অনলাইন ডেস্ক :
২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। গতকাল বৃহস্পতিবার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
অনুমোদিত ছুটির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো হলো-
(ক) জাতীয় দিবস ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষ্যে ১২ (বার) দিন সাধারণ ছুটি। এ ছুটির মধ্যে ৫টি সাপ্তাহিক ছুটির দিন ৩টি শুক্রবার ও ২টি শনিবার।
(খ) বাংলা নববর্ষ ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষ্যে ১৪ দিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি; এর মধ্যে ০৪টি সাপ্তাহিক ছুটির দিন (২টি শুক্রবার ও ২টি শনিবার)।
(গ) ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষ্যে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বছরে অনধিক ৩ দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগের জন্য ধর্মীয় পর্বসমূহের বিবরণ।
অনুমোদিত ছুটির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত বিষয়সমূহ হলো-
(ক) জাতীয় দিবস ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষ্যে ১২ (বার) দিন সাধারণ ছুটি। এ ছুটির মধ্যে ৫টি সাপ্তাহিক ছুটির দিন (৩টি শুক্রবার ও ২টি শনিবার)।
(খ) বাংলা নববর্ষ ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষ্যে ১৪ দিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি; এর মধ্যে ৪টি সাপ্তাহিক ছুটির দিন (২টি শুক্রবার ও ২টি শনিবার)।
(গ) ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষ্যে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বছরে অনধিক ০৩ দিনের এচ্ছিক ছুটি ভোগের জন্য ধর্মীয় পর্বসমূহের বিবরণ।
(ঘ) পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ও এর বাইরে কর্মরত বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি বা অনুরূপ সামাজিক উৎসব উদযাপন উপলক্ষ্যে ২ দিন ঐচ্ছিক ছুটি। এ ছুটির মধ্যে একটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন (০১টি শনিবার)।
(৪) ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের জন্য ১২ দিন সাধারণ ছুটি ও ১৪ দিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণার প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রস্তাবিত মোট ছুটি (০৯ দিনের সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যে ৫টি শুক্রবার ও ৪টি শনিবার ব্যতীত) ২৬ দিন।
উল্লেখ্য, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দের অনুমোদিত মোট ছুটি (০২ দিনের সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার ব্যতীত) ছিল ২২ দিন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার নামাপাড়া এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শাহরিয়ার শ্রাবণ (২০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন ফারুক হোসেন (৪০) নামের আরো একজন। আজ ১২ আগস্ট শনিবার বিকেলে ঘটনা ঘটে। শ্রাবণ মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
মৃতের বড় ভাই আদিত্য ইসলাম দিপু জানান, তারা পুরাতন এসি কেনা-বেচা ও মেরামতের কাজ করেন। ধোলাইখাল এলাকায় তাদের দোকান রয়েছে। পূর্ব নামাপাড়া এলাকার একটি প্রতিষ্ঠানের পুরাতন এসি খুলে নামানোর সময় পাশে থাকা বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের তারের সঙ্গে এসির পাইপ স্পর্শ লেগে বিদুৎস্পৃষ্ট হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন তারা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।
তিনি বলেন, মরদেহটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। অপরজন চিকিৎসাধীন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবিহিত করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ওড়না নিয়ে বউ সেজে খেলা করতে গিয়ে পেঁচিয়ে পুকুরে ডুবে সাফা নামে দুই বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ১৭-জুলাই সোমবার উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের পুতিন্ন্যার পাড়া এলাকায় এ পানি ডুবির ঘটনা ঘটে। সাফা ঐ এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে।
