চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু জামালের দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্তপূর্বক বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২০ অক্টোবর রোববার বেলা ১১টায় বিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে এ মানববন্ধন করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এসময় তারা বলে, আনন্দময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের কথা বলে টাকা নিতেন। আমরা সেই টাকা ফেরত ও প্রধান শিক্ষক আবু জামালের পদত্যাগ চাই। মানববন্ধনে আনন্দময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান তিশা, অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুসাত আক্তার, সামিয়া আক্তার, আফরিন জাহান নাদিয়া, ইফাত জাহান লাবনী, সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী রিতু মনিসহ বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অধিক দামে কাপড় বিক্রির দায়ে দুই প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ৯ এপ্রিল রবিবার দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান শহরের কোর্ট রোডের এফ.এ টাওয়ারের বিভিন্ন শো-রুমে অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় “লাইক ফ্যাশন হাউজ” নামক কাপড়ের শো-রুমকে ৫ হাজার ও “লা-রোজা” নামক কাপড়ের শো-রুমকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনাকারী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, বাজারে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল ও ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
এরই অংশ হিসেবে রবিবার দুপুরে শহরের কোর্ট রোডের এফ.এ. টাওয়ারের বিভিন্ন শো-রুমে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের সময় নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে কাপড় বিক্রির দায়ে লাইক ফ্যাশন হাউজের শো-রুমকে ৫ হাজার এবং ক্রয় মূল্যের রশিদ প্রদর্শন করতে না পারায় লা-রোজা নামে অপর একটি প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার পাশাপাশি তাদের সর্তকও করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা নাগরিক কমিটির উদ্যোগে প্রায় ২ শত শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আজ ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে শহরের টেংকের পাড় আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ কম্বল বিতরণ করা হয়। এতে জেলা নাগরিক কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট মোঃ হাবিব উল্লাহ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রবীন আইনজীবী এ,একে,এম মোঃ শাহদাৎ হোসেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ কুমিল্লা সমিতিরি সহসভাপতি মোঃ আব্দুল কাদির, সাধারণ সম্পাদক এইচ,এম,এম জামান, অর্থ সম্পাদক মোঃ খাইরুল নোমান, দপ্তর সম্পাদক জালাল উদ্দিন মাষ্টার, প্রচার সম্পাদক মোঃ ফারুক মজুমদার প্রমুখসহ কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। কম্বল বিতরণ কালে বক্তারা, শীতার্তদের পাশে দাঁড়াতে সমাজের সকল বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান। পরে অতিথিবৃন্দ প্রায় ২ শত শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।
বিশেষ প্রতিনিধি :
“স্মার্ট গ্রন্থাগার, স্মার্ট বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সারাদেশে উদ্যাপিত হয়েছে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস ২০২৩। এ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন ও জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার এর যৌথ আয়োজনে এক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিকেলে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের হলরুমে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথিা বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জয়নাল আবেদিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার মো. আ. কুদদূস, সাহিত্য একাডেমির সভাপতি, কবি ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক জয়দুল হোসেন। বাচিকশিল্পী ও সাংবাদিক মোঃ মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারি পরিচালক সাইফুল ইসলাম লিমন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, বেসরকারি গণগ্রন্থাগার জেলা কমিটির সভাপতি, কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের জীবনের বিনিময়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন। এই বাংলাদেশকে আগামীতে নেতৃত্ব দিবে যে তরুণ প্রজন্ম তাদের সত্যিকারের দেশ্রপ্রেমিক ও আর্দশ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তার জন্য বই পড়া ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নেই। তিনি বলেন, শুধুমাত্র চাকরির জন্য নয়, বই পড়তে হবে আলোকিত মানুষ হতে। এইজন্য শুধু পাঠ্যবই পড়লেই হবে না। পাঠ্য বইয়ের বাহিরে অন্যান্য বইও পড়তে হবে। বাংলাদেশকে এবং পৃথিবীকে জানতে হবে। বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ নিয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জ আমাদের জিততে হবে। আর এই চ্যালেঞ্জ জিততে হলে একটি সক্ষম জনগোষ্ঠি তথা স্মার্ট সিটিজেন গড়ে তুলতে হবে। তারজন্য শুধু ভালো রেজাল্ট করা ছাত্র-ছাত্রী নয়, আমাদের ভালো মানুষও লাগবে। এই ভালো মানুষ গড়ে তুলতে পারে কেবলমাত্র বই।
