চলারপথে রিপোর্ট :
ভারত থেকে অবৈধ ভাবে বাংলাদেশে ফেরার পথে আখাউড়া সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিক সবুজ দাস (২২) কে আটক করেছে ২৫ বিজিবি সরাইল ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।
আজ ১৬ অক্টোবর বুধবার দুপুরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া আব্দুল্লাহপুর নামক স্থান থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত সবুজ দাস জেলার নাসিরনগর উপজেলা কুন্ডা ইউনিয়নের ইন্দ্রজিত দাসের ছেলে।
বিজিবির প্রেস বিজ্ঞপ্তির জানায়, আখাউড়া ফকিরমোড়া বিওপির টহল দল সীমান্ত পিলার ২০২২/১০-এস হতে আনুমানিক ৩০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আব্দুল্লাহপুর নামক স্থান হতে বাংলাদেশী নাগরিক সবুজ দাসকে আটক করা হয়। আটককৃত বাংলাদেশী নাগরিক সবুজ জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, প্রায় ৪ মাস পূর্বে রাজ মিস্ত্রির কাজের সন্ধানে ভারতের আগরতলায় যায়। পরে বুধবার দুপুরে বাংলাদেশী মানব পাচারকারী মোঃ নাঈম চৌধুরীর সহায়তায় আখাউড়া আবদুল্লাহপুর এলাকায় অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় বিজিবি কর্তৃক আটক হয়।
আটককৃত বাংলাদেশী নাগরিককে আখাউড়া থানায় হস্তান্তর করা হয় এবং মানব পাচারে সহায়তাকারী মোঃ নাঈম চৌধুরী বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
চীনের দক্ষিণপশ্চিম অঞ্চলের চংকিংয়ে প্রবল বৃষ্টি ও বন্যায় অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছে চারজন।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বুধবার চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রবল বৃষ্টিতে চীনের দক্ষিণপশ্চিম অঞ্চলে দেখা দেওয়া বন্যার কারণে চংকিংয়ের চারটি অঞ্চলে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বন্যায় গত সোমবার থেকে বুধবারের মধ্যে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চীনের জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় যে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল তার মাত্রাও ইতোমধ্যে বাড়ানো হয়েছে।
চংকিংয়ের পার্শ্ববর্তী সিচুয়ান প্রদেশেও বন্যা দেখা দিয়েছে। প্রাদেশিক সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সেখানে প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা ৪ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। তবে সেখানে এখন পর্যন্ত প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সিচুয়ান প্রদেশের ৮৫ হাজারের বেশি বাসিন্দা তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, বন্যায় আটকে পড়াদের উদ্ধার ও জরুরি ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য অন্তত চারশ’টি দল এই এলাকায় কাজ করছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনী প্রচারণায় ল্যামিনেটিং করা পোস্টার ব্যবহারের অভিযোগে দুই প্রার্থীকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল ৯ মে বৃহস্পতিবার রাতে আখাউড়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এস.এম রাহাতুল ইসলাম এই জরিমানা করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ মুরাদ হোসেনকে পাঁচ হাজার এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলুকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে তাদের ল্যামিনেটিং করা পোস্টার দেখতে পায়।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
পূর্বাঞ্চল রেলপথে ট্রেনে বুকিং করে ভারতীয় চোরাই পণ্য পাচার হচ্ছে। মালবাহী বগিতে বুকিং করে কুমিল্লা থেকে কিশোরগঞ্জ নেয়ার পথে আখাউড়ায় ১০ বস্তা ভর্তি বিপুল পরিমান ভারতীয় আমদানী নিষিদ্ধ আতঁশবাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহগামী নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনে অভিযান পরিচালনার সময় রেলওয়ে পুলিশ এই আতঁশবাজি উদ্ধার করে।
আজ ২১ এপ্রিল সোমবার বিকালে আখাউড়া রেলওয়ে থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) জসিম উদ্দিন খন্দকার এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহগামী নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনে চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় একটি মালের বগিতে তল্লাশী চালিয়ে দশ বস্তা ভর্তি কিং কোবরা নামে ৮৯০০ প্যাকেট ও কালার সিলেকশন ৮০ প্যাকেট আতঁশবাজি উদ্ধার হয়। মাছের খাদ্যের বদলে কুমিল্লা থেকে কিশোরগঞ্জ নেয়ার জন্য আজাদ মিয়া ও রাসেল মিয়া নামে দুই ব্যক্তি এই আতঁশবাজি বুকিং করেছিল ট্রেনে।