জানা গেছে, সাফা নিজ ঘরে পাশে ওড়না নিয়ে বউ সেজে খেলা করছিলো। একপর্যায়ে অসাবধানতাবশত ওড়না পেঁচিয়ে পুকুরে পড়ে যায়। পরে তাকে দ্রুত অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে কুতুবদিয়া হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আলী আকবর ইউনিয়নের পুতিন্ন্যার পাড়া এলাকায় সাফা নামে এক শিশু খেলতে গিয়ে পুকুরে ডুবে মারা যায়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
মালয়েশিয়ায় সহজে ও কম সময়ে ই-পাসপোর্ট এবং ভিসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ‘কল সেন্টার’ উদ্বোধন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
আজ ৫ জানুয়ারি শুক্রবার কুয়ালালামপুরে সাউথগেট কমার্শিয়াল সেন্টারে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে তিনি এর উদ্বোধন করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান ফিতা কাটেন।
এসময় এ সার্ভিসের জন্য চুক্তিবদ্ধ আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান ‘এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিমিটেড’ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, প্রবাসী মিডিয়াকর্মীসহ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
‘জাতীয় প্রবাসী দিবস’ উপলক্ষে সেবা সপ্তাহ পালন করছে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন। এর শেষ দিনে এ কল সেন্টার উদ্বোধন করা হলো।
‘কল সেন্টার’ চালুর জন্য হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীদের সেবা ও কল্যাণ নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘প্রবাসী-বান্ধব নীতি’ অনুসরণ করছেন। এ লক্ষ্যে ৩০ ডিসেম্বরকে ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস’ ঘোষণা করেছে সরকার। বাংলাদেশ হাইকমিশন তাদের সীমিত জনবল দিয়ে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত ১২ লক্ষাধিক প্রবাসীদের পাসপোর্টসহ অন্যান্য সেবা এবং বিদেশিদের ভিসা সেবা দিয়ে আসছে। সাম্প্রতিক সই করা চুক্তির আওতায় গত একবছরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় এসেছেন। ফলশ্রুতিতে, পূর্বের যে কোনো সময়ের তুলনায় হাইকমিশনের কাজের পরিধি বেড়েছে।
সেবা প্রদানের পুরো প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের পাশাপাশি প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান তার বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রবাসী-বান্ধব নীতি ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ‘কল সেন্টার’ চালু হলো।
শিগগির ই-পাসপোর্ট ও ভিসা প্রদান কার্যক্রম চালু হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ই-পাসপোর্ট এবং মালয়েশিয়া ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশের ভিসা প্রদানের লক্ষ্যে কুয়ালালামপুরের কেন্দ্রস্থলে জালান দুয়া-চান শো লিনে (সিটি সেন্টারের পাশে) প্রায় ১৪ হাজার বর্গফুট ভবন ভাড়া নিয়ে ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার’ করা হয়েছে।
কল সেন্টারের নম্বর- 0392120267। সোম থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পাসপোর্ট ও ভিসা বিষয়ে এ নম্বরে কল দিয়ে পরামর্শ নেওয়া যাবে।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন চিকিৎসকরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভাঙচুর ও চিকিৎসকদের মারধরের ঘটনায় এ ঘোষণা দিয়েছেন ঢামেকের নিউরো সার্জারি বিভাগের আবাসিক সার্জন আব্দুল আহাদ।
ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করে তিনি বলেন, শনিবার হাসপাতালের পরিচালকের অনুরোধে রাত ১১টায় কর্মক্ষেত্রে ফিরে যাই। আমরা সকাল ৮টা পর্যন্ত ইমার্জেন্সি সার্ভিস দিয়েছি। হাসপাতালে আমরা ছিলাম। কিন্তু আমরা কোনো নিরাপত্তা ফোর্স এখানে দেখি নাই। ইমার্জেন্সি কমপ্লেক্সের সামনে নিরাপত্তা ফোর্স থাকার কথা ছিল। কিন্তু আমরা দেখি নাই। তাই আমরা বাধ্য হয়ে নিরাপত্তার জন্য আজ থেকে সারা দেশে কর্মবিরতিতে যাচ্ছি।
