অনলাইন ডেস্ক :
পুলিশের যেসব সদস্য এখনো পলাতক আছেন দেখামাত্রই তাদের গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ ১৯ অক্টোবর শনিবার দুপুরে রাজশাহী বিজিবি সেক্টর সদর দপ্তর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশ বাহিনীর ১৮৭ জন সদস্য কাজে যোগ না দিয়ে পলাতক রয়েছেন। তারা এখন সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচিত হবে এবং দেখামাত্রই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। অপরাধীদের ক্ষেত্রে যে আইন, তাদের ক্ষেত্রে সে আইন প্রয়োগ করা হবে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘৫ আগস্টের পর পুলিশের যে অবস্থা ছিল, সেই অবস্থা থেকে এখন অনেকটা উত্তরণ হয়েছে। পুলিশের মধ্যে যে ট্রমা কাজ করছে, আমার কাছে এমন কিছু নাই যে দুই চারদিনে সেই অবস্থা থেকে বের করে আনব। বাস্তবতা হচ্ছে উন্নতি করেছে, আরও উন্নতি হবে।’ দলীয় বিবেচনায় চাকরি পাওয়াদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গত ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট সরকার আমলের নিয়োগে ক্ষেত্রে কিছু মেধায় চাকরি পেয়েছে। এর বাইরে যারা চাকরি পেয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে সমন্বিত ডিসিশন আসতে হবে।’
অনলাইন ডেস্ক :
কমলাপুর থেকে জামালপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনকক্ষে আগুন ধরেছে। তবে রেলওয়ে পুলিশ বলছে, এটি কোনো নাশকতা নয়।
আজ ২০ ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে এ আগুন ধরে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা রেলওয়ে পুলিশের এসপি আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে ট্রেনটি থামিয়ে আগুন নির্বাপন করা হয়।’
এসপি আনোয়ার বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনের সাইলেন্সার পাইপের ওপরে একটা চটের বস্তা ছিল। ফলে সাইলেন্সার পাইপের ধোঁয়া বেরোতে বাধাগ্রস্ত হয়। এতে ধীরে ধীরে ওই বস্তায় আগুন লেগে যায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক টের পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে ট্রেনটি দাঁড় করিয়ে আগুন নির্বাপন করে। পরে ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।’
নাশকতা কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আমার কাছে নাশকতা মনে হয়নি। নাশকতার কোনো ঘটনার নয়। সাইলেন্সারের পাইপ থেকে নির্গত ধোঁয়া বস্তায় বাধাগ্রস্ত হওয়ায় আগুন লেগেছিল। পরে তাৎক্ষণিক নেভানো হয়েছে। কোনো হতাহত নেই।’
অনলাইন ডেস্ক
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা। বিশেষ করে খাদ্যমূল্য, সেখানে উৎপাদন এবং সরবরাহ বৃদ্ধি করতে হবে। বৃষ্টির কারণে যেমন আলুর বীজ নষ্ট হয়ে গেছে, তো এই রকম অনেক কিছুই আছে। আমরা এখনও উৎপাদনমুখী হলে খাদ্যে কোনো দিন অভাব হবে না। বিশ্ব পরিস্থিতি মাথায় রেখে আমাদের পরিকল্পনা নিয়ে চলতে হবে।