আখাউড়া রেলওয়ে সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার এরশাদুর রহমান জানান, মালের বুকিং চালান কপি অনুযায়ী আজাদ ও রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে আখাউড়া রেলওয়ে থানায় মামলা হয়েছে। ট্রেনে চোরাচালান বিরোধী পুলিশের এই ধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
আফ্রিকার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ দক্ষিণ সুদানে ছয় বছর ধরে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন। এতে দুই দেশের মধ্যে অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এরই নিদর্শন হিসেবে দুই দেশের জাতির পিতার সম্মানে বাংলাদেশ ব্যাটালিয়ন নির্মাণ করেছে ‘সাউথ সুদান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ মনুমেন্ট’।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মনুমেন্ট উদ্বোধন উপলক্ষে গত ১৩ জুন দক্ষিণ সুদানের ওয়াও শহরে ব্যানব্যাট-৬ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল মেজর জেনারেল নজরুল ইসলাম মনুমেন্টটি উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ সুদানের স্থানীয় সরকারের মন্ত্রী ইব্রাহিম সুরুর ইব্রাহিম ও ৫–এলিফ্যান্ট ডিভিশনের চিফ অব অপারেশন মেজর জেনারেল মাকুয়েই কির আকুক। এ ছাড়াও বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ সুদানে কর্মরত বাংলাদেশের কান্ট্রি সিনিয়র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং পদাতিক পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুস সামাদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে স্থানীয়দের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, গবাদিপশুর চিকিৎসা, বিদ্যালয়ে বই-খাতা ও স্টেশনারি প্রদান, কৃষকদের কৃষি উপকরণসহ বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজির বীজ সরবরাহ, ছিন্নমূল মানুষদের জামা কাপড় সরবরাহ, যুবক ও শিশুদের খেলাধুলা সামগ্রী দেওয়া হয়। এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম ঘুরে দেখেন।
পরে অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল বিদেশের মাটিতে দেশের সুনাম সমুন্নত রাখতে পেশাদারিত্বের সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করতে শান্তিরক্ষীদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। দক্ষিণ সুদানে শত প্রতিকূলতার মাঝেও সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাওয়ায় সবাইকে তিনি আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
পশ্চিম তীরের রামাল্লার ইসরায়েলি বন্দীশালা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার মুক্তি পেয়েছেন অনেক ফিলিস্তিনি। তাদের মধ্যে ছিলেন ৪৭ বছর বয়সী হুসেইন নাসের। তার ঘটনাটা একটু ব্যতিক্রমী। আবেগের বিশাল দরিয়া উতলে ওঠার মতো।
ধরপাকড় আর কারাবরণ ফিলিস্তিনিদের জন্য নতুন কিছু নয় বরং এটাই স্বাভাবিক এবং নিয়তি নির্ধারিত। তারপরও কিছু ঘটনা হৃদয়কে খুব বেশি নাড়া দেয়। কিছু টোকায় ভেঙে যায় আবেগের বাঁধ। তেমন ঘটনার স্বাক্ষী হয়েছেন নাসের।
তার দুই মেয়ের সাথে তার দেখা হয়েছে দীর্ঘ ২২ বছর পর। ২০০৩ সালে দ্বিতীয় ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদা বা মুক্তি আন্দোলনের সময় তাকে আটক করে ইসরায়েল বাহিনী।
কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর হুসেইন নাসের ২২ ও ২১ বছর বয়সী মেয়ে হাদেয়া এবং রাগাদের সঙ্গে দেখা করেন। দুজনেই তাদের নিজস্ব শহর নাবলুসের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরেছিলেন।
দুই তরুণী জানান, ‘বাবাকে ছাড়া তারা যেভাবে বেঁচেছিলেন তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। বাবাকে জীবনের প্রথম বার স্পর্শ করতে যাচ্ছি। প্রথমবার তাকে জড়িয়ে ধরতে যাচ্ছি।’
দুই তরুণী বলেন, যখন তার মা গর্ভবতী ছিলেন তখন ইসরায়েল বাহিনী তার বাবাকে ধরে নিয়ে যায়। একজন বাবা কেমন হয় তা হয়তো এবার আমরা বুঝতে পারব।
যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি কারাগার নারী ও শিশুসহ ১১০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কিছু সংখ্যক সামান্য অপরাধে অপরাধী ছিলেন। বাকীদের কোনো অপরাধ ছিল না। ইসরায়েল বাহিনী তাদের জোর করে ধরে নিয়ে যায়।