হামলাকারীদের আটক ও শাস্তির পাশাপাশি সারা দেশে চিকিৎসক ও রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ দুই দফা দাবি জানানো হয় চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে। কিন্তু দাবি পূরণের আশ্বাস না মেলায় দুপুরে সারা দেশে সব চিকিৎসাকেন্দ্রে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করে ৬ দফা দাবি জানানো হয়।
সারা দেশের সব হাসপাতালে চিকিৎসক ও রোগীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্বতন্ত্র স্বাস্থ্য পুলিশ নিয়োগের দাবি জানান ডা. আব্দুল আহাদ বলেন। আজ ১ সেপ্টেম্বর রোববার দুপুর ২টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ঢামেকের নিউরো সার্জারি বিভাগের ডা. আব্দুল আহাদ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, শনিবার নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চিকিৎসকরা দোষীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার ও কর্মস্থলে নিরাপদ নিশ্চিতের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থ হওয়ায় রোববার সারাদেশে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
এর আগে চিকিৎসকদের ওপর হামলার বিচার ও নিরাপত্তার দাবিতে রোববার সকালে ইন্টার্নি চিকিৎসক এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সব চিকিৎসক কর্মবিরতি শুরু করেন। এর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন, ঢামেকের নার্স ও কর্মচারীরা। নার্সদের পক্ষ থেকে জামাল উদ্দিন বাদশা বলেন, আমরা চিকিৎসকদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি। আমাদের দাবি, সকল কর্মস্থলে নার্সদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
কর্মবিরতির কারণে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যেতে দেখা গেছে অনেক রোগীকে। সকাল থেকে দূর দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা জরুরি বিভাগে দুর্ভোগে পড়তে দেখা গেছে।
হামলার ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন চিকিৎসক ও কর্মচারীরা। তবে তার আগেই রোববার সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। সকালে চিকিৎসকরা হাসপাতালে এসে কাজ শুরু করলেও ধীরে ধীরে তারা হাসপাতাল ত্যাগ করেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জরুরি বিভাগের কর্মকর্তারা কক্ষ বন্ধ করে দেন। এক পর্যায়ে জরুরি টিকিট কাউন্টারটিও বন্ধ হয়ে যায়। এতে ঢামেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভিড় বাড়তে থাকে।
আব্দুল আহাদ বলেন, প্রথম ঘটনা আমাদের নিউরো সার্জারি বিভাগে। একজন আবাসিক ডাক্তার অপারেশন করার জন্য অপারেশন থিয়েটারে যায়। রোগীর লোক তাকে বের করে তার উপর ধস্তাধস্তি করে, ডাক্তারকে মারে। তাকে রক্ষা করার জন্য আমাদের আরেক ডাক্তার ওখানে যান, তখন তার ওপরও অতর্কিতে আক্রমণ করে। কলার ধরে তাকে ২০১ নম্বর অপারেশন থিয়েটারের সামনে থেকে পরিচালকের সামনে নিয়ে আসে।
তিনি বলেন, আমরা এ নিয়ে বৈঠকে বসেছিলাম, দুইটা সিদ্ধান্ত, আমাদের চিকিৎসকদের ওপর যারা আক্রমণ করেছে, অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে এবং আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা যারা ইমার্জেন্সি সার্ভিস দিই, আপনারা দেখেছেন, সেখানে কত লোক থাকে। ইমার্জেন্সি সার্ভিস দেওয়ার জন্য আমাদের যথেষ্ট আর্মি পুলিশ এবং অন্যান্য ফোর্স এখানে থাকবে। সশরীরে উইথ আর্মস সেখানে উপস্থিত থাকবে। কিন্তু ঢাকা মেডিকেল প্রশাসন এটা করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
এই চিকিৎসক বলেন, কালকে রাতে আরও দুটি ঘটনা ঘটে, একটা ঘটনা হচ্ছে, একটি গ্রুপ বাইরে আরেকটা গ্রুপকে আক্রমণ করেছিল। সেই গ্রুপ সেবা নেওয়ার জন্য হাসপাতালে এসেছিল। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইমার্জেন্সিতে এসেছিল চিকিৎসা সেবা নিতে, তাদের যে বিরোধী পক্ষ ছিল, তারা ইমার্জেন্সি কমপ্লেক্সের ভেতরে ঢুকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে চলে গেছে। তাই, আমরা দেখছি এখানে রোগীও নিরাপদ না। আপনারা কোথায় সেবা নিতে আসবেন। এখানে রোগীও নিরাপদ না।