ছয় দফা দিবস উপলক্ষে আজ ৭ জুন শুক্রবার বিকালে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বৃহস্পতিবার বাজেট দিয়েছি, বিএনপির আমলে সবশেষ বাজেট মাত্র ৬২ হাজার কোটি টাকার ছিল। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিয়েছিল ৬৮ হাজার কোটি টাকার, সেখানে আমরা ৭ লাখ ৯৮ হাজার কোটি টাকা বাজেট প্রস্তাব করেছি। এই বাজেটে মানুষের মৌলিক যে অধিকার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য তারপর দেশীয় শিল্প, সেগুলো এবং সামাজিক নিরাপত্তা, এসব বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে, যা মানুষের জীবনকে উন্নত করবে, নিশ্চয়তা দেবে। তার কারণ হচ্ছে, আমরা এগিয়ে যাচ্ছিলাম, কোভিড ১৯ এর অতিমারি দেখা দিয়েছিল, এই অতিমারির ফলে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা হয়েছে, আমরাও সেই মন্দায় পড়ে গেলাম। সারা বিশ্বে প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে গেল। এরপর আসল ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ, এরপর স্যাংশন পাল্টা স্যাংশন, ফলে প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের মানুষকে খাওয়াতে হবে আগে। রিজার্ভ কত আছে না আছে, সেটার চেয়ে বেশি দরকার আমার দেশের মানুষের চাহিদাটা পূরণ করা। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা পানির মতো টাকা খরচ করেছি। বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যেটা কোনো উন্নত দেশ করেনি, বিনা পয়সায় কোভিড ১৯ এর ভ্যাকসিন দিয়েছি, বিনা পয়সায় টেস্ট করিয়েছি। সেটা করেছি কেন? মানুষকে বাঁচাতে। চিকিৎসা বিনা পয়সায়, যে ডাক্তার চিকিৎসা করেছে তাদের প্রতিদিন আলাদা ভাতা দিতে হতো, এভাবে পানির মতো টাকা খরচ হয়েছে। তারপর যখন দাম বেড়েছে তখন ২০০ ডলারের গম ৬০০ ডলার করেও আমি কিনে নিয়ে এসেছি। ঠিক সেইভাবে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে, উন্নত দেশগুলোও এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে।
কালো টাকা সাদা করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা প্রশ্ন আসছে, কালো টাকা নিয়ে। কালো টাকা নিয়ে আমি শুনি, কালো টাকা সাদা করলে আর কেউ ট্যাক্স দেবে না। ঘটনা কিন্তু এটা না, এটা শুধু কালো টাকা নয়। জিনিসের দাম বেড়েছে, এখন এক কাঠা জমি যার আছে সেই কোটিপতি। কিন্তু সরকারি যে হিসাব, সেই হিসাবে কেউ জমি বিক্রি করে না। বেশি দামে বিক্রি করে, এতে কিছু টাকা উদ্বৃত্ত হয়। এই টাকাটা তারা নিজেদের কাছেই রাখে। এবার আমরা চেয়েছি এমন ব্যবস্থা করতে যাতে করে সামান্য কিছু টাকা দিয়ে তারা যেন সেটা আসল পথে নিয়ে আসে।
অনলাইন ডেস্ক :
‘পানি যখন বাড়ছিল, উপায় না দেখে আম্মা ও ছোট ভাইকে ফ্রিজের ওপর তুলে দিয়ে আমি চৌকির ওপর দাঁড়াই। পানি যখন আমার নাক বরাবর চলে আসে তখন বাঁচার আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। সাহায্য চেয়ে আগে অনেকগুলো পোস্ট দিয়েছিলাম ফেসবুকে। তখন শেষ পোস্টটি লিখি, লাশ উদ্ধার অইমু (হব) হয়তো, জীবিত উদ্ধার অইতে (হতে) পারতাম না…হয়তো এইটা শেষ পোস্ট।’
বন্যার পানিতে পরিবারসহ আটকে পড়ে মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখা মো. সাজ্জাদুর রহমান সাজন গণমাধ্যমের কাছে ভয়াবহ রাতের বর্ণনা এভাবেই দিচ্ছিলেন। রাতে উদ্ধার হওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে যখন বর্ণনা দিচ্ছিলেন, তখনো তার গলা কেঁপে কেঁপে উঠছিল।
