চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ২৪ ঘন্টায় গ্রেফতারী পরোয়ানার আসামীসহ একাধিক মামলার ২জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। ১৬ অক্টোবর বুধবার রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ভাদুঘর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে মোঃ অলিউল্লাহ (৬৬) এবং রূপসদী গ্রামের মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মোঃ কামাল মিয়া- (৫৯)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫টি রাম দা, ৩টি টেটা, ২টি ছুরি, ৩ টি বল্লম, ৪৫০ ইউরো, ১২২ ইউএস ডলার ও নগদ ৭ লাখ ৩০ হাজার ৮শত টাকা উদ্ধার করা হয়।
আজ ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে যৌথবাহিনীর পক্ষ থেকে দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। যৌথ বাহিনীর দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী বুধবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রামের জমি সংক্রান্ত মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামী মোঃ অলিউল্লাহকে গ্রেফতার করে।
একই সময়ে যৌথ বাহিনীর অপর একটি টিম বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী গ্রামে অভিযান চালিয়ে একাধিক মামলার আসামী ও সন্ত্রাসী মোঃ কামাল মিয়াকে গ্রেফতার করে।
এ সময় তার কাছ থেকে ৫টি রাম দা, ৩টি টেটা, ২টি ছুরি, ৩ টি বল্লম, ৪৫০ ইউরো, ১২২ ইউএস ডলার ও নগদ ৭ লাখ ৩০ হাজার ৮শত টাকা উদ্ধার করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় তিতাস নদীর জায়গা দখল করে বাঁধ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এই বাঁধের কারণে নদী সংকুচিত হয়ে নৌ-চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। রামকৃষ্ণপুর এলাকায় এই বাঁধ দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিতাস নদী হোমনা উপজেলার শ্রীমদ্বীর মেঘনা নদী থেকে উৎপত্তি হয়ে মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গিয়ে শেষ হয়েছে। এই নদী দিয়ে বাঞ্ছারামপুর, হোমনা, মুরাদনগর উপজেলার ব্যবসায়ীরা নৌপথে পণ্য আনা-নেওয়া করেন। তিতাস নদীর অংশটি দুই বছর আগে নৌচলাচলের সুবিধার জন্য খনন করে বিআইডব্লিউটিএ। এই নদী দিয়ে প্রতিদিন ঢাকার সদরঘাট ও নারায়ণগঞ্জে কয়েকটি লঞ্চ ও শতাধিক ট্রলার চলাচল করে।
সরেজমিন দেখা গেছে, চান্দেরচর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর আড়ালিয়াকান্দি গ্রামের রামকৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে তিতাস নদীতে একটি পাকা ঘাটলা রয়েছে। এই ঘাটলায় প্রতিদিন শত শত মানুষ গোসল করে। ঘাটলাটি থেকে আরো ৩০-৪০ ফুট উত্তরে নদীর মধ্যে মাটি দিয়ে পূর্ব-পশ্চিমে একটি বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। বাঁধটি রক্ষার জন্য নদীর মধ্যে মুলির (বাঁশ) বেড়া ও বাঁশ দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়েছে।
নৌকার মাঝি সোলেমান জানান, প্রতিদিন এই নদী দিয়ে শত শত নৌকা চলাচল করে। এই বাঁধের কারণে নৌকা চলাচল সমস্যা হবে। দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বাঁধ নির্মাণকারীদের একজন মাসুদ ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘যে জায়গায় বাঁধ দেওয়া হয়েছে, সেটি আমাদের বাড়ির অনেকের জমি। আমারও ৩০ শতক জমি আছে বাঁধের মধ্যে। মাছ চাষ করতে এই বাঁধ দেওয়া হয়েছে।’
চান্দেরচর ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা আমান উল্লাহ জানান, তিতাস নদীতে বাঁধ দেওয়ার খবর পেয়ে তাকে ঘটনাস্থলে পাঠান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)। তাঁর সঙ্গে আলাপ করে জায়গাটি পরিমাপ করা হবে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইউসুফ হাসান জানান, নদীতে কোনো রকম বাঁধ দেওয়ার সুযোগ নেই। বিশেষ করে নৌচলাচলে বাধা সৃষ্টি হয় এমন কোনো কাজ করা যাবে না। জমির মালিকরা বলছে এটা তাদের জায়গা, কিন্তু নদীর প্রবাহ ব্যাহত হয় এমন কাজ করা যাবে না। বাঁধ অপসারণ করতে বলা হয়েছে। তা না করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০ গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্বারকলিপি প্রদান করেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।
