অনলাইন ডেস্ক :
আটটি জাতীয় দিবস বাতিল করে আদেশ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বাতিল হওয়া ৮টি দিবসের মধ্যে ৫টিই সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারকেন্দ্রিক।
আজ ১৬ অক্টোবর বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের এসব দিবস উদযাপন/পালন না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ জারি করা হয়েছে। দিবসগুলো ছিল ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস, ৫ আগস্ট শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী, ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল দিবস, ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস এবং ১২ ডিসেম্বর স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের বিষয়ে বলা হয়েছে-উচ্চ আদালতের চূড়ান্ত আদেশ সাপেক্ষে দিনটি উদযাপন/পালন না করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস খ-শ্রেণিভুক্ত, বাকি দিবসগুলো ছিল ক-শ্রেণিভুক্ত।
এ সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে প্রতিপালনে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব, সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব/সিনিয়র সচিব, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি), উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)-এর কাছে অফিস আদেশ পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আমার তো বলার অপেক্ষা রাখে না, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধিতা করেছিল, যারা ষড়যন্ত্র করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবারের ১৭ জন সদস্যসহ হত্যা করেছিল সেই প্রেতাত্মা আজকে কিছুটা হলেও ষরযন্ত্রের মধ্যে লিপ্ত না থাকার কথা আমি অস্বীকার করতে পারবো না।
আজ ১২ জুলাই শুক্রবার সকালে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে কোটা বিরোধী আন্দোলনে রাজনৈতিক গন্ধ আছে কীনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি সকাল সোয়া দশটায় ঢাকা থেকে আন্ত:নগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনে এসে পৌঁছেন। এসময় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী আইনমন্ত্রীকে স্বাগত জানায়।
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, কিন্তু আমার বিশ্বাস যারা নতুন প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীরা কোটার ব্যাপারে তাদের বক্তব্য পেশ করেছে এবং সর্বোচ্চ আদালত যে আদেশ দিয়েছে সেই আদেশ মেনে তারা অবশ্যই ঘরে ফিরে যাবে। আমি বিশ্বাস করি, তারা জনগণের অসুবিধা হোক, জনগণ দুঃখকষ্ট ভোগ করুন, সেইকাজ পরিহার করে তারা তাদের ব্যবস্থা নিবে। মন্ত্রী বলেন আমার মনে হয় তারা ঘরে ফিরে যাবে।
কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীরা যদি ঘরে ফিরে না যায় সেক্ষেত্রে সরকারের অবস্থান কি হবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সরকারের দায়িত্ব হল জনগণের জানমাল রক্ষা করা, জনগণের সুবিধা ও অসুবিধা দেখা। সেখানে যদি কেউ বাধাগ্রস্থ করে সেক্ষেত্রে সরকারের দায়িত্ব আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, পৌর মেয়র ও সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, ছাত্রলীগের সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
এস আলম গ্রুপকে অর্থপাচারে সহায়তা করার অভিযোগ থাকা সুজন কান্তি দে (৪৪) নামের এক ব্যক্তি আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় আটক হয়েছেন। ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সুজন কান্তি চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার মালঘর গ্রামের সঞ্জিত কান্তি দে’র ছেলে। তিনি ২৩ বছর যাবৎ এস আলম গ্রুপে চাকরি করছেন। তার বিরুদ্ধে আনোয়ারা থানায় নিয়মিত মামলা রয়েছে। তাকে ধরতে আনোয়ারা থানা পুলিশ রিকুইজিশন দেয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল হাসিম জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে সুজন কান্তি নামে ওই ব্যক্তিকে থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। তিনি পাসপোর্টের মাধ্যমে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
ইমিগ্রেশন পুলিশ জানিয়েছে তারা বিরুদ্ধে আনোয়ারা থানায় মামলা রয়েছে। তাকে নেওয়ার জন্য আনোয়ারা থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।
বিশেষ প্রতিনিধি :
প্রকৃতিতে শীতের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। সময়ের পালাবদলে শীত শেষে দুয়ারে কড়া নাড়ছে ঋতুরাজ বসন্ত। আমের মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণে কেবলই মৌ মৌ করতে শুরু করেছে চারিদিক। কয়েকদিনের মধ্যেই আমের মুকুলের মিষ্টি গন্ধে সুবাসিত হয়ে উঠবে প্রকৃতি। এ সময়টাতে মুকুলের যত্ন না নিলে আমের ভালো ফলন সম্ভব নয়। আর এ কারণেই আশায় বুক বেঁধে আম চাষিরা শুরু করেছেন পরিচর্যা। মুকুলে যাতে পোকার আক্রমণ না হয় ও ঝড়ে না পড়ে, সেদিকে নজর রাখছেন নওগাঁর চাষিরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। যা গতবারের চেয়ে ৫২৫ হেক্টর জমিতে বেশি। চলতি মৌসুমে উপজেলাভিত্তিক আম চাষের পরিমাণ হলো-সদর উপজেলায় ৫১০ হেক্টর, রানীনগরে ১৩০, আত্রাইয়ে ১২০ দশমিক ৫, বদলগাছীতে ৫৩০, মহাদেবপুরে ৬৩০, পত্নীতলায় ৫ হাজার ৮১৫, ধামইরহাটে ৬৭৫, সাপাহারে ৯ হাজার ২৫৫, পোরশায় ১০ হাজার ৫৫০, মান্দায় ৪০০ ও নিয়ামতপুরে ১ হাজার ৩৮৪ দশমিক ৫ হেক্টর জমিতে।
