চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পল্লী বিদ্যুতের কমপ্লিট শাটডাউনের কারণে দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে জেলার ৯টি উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে হাসপাতালের রোগীসহ গ্রাহকদের ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। পরবর্তীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ সংযোগ সমঝোতার ভিত্তিতে পুনরায় চালু করা হয়।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি আইবি-পল্লী বিদ্যুৎ একীভূতকরণ ও অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নসহ চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন চলছে। এ পরিস্থিতিতে পল্লী বিদ্যুতের ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, এর মধ্যে চারজনকে বৃহস্পতিবার সকালে আটক করা হয়। এছাড়া ২০ জন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মকবুল হোসেন এবং উপ মহাব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান ভূঁইয়াও রয়েছেন। শাটডাউনের ফলে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ভোগান্তিতে পড়েন। বিশেষ করে হাসপাতালে রোগীদের জন্য এটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। বিভিন্ন উপজেলার মিল কারখানা বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরাও অসুবিধার মুখে পড়েন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম জানান, সারাদেশের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পল্লী বিদ্যুতের শাটডাউন চলছিল। বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের উদ্যোগে আজ ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সদর উপজেলার শালগাঁও স্কুল এন্ড কলেজের অডিটোরিয়াম কক্ষে শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে শিক্ষামূলক সেশন ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শালগাঁও স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া রহিমা আলাউদ্দিন মুন্নি, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জহিরুল আলম এবং সহকারী জজ আবুল হাসনাত।
শিক্ষামূলক সেশনে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, জাতীয় হেল্প লাইন ও হট লাইন নাম্বারে ফোন করে সরকারি আইনগত বিষয়ে ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি সম্পর্কে একজন নাগরিক জানতে পারবেন। প্রভাষক মোঃ বশির আহম্মেদ সহ অন্যান্য সহকারী শিক্ষকগণ এবং দেড়শো শিক্ষার্থী ওই শিক্ষামূলক সেশন ও কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। পরে শিক্ষামূলক সেশন ও কুইজ প্রতিযোগিতা বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সরোদ মিলনায়তনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে প্রকাশিত পাঠক নন্দিত দৈনিক সংবাদপত্র সমতট বার্তা’র ৩৩ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে দৈনিক সমতট বার্তার আয়োজনে ৭ পর্বের সমতট উৎসবের প্রথম দিনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল সুধী সমাবেশ, গুণীজন সম্মাননা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তিতাস পাড়ে অভাবনীয় উন্নয়নের সফল রূপকার র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম, মুখ্য আলোচক ছিলেন বরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা ফাখরুল আরেফিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এএসএম শফিকুল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতি ভূষণ দেবনাথ।
দৈনিক সমতট বার্তার উপদেষ্টা ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ এর সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি বিশিষ্ট লেখক ও কবি জয়্দুল হোসেন। প্রধান অতিথি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমি যখন ছোটবেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসতাম তখন কুসুমকুমার চক্রবর্তী নামে একজন বড় ডাক্তার ছিলেন। তিনি আমাকে কালো মেঘ ঔষধ খাওয়াতেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে এসে দিনে দিনে গ্রামে ফিরে যাওয়া সম্ভব হতো না। সে সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের নিয়াজ পার্কে আমার ফুফুর বাসায় রাত্রিযাপন করতে হতো। তখন প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় আমি শুনতে পেতাম ঘরে ঘরে সুরের মূর্ছনা, ঝংকার। প্রায় সবার বাড়ি থেকে হারমোনিয়াম এর আওয়াজ ভেসে আসতো ওই সময়টাতে। এটি ছিল নিতান্তই তখন সুরের শহর। আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন নামে যেখানে আমরা আজকে দাঁড়িয়ে আছি এই বাড়িটি ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর ক্রয়কৃত বাড়ি। এ বাড়িটিতে তিনি নিজে এই সঙ্গীত একাডেমী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আগের যে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে আমরা দেখেছি সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এখন আর নেই। কিন্তু আমি আগের ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে খুঁজে পেতে চাই। আমি যখন এখানে রাজনীতি করতে এসেছি তখন আমি এই শহরকে ভালোবাসি বলেই এসেছি। কারণ, সমৃদ্ধ শিক্ষা-সংস্কৃতি, অনেক অনেক জ্ঞানী-গুণীজনদের এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুনাম ছিল অনেক উপরে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্য ছিলেন ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, আরও ছিলেন শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, ব্যারিস্টার