চলারপথে রিপোর্ট :
নিম্ন আয়ের কার্ডধারীদের মধ্যে ভুর্তুকিমূল্যে অক্টোবর মাসের টিসিবির পণ্য বিক্রয় শুরু হয়েছে। আজ ২৩ অক্টোবর বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়।
বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুক্তা গোস্বামী। প্রত্যেক কার্ডধারীকে ৬০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি করে মশুর ডাল, ১০০ টাকা লিটার দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল এবং ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি চাল দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুক্তা গোস্বামী জানান, সদর উপজেলার স্বল্প আয় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। পৌর এলাকায় ৪হাজার ৯শত ৫২জনসহ সদর উপজেলায় ১৬ হাজার ৬শত ১৮ জন কার্ডধারী মানুষের মধ্যে এই পণ্য বিক্রয় করা হবে। আজ পৌরসভার সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর, কালভৈরব, কারখানাঘাট, আনন্দবাজার ও শেরপুর ঈদগাহ মাঠে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, স্বল্প আয়ের মানুষের আজ ২ কেজি তেল, ২ কেজি ডাল ও ৫ কেজি চাল দেয়া হয়েছে। চিনির বরাদ্দ না থাকায় চিনি দেয়া যায়নি। পরে পর্যায়ক্রমে সদর উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে। টিসিবির পণ্য নিয়ে কেউ যেন কোন রকম দুর্নীতি করতে না পারে সেজন্য আমাদের মনিটরিং অব্যাহত থাকবে।
এসময় সদর উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ ৭ বছর পর বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৯ জুন শনিবার শহরের শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালিবাড়ি নাটমন্দির চত্বরে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে জেলার ৯ উপজেলা থেকে আনন্দ মিছিল নিয়ে শহরের হালদার পাড়াস্থ শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালিবাড়ি নাটমন্দির চত্বরে সম্মেলনস্থলে সমবেত হন।
এ সময় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা।
সম্মেলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সুনিল চন্দ্র দেবের সভাপতিত্বে ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদেও সদস্য সচিব সঞ্জীব চন্দ্র সাহা বাপ্পীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিন্দ্র নাথ বসু, সাংগঠনিক সম্পাদক এড: কিশোর কুমার রায় চৌধুরী পিন্টু, কার্যকরী সদস্য ডা: আশীষ কুমার চক্রবর্তী।
চলারপথে রিপোর্ট:
দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ, ইউনিভারসিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রেজারার মাউশির সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন পাঠকনন্দিত পাক্ষিক মত ও পথ পত্রিকার সম্পাদক নিযুক্ত হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদপত্র পরিষদ এর পক্ষে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা হয়। আজ ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে ইউনিভারসিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হলরুমে এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি দৈনিক সমতটবার্তার সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক মো. মনজুরুল আলম। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও ইত্তেফাক প্রতিনিধি সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ আরজুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, দৈনিক তিতাসকণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক সৈয়দ মো. মিজানুর রেজা, দৈনিক ফ্রনটিয়ার সম্পাদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র পরিচালক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুল মালেক, দৈনিক হালচালের সাংবাদিক সৈয়দ মো. আকরাম প্রমুখ। এসময় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতি ভূষণ দেবনাথ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ হামজা মাহমুদ, অধ্যাপক এস আর এম ওসমান গনি সজীব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জীবন ভট্টাচার্য প্রমুখ।
এসময় মনজুরুল আলম তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ তথা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অনেক ক্ষেত্রে একজন ফাহিমা খাতুন প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চারদিক বিকশিত করছেন।
তাঁর প্রজ্ঞা ও মেধার আলোয় আমরা নতুন নতুন পথ দেখছি। তিনি তিতাস জনপদের অন্যতম আলোকবর্তিকা। মনজুরুল আলম বলেন, ফাহিমা খাতুন তাঁর মননশীলতা দিয়ে আমাদের শিক্ষা, শিল্প সাহিত্যকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সমান্তরালভাবে। তাঁর মতো একজন মানুষকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদপত্র পরিষদে যুক্ত করতে পেরে আমরা নিজেরা গর্বিত আনন্দিত।
