চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান (কলেজ) নির্বাচিত হয়েছেন ইসলামপুর আলহাজ্ব কাজী রফিকুল ইসলাম স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইমরান খান। ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার তাকে প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় সম্মাননা প্রদান করেন বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম। এর আগে সকাল ১১টায় বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৪ উপলক্ষে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আল মামুনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিজয়নগর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াদুল হক বাবু, সাংবাদিক আলমগীর হোসেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মহসিন ভুইয়া।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইসলামপুর আলহাজ্ব কাজী রফিকুল ইসলাম স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইমরান খান, পুর্বাচল কলেজের অধ্যক্ষ মো. সোহাগ মিয়া, শ্রীপুর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হান্নান, সহকারী সুপার আব্দুল গফুর, প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল আমীন ও উপজেলা স্কাউটস শ্রেষ্ঠ সদস্য মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ খান প্রমুখ।
এতে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সুধীজন, অনুষ্ঠানটি সফলভাবে আয়োজন করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় না। েেবশ কিছুদিন ধরে। এনিয়ে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জাতীয় দিবস ব্যতীত পতাকা উত্তোলন করা হয়। স্থানীয়রা বলছেন, এটা একটি সরকারি অফিস। সকালে খুলে বিকাল বন্ধ হয়। কিন্তু সব সরকারি অফিসে জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা গেলেও এখানে চিত্র ভিন্ন। এ অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে দেখা যায়নি।
আজ ২২ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় ভূমি অফিসে বেশ কিছু লোকের সমাগম রয়েছে। অফিসের সামনে জাতীয় পতার টানানোর জন্য একটি স্টীল খুঁটি রয়েছে। তবে তাতে জাতীয় পতাকা ছিল না।
হরষপুর ভূমি অফিসে জনবল রয়েছে তিন জন। ইউনিয়ন ভুমি সহকারি কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীর আলম, উপ-সহকারি ভূমি কর্মকর্তা সৈয়দ জাবের এবং অফিস সহায়ক মো: বাচ্চু মিয়া। প্রয়োজনীয় জনবল থাকা সত্ত্বেও কেন জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করায় স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় দেওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, আগে অফিস খোলার সাথে সাথে পতাকা উত্তোলন করা হতো। আর পতাকা উড়তে দেখে আমরা দূর থেকে বুঝতাম কাচারি ঘর (ভুমি অফিস) খোলা।
হরষপুর ইউনিয়ন ভুমি সহকারি কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, জাতীয় দিবসে আমরা পতাকা উত্তোলন করি। দিবসগুলোতে আমাদের বলে দেয়, নির্দেশনা পেলে আমরা উত্তোলন করি। গত সোমবার নির্দেশনা ছিল উত্তোলনের। এছাড়া পতাকা উত্তোলন করা হয় না।
বিজয়নগর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো: মোজাহেরুল হকের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি জানা ছিল না। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরের মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে হামলার শিকার হয়ে আক্তার মিয়া (৭০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন।
আজ ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার ভোরে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের পূর্ব পাশে সড়কে এই ঘটনা ঘটে। আক্তার মিয়া ওই এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভোরে মসজিদে নামাজ পড়তে যান আক্তার মিয়া। এর কিছুক্ষণ পর সড়কে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যায় স্থানীয়রা। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরো বলেন, এই ঘটনায় পরিবারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন হিসেবে আক্তার মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলামকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে। সাইফুল একজন মানসিক প্রতিবন্ধী এবং তিনি বিভিন্ন মাজারে ঘুরে বেড়াতেন। তার বাবার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিল না। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে পাচারকালে ১৬২ বোতল ফেনসিডিলসহ আনোয়ার হোসেন ও মান্না আহমেদ সুমন নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় পাচারকাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে আটটার দিকে উপজেলার চান্দুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আনোয়ার হোসেনের বাড়ি সিলেট জেলার বিয়ানী বাজারের সাফা গ্রামে ও মান্না আহমেদ সুমনের বাড়ি একই জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার মাইজ গ্রামে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়। আজ শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে নিউজ :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ হাজার ১৭৯ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৯২৬ বোতল ইস্কফ সিরাপ, ২৪ কেজি গাঁজা, ১৪৬ বোতল ফেন্সিডিল, ৫ বোতল বিয়ার, ৬৫ পিস ভারতীয় শাড়ী, ২ হাজার ১০০ পিস ভারতীয় মেডিসিন এবং ১৫৪ কেজি ভারতীয় চিনি উদ্ধার করেছে বিজিবির সদস্যরা। এ সময় মোঃ মোকাব্বির (৩০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
গত সোমবার রাতে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের ( সরাইল ব্যাটালিয়ন) এর সদস্যরা জেলার বিজয়নগর উপজেলা, আখাউড়া উপজেলার কাশেমপুর, আনোয়ারপুর, চাঁনপুর, আজমপুর, নোয়াবাদি ও হীরাপুর এবং পাশ্ববর্তী হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার হরষপুর ও ধর্মঘর এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান, মাদক, শাড়ি ও মেডিসিন উদ্ধার ও এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী মোকাব্বির বিজয়নগর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়ন ( সরাইল ব্যাটালিয়ন) থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, চোরাচালানকৃত শাড়ী, মেডিসিন এবং চিনি আখাউড়া কাষ্টমসে জমা দেয়া হয়েছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যগুলো ধ্বংসের জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে ও গ্রেফতারকৃত মোকাবিবরকে বিজয়নগর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
চলারপথে ডেস্ক :
বিজয়নগর থানাধীন নলগড়িয়া গ্রামের বশির মিয়ার ছেলে শাহজালাল (২৫) কে উথারিয়াপাড়া ভুট্টো মিয়ার বাড়ির সামনে থেকে ৮০০ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়। পৃথক অভিযানে শ্রীপুর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে মোঃ ওয়াসিম মিয়া প্রকাশ জসিম মিয়া (২৩) কে উথারিয়াপাড়া উজির বাড়ির মোড় থেকে আড়াই কেজি গাঁজাসহ আটক করা হয়।
গতকাল শনিবার বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ এর নেতৃত্বে বিজয়নগর থানায় কর্মরত এস আই মোঃ শরিফুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এ মাদক উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক কারবারিদেরকে মাদকদ্রব্য সহ আটক করা হয়েছে। আটককৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আর কে কে জড়িত আছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। তাদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।