তিনি বলেন, আরেকটা ঘটনা, ইমার্জেন্সি রুমে একজন কিডনি রোগী এসেছিল, অনেক ইমার্জেন্সি রোগী মারা যায়। মারা যাওয়ার পরে ডক্টর ও মেডিকেল অফিসারের উপর হামলা হয়। ইমার্জেন্সি কমপ্লেক্স ওসেক ভাঙচুর করা হয়। তাই আমরা দেখতে পাই এখানে ডক্টর রোগী কেউই নিরাপদ না।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদারীপুরের ডাসার উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক গৃহকর্মীকে (৪০) দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে ডাসার থানায় মামলাটি দায়ের করেন। পরে বিষয়টি আজ ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে সংবাদকর্মীদের কাছে জানান এই ভুক্তভোগী নারী।
অভিযুক্তরা হলেন বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার মাগুরা মাদারীপুর গ্রামের এসকেন্দার হাওলাদারের ছেলে দুলাল হাওলাদার (৩০), একই এলাকার কাদের হাওলাদারের ছেলে মো. ইদ্রিস হাওলাদার (৫০), মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার পূর্ব ডাসার গ্রামের রকমান শেখের ছেলে মো. মানিক শেখ (৩০), ঢাকা জেলার মিরপুর এলাকার চায়ের দোকানদার বাবু ওরফে মানিক (৪০)।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহকর্মীর স্বামী মারা যাওয়ার পরে সন্তান নিয়ে ঢাকার মিরপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন। ওই সুবাদে তার বাসার সামনে চায়ের দোকানদার বাবু ওরফে মানিকের সাথে পরিচয়। চায়ের দোকানদার বাবু জানান, মো. মানিক শেখ (৩০) এর কাছে ভালো একটি ছেলে আছে। সেই ছেলের বাড়ি ঘর দেখে আসতে পারো যদি পছন্দ হয় তাহলে আমরা সবাই মিলে তার সাথে তোমাকে বিবাহ দিবো। বাবুর কথায় ভুক্তভোগী নারী রাজি হয়। পরে আসামি মানিক শেখের মোটরসাইকেলে করে গত (৬ সেপ্টেম্বর) বুধবার দুপুরের ঢাকার মিরপুর এলাকার থেকে বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার মাগুরা মাদারীপুর এলাকার উদ্দেশ্য রওনা দেন। পরে বরিশাল গৌরনদী পৌছালে মানিক শেখ বলেন, দুলাল হাওলাদারের সাথে তোমার বিয়ে হবে। তার বাড়ি ঘর তুমি দেখে ও চিনে নাও। পরে সেখান থেকে তারা রাত নয়টার দিকে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার কালাম ব্যাপারীর বাড়িতে নিয়ে আসে ভুক্তভোগীকে। কালাম বেপারি আসামি ইদ্রিসের আত্মীয় হওয়ার সুবাদে চারজনকে তাদের ঘরে থাকতে দেয়। এরপরে কালাম ব্যাপারীর স্ত্রী তাদেরকে খাবার দেয়, খাবার খাওয়া শেষ করে যে যার মত করে সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। তারপরে দুলাল হাওলাদার, মানিক শেখ, ইদ্রিস ও ভুক্তভোগী নারী টেলিভিশন রুমে বসে টেলিভিশন দেখে। এসময় মানিক শেখ ভুক্তভোগী নারীকে দুলাল হাওলাদার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে প্রস্তাব দেয়। এতে ওই নারী রাজি না হলে তারা হত্যার হুমকি দিয়ে চারজন তাকে ধর্ষণ করে। পরে ওই রাইতেই তারা পালিয়ে যায়। পরে বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি বাড়ির মালিক কালাম ব্যাপারীসহ ভুক্তভোগী নারীর স্বজনদের জানান। পরে স্বজনদের পরামর্শে মাদারীপুরের ডাসার থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন ওই নারী।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, আমাকে তারা বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ঢাকা থেকে মাদারীপুরে নিয়ে এনে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। আমি এদের সঠিক বিচার চাই।
কালাম বেপারি জানান, ইদ্রিস আমার আত্মীয় সুবাদে তাদেরকে আমি এখানে থাকতে দিয়েছি। কিন্তু তারা এই মেয়েটার সাথে এরকম খারাপ কাজ করবে কখনো ভাবতে পারিনি। যারা মেয়েটির সাথে খারাপ কাজ করেছে তাদের কঠিন বিচার হোক।
ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. হাসানুজ্জামান হাসান বলেন, মামলা নেয়া হয়েছে। আসামির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।