এসময় বক্তারা বলেন, মানবিক মমতাময়ী হয়ে তিনি আমাদের পাশে আছেন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করার জন্য তিনি ছায়া হয়ে আমাদের পাশে আছেন। বক্তারা বলেন, মত ও পথের মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একটি পত্রিকায় যেখানে গুণী লেখকদের লেখা ছাপা হয়, সেই পত্রিকার সম্পাদক হওয়ায় আমরা জেলা সংবাদপত্র পরিষদ নিজেরাই ধন্য হয়েছি।
প্রফেসর ফাহিমা খাতুন তাঁর অনুভুতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আমি মনে প্রাণে একজন শিক্ষক, এখানেই আমি আনন্দ পাই। তিনি বলেন, আমি আদ্যোপান্ত একজন শিক্ষক। মত ও পথ হচ্ছে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির ব্রেইন চাইল্ড। আমি এই পত্রিকার সম্পাদক হতে পেরেছি, এটা আমার জন্য গর্বের আনন্দের। তিনি বলেন, আমি যখন যে কাজটা করি সিরিয়াসলি করি। মত ও পথের যে দায়িত্বটা আমাকে দেওয়া হয়েছে, সেই দায়িত্বটাও আমি সেভাবেই করার চেষ্টা করবো। তিনি উপস্থিত সকলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা আছেন, আমাদের পাশে থাকবেন, আপনারা পাশে থাকলে আমি এগিয়ে যেতে পারবো। এসময় তিনি আরও বলেন, সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, প্রজাবন্ধু সম্পাদক আবুল হাসনাত লিটন, সাংবাদিক আবুল হাসনাত রাফি, আশিকুর রহমান মিঠু, রুদ্র মোহাম্মদ ইদ্রিস প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে জড়ো হয়েছেন মৎস্য শিকারিরা। শেরপুর মীর শাহাবুদ্দীন (রঃ) দারুল উলূম ইসলামিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার মাজার শরীফ সংলগ্ন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী পুকুরে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে। তাঁদের কারও হাতে বড়শি, আবার কারও হাতে মাছের খাবার। কেউ কেউ আবার মোড়া ও মাছ রাখার জাল নিয়ে এসেছেন।
৬ জুলাই শনিবার সকাল ছয়টা থেকে ঐতিহ্যবাহী পুকুরের চার পাড়ে মাছ ধরার প্রতিযোগিতায় মেতে ও উঠেন মৎস্যশিকারিরা। সন্ধ্যা ৬’টা পর্যন্ত টানা ১২ ঘণ্টা চলে মাছ শিকার। এই মাছ ধরার প্রতিযোগিতা বড়শিতে ধরা পড়ে রুই, কাতল, ব্রিগেড, মৃগেল, শোল, বড় তেলাপিয়সহ দেশি বিভিন্ন প্রজাতির কার্প জাতীয় মাছ রয়েছে। পুকুরে মাছ ধরা প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে যেন এক মিলনমেলা হয়। ৬হাজার ৩শত টাকার টিকেট মূল্যে ১৬জন মৎস্য শিকারিএতে অংশ নেন। প্রত্যেকেই তিনটি বড়শি দিয়ে মাছ ধরার এই প্রতিযোগিতায় জড়োহন। শৌখিন মৎস্য শিকারি শাহেদ মিয়া বলেন ছোটবেলা থেকেই বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে খুব মজা লাগে। মাছ ধরা আমার পেশ নয়, এটি শুধু শখ। বড়শিতে মাছ ধরা পড়লে খুব আনন্দ লাগে এজন্যই এই ঐতিহ্যেবাহী পুকুরে মাছ ধরতে এসেছি।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে কমিটির আহবায়ক আরমান হোসেন, মনির খান (মনা) মোতোর্জা কমল জানান, আমরা নিজস্ব অর্থয়েনে প্রতি বছর ন্যায় এবারও এ মাছ ধরার প্রতিযোগিতা আয়োজন করছি, আগামীতে ও তা চলবে। এছাড়া দর্শনাথীদের মধ্যে ভালো লাগার একটি দৃশ্য ফুটিয়ে তুলতে আমরা মাছ ধরা প্রতিযোগিতা আয়োজন করি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীনের বদলির আদেশ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
আজ ৫ অক্টোবর শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে পৌনে ১২টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে তারা এই কর্মসূচি পালন করেন।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হন। সেখান থেকে শিক্ষার্থী পায়ে হেঁটে প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীনের বদলির আদেশ বাতিলের এক দফা দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বেলা সাড়ে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন তারা। এসময় শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীনকে ‘আমাদের জননী’ বলে সম্বোধন করে বদলির আদেশ বাতিলের দাবি জানান। তারা বেলা সাড়ে ১০টা থেকে পৌনে ১১টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করেন। এক পর্যায়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী ফরিদা নাজমীনের বদলির আদেশ বাতিলের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলামের কাছে তারা স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপি সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ১৫০ বছরের ইতিহাসের সাক্ষী ও সবচেয়ে প্রাচীন বিদ্যাপীঠ অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এই বিদ্যাপীঠ জেলার গর্ব। গত ১৫ বছর ধরে এটি ইতিহাসের স্বর্ণযুগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই স্বর্ণযুগের সূচনা ও পরিচালনার কারিগর প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন। সম্প্রতি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বদলির আদেশ জারি করা হয়েছে। ২০১০ সালের ৩০ ডিসেম্বরের আগে বিদ্যালয়ে নিয়ম-শৃঙ্খলার কোনো তোয়াক্কা করা হতো না। যোগদানে পর থেকে বিদ্যালয়ের সেই পরিবেশের পরিবর্তন এনেছেন ফরিদান নাজমীন। এই বিদ্যালয় নিয়ম শৃৃঙ্খলার বিষয়ে অন্য বিদ্যালয়ের কাছে আদর্শ। একজন মা যেমন তাঁর সর্বোচ্চটা দিয়ে নিজের সন্তানকে আগলে রাখেন তেমনি তিনিও একইভাবে শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয়কে আগলে রেখেছেন। তাঁর ভূমিকায় অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় প্রায় প্রতি বছর ‘জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে’ শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ এবং ‘জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে’, ‘সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ’, ‘শিশু পুরস্কার’ এর মতো জাতীয়ভাবে আয়োজিত জেলা, বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে মেধা ও গৌরব অর্জন করেছে শিক্ষার্থীরা।
