চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ উপজেলায় ২ হাজার ৪০০ কেজি (৮০ বস্তা) ভারতীয় জিরাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল ২১ অক্টোবর সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর রাজমনি হোটেলের সামনে থেকে কাভার্ড ভ্যান বোঝাই জিরাসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সুনামগঞ্জের বিশম্ভরপুর উপজেলার বোনপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আবু সিদ্দিক, জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলার লিলাশিখা (নতুনপাড়া) গ্রামের মো. আলমের ছেলে মো. বাহাদুর, রাজশাহীর শাহমখদুম উপজেলার নবা নতুনপাড়া গ্রামের আব্দুল গাফ্ফারের ছেলে মো. সাগর।
সোমবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর রাজমনি হোটেলের সামনে থেকে একটি কাভার্ড ভ্যানসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। কাভার্ডভ্যান তল্লাশি করে ৮০ বস্তা ভারতীয় জিরা উদ্ধার করা হয়। জিরার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা কোনো সঠিক তথ্য দিতে পারেনি।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে জিরা আনা হয়েছে বিধায় তাদের কাছ থেকে ৮০ বস্তা জিরা (প্রতি বস্তায় ৩০ কেজি) ও জিরা বহনকারী কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে নোহা গাড়িতে করে গাঁজা পাচারের সময় ৯০ কেজি গাঁজাসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৩১ জুলাই বুধবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে থেকে নোহা গাড়িসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার মোক্তার হোসেন হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের রহিদগ্রাম গ্রামের হেবজু ইসলামের ছেলে।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহাম্মেদ বলেন, বুধবার রাতে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা করা হয়। অভিযানকালে টোল প্লাজার সামনে থেকে নোহা গাড়িসহ একজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে নোহা গাড়ি তল্লাশি করে ৯০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে তাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে পাঁচ প্রার্থীর তিনজনই জামানত হারাচ্ছেন।
৫ নভেম্বর রবিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম।
তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের কম পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। উপ-নির্বাচনেও যারা এক ভাগের কম ভোট পেয়েছেন তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপ-নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ১৩ হাজার ৫৪৪ ভোটের বেশি। তাই জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল হামিদ লাঙল প্রতীকে ৩ হাজার ১৮৬, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল গোলাপ ফুল প্রতীকে ৫৫১ এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আব্দুর রাজ্জাক আম প্রতীকে ৭৩৯ ভোট পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া–২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা কলারছড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৭৭ ভোট।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, নগদ টাকা, ওয়াকিটকি ও পুলিশের হ্যান্ডকাফসহ জসিম ওরফে ‘পাখি জসিম’ (৪২) নামে এক আলোচিত মাদক কারবারিকে সেনাবাহিনীর পরিচালিত যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তার এক নারী সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়। আশুগঞ্জ উপজেলার জাকির মার্কেটস্থ ‘শাহজালাল পাখির মেলা’ দোকানে সোমবার রাতে এ অভিযান পরিচালনা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের একটি দল। আজ ৮ জুলাই মঙ্গলবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতার জসিম নবীনগর উপজেলার মো. তৈয়ব মিয়ার ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আশুগঞ্জে অবস্থান করে পাখি বেচাকেনার আড়ালে মাদকের কারবার চালিয়ে আসছিলেন। স্থানীয়ভাবে তিনি ‘পাখি জসিম’ নামে পরিচিত। এছাড়া, পুলিশের সোর্স হিসেবে তার পরিচিতি রয়েছে এবং তাকে প্রায়ই পুলিশের বিভিন্ন অভিযানে অংশ নিতে দেখা গেছে। শারীরিক গঠন ও পুলিশের সাথে ঘনিষ্ঠ চলাফেরার কারণে অনেকেই তাকে পুলিশের লোক ভাবতেন।
গ্রেফতার নারী সহযোগী হলেন কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার হুমায়ুনপুর গ্রামের মো. গোলাম হোসেনের মেয়ে মোছা. হোসনা আক্তার (২৪)।
যৌথবাহিনীর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সিভিল সোর্সের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে জসিম ও হোসনার কাছ থেকে ৬৬৫ পিস ইয়াবা, নগদ ১,৩৯,৯২৭ টাকা, তিনটি স্মার্টফোন, একটি ওয়াকিটকি সেট এবং পুলিশের একটি হ্যান্ডকাফ উদ্ধার করা হয়। অভিযান শেষে গ্রেফতারকৃতদের উদ্ধার করা আলামতসহ আশুগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পাখি জসিম দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের ছত্রছায়ায় মাদকের কারবার চালাতেন। তার বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির একাধিক সভায় অভিযোগ তোলা হয়েছে।
আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. খাইরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতার হওয়া মাদক কারবারিদের নামে থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে মাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বৃদ্ধা মারা যান।
নিহত মালেকা বেগম (৫৫) আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের মাজন খাঁর স্ত্রী।
নিহত মালেকা বেগমের নাতনি সানজিদা অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে তার মামা শাহিন মিয়া ও তার স্ত্রী জান্নাত এবং বড় মামি সেফালি ও মামাতো ভাই ইয়াসিন মালেকা বেগমকে মারধর করেন। তারা মালেকাকে মারধর করে প্রায়ই ৪ ঘণ্টা ঘরে ফেলে রাখে। এ সময় তার মেজো মামা তার নানিকে অজ্ঞান অবস্থায় দুপুর ১টার দিকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে ভর্তি করলে সন্ধ্যার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ বিষয়ে আশুগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ বলেন, ছেলে ও পুত্রবধূর সঙ্গে মালেকা বেগমের প্রায়ই ঝগড়া হত। দুপুরে মালেকা বেগমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সন্ধ্যার দিকে তিনি মারা যান। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।