সাজন বললেন, ‘পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস যখন ব্যর্থ হয়েছে তখন এলাকার ভাইয়েরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের বাঁচিয়েছেন।’
টানা বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢলে সিলেট জেলার পাঁচ উপজেলা কমবেশি বন্যাকবলিত।
এর মধ্যে সবচেয়ে আক্রান্ত জৈন্তাপুর। উপজেলায় বুধবার রাতে নিজ ঘরে আটকা পড়ে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছিলেন সাজন ও তার পরিবার। এ সময় সাহায্য চেয়ে তিনি একের পর এক ফেসবুকে পোস্ট দিতে থাকেন। বিষয়টি তখন জৈন্তাপুরের সীমানা ছেড়ে মধ্যরাতে সিলেটজুড়ে আলোচিত হয়ে ওঠে।
বুধবার (২৯ মে) রাত ৯টা ১৮ মিনিটে সাহায্য চেয়ে প্রথম পোস্টটি দেন সাজন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আমি দৌলা চেয়ারম্যানের ভাতিজা, দিলু মিয়ার পোয়া (ছেলে) বাড়ি ফেরীঘাট, আমরারে কেউ বাঁচাও, আমরার মরণ সামনে কেউ বাঁচাও আমরারে। মা ভাই লইয়া আটকি গেছি (মা, ভাইসহ আটকা পড়েছি)।’
সাজনের বাড়ি থেকে খানিকটা দূরত্বে ফেরিঘাট। প্রথম পোস্ট দেওয়ার পাঁচ মিনিট পর আক্ষেপ প্রকাশ করে দ্বিতীয় পোস্ট দেন, ‘হায়রে ফেরীঘাটের নৌকা, একটা নৌকা নাইনি বাছাইবার লাগি (একটা নৌকা নেই কি বাঁচানোর জন্য)।
’ রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে তৃতীয় পোস্টে তিনি বাঁচার আকুতি জানিয়ে লেখেন, ‘অনেক স্রোতের কারণে কেউ উদ্ধারের জন্য আসতে পারছে না, সুন্দর এই ভুবনে বাঁচার অনেক ইচ্ছা।’
এর ২৯ মিনিট পর লেখেন, ‘এখনো কেউ উদ্ধারে আইছে না (আসেনি)।’ এই পোস্টের কমেন্টে স্থানীয় অনেকে তাকে সান্ত্বনা দিয়ে তারা এসেছেন বলে জানান। এ সময় ইউএনও আসেন পরিবারটিকে উদ্ধার করতে। শাকিল আহমদ নামের একজন ওই কমেন্ট বক্সে জানান, ব্রিজের পূর্ব পাশের নৌকা ব্রিজ পার হচ্ছে না, ফেরিঘাটের দক্ষিণের নৌকা প্রবল স্রোতের জন্য পার করা যাচ্ছে না। হরিপুর থেকে একটি নৌকা আসছে গাড়িতে করে।
শতাধিক কমেন্টে তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। রাত ১১টা ৮ মিনিটে সাজন জীবনের আশা ছেড়ে দিয়ে লেখেন, ‘লাশ উদ্ধার অইমু (হব) হয়তো, জীবিত উদ্ধার অইতে পারতাম না (হতে পারব না), হয়তো এইটা শেষ পোস্ট।’ তার এ পোস্ট কয়েক হাজার মানুষকে উদ্বেগের মধ্যে ফেলে দেয়।
পাহাড়ি ঢলের জন্য তীব্র স্রোতের কারণে সাজন ও তার পরিবারকে উদ্ধারে যাওয়া যাচ্ছিল না। ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ গিয়ে চেষ্টা করেও কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছিল না। স্রোতের তীব্রতার কারণে কোনো নৌকা উদ্ধারে যেতে সাহস করছিল না। পরে স্থানীয় কয়েকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের উদ্ধারে যান। রাত দেড়টার দিকে তারা নৌকা নিয়ে ঘটনাস্থল পৌঁছতে সক্ষম হন। রাত ১টা ৩৯ মিনিটে সাজন পোস্ট দেন ‘আলহামদুলিল্লাহ আমি আর আমার পরিবার উদ্ধার।’ সেখানে হাজারখানেক মানুষ স্বস্তির কথা জানিয়ে কমেন্ট করেন।
মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা মো. সাজ্জাদুর রহমান সাজন বলেন, ‘পানি বাড়ছিল। ফেসবুকে বারবার পোস্ট দিয়ে সাহায্য চাইলেও কেউ আসতে পারছিল না। তীব্র স্রোতের কারণে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ প্রশাসন ফিরে গেছে। পরে এলাকার ভাইয়েরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তীব্র স্রোতের মধ্যে আমাদের বাঁচাতে আসেন। হরিপুরের মামুন ভাই, কমলাবাড়ির ময়না ভাইসহ বেশ কয়েকজন আসেন। পরে রাত ৪টার দিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।’ আটকে পড়ার মুহূর্তের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কল্পনাও করিনি বেঁচে ফিরতে পারব।’
বন্যার পানি বাড়তে শুরু করার পরও কেন আশ্রয়কেন্দ্রে না গিয়ে বাড়ি থেকে গেলেন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা সারা জীবন দেখে এসেছি সকালে পানি বাড়লে বিকেলে কমে যায়। এখানে তো জোয়ারের (পাহাড়ি ঢলের) পানি। এত দীর্ঘ সময় ধরে আর এত দ্রুত পানি বাড়বে এটা আমরা জীবনেও ভাবিনি।’
রাতের ভয়াবহ পরিস্থিতি বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘বিদ্যুতের মেইন সুইচ বন্ধের চেষ্টা করছিলাম বারবার। কিন্তু ওটা স্পর্শ করলেই বিদ্যুৎ ঝাঁকি দিচ্ছিল। এ রকম পরিস্থিতিতে একসময় আমার নাক পর্যন্ত যখন পানি চলে আসে তখন ধরেই নিয়েছিলাম মৃত্যু সময়ের ব্যাপার মাত্র।’
২৩ বছর বয়সী সাজন জানান, তিনি স্থানীয় একটি কলেজে ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষে পড়ছেন। তার বাবা দিলু মিয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি ২০১২ সালে মারা যান। মা আর ১৫ বছর বয়সের ভাইকে নিয়ে তার সংসার।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে সিলেটের জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম (পিপিএম) বলেন, ‘এ রকম পাহাড়ি ঢলের সময় স্রোত কী পরিমাণ বাড়ে সেটা উনার জানা ছিল। তার এভাবে বাড়িতে থাকা ঠিক হয়নি। রাতে আমরা খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেয়াঘাট এলাকায় যাই। কিন্তু পানির স্রোত এত তীব্র ছিল যে অনেক চেষ্টা করেও কোনো নৌকা বা মাঝি ম্যানেজ করা যায়নি।’
মাঝিরা কেউ জীবন ঝুঁকিতে ফেলে উদ্ধারে যেতে চাচ্ছিল না জানিয়ে ওসি বলেন, ‘বড় নৌকাও যেতে রাজি হচ্ছিল না। তারা বলছিল, আমরা গেলে আমরা মারা পড়ব।’
তিনি আরো বলেন, ‘তখন আমি স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাদ্দাম সাহেবের সঙ্গে যোগাযোগ করে উদ্ধারের অনুরোধ করি। তখন তিনি বলেন, তিনিও তার বাসার দ্বিতীয় তলায় আটকা পড়েছেন। তবু চেষ্টা করবেন। পরে রাতে স্থানীরা তাদের উদ্ধার করেন।’ সূত্র : কালেরকণ্ঠ
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যেকোনো ধরনের অনিয়ম, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বা সহিংস কর্মকাণ্ডের অভিযোগ দেওয়া যাবে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ।
আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত জননিরাপত্তা বিভাগের সম্প্রতি জারি করা পরিপত্র থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
