চলারপথে রিপোর্ট :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বিটঘর (দঃপাড়া) গ্রামের তানজিল মাহমুদ সুজয় (১৯) এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের বাণিজ্য বিভাগের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ২.৫০ পেয়ে উত্তীর্ণ হন সুজয়। কিন্তু এই আনন্দের বার্তা কোন আনন্দই আনতে পারেনি তার পরিবারে। গত ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারায় সুজয়। পরিবারের একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ মা-বাবাসহ তার গোটা পরিবার।
‘আমাদের ছেলে এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করেছে, কিন্তু সে তো আর নেই,’ ভেঙে পড়েন মা তাহমিনা আক্তার। ‘আমাদের জন্য অনেক কিছু করার স্বপ্ন ছিল ওর। কিন্তু সব শেষ। আমরা গরিব মানুষ, কীভাবে চলব? ছেলের বাবা আগে রোজগার করত, এখন আর পারে না। দুই মেয়ে আছে, তাদের মানুষ করতে হবে। আমরা সরকারের সাহায্য চাই।’
‘ছেলে বেঁচে নেই, তার এই ফলাফল দিয়ে কী হবে?’ প্রশ্ন বাবা শফিকুল ইসলামের। ‘নিজেরা না খেয়ে ছেলেকে পড়াশোনা করিয়েছি। ঢাকায় পড়তে পাঠিয়েছি। ওর অনেক স্বপ্ন ছিল। সব স্বপ্ন গুলি মুছে ফেলেছে। আমার একমাত্র ছেলে সুজয় সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে।’
সুজয়ের দুই বোন, এনি ও স্বর্ণা, ভাইয়ের স্মৃতি আঁকড়ে বলে, ‘আমার ভাই দেশের জন্য শহীদ হয়েছে। শহীদ হয়ে বাংলাদেশকে নতুন করে স্বাধীনতা দিয়েছে। আমরা ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই।’
সুজয়ের কলেজ বন্ধু সাগর শেখ বলেন, অত্যন্ত মেধাবী ও খুব সাহসী বন্ধু ছিল সে। এখনো তার স্মৃতি চোখে ভাসে। তার বন্ধু হতে পেরে আমি গর্বিত। আজ সে এইচএসসি পরীক্ষা উত্তীর্ণ হয়েছে কিন্তু আমার বন্ধু সুজয় আর নেই।’
প্রত্যক্ষদর্শী সুজয়ের নানা আল আমিন সরকার বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট সোমবারে সরকারের পতন ঘটলে সবার সাথে সুজয় আনন্দে আত্মহারা হয়ে উদযাপন করতে রাস্তায় নামলে পুলিশ এলোপাথারি গুলি করেলে সেখানে থাকা অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়, পরবর্তীতে তাকে সহ ১১জনকে একটি কাভার ভ্যানে তুলে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিলে সেখানে সকলেরই মৃত্যু হয়।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলায় জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ – ২০২৩ উপলক্ষে শিউলী পারভীন বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ নম্বর অর্জন করে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক (কলেজ) নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি নবীনগর মহিলা কলেজের বাংলা বিষয়ের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক হিসেবে কর্মরত।
উল্লেখ্য, তিনি এবারের ন্যায় ২০১৯ সালে ও উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক (কলেজ) নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। তিনি সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা বিষয়ক ট্রেণিংয়ে অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বের সাথে বিভিন্ন সার্টিফিকেট অর্জন করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে সাধারণ জীবন যাপন করা এই গুণী শিক্ষক সব সময় পেশাগত কারণে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে সু-সম্পর্ক গড়ে তোলেন। শিক্ষক হিসেবে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। উল্লেখ্য তার একমাত্র পুত্র শাহরিয়ার শুদ্ধ ও এ বছর নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে উপজেলায় শ্রেষ্ঠ স্কাউট (মাধ্যমিক পর্যায়) নির্বাচিত হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে গতকাল শনিবার পৃথক অভিযানে ৩৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।
নবীনগর থানার এস. আই শেখ কামাল উদ্দিন ও এস.আই আব্দুল হান্নান সঙ্গীয় ফোর্স সহ অভিযান পরিচালনা করে শিবপুর বাজারের পশ্চিম পাশ থেকে ৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন।
অপর অভিযানে বিটঘর ইউনিয়ন এলাকা হতে ৩০ কে.জি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন নাসরিন আক্তার, পিতা- মো. নুর আলম, মোছা. হাফিজা আক্তার, পিতা- মো. হানিফ, মো. আশিক ভূঁইয়া, পিতা- সুবাহান ভূঁইয়া, মো. কাউসার মিয়া, পিতা- আব্দুর রাজ্জাক।
এ বিষয়ে নবীনগর থানায় মামলার দায়ের করে আসামীদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন- মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স, অভিযান অব্যাহত থাকবে।
