চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬শ জন কৃষক-কৃষাণীর মাঝে বসবাড়িতে আবাদযোগ্য আগাম জাতের শীতকালীন সবজি বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে উপজেলার ১০ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার উপকারভোগী কৃষক-কৃষাণীর মাঝে ৯ জাতের সবজি বীজ ও ১০ কেজি করে সার বিতরণ করা হয়। বীজের মধ্যে ছিলো, আগাম জাতের টমেটো, বেগুন, পালংক শাক, ডাটা শাক, লাল শাক, শিম, লাউ, মিষ্টি কুমড়া ও কলমি শাকের বীজ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তারের সভাপতিত্বে ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার হাজেরা বেগমের সঞ্চালনায় অতিথি ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা তারেক মাহমুদ, কসবা প্রেসকাব সহ-সভাপতি নেপাল চন্দ্র সাহা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের স্বপন।
এসময় উপজেলা কৃষি উপ-সহকারী ও উপকারভোগী কৃষক-কৃষাণীগন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে আরও প্রায় ৯’শ কৃষকের মাঝে সার বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সব ধরনের ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এতে করে বর্তমানে বাজারে দ্রব্যমুল্যের অনেকটা বেড়ে গেছে। এমন অজুহাত দেখাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। আজকের উদ্যোগের একটাই উদ্দেশ্য যদি আপনাদের মাধ্যমে পুষিয়ে নিতে পারি। আপনাদের পরিশ্রমের মাধ্যমে, তাহলেই আমরা বিশ^াস করি আমাদের যেই খাদ্য নিরাপত্তার বিষয় আছে যে দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধি পেয়েছে সেই উপযুক্ত বিষয়গুলো সমাধান করতে পারবো।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় পানিতে ডুবে বোরহান উদ্দিন (০৩) নামে এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার খাড়েরা গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। শিশুটি খাড়েরা গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে।
নিহতের চাচা লোকমান হোসেন জানান, বোরহান উদ্দিনের বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন সম্প্রতি বর্তমান নিজ বাড়ি থেকে কিছু দুরে নিজস্ব জমিতে নতুন বাড়ী বাধার জন্য একপাশে গর্ত করে মাটি কাটেন। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর খেলার ছলে শিশু বোরহান উদ্দিন সেখানে গিয়ে গর্তে পরে যায়। বিকেলে শিশু বোরহান উদ্দিনকে পরিবারের লোকজন দেখতে না পেয়ে আশেপাশে খোঁজাখুুজি শুরু করে। কোথাও খুঁজে না পেয়ে এক পর্যায়ে সন্দেহবশত সেখানে গর্তের পানিতে নেমে খোঁজ করলে মেলে শিশু বোরহান উদ্দিনকে। সেখান থেকে উদ্ধার করে উপজেলার কুটি-চৌমুহনীতে অবস্থিত সেন্টাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু বোরহান উদ্দিনকে মৃত ঘোষনা করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে জশনে জুলুসে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সোমবার কয়েক ঘণ্টাব্যাপী হওয়া দু’দল মুসল্লির সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা পৌর এলাকার কদমতলী মোড়সহ আশেপাশের এলকায় এ সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সকালে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে একটি জশনে জুলুস পৌর এলাকায় প্রবেশ করে। এ সময় মুসল্লিদের আরেকটি পক্ষ এতে এতে বাধা দেয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। কয়েক ঘন্টা যাবত তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
পুলিশ সুপার জাবেদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরবর্তী বিশৃঙ্খলা এড়াতে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় সানজিদা আক্তার (২০) নামে এক নববধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ২৫ আগস্ট রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কুটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
সানজিদা আক্তার পাশ্ববর্তী ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার জামতলী গ্রামের মোরশেদ আলমের কন্যা। সে অন্তঃসত্ত্বা ছিলো বলে জানায় নিহতের মা রুনা আক্তার।
সানজিদার পরিবারের দাবি, যৌতুকের জন্য তাদের মেয়েকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে ছড়ানো হচ্ছে।
নিহত সানজিদার বাবা মোরশেদ আলম সাংবাদিকদের জানান, প্রায় তিন মাস আগে পারিবারিক ভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কুটি গ্রামের হেবজু মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম রকির সাথে বিয়ে হয় সানজিদার। বিয়ের সময় ছেলে পক্ষের কোনো চাহিদা না থাকলেও বিয়ের পর থেকে ছেলের পরিবার যৌতুকের জন্য মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে। যৌতুক দাবির বিষয়টি বাবা-মাকে জানালে মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ছেলের মায়ের চাহিদা অনুযায়ী দিতে রাজি হন তারা। তবে যৌতুকের দাবীকৃত মালামাল দেয়ার জন্য সময় চান তিন মাস। এতো সময় চাওয়ার কারণে শ্বাশুড়ী, দেবর ও ননদের মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার বাড়তে থাকে। বৃহস্পতিবার মাকে ও বোনকে বিষয়গুলো জানায় সানজিদা। কিন্তু সকালে সানজিদার মৃত্যুর খবর শাশুড়ী রিনা আক্তার সানজিদার খালু (ঘটক) একই উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের ইব্রাহিম মিয়াকে জানায়। সকাল ১০টার দিকে ইব্রাহিম মিয়া তাদেরকে ফোনে তার মেয়ের মৃত্যুর খবরটি জানান। খবর পেয়ে ছুটে আসে সানজিদার পরিবার। বিয়ের তিন মাসের মধ্যেই যৌতুকের নির্মমতার বলী হতে হলো সানজিদা আক্তারকে এমনটাই দাবী বাবা-মায়ের।
সানজিদার মা রুনা আক্তার জানান, মেয়ে বিয়ে দিলাম তিন মাসও হলোনা। এরই মধ্যে আমার অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। সানজিদার শ্বাশুড়ী রিনা বেগম যৌতুকের জন্য নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি জানান, সানজিদা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ জানান, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জেলা যুবলীগ নেতা ও ওয়ার্ড মেম্বারের লোকজনদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ ১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার গোপীনাথপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হয় সাতজন।
গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের কসবা উপজেলার আহ্বায়ক মান্নান জাহাঙ্গীর জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবলীগের সদস্য তসলিমুর রেজা ও ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মুক্তার হোসেনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার বিকালে গোপীনাথপুর বাজারে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে একটি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত তসলিম রেজা ও মুক্তার হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্যরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পণ্যে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার নিশ্চিত করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ ৮ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে পরিচালিত এই অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কুটি কাঠের পুল এলাকায় প্লাস্টিকের বস্তায় চাল মোড়কজাত করায় এক অটো রাইস মিল মালিককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছামিউল ইসলামের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত গিয়ে দেখেন- স্থানীয় বাসিন্দা মো. শামীম (৫০) তার অটো রাইস মিলে সরকারি নির্দেশনা না মেনে চাল প্লাস্টিকের বস্তায় প্যাকেজিং করছেন। জাতীয় পাটনীতি ও পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ অনুযায়ী নির্দিষ্ট কিছু পণ্যে পরিবেশবান্ধব পাটজাত বস্তা ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। এ আইন লঙ্ঘন করায় মো. শামীমকে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাৎক্ষণিকভাবে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অভিযান পরিচালনায় উপজেলা প্রশাসনকে সহায়তা করেন কসবা উপজেলার পাট পরিদর্শক মো. আবদুল হান্নান এবং কসবা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আনিস।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছামিউল ইসলাম বলেন, সরকার পাটশিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং পরিবেশ সুরক্ষায় পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। এ নিয়ম না মানলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।