আজ ৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বিভিন্ন স্কুলের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষক অংশ গ্রহণ করেন। মানববন্ধন চলাকালে বৈষম্য নিরসনে প্রাথমিক শিক্ষক সমন্বয় পরিষদের সমন্বয়ক মোঃ মনির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সমন্বয়ক মোঃ লোকমান হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক মোঃ কাউসার, শাহাদাত হোসেন, মোহাম্মদ টিপু, রুবি জাহান, বিল্লাল হোসেন, সহকারী শিক্ষক মোঃ মনির হোসেন, আমরিনা বেগম, মোঃ খালেদ হাসান, মোঃ সাদেকুর রহমান, মোঃ লোকমান হোসেন, জাহানার বেগম, মাসুদ মিয়া, মোঃ শাহজালাল, সুমন সেন গুপ্ত, মোঃ জাহাঙ্গীর, প্রণয় দেব প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড এবং শিক্ষকরা হলেন জাতি গড়ার কারিগর। শিক্ষার মানোন্নয়নের সাথে শিক্ষকদের মানোন্নয়ন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তারপরও দীর্ঘদিন ধরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। স্নাতক বা সমমানের যোগ্যতায় পুলিশের এস.আই, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক, মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ডিপ্লোমাধারী নার্স, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের ১০ম গ্রেডে বেতন দেয়া হচ্ছে। সেখানে একই যোগ্যতার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে বেতন দেয়া হচ্ছে। যেখানে ৮ম শ্রেনী পাশের একজন গাড়িচালক বেতন পায় ১২তম গ্রেডে। এ থেকে বোঝা যায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কতটা অবহেলিত।
বক্তারা আরো বলেন, শিক্ষার ভিত্তি মজবুত করতে হলে অবশ্যই প্রাথমিক শিক্ষকদের সঠিক মর্যাদা দিতে হবে। ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার দাবি বাস্তবায়ন আমাদের প্রতি করুনা নয়, এটি আমাদের অধিকার। এ জন্য অনতিবিলম্বে আমাদেরকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার দাবি জানাচ্ছি।
পরে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
স্থানীয় পৌর কমিউনিটি সেন্টারে প্রয়াত প্রিয় পাঁচ বন্ধুজন স্মরণে গতকাল শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাদল স্টল কেন্দ্রিক বন্ধু মহল এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে কুরআন খানি ও দোয়া মাহফিল।
প্রয়াত ৫ বন্ধুরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, জেলা বিএনপির আহবায়ক, সদা হাস্যজ্জল ব্যক্তিত্ব মোঃ জিল্লুর রহমান, সজ্জন ও মৃতভাসি মাহবুবুল আলম ফারুক, জেলার সুশীল সমাজের প্রিয় মানুষ বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হক নাজু ও সুপরিচিত সামাজিক ব্যক্তিত্ব সফিউদ্দিন আহমেদ রতন।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, তিতাস পাড়ে অভাবনীয় উন্নয়নের সফল রূপকার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। তিনি তাঁর বক্তব্য বলেন, প্রয়াত ৫ বন্ধু জনের মধ্যে আল মামুন সরকার জিল্লুর রহমান নাজমুল হক নাজু ও শফিউদ্দিন আহমেদ রতনকে আমি ভালোভাবেই জানি এবং চিনি। তাঁদের সাথে আমার রাজনৈতিক ও সামাজিক সখ্যতা ছিল। শুধুমাত্র প্রয়াত ফারুক সাহেবের সাথে আমার ভালো যোগাযোগ না থাকলেও তাঁর পরিবারের অনেকের সাথেই আমার খুব মধুর সম্পর্ক রয়েছে। আমি প্রয়াত এই ৫ বন্ধুজনের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। উপস্থিত সকলের কাছে আমিও আবেদন জানাই, এই প্রয়াতজনেরা তাঁদের জীবদ্দশায় যদি আমাদের কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকেন আমরা যেন এগুলো ভুলে যাই। তাঁরা যেন জান্নাতবাসী হন আমরা আজকে সেই দোয়াই করব। প্রয়াত পাঁচ বন্ধুজন স্মরণে বাদল স্টল কেন্দ্রিক তাঁদের প্রিয় বন্ধুমহল এরকম একটি সুন্দর আয়োজন করেছেন দেখে আমি অভিভূত হয়েছি। আমার অনেক বন্ধুবান্ধব আছেন, কিন্তু বাদল স্টলের বন্ধুদের যে বন্ধন, যে সুদৃঢ় বন্ধন এটি আসলেই তা অন্যান্য সকলের জন্য একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে। প্রয়াত বন্ধুদের স্মরণে তাঁদের মাগফেরাত কামনায় যাঁরা আজকে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছেন তাঁদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই। একই সাথে প্রয়াত বন্ধুদের শোকাহত পরিবারের সবার প্রতিও গভীর সমবেদনা জানাই।’