‘সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় ২০১৪ সালে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জুবায়ের রহমান গণিত ও কম্পিউটার, ২০১৬ সালে মোতাকাব্বির বিন মোতাহার বাংলাদেশ ও ইতিহাস বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে প্রথম হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেছে। বিদ্যালয়ে সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার স্বার্থে প্রধান শিক্ষকের বদলির আদেশ বাতিলের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, বড় ম্যাডাম না থাকলে এই বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ও শিক্ষার মান ধসে পড়বে। জেলার শিক্ষার্থীদের জন্য বিদ্যালয়ে ম্যামের থাকা অত্যাবশ্যক।
প্রতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় বিদ্যালয়ের পাসের হার শতভাগ ও সর্বাধিক সংখ্যক জিপিএ-৫ আসে এই বিদ্যালয় থেকে। তিনি না থাকলে এই অর্জনের ধারাবাহিকতা থাকবে না।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সরকারি মাধ্যমিক শাখার সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-১) দূর্গা রানী সিকদার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ফরিদা নাজমীনকে হবিগঞ্জ সদরের বসন্ত কুমারী গোপাল চন্দ্র সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে বদলি করেন।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, তাদের স্মারকলিপি পেয়েছি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবগত করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক শাহীনুর রহমান শাহীন ও তার সহযোগীদের ওপর হামলার ঘটনার পর সদ্য সাবেক আহ্বায়ক ফুজায়েল চৌধুরী ও সদস্য সচিব মহসিন মিয়াকে সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রওনকূল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের সিদ্ধান্তে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার সকালে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সদ্য সাবেক আহ্বায়ক ফুজায়েল চৌধুরী ও সদস্য সচিব মহসিন মিয়াকে সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কারের বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ফুজায়েল চৌধুরী রুবেল বলেন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমান বিএনপি নেতা কবির আহমেদ ভূইয়া ও তার ভাই লন্ডনপ্রবাসী তারেক রহমানের পিএস আব্দুর রহমান সানি অযাচিতভাবে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলকে চাপ দিয়ে আমাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
আহ্বায়ক শাহীনুরের ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, শাহীন একজন মাদককারবারি। তাকে গত শুক্রবার শহরের শিমরাইলকান্দি এলাকায় পেয়ে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা মারধর করে।
এ বিষয়ে মারধরের শিকার জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহীনুর রহমান শাহীন বলেন, পদ চলে যাওয়ার পর থেকে তারা এসব কর্মকাণ্ড করছে। এসব ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তারা যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে তা সুস্থ ধারার রাজনীতি হতে পারে না। তবে গতকাল আমাদের ওপর হামলার ঘটনার পর কেন্দ্রীয় ছাত্রদল তাদেরকে সকল পদ থেকে বহিষ্কার করেছে।
জানা যায়, গত ৮ জুন মধ্যরাতে জেলা ছাত্রদলের ৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। এতে শাহিনুর রহমানকে আহ্বায়ক ও সমীর চক্রবর্তীকে সদস্য সচিব করা হয়। এরপরই ফুঁসে ওঠে সদ্য সাবেক কমিটির নেতারা। এ নিয়ে দলের সিনিয়র নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা চালায় পদবঞ্চিতরা। এছাড়াও নবগঠিত ও সাবেক কমিটির নেতাকর্মীদের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষও হয়।
এরই জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহীনুর রহমান ও বিশাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া-বিজয়নগরের নবনির্মিত শেখ হাসিনা সড়কের শিমরাইলকান্দি এলাকায় ঘুরতে গেলে সাবেক আহ্বায়ক ফুজায়েল চৌধুরী ও সদস্য সচিব মহসিন মিয়ার নেতৃত্বে হামলা হয়।
এসময় জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহিনুর রহমানকে কিল-ঘুষি দেওয়াসহ লাঠির আঘাত করা হয়। আত্মরক্ষার্থে শাহিনুর তিতাস নদীতে নেমে যান। তবে তার সঙ্গে থাকা বিশাল গুরুতর আহত হয়।