প্রধান অতিথি নিজের শিক্ষা জীবনের নানান স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমাদের সময়ে পাঠ্যবইয়ের পাশাপশি আমরা প্রচুর আউট বই পড়েছি। জ্ঞান যতটুকু অর্জন করেছি তা এই আউট বই পড়ে। নিজের রুমকে লাইব্রেরি বানিয়ে। তিনি রাষ্টের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক উদ্যোগে গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করে শিশু-কিশোর ও তরুণদের মাঝে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার উপর গুরুত্তারোপ করেন। তিনি পাঠাগার পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাসহ পাঠউপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান। এসময় তিনি পাঠাগার এবং বই সংশ্লিষ্ট যে কোন কার্যক্রম পরিচালনায় সব ধরনের সহযোগীতার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভা শেষে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার ও জেলা শিশু একাডেমি কর্তৃক বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাহিত্য-সংস্কৃতিকর্মী মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ। সহযোগিতায় ছিলেন জুনিয়র লাইব্রেরিয়ান মোঃ আনিছুর রহমান। অনুষ্ঠানে লেখক-সাংবাদিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন গ্রন্থাগার প্রতিনিধি, বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সিএনজি চালিত অটোরিকশাকে ট্রাকের ধাক্কায় দুইজন যাত্রী নিহত হয়েছেন।
আজ ২ মার্চ শনিবার সকাল ৭টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের উত্তর সুহিলপুর নামক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, জেলা শহরের মেড্ডার নোয়াপাড়া এলাকার নোয়াব আলির ছেলে আব্দুল হাই (৫০) ও সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বিহাইর গ্রামের আবু মিয়ার ছেলে জুনায়েদ (২৭)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেলা শহর থেকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা চার জন যাত্রী নিয়ে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক হয়ে খাঁটিহাতার দিকে যাচ্ছিল। সিএনজিতে যাত্রী একজন কম থাকায় তা তুলতে পথিমধ্যে উত্তর সুহিলপুর সড়কের পাশে দাঁড়ায়। এসময় একটি ট্রাক সিএনজিটিকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে আব্দুল হাই মারা যায়। এই ঘটনায় আহত তিনজনকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যাওয়া হলে জুনায়েদ নামে আরো একজন মারা যায়।
খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, নিহতদের মধ্যে একজনের মরদেহ থানায় ও আরেকজনের মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা আছে। নিহতদের পরিবার অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ময়লা-আবর্জনাসহ দখলে ভরাট হয়ে যাওয়া মেড্ডা শ্মশান ঘাট খাল পুনরুদ্ধার কাজ শুরু করেছে পৌরসভা।
আজ ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত শহরের মেড্ডা শ্মশান ঘাট থেকে কবরস্থান পর্যন্ত খাল পুনরুদ্ধার করেছে পৌরসভা। এসময় খাল পাড়ে থাকা ২৩টি দোকান উচ্ছেদসহ ভরাট হয়ে যাওয়া জায়গা থেকে মাটি অপসারণ করে খালের ৪০০ ফুট জায়গা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ময়লা-আবর্জনা ও দখলের কবলে পড়ে শহরের মেড্ডা শ্মশানঘাট ভরাট হয়ে গেছে। খালের দৈর্ঘ্য ৬০০ মিটার। মেড্ডা এলাকার বাসিন্দারা খালটি উদ্ধারের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার কাছে আবেদন করেন।
আবেদনের প্রেক্ষিতে শুক্রবার সকাল আটটার দিকে পৌর সভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোঃ আবদুল কুদদূস মেড্ডা শ্মশান ঘাট খাল পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু করেন। এসময় তাঁর সাথে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কাউসার আহমেদ, নগর পরিকল্পনাবিদ জান্নাতুল ফেরদৌস, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম কাওসার, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) সুমন দত্ত ও সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা মুখলেছুর রহমানসহ পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
মেড্ডা এলাকার বাসিন্দা শরাফত হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে খালটি দখল ও ভরাটের কব্জায় ছিল। একটি প্রভাবশালী মহল খালের পাড়ে মাটি ফেলে ভরাট করে দোকান নির্মাণ করে দখল করে রেখেছিল। তাছাড়া ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারনে খালটি ভরাট হয়ে গেছে। খালটি উদ্ধার করা খুব দরকার। পৌরসভা দীর্ঘদিন পরে হলেও একটি কাজের কাজ করেছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) সুমন দত্ত বলেন, মেড্ডা শ্মশান ঘাট খালটি ভরাটসহ দখল হয়ে গিয়েছিল। খালের মেড্ডা শ্মশান ঘাট থেকে কবরস্থান পর্যন্ত পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চলেছে। খালটি পুনরুদ্ধারের সময় খালের পাড় ভরাট করে নির্মাণ করা ২৩টি দোকান উচ্ছেদ করে সেখান থেকে মাটি অপসারণ করা হয়েছে। খালের প্রায় ৪০০ ফুট বা ১৫০ মিটার পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।