এ রসুল, নবাব শামসুল হুদা, মলয়া সংগীতের মনমোহন দত্ত, আফতাব উদ্দিন খাঁ, লব পাল এর মত অনেক গুণীজন। এখন আর সেই দিন নেই। আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রাজনীতি করতে এসে এখানে অনেক মানুষের সহযোগিতা পেয়েছি সহমর্মিতা পেয়েছি। তাঁদের কথাতো আমি ভুলতে পারবো না। এরমধ্যে রয়েছে দৈনিক সমতট বার্তা এবং এর সম্পাদক মনজুরুল আলম। আর সেই জন্যেই এখানে আসার ব্যাপারে তার যে আহ্বান সেটাকে আমি উপেক্ষা করতে পারিনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচারই বেশি প্রাধান্য পেয়ে থাকে। আর এসব প্রচার যখন উপর মহলে যায় তখন আমরা অবহেলার শিকার হই। করোনাকালীন সময়ে একজন জনপ্রিয় মাওলানার মৃত্যুতে তাঁর জানাজায় অনেক মানুষ হয়েছিল। এটি নিয়েও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সম্পর্কে অপপ্রচার চালানো হয়েছিল। কিন্তু এর কিছুদিন পরেই চট্টগ্রামে শফি নামে একজন আলেম সাহেবের মৃত্যু হয়। তার জানাজায়ও আরো অনেক বেশি মানুষ হয়েছিল। সেটিও ছিল করোনাকালেই। অথচ চট্টগ্রামের এ বিষয়টি নিয়ে কোন বিরূপ প্রচারণা কেউ করেনি। উপরন্ত চট্টগ্রামবাসীরাও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্পর্কে নেতিবাচক সমালোচনা করেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে একজন মহিলা দু’দুবারে মহিলা মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন, সেই কথাটা কেউ বলে না। কিছু লোক সংঘবদ্ধ হয়ে, অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে এই আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রেলস্টেশন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাসহ বেশ কিছু স্থানে বর্বর হামলা চালিয়ে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত করলো, এ ব্যাপারে কেউ কিন্তু আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায়নি। ঢাকা শহরে এত এত সাংস্কৃতিক সংগঠন, বড় বড় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রয়েছেন’ তারা কিন্তু এই তান্ডবের বিপক্ষে একটি মানববন্ধন করেননি। ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাত্র আড়াই ঘণ্টার পথ। এ সত্যেও এখানে কেউ আসেননি। আমি এই ঘটনার একটি নিরপেক্ষ তদন্ত করার কথা বলেছিলাম। তাও হলোনা। এখানেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়ে নেতিবাচকতা হয়েছে। সবচেয়ে পরিতাপের বিষয় হল এই ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে বাড়ি, এমন সাংবাদিকও ওই ঘটনা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর বিপক্ষে লিখেছেন। তাদের কেউ একবার এসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন, মিউনিসিপ্যালিটি সহ অন্যান্য স্থাপনার ধ্বংসরূপ দেখে যাননি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতি তাদের বিরূপ ধারণা রয়েছে। এখানে রাজনীতিতে এসে আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করেছি, এখনো চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমার এ প্রচেষ্টায় আমার পাশে আছে দৈনিক সমতট বার্তা এবং এর সম্পাদক মনজুরুল আলম। এখানকার অন্যান্য পত্রিকার মধ্যে দৈনিক সমতট বার্তা কিছুটা ব্যতিক্রম। জেলার শিল্প সংস্কৃতি এবং রাজনীতির প্রগতিশীল ভাবনাগুলোকে মর্যাদা দিয়ে তাঁরা পত্রিকাটি চালাচ্ছেন। আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইনশাল্লাহ, একদিন অতীতের ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে আমরা অবশ্যই ফিরে পাবো। এ ব্যাপারে আমি আবারো আপনারা সকলের সহযোগিতা চাই।’ অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা প্রাপ্ত খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলামকে সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করেন প্রধান অতিথি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি, মুখ্য আলোচক বরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা ফাখরুল আরেফিনকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন দৈনিক সমতট বার্তা পাঠক ফোরাম এর সভাপতি হাজী সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সাফিরউদ্দিন চৌধুরী রনি। এর আগে মোরশেদুল ইসলাম ও ফখরুল ইসলামের জীবনচরিত ও কর্মকৃতি পাঠ করেন ফারিয়া বিনতে আলম ও ডাঃ ইশতি বিনতে আলম হৃদিলা। সংগীতানুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন নুসরাত জুহুরী প্রান্তি, পাপিয়া চৌধুরী, ডাঃ ইশতি বিনতে আলম হৃদিলা, মায়া চক্রবর্তী। নৃত্য পরিচালনা করেন নৃত্য প্রশিক্ষক যে আমিন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন সংগীত সংগঠক আনিসুল হক রিপন। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন দৈনিক সমতট বার্তার সম্পাদক মনজুরুল আলম।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রবল বৃষ্টিতে শহরে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। গত রবিবার থেকে আজ ৮ আগস্ট মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন মহল্লার রাস্তা-ঘাট।
কোথাও কোথাও বৃষ্টির পানি রাস্তা উপচে বিভিন্ন দোকান-পাট ও বাড়ি-ঘরে ঢুকে পড়েছে। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে শহরবাসী।
