৩০ লাখ টাকা করে পাবে ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের পরিবার

জাতীয়, 17 October 2024, 2 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রত্যেক শহীদ পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য ৩০ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম। আজ ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেন, জুলাই-আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রত্যেক শহীদ পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য ৩০ লাখ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে এ টাকা দেওয়া হবে। পরে যাচাই-বাছাই করে যদি আরও প্রয়োজন হয়, তাও দেওয়া হবে।

তিনি জানান, জুলাই-আগস্ট মাসে যারা শহীদ হয়েছেন শুধু তাদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে, বিষয়টি এমন নয়। যারা আহত হয়েছেন, তাদের পরিবারকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আহতদের পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে আগামী সপ্তাহে একটি দৃশ্যমান উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এ নিয়ে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আহত কাউকে যদি উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়ার প্রয়োজন হয়, তা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে একটি তালিকা প্রস্তুত হয়েছে। যদি আরও বেশি হয়, আমরা তা করবো।

তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আবারো স্পষ্ট করা হচ্ছে, আহতদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনো গাফিলতি বরদাশত করা হবে না। বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালে বলে দেওয়া হয়েছে। তাদের বিনা পয়সার চিকিৎসা দেওয়া হবে। তারপরও যারা পয়সা দিয়েছে, তাদের বলে দেওয়া হয়েছে, পয়সা ফেরত দেওয়ার জন্য।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

Leave a Reply

ঈদুল ফিতরে ৫ দিন, ঈদুল আযহায়…

অনলাইন ডেস্ক : আগামী বছরের (২০২৫ সাল) সরকারি ছুটির তালিকা Read more

৩০ লাখ টাকা করে পাবে ছাত্র…

অনলাইন ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রত্যেক শহীদ পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য Read more
ফাইল ছবি

২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ

অনলাইন ডেস্ক : ২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন করেছে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়া…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দূর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দেশীয় অস্ত্র-নগদ টাকা উদ্ধারসহ দুই…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ২৪ ঘন্টায় গ্রেফতারী পরোয়ানার আসামীসহ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অনির্দিষ্টকালের জন্য…

চলারপথে রিপোর্ট : পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের বরখাস্তের প্রতিবাদে ও Read more

আন্দোলনে নিহত তানজিল মাহমুদ সুজয় এইচএসসি…

চলারপথে রিপোর্ট : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর Read more

পল্লীবিদ্যুতের ১০ জেলা কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুৎ, বিদ্যুৎ…

চলারপথে রিপোর্ট : বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কয়েকটি জেলার ১০ Read more
ফাইল ছবি

শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে ট্রাইব্যুনালের পরোয়ানা

অনলাইন ডেস্ক : পদত্যাগের পর দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী Read more

ভারত ৪৬ রানে অলআউট

অনলাইন ডেস্ক : ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে দাপট দেখিয়েছিল ভারত। Read more

কসবায় ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিদ্যুৎ…

চলারপথে রিপোর্ট : অস্ত্র মামলায় ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত মো. মোস্তাফিজুর Read more
ফাইল ছবি

৮ জাতীয় দিবস বাতিল করে আদেশ…

অনলাইন ডেস্ক : আটটি জাতীয় দিবস বাতিল করে আদেশ জারি Read more

৫০টি জেলায় ১০০টি রাস্তা-মহাসড়ক উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