দোয়া মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজী মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা তাজ মোহাম্মদ ইয়াসিন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট মাহাবুবুল আলম খোকন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, এবিএম তৈমুর, বাহার চৌধুরী প্রমুখ।
মোনাজাত পরিচালনা করেন জেলার বিশিষ্ট আলেম মাওলানা হাদিয়াতুল্লাহ নূর।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৈনিক সমতট বার্তা সম্পাদক মনজুরুল আলম।
দোয়া মাহফিলে দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী পেশার আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
একটি প্রতারক চক্র মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোজাফফর হোসেন।
আজ ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে তিনি সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে আতঙ্কিত না হয়ে থানায় যোগাযোগ করার অনুরোধ জানান। পাশাপাশি এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ওসি উল্লেখ করেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কতিপয় ব্যক্তি কম্পিউটার টাইপের মাধ্যমে ২০০-৩০০ বা তার অধিক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে মামলার অভিযোগ লিখে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছে। মামলায় নাম ঢুকিয়ে দেওয়া ও মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার কথা বলে টাকা- পয়সা আদায়সহ জনমনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। এ ধরণের অভিযোগ দেখে আতঙ্কিত হয়ে টাকা-পয়সা লেনদেন থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান ওসি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আরো উল্লেখ করেন, প্রতারক চক্র বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নাম লেখে টাকা-পয়সা নিচ্ছে বলে সূত্র থেকে জানা গেছে। থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হলে, মামলা রজু হলে প্রতি পাতায় স্বাক্ষর ও সীল থাকে। প্রতারকদের বিষয়ে তথ্য দিতে তিনি ওসি ও ডিউটি অফিসারের নম্বর ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জুড়ে দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভূয়া অভিযোগ/এজাহার প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। প্রতারকদের বিষয়ে তথ্য দিতে যোগাযোগ ০১৩২০-১১৪৯৮১ (অফিসার ইনচার্জ, সদর মডেল থানা), ০১৩২০-১১৪৯৮৬ (ডিউটি অফিসার)। নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৫ আগষ্টের পর গত প্রায় ৩ মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দায়ের হওয়া বিভিন্ন মামলা নিয়ে বাণিজ্যের এই অভিযোগ আলোচিত। গত ২৮ অক্টোবর ৩৫০ জনের নামে একটি এবং ২৫ অক্টোবর ২৪০ জনের নামে আরো দুটি মামলা হয়। এসব মামলা রজু হওয়ার আগেই মানুষের মুখে মুখে চাউর ছিলো।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগের তিন নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যা ও রাতে র্যাব-পুলিশের পৃথক অভিযানে তাদেরকে আটক করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আটককৃতরা হলো জেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক রুহুল আমিন আফ্রিদি (২৬), পৌর ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক জাকির হোসেন জয়, ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন আদি।
আফ্রিদিকে র্যাব-৯ এর একটি দল ও বাকি দুই জনকে সদর মডেল থানা পুলিশ আটক করে।
পুলিশ জানায়, ওই তিনজনের বিরুদ্ধেই নাশকতার মামলা রয়েছে। ৪ ও ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সাথে তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিলেন। তাদেরকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।