স্থানীয়রা জানায়, শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়েছে। শহরের অধিকাংশ ড্রেনগুলো ময়লায় আটকে আছে। দিনের পর দিন পার হলেও পৌর কর্তৃপক্ষ এসব ড্রেন পরিষ্কার করার তেমন কোনো উদ্যোগ নেয় না। সে কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরের বিভিন্ন রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। শুধু তাই নয় মাঝে মধ্যে পৌরসভার কিছু কর্মীদের ড্রেনগুলোকে নামমাত্র পরিষ্কার করতে দেখা যায়। এছাড়াও বিভিন্ন মহল্লায় থাকা খাল, নালা এবং পুকুর প্রভাবশালীরা দখলে নিয়ে ভরাট করে ইমারত নির্মাণ করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের হালদারপাড়া, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা, লোকনাথ উদ্যানের (টেংকের পাড়) সামনের রাস্তা, পাইকপাড়া রামকানাই হাই একাডেমির সামনের রাস্তা, মেড্ডা সিও অফিসের মোড়, মেড্ডা পোদ্দার বাড়ির সামনের রাস্তা, মেড্ডা আরামবাগ, নোয়াপাড়া, কাউতলী থেকে মৌড়াইল জেলা পরিষদের সামনের রাস্তা, কালাইশ্রীপাড়ার রাস্তা, কালীবাড়ি মোড় থেকে পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড, কুমারশীল মোড়, ফুলবাড়িয়ার রাস্তাসহ একাধিক এলাকায় রাস্তা প্লাবিত হয়েছে। শহরের বেশিরভাগ জায়গায় হাঁটু পানি, আবার কোথাও কোথাও গোড়ালি পর্যন্ত পানি। আবার কোথাও কোথাও বাড়ি ঘরেও পানি ঢুকে পড়েছে। এতে ওই সব এলাকার শিক্ষার্থীসহ বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
শহরবাসীর অভিযোগ পৌরসভার পক্ষ থেকে নিয়মিত ড্রেনগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করায় সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
তবে, পৌর কর্তৃপক্ষের দাবি মানুষের সচেতনতার অভাবে শহরে বৃষ্টি হলে রাস্তায় পানি জমে। তাদের দাবি পর্যাপ্ত ডাস্টবিন থাকা সত্ত্বেও শহরের বিভিন্ন মহল্লার কিছু কিছু মানুষ তাদের বাসা বাড়ির বর্জ্য ডাস্টবিনে না ফেলে ড্রেনে ফেলে দেওয়ায় ড্রেনগুলো বন্ধ হয়ে যায়। যার দরুন শহরে বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদদুস বলেন, ফুলবাড়িয়া এলাকায় একটি ক্যানেল তৈরি করা হয়েছিল সেটি দিয়ে পানি টাউন খালে নেমে যেত। ফোরলেন কাজের সময় সেই ক্যানেলটি বন্ধ করে দিয়েছে তাই কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে লোক পাঠানো হয়েছে। দ্রুতই পানি নেমে যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের বর্বর হামলা, নির্যাতন ও গণহত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে হেফাজতে ইসলাম।
প্রতিবাদ সমাবেশে হেফাজতের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান দাবি করেন, ইহুদিরা মুসলমানদের প্রধান শত্রু এবং ইসলামের ইতিহাসে তাদের অবস্থান বরাবরই বিরোধপূর্ণ। চলমান গণহত্যার ঘটনায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা জানাতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব শায়েখ সাজিদুর রহমান। এ সময় তিনি বলেন, নেতানিয়াহু বিশ্বের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী।
আজ ৭ এপ্রিল সোমবার দুপুরে ‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’ কর্মসূচির সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব চত্বরে সমাবেশে তিনি আহ্বান জানান।
এসময় তিনি বলেন, দ্রুত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা জানাতে হবে। ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে হবে। ইসরায়েলের গণহত্যাকে মানবতাবিরোধী কাজ উল্লেখ করে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব বলেন, নেতানিয়াহু বিশ্বের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী। সব মানুষের জন্য এই হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ জানানো জরুরি। প্রয়োজনে জিহাদের ডাক দিয়ে ফিলিস্তিন গিয়ে যুদ্ধে অংশ নেয়া আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
অপারেশন ডেভিল হান্টের অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেত্রী খাদিজাকে (১৭) গ্রেফতার করা হয়েছে। ১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার আটকের পর তাকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার এক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে কিশোরী সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশন দেন। গ্রেফতারকৃত খাদিজা কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার ছয়গ্রাম হাজী বাড়ির মনির হোসেনের মেয়ে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। খাদিজা তার পরিবারের সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের মধ্যপাড়া বর্ডার বাজার এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আফরিন ফাতেমা ওরফে জুঁইয়ের সহযোগী ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে তারুণ্য উৎসব উপলক্ষ্যে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে বিকেল তিনটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোনের শিক্ষার্থীরা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী খাদিজাকে আটক করে। পরে তাকে সদর থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়। সদর থানা পুলিশ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনার এক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখান।
১৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মীর মোহাম্মদ এমদাদুল হক তাকে সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন বলেন, বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে পিঠা উৎসব চলছিল। সেখানে খাদিজা আক্তার গেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের নজরে পড়েন। পরে খাদিজাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন তারা। খাদিজা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীর উপর হামলার ঘটনায় অপারেশন ডেভিল হান্টের অংশ হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।