জাতীয়, 21 December 2022, 1094 Views,
স্টাফ রিপোর্টার:
১০০টি সেতু উদ্বোধনের দেড় মাস পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বুধবার সারাদেশের ৫০টি জেলায় ২০২১ দশমিক ৫৬ কিলোমিটার সম্মিলিত দৈর্ঘ্যের ১০০টি সড়ক ও মহাসড়ক উদ্বোধন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীতে তাঁর কার্যালয় থেকে মহাসড়কগুলো ভার্চুয়ালি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। সম্প্রতি আটটি বিভাগে অধিকাংশ রাস্তা নির্মাণ বা উন্নয়ন করা হয়েছে। ১০০টি মহাসড়কের মধ্যে ৯৯টি সরকারি তহবিল থেকে সম্পন্ন হয়েছে, বাকি একটি এবং ৭০ কিলোমিটার গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা মহাসড়ক পর্যন্ত ৬১৬৮ দশমিক ৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে চার লেনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এডিবি, ওপেক ও আবুধাবির তহবিলের আওতায়। প্রধানমন্ত্রী এর আগে গত ৭ নভেম্বর সারাদেশের ২৫টি জেলায় ১০০টি সেতুর উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনকৃত রাস্তাগুলোর মধ্যে শুধু বিদেশি ঋণে ৭০ কিলোমিটার রাস্তার কাজ হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় দুই পাশে সার্ভিস লেন দিয়ে সড়কটি চার লেন করা হয়েছে। সড়ক ও মহাসড়কের একটি ২২,৭৭৪ কিলোমিটার সড়ক নেটওয়ার্ক রয়েছে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন। মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী সড়কের সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা করেন।
উন্নয়ন করা মহাসড়কগুলোর মধ্যে ঢাকা প্রশাসনিক বিভাগের আওতায় রয়েছে ৩২টি, ময়মনসিংহ প্রশাসনিক বিভাগের আওতায় রয়েছে ৬টি, চট্টগ্রাম প্রশাসনিক বিভাগের আওতায় রয়েছে ১৫টি, সিলেট প্রশাসনিক বিভাগের আওতায় রয়েছে ৪টি, খুলনা প্রশাসনিক বিভাগের আওতায় রয়েছে ১৬টি, রংপুর প্রশাসনিক বিভাগের আওতায় রয়েছে ১৫টি, রাজশাহী প্রশাসনিক বিভাগের আওতায় রয়েছে ৮টি এবং বরিশাল প্রশাসনিক বিভাগের আওতায় রয়েছে ৪টি।
১০০ মহাসড়কগুলো হলো- ঢাকা প্রশাসনিক বিভাগের: ১. জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা সড়ক, ২. এলঙ্গা-জামালপুর জাতীয় মহাসড়ক, ৩. সালনা (রাজেন্দ্রপুর)-কাপাসিয়া-টোক-মঠখোলা মহাসড়ক, ৪. মাওনা-ফুলবাড়ীয়া-কালিয়াকৈর-ধামরাই-নবীনগর (ঢুলিভিটা) মহাসড়ক, ৫. হেমায়েতপুর-সিংগাইর-মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক, ৬. জিঞ্জিরা-কেরাণীগঞ্জ-নবাবগঞ্জ-দোহার-শ্রীনগর মহাসড়ক (কদমতলী থেকে জনি টাওয়ার লিংকসহ), ৭. ইজতেমা মহাসড়ক (আর-৩০৩), ৮. ভবেরচর-গজারিয়া-মুন্সীগঞ্জ জেলা মহাসড়ক, ৯. জিরাবো-তৈয়বপুর-দিয়াখালী-তাজপুর জেলা মহাসড়ক, ১০. মাতুয়াইল-নিউটাউন-কোনাপাড়া-মানিকান্দি-শেখেরজায়গা