুনে পুড়ে মারা যায়।
সুজয় ছিলেন বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির পক্ষে সরব। সরকার পতনের ঠিক আগের দিন নিজের ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট করেন; যা এখন রীতিমতো ভাইরাল। পোস্টে সুজয় স্বৈরশাসককে উদ্দেশ করে লিখেন- ‘আমি বেঁচে থাকলে বীর, মরলে শহিদ। তুই বাঁচলে টোকাই মরলে আলহামদুলিল্লাহ। হিসাবটা মিলা’।
সুজয়ের বাবা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, আমার ছেলে এই সরকারের দুঃশাসনের বিপক্ষে সবসময় সরব ছিল। বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনে ছাত্রদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে প্রতিদিন আন্দোলনে যোগ দেয়। সরকারের পতন ঘটলে সবার সঙ্গে আমার ছেলেও আনন্দে আত্মহারা হয়ে উদযাপন করতে রাস্তায় নামলে সাভার থানায় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি পুলিশের পোশাক পরে এলোপাতাড়ি গুলি করে তাকেসহ ১১ জনকে একটি কাভার্ডভ্যানে তুলে পেট্রল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিলে সেখানে সবারই মৃত্যু হয়।
সুজয়ের বাবা ছোটখাটো একটি ব্যবসা করতেন। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাবা এখন পরিবারের ভবিষ্যত কী হবে সেটা নিয়ে চিন্তিত।
শহিদ সুজয়ের স্মৃতিকে চির অম্লান করে রাখার প্রত্যয়ে বিটঘর ইউনিয়ন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।