দাফন সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের লক্ষীমুড়া গ্রামের নিহত হারুন মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় মনিপুর বন্দরবাজার বালুর মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্থানীয় হারুন মিয়ার আত্মীয় স্বজনসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে। এর আগে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে হারুন মিয়া নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরদিন দুপুরে ময়নাতদন্তের পর হারুন মিয়ার মরদেহে এসে পৌঁছায় তার নিজ এলাকায়। মরদেহ পৌঁছার পর থেকেই স্থানীদের ভিড় বাড়ে তার বাড়িতে। এরপর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ, পত্তন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা হৃদয় আহমেদ জালাল, সাবেক মেম্বার সেলিম মিয়া, হোসেন মিয়া, মাওলানা সিরাজ আকরামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়া হত্যার শিকার হয়েছে। আমার চাচার হত্যার সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানাই।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে হারুন মিয়ার জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অভিযুক্ত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে তিনি জানান।
নবীনগর প্রতিনিধি :
নবীনগরে নিয়মিত হাঁটুন সুস্থ থাকুন এই প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে ১৩ বছর পূর্বে সংঘটিত হয়েছিল সামাজিক সংগঠন প্রাতঃভ্রমণ এসোসিয়েশন। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সমন্বয়ে গঠিত অত্র সংগঠন আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার নবীনগর সরকারি কলেজ অডিটোরিয়ামে পহেলা ফাল্গুন উপলক্ষে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেছেন।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. সাদেক মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন নবীনগর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আব্দুস সুবহান।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু কাওছারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নবীনগর সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. রেজাউল করিম, দুপ্রক সভাপতি আবু কামাল খন্দকার, সংগঠনের সহ-সভাপতি মানিক বিশ্বাস, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এটিএম রেজাউল করিম সবুজ, কার্যকরী সদস্য আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া রেণু, ডাক্তার মো. দস্তগীর, সহকারী অধ্যাপক মো. দেলোয়ার হোসেন, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া মিনাজ, দৈনিক কালের কন্ঠে নবীনগর উপজেলা প্রতিনিধি মাজেদুল ইসলাম, শুভ সংঘের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম কালন, সংগঠনের অর্থ সম্পাদক আবু সালেহ।
তত্ত্বাবধানে ছিলেন আবু কাওসার, গোপাল বণিক, মিঠু রক্ষিত, মো. জাকির হোসেন, বিশ্বজিৎ বণিক। পিটা উৎসবে সকল সদস্য অংশ গ্রহণ করেন। আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সংগঠনের কার্যকরী সদস্য শফিকুল ইসলাম। এছাড়া অনুষ্ঠানে চিড়া, মুড়ি, খৈয়, মিঠায় ও মিষ্টি খাওয়া দাওয়া করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার লাউর ফতেহপুর ইউনিয়নের তৃণমূল আওয়ামী লীগের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার আর এন টি বালিকা উচ্চ বিদ্যায় প্রাঙ্গনে ঈদ শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভায় লাউর ফতেহপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবুল কাশেম মোকাদ্দছের সভাপতিত্বে ও উপজেলা পরিষদের বাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল এমপি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন চৌধুরী শাহান,জেলা পরিষদ সদস্য নাসির উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি সুজিত কুমার দেব ত্রাণ সম্পাদক নিয়াজুল হক কাজল, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম নজু, উপপ্রচার সম্পাদক প্রনয় কুমার ভদ্র।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে এম পি বলেন লাউর ফতেহপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করার জন্য আমার পক্ষ থেকে যা যা করার দরকার আমি তা করব এবং আগামী নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে হলে আপনারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সকলে মিলে ভোটারদেও স্ব স্ব অবস্থানে গিয়ে বুঝিয়ে ভোট সংগ্রহ জন্য কাজ করতে হবে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন লাউর ফতেহপুর কমলাকান্ত গুরুচরণ বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল্লা আল মাসুম। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, লাউর ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, প্রেসক্লাব সভাপতি শ্যামাপ্রশাদ চত্রবতী, সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া মিনাজ, মডেল প্রেসক্লাব সভাপতি মো. আবু কাওসার, সাধারণ সম্পাদক মো.মাজেদুল ইসলাম, বাংলাদেশ সমাচার প্রতিনিধি মো. আলমগীর হোসেন প্রমুখ।