জেলা মহাসড়ক, ১১. তুরাগ-রুহিতপুর-বাউরভিটা জেলা মহাসড়ক (জেড-৫০৫৯), ১২. শ্রীপুর-বৈরাগীরচালা জেলা মহাসড়ক, ১৩. কালীগঞ্জ-তুমুলিয়া-উলুখোলা জেলা মহাসড়ক, ১৪. গোলড়া-সাটুরিয়া জেলা মহাসড়ক, ১৫. নিমতলী-সিরাজদিখান-কাকালদী জেলা মহাসড়ক, ১৬. মুন্সীগঞ্জ (হাসাড়া)-আলমপরি-শিবরামপুর-(সিরাজদীখান)-নওয়াবপুর (কাসুর) জেলা মহাসড়ক, ১৭. শিবপুর-দুলালপুর-লাকপুর-হাতিরদিয়া জেলা মহাসড়ক, ১৮. জিহাসতলা-শেখেরচর জেলা মহাসড়ক, ১৯. রাজবাড়ি-বাগমারা জৌকুড়া ফেরিঘাট সংযোগ সড়ক, ২০. আহ্লাদীপুর-রাজবাড়ি-পাংশা-কুমারখালী-কুষ্টিয়া সড়ক (তত্ত্বীপুর-মাচমাড়া অংশসহ), ২১ শরীয়তপুর-নড়িয়া (ভোজেস্বর বাইপাসসহ) সড়ক, ২২ বোয়ালমারি (সাতৈর) মোহাম্মাদপুর সড়ক, ২৩. রাজবাড়ী-বালিয়াকান্দি-জামালপুর-মধুখালী সড়ক, ২৪ বিজয়পাশা-তালারহাট-জয়নগরঘাট সড়ক, ২৫. গোয়ালন্দ (জামতলা) গোদারবাজার-পাংশা-হাবাসপুর সড়ক, ২৬. ভাঙ্গাব্রীজ-বোতলা-কমলাপুর-আইসার-ধামুসা-পিরেরবাড়ী-সড়ক, ২৭. পাকুল্লা-দেলদুয়ার-এলাসিন সড়ক প্রশস্তকরণ (দেলদুয়ার-এলাসিন অংশ), ২৮. ভাতকুড়া (করটিয়া)-বাসাইল-সখিপুর সড়ক প্রশস্তকরণ (ভাতকুড়া-বাসাইল অংশ), ২৯. টাঙ্গাইল-দেলদুয়ার সড়ক, ৩০. ঘাটাইল (পোড়াবাড়ী)-শালিয়াজানী-গোপালপুর-সরিষাবাড়ী (জগন্নাথগঞ্জ) সড়ক, ৩১. ভরাডোবা-সাগরদিঘী-ঘাটাইল-ভূঞাপুর সড়ক, ৩২. উজানপুর-বাজিতপুর-অষ্টগ্রাম সড়ক।
ময়মনসিংহ প্রশাসনিক বিভাগের: ৩৩. ইসলামপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিস-হাকিম চেয়ারম্যানবাড়ি-ঋষিপাড়া সড়ক, ৩৪. নান্দাইল-আঠারবাড়ী-কেন্দুয়া সড়ক, ৩৫. ময়মনসিহ-গফরগাঁও-টোক সড়ক, ৩৬. নেত্রকোণা-পূর্বধলা-হোগলা-ধোবাউড়া সড়ক (জেড-৩৭০৭) (নেত্রকোনা-নারায়নডহর পর্যন্ত), ৩৭. ত্রিশাল-বালিপাড়া-নান্দাইল (কানুরামপুর) সড়ক, ৩৮. ভালুকা-গফরগাঁও-হোসেনপুর সড়ক।
চট্টগ্রাম প্রশাসনিক বিভাগের: ৩৯. হাটহাজারী-ফটিকছড়ি-মানিকছড়ি-মাটিরাঙ্গা-খাগড়াছড়ি সড়ক, ৪০. বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-নারায়নহাট-ফটিকছড়ি সড়ক (হেঁয়াকো-ফটিকছড়ি অংশ), ৪১. রাউজান-বাহ্মনছড়ি (শহীদ জাফর সড়ক), ৪২. প্রীতিলতা সড়ক (পটিয়া-বোয়াখালী-কানুনগোপাড়া সড়ক), ৪৩. মইজ্জারটেক-বোয়ালখালী-কানুনগোপাড়া-উদরবন্যা সড়ক, ৪৪. মইজ্জারটেক-বিএনডিসি মৎস বন্দর ফেরীঘাট সড়ক, ৪৫. ইয়াংচা-মানিকপুর-শান্তিবাজার সড়ক, ৪৬. লক্ষ্মীপুর-চরআলেকজান্ডার-সোনাপুর সড়ক, ৪৭ সোনাপুর (মান্নাননগর)-চরজববর-ষ্টীমারঘাট সড়ক, ৪৮. ভূঁঞারহাট-চেয়ারম্যানঘাট সড়ক, ৪৯. সোনাইমুড়ী-সেনবাগ-কল্যান্দী সড়ক, ৫০ চাঁপাপুর-টমছমব্রিজ-বার্ড-কালিরবাজার-বরুড়া সড়ক, ৫১. নিমসার-বরুড়া সড়ক, ৫২. খাজুরিয়া-পয়েলগাছা-বরুড়া সড়ক, ৫৩. লাকসাম (বিনয়ঘর)-বাইয়ারাবাজার-ওমরগঞ্জ-নাঙ্গলকোট সড়ক।