সরকারের পক্ষ থেকেও নির্বাচন সংক্রান্ত আইনশৃঙ্খলা সেলে অভিযোগ জানাতে ৯৯৯ এ কল করার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে বলা হয়েছে, সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সার্বক্ষণিক সেবা দানের জন্য জরুরি সেবা ৯৯৯-এ বিশেষ টিম গঠন করে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সেলের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। ওই টিম ভোট সংক্রান্ত প্রাপ্ত অভিযোগ বা তথ্যের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরাসরি এলাকাভিত্তিক আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সেলে প্রেরণ করবে।
ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় মাঠ পর্যায়ে রিটার্নিং কর্মকর্তারা আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমন্বয় সেল গঠন করেছে। এই সেল যেকোনো অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টিমগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।
ভোটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সশস্ত্র বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আট লাখের মতো সদস্য মাঠ পর্যায়ে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত থাকবে। ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
যে কোনো জরুরি মুহূর্তে নাগরিকদের সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ চালু করে। এই নাম্বারে বিনামূল্যে ফোন দিয়ে যেকোনো অভিযোগ বা সহায়তা চাওয়া যায়।
অনলাইন ডেস্ক :
ল্যাপটপের কি-বোর্ড খারাপ হলে বা কয়েকটা ‘কি’ বিগড়ে গেলেই মুশকিল। জেনে নিন খারাপ হওয়া কি-বোর্ড কীভাবে ঠিক করবেন-
রিবুট : ল্যাপটপ রিবুট করুন। আসলে সফটওয়্যার না হার্ডওয়্যারের সমস্যা তা তো আমি বা আপনি বুঝব না, তাই ল্যাপটপ একবার রিবুট করে নেওয়া ভালো। অনেক সময় রিস্টার্ট করলে সমস্যা মিটে যায়।
কি-বোর্ড পরিষ্কার করুন : কি-বোর্ড সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। ভালো করে কি-বোর্ড পরিষ্কার রাখলে খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা কমবে। আপাতত টুথপিক বা তুলোর বাড সরিয়ে খুঁচিয়ে নোংরা, ধুলো ময়লা বের করে নিতে পারেন। এতে আপনার ল্যাপটপের কি-বোর্ড অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।
কি-বোর্ড সেটিংস ঠিক করুন : ল্যাপটপের কি-বোর্ড সেটিংস ঠিক না থাকলেও সমস্যা হতে পারে। আগে সেখানে গণ্ডগোল আছে কিনা দেখুন। স্টার্ট মেনুতে গিয়ে সেখান থেকে কন্ট্রোল প্যানেলে যান। এবার কন্ট্রোল প্যানেলে কি-বোর্ড খুঁজে নিয়ে সেটিংস ঠিক করুন।
কি-বোর্ড ড্রাইভার আপডেট করুন : ল্যাপটপের স্টার্ট মেনুতে সার্চ বার টাইপ করুন। সার্চে ডিভাইস ম্যানেজার লিখুন। সার্চে যে নামগুলো উঠে আসবে সেখান থেকে কি-বোর্ড খুঁজে বের করুন। এবার কি-বোর্ড অপশনে রাইট ক্লিক করে প্রপার্টিস সিলেক্ট করুন। প্রপার্টিস থেকে ড্রাইভারে গিয়ে আপডেট ড্রাইভার করতে হবে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলেই নতুন ড্রাইভারের অপশন আসবে, সেটা ইনস্টল করে নিন।
আনইনস্টল ড্রাইভার : কি-বোর্ড ড্রাইভার আনইনস্টল করলেও সমস্যার সমাধান হতে পারে। একই প্রক্রিয়ায় ডিভাইস ম্যানেজারে যান। সেখান থেকে কি-বোর্ড খুঁজে বের করুন। যদি দেখেন কি-বোর্ড ড্রাইভারের পাশে ‘!’ এই চিহ্নটা আসছে, তাহলে বুঝতে হবে গণ্ডগোল। তখন আন-ইনস্টল করে পুনরায় রি-ইনস্টল করে নিতে হবে।