শস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা নওগাঁ। এই জেলা এখন সারাদেশে আমের রাজধানী হিসেবে পরিচিত। নওগাঁর বিভিন্ন আম বাগান ঘুরে দেখা গেছে, বাগানের সারি সারি গাছে সবুজ পাতার মাঝে আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে। সবচেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল আসছে। গত এক সপ্তাহ আগে থেকেই গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। পুরোদমে মুকুল ফুটতে আরও কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে বলছেন বাগান মালিকরা। তবে যে সব গাছে মুকুল আসছে কুয়াশা আর শীতের কারণে মুকুলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন আম চাষিরা। তাইতো তারা মুকুল ও গাছের পরিচর্যা শুরু করছেন।
সাপাহার উপজেলা সদরের গোডাউনপাড়ার বরেন্দ্র এগ্রো পার্কের সফল কৃষি উদ্যোক্তা সোহেল রানা বলেন, ৫০ বিঘা জমি বিভিন্ন মেয়াদি লিজ নিয়ে আম বাগান করেছি। তাতে আম রুপালি, বারি ফোর, গৌড়মতি ও আর্শ্বিনা জাতের আম গাছ রয়েছে। এর মধ্যে কিছু আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। পুরোদমে মুকুল আসতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। তাই এ সময় গাছের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। ছোট-বড় আম বাগান পরিচর্যায় সময় ব্যয় করতে হয়। এছাড়াও বাগানের আগাছা পরিষ্কারসহ পোকা দমনে স্প্রে করা হচ্ছে কীটনাশক।
পোরশা উপজেলার নিতপুরের আম চাষি মাসুদ বলেন, প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকে বাগানের আম গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। যেসব গাছে মুকুল এসছে, কুয়াশা আর শীতের কারণে মুকুলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই মুকুল আসার পর থেকেই গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছি। মুকুল রোগ বালাইয়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বালাইনাশক স্প্রে করছেন।
পত্নীতলা উপজেলার আরেক আম চাষি রবিউল ইসলাম বলেন, তার আম বাগানের অধিকাংশ গাছেই মুকুল দেখা দিয়েছে। তবে যেসব গাছে মুকুল আসছে প্রায় নতুন গাছ। নতুন গাছ হওয়ায় আগে ভাগেই মুকুল আসতে শুরু করেছে। মুকুলের মাথাগুলোকে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য স্প্রে করা হচ্ছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে চলতি মাসের শেষের দিক থেকে শুরু করে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিক পর্যন্ত সব গাছে মুকুল দেখা যাবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু হোসেন বলেন, আবহাওয়াগত ও জাতগত কারণেই কিছু গাছে আগাম আমের এই মুকুল আসতে শুরু করেছে। এসব গাছে ফুল ফোটার আগে কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে। এতে করে কুয়াশা বা অন্যান্য পোকার আক্রমণ কম হবে। তবে কোনো ক্রমেই গাছে সেচ দেওয়া যাবে না। এতে করে নতুন করে পাতা জন্মাবে। এই জন্য চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এখনও সব গাছে মুকুল আসেনি। ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে পুরোদমে গাছে মুকুল আসবে। তখন শীত কেটে যাবে। তখন আমের মুকুল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।
চলারপথে রিপোর্ট :
কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কের ভৈরবের শম্ভুপুর এলাকায় ট্রাক ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে আব্দুল জব্বার (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন সীমা বেগম (২০) ও তোফায়েল আহমেদ (২৫) নামে দুইজন। তারা সবাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা।
ঘটনাটি ঘটে সোমবার সকাল ৮টার দিকে ভৈরব উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শম্ভুপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের সামনের সড়কে।
খবর পেয়ে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিক্সা ও ট্রাকটি আটক করে পুলিশ। তবে পালিয়ে গেছে অটোরিক্সা ও ট্রাকের উভয় চালক।
অটোরিক্সার যাত্রী আজিজুর রহমান ও সাবিকুন্নাহার জানান, ঢাকা যাবার উদ্দেশ্যে সকালে তারা রাজাপুর থেকে নৌকাযোগে ভৈরবের সাদেকপুর ইউনিয়নের মেন্দিপুর আসেন। পরে সেখান থেকে ভৈরব বাসস্ট্যান্ড যাবার উদ্দেশ্যে অটোরিক্সাটি নিয়ে যাত্রা করেন। শম্ভুপুর এলাকায় অটোরিক্সাটি অপর একটি অটোরিক্সাকে অভারটেক করে মহাসড়কের মাঝখানে আসলে ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জগামী ট্রাকটির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিক্সাটির সামনে বসা তাদের মামা আব্দুল জব্বার, আজিজুর রহমানের স্ত্রী সীমা বেগম ও অপর আত্মীয় তোফায়েল আহমেদ গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আব্দুল জব্বারকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত তোফায়েলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাম্মেল হক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে অটোরিক্সাটি এবং তাড়া করে বাজিতপুরের পিরিজপুর থেকে ট্রাকটিকে আটক করা হলেও উভয় পরিবহণের চালক পালিয়ে যায়। হতাহতের পরিবারের আবেদন সাপেক্ষে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্বখাতভুক্ত ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩-এর প্রথম ধাপের (বরিশাল, সিলেট, রংপুর বিভাগ) লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। মোট ২ হাজার ৪৯৭ জন প্রার্থীকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন।
২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর ৩ বিভাগের ১৮ জেলার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬শ ৯৭ জন। লিখিত পরীক্ষায় ৯ হাজার ৩ শত ৩৭ জন উত্তীর্ণ হয়।