সিলেট প্রশাসনিক বিভাগের: ৫৪. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক [আগের নাম: সিলেট (ওসমানী বিমানবন্দর বাইপাস)-সালুটিকর-কোম্পানীগঞ্জ সড়ক], ৫৫. কুলাউড়া-পৃথিমপাশা-হাজীপুর-শরিফপুর জেলা মহাসড়ক (জেড-২৮২২), ৫৬. চুনারুঘাট-সাটিয়াজুড়ী-নতুনবাজার সড়ক, ৫৭. সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক।
খুলনা প্রশাসনিক বিভাগের: ৫৮. যশোর-বেনাপোল সড়ক, ৫৯. দৌলতদিয়া-ফরিদপুর (গোয়ালচামট)-মাগুরা-ঝিনাইদহ-যশোর-খুলনা-মোংলা (দ্বিগরাজ) সড়ক (মাগুরা শহর অংশ), ৬০. খুলনা-চুকনগর-সাতক্ষীরা সড়ক (খুলনা অংশ), ৬১ খুলনা-চুকনগর-সাতক্ষীরা সড়ক (সাতক্ষীরা অংশ), ৬২. নওয়াপাড়া-বাগেরহাট-পিরোজপুর সড়ক, ৬৩. আহলাদিপুর-রাজবাড়ী-পাংশা-কুমারখালী-কুষ্টিয়া (চৌরহাস) সড়ক, ৬৪. চড়াইকোল আর-৭১১-শিলাইদহ লিংক রোড সড়ক, ৬৫. বাগেরহাট-চিতলমারী সড়ক, ৬৬. চিতলমারী-পাটগাতী (টুঙ্গিপাড়া) সড়ক, ৬৭. আড়পাড়া-কালিগঞ্জ সড়ক (ঝিনাইদহ অংশ), ৬৮. আড়পাড়া-কালিগঞ্জ সড়ক (মাগুরা অংশ), ৬৯. আড়পাড়া-শালিখা সড়ক, ৭০. খালিশপুর-মহেশপুর-দত্তনগর-জিন্নানগর-যাদবপুর সড়ক, ৭১. চুড়ামনকাঠি-চৌগাছা সড়ক, ৭২. নড়াইল-ফুলতলা সড়ক, ৭৩. কচুয়া (পিংগুরিয়া)-তেলিগাতী-হেরমা-রামপাল সড়ক।
রংপুর প্রশাসনিক বিভাগের: ৭৪. খানসামা-রানীরবন্দর সড়ক, ৭৫. বীরগঞ্জ-খানসামা-দারোয়ানী সড়ক, ৭৬. চিরিরবন্দর-আমতলী বাজার সড়ক, ৭৭. বীরগঞ্জ-কাহারোল সড়ক, ৭৮. পঞ্ছগড়-গোয়ালপাড়া-রুহিয়া, ৭৯. গাইবান্ধা-গোবিন্দগঞ্জ ভায়া নাকাইহাট জেলা মহাসড়ক, ৮০. সোনাহাট সেতু এ্যাপ্রোচ হতে সোনাহাট স্থলবন্দর পর্যন্ত সড়ক, ৮১. নীলফামারী বাইপাস সড়ক, ৮২. রানীসংকৈল-হরিপুর সড়ক, ৮৩. জয়পুরহাট-রাজাবিরাট-গোবিন্দগঞ্জ সড়ক, ৮৪. ধূপণী বেলকা সড়ক, ৮৫. দারিয়াপুর-কামারজানি সড়ক, ৮৬. মধুপুর-শ্যামপুর জেলা মহাসড়ক, ৮৭. সাহেবগঞ্জ-হারাগাছ জেলা মহাসড়ক, ৮৮. লালমনিরহাট-মোঘলহাট সড়ক।
রাজশাহী প্রশাসনিক বিভাগের: ৮৯. জয়পুরহাট-আক্কেলপুর-বদলগাছি সড়ক, ৯০. ক্ষেতলাল-গোপিনাথপুর-আক্কেলপুর সড়ক, ৯১. নন্দিগ্রাম -তালোড়া-দুপচাঁচিয়া-আক্কেলপুর জেলা মহাসড়ক, ৯২. নন্দিগ্রাম-কালিগঞ্জ-রাণীনগর জেলা মহাসড়ক, ৯৩. হরিশপুর বাইপাস মোড় হতে বনবেলঘরিয়া বাইপাস মোড় সড়ক, ৯৪. রাজশাহী-নওহাটা-চৌমাসিয়া সড়ক, ৯৫. সিরাজগঞ্জ-কড্ডা-সমেশপুর সড়ক, ৯৬. উল্লাপাড়া-লাহিড়ীমোহনপুর-ভাঙ্গুড়া (ময়দানদিঘী বাজার) সড়ক।
বরিশাল প্রশাসনিক বিভাগের: ৯৭. বরিশাল-ঝালকাঠি-ভান্ডারিয়া-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক, ৯৮. পটুয়াখালী-আমতলী-বরগুনা-কাকচিড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক, ৯৯. মাদারীপুর-পাথারিয়ারপাড়-ডাসার-আগৈলঝড়া জেলা মহাসড়ক ও ১০০. গুইংগারহাট-চরপাতাস্কুল-দলিলখাঁর হাট-দৌলতখান হ্যালিপ্যাড-দৌলতখান বাজার জেলা মহাসড়ক।

বিএনপি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে : তথ্যমন্ত্রী

জাতীয়, 1 January 2024, 422 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
জাতিসংঘকে নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিএনপির চিঠির প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি তো এখন দিকদ্বিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। তারা ভেবেছিল দেশে নির্বাচন হবে না এবং নির্বাচন হলেও জনগণের অংশগ্রহণ থাকবে না। এখন তারা বুঝতে পেরেছে, জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে যেখানে বিএনপির সমর্থকরাও যোগ দিয়েছে।

আজ ১ জানুয়ারি সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ’র (পিআইবি) গবেষক পপি দেবী থাপা গ্রন্থিত ‘শরণার্থীর জবানবন্দি ১৯৭১’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তারা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই পেট্রোলবোমা, সন্ত্রাস, অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে মানুষ হত্যা করে, মা ও শিশুকে এক সাথে হত্যা করে, ট্রেন লাইন কেটে, ট্রেনের ওপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে, গাড়িতে, বাসে মানুষের ওপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে নির্বাচন ভণ্ডল করতে চেয়েছে, পারেনি। না পেরে তারা এখন তাদের সেই পুরনো কায়দা বিদেশিদের কাছে চিঠি লেখা শুরু করেছে।’

যারা পেট্রোলবোমা সন্ত্রাস চালিয়েছে তাদের অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছে, ট্রেন লাইন যারা কেটে ফেলেছিল তারা ধরা পড়েছে, স্বীকার করেছে কে টাকা দিয়েছে, কার নির্দেশে এগুলো করেছে, এগুলো দিবালোকের মতো স্পষ্ট জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি এই কাজগুলো ২০১৩-১৪-১৫ সালে করেছে, এখন আবার করছে। এখন আত্মরক্ষার্থে চিঠিপত্র লিখছে।

যাদের কাছে চিঠি লিখছে, তারাও এই নির্বাচনকে গ্রহণ করেছে, পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে এবং তারা বলছে যে, নির্বাচন যেন সহিংসতামুক্ত হয়। দেশের বিরুদ্ধে বহু চিঠি বিএনপি লিখেছে, এই চিঠিতে কোনো লাভ হবে না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো নির্বাচনী এলাকায় কোনো প্রার্থী মারা গেলে সেই আসনে নির্বাচনটা বন্ধ হয়ে যায়। সে কারণে তারা এই পরিকল্পনা করেছে।

তবে সন্ত্রাসী দলের মতো এ সব ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না।’
‘শরণার্থীর জবানবন্দি ১৯৭১’ গ্রন্থ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধ যে কত বেদনার, কত সংগ্রামের, সেটি যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি তাদের পক্ষে অনুধাবন করা কঠিন। আমরা ১ কোটি শরণার্থীর কথা বলি, কিন্তু দেশের অভ্যন্তরেও ১ কোটি মানুষ শরণার্থী হয়েছিলো, যাদের ঘরবাড়ি হানাদারেরা জ্বালিয়ে দিয়েছিল, অপরের ঘর-বাড়িতে থাকত।’

বাল্যস্মৃতিচারণ করে হাছান বলেন, ‘চট্টগ্রামের প্রান্তে রাঙ্গুনিয়ায় আমাদের গ্রামটা ছিল শরণার্থী যাওয়া আসার রোড। সেই পথ ধরে মিজোরাম যেতে হলে উঁচু পাহাড় পাড়ি দিতে হতো।

অনেক বাচ্চা ও বয়স্ক যারা পাহাড়ে উঠতে পারত না, তাদের ফেলে অন্যরা চলে যেত -এ রকম বহু ঘটনা ঘটেছে।’
গ্রন্থকার, পিআইবির সহ-সম্পাদক আকিল উজ-জামান, গবেষক মোহাম্মদ এনায়েত হোসেন বইমোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।

সাগরে গভীর নিম্নচাপ, ৩ নম্বর সংকেত

জাতীয়, 16 November 2023, 449 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপের পর গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এজন্য দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আজ ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-৪) এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এতে বলা হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।

‘গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।’

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চল ছাড়াও মধ্যাঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে।

মলম পার্টি চক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার

জাতীয়, 1 June 2023, 858 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিপুল পরিমাণ চেতনানাশক ওষুধ ও হালুয়াসহ আন্তঃজেলা অজ্ঞান ও মলমপার্টি দলের এক দম্পতিসহ ৪ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। আজ ১ জুন বৃহস্পতিবার তাদেরকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহসাড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড়ে ফ্লাইওভার ব্রীজের নীচ থেকে আটক করা হয়। বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কালিয়াকৈর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আজমীর হোসেন।

আটককৃতরা হলো- জামালপুরের ইসলামপুর থানার চিনারচর নামাপাড়া এলাকার মৃত জাবেদ আলীর ছেলে শহর আলী (৪৩), শহর আলীর স্ত্রী ও নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও থানার বাইটেঙ্গী বরাব বাজার এলাকার মৃত সুরুজ মিয়ার মেয়ে মানছুরা আক্তার জিমি (৩০), নোয়াখালীর সেনবাগ থানার জামালপুর এলাকার মৃত ছায়েদ আলীর ছেলে নূর ইসলাম (৪৫) ও জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি থানার গোপালগঞ্জহাটের সোনামিয়ার ছেলে মুকুল মিয়া (৪২)। তারা সবাই কালিয়াকৈরের বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতো।

পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, বৃহষ্পতিবার ভোরে আন্ত:জেলা অজ্ঞান পার্টি ও মলমপার্টি দলের কয়েক সদস্য ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় ফ্লাইওভার ব্রীজের নীচে অবস্থান নিয়ে চেতনানাশক বিভিন্ন দ্রব্য ব্যবহারের মাধ্যমে পথচারী ও বিভিন্ন পরিবহনের যাত্রীদের সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে। এ গোপন সংবাদ পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে এক দম্পতিসহ চারজনকে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে কথিত চেতনানাশক হালুয়ার ১৮টি পোটলা এবং রিভোট্রিল, মাইলাম, ইপিক্লোন ও ডাইজোপান সহ চেতনানাশক ঘুমের বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় নানা অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
তিনি আরো জানান, বংশ পরম্পরায় এ পেশাটি চালিয়ে আসছিল গ্রেফতারকৃত শহর আলীও তার পূর্ব পুরুষেরা। তার দাদা, বাবা ও চাচারাসহ পূর্ব পুরুষেরাও এ পেশায় নিয়োজিত ছিল। বংশ পরম্পরার ঐতিহ্য এ পেশাটিকে টিকিয়ে রাখতে পূর্ব পুরুষদের পর উত্তরসূরী হিসেবে শহর আলী তার স্ত্রীকে নিয়ে ধরে রেখেছিল। শহর আলী এ পর্যন্ত অর্ধ সহস্রাধিক লুটের ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে। এ ঘটনায় কালিয়াকৈর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বিএনপির আন্দোলন ক্ষমতার জন্য নয়, মানুষের মুক্তির জন্য : মির্জা আব্বাস

জাতীয়, রাজনীতি, 18 February 2023, 1510 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ যদি অশান্তি সৃষ্টি না করে তাহলে বিএনপি কখনও অশান্তি সৃষ্টি করবে না। শান্তির লক্ষ্যেই বিএনপির প্রতিষ্ঠা। আর লুটপাটের জন্য আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা। বিএনপি কখনও চুরি-লুটপাটে বিশ্বাস করে না। বিএনপির এই আন্দোলন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। এ দেশের মানুষের মুক্তি, শান্তি ও দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষ্যেই এই আন্দোলন।’

আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহ নগরীর টাউনহল মোড়ে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচির শুরুতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তেল, গ্যাস, চাল, ডাল, বিদ্যুৎসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো এবং ১০ দফা দাবি আদায়সহ খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপি পদযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করে।

এ সময় মির্জা আব্বাস হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র মুক্ত করতে হবে। এ দেশের মানুষের কথা বলতে দিতে হবে। ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। সেখানে যে জিতবে সেই ক্ষমতায় যাবে। বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য সেই নির্বাচন করবে না।

‘বিএনপি’র পাশে কোনো বন্ধু নাই’- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যের জবাবে বিএনপির এ স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, দেশের বাইরে আমাদের কোন প্রভু নাই, আমাদের বন্ধু আছে। আর দেশের বাইরে যদি বন্ধু না-ই থাকে তাহলে প্রয়োজনও নাই। দেশের সাধারণ মানুষ বিএনপির বন্ধু।

ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন-বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. শাহ ওয়ারেস আলী মামুন, শরীফুল আলম প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ।

বক্তব্য শেষে পদযাত্রাটি টাউন হল থেকে শুরু হয়ে নতুন বাজার, আমলাপাড়া হয়ে গঙ্গাদাস গুহ রোডস্থ বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এতে বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।