নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকার কেরানীগঞ্জে মো. নয়ন (২৫) নামের এক অটোরিকশাচালককে হত্যা করে গাড়ি ছিনতাই করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ ২৩ অক্টোবর বুধবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন গোলাম বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার নহরী গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে নয়ন। কদমতলী গোলাম বাজার এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তিনি।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, নয়নকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে নিহতের ফুফাতো ভাই রিফাত হোসেন জানান, প্রতিদিনের মতো সকালে অটোরিকশা নিয়ে বের হন নয়ন। সকাল ৮টার দিকে গোলাম বাজার এলাকায় তাকে ছুরিকাঘাত করে ৪-৫ জন ছিনতাইকারী।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাধীনতা কাপ মহিলা ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণ সোমবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গভ. মডেল গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে খেলো বাংলাদেশে স্পোর্টস সোসাইটি ও ভারত-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মৈত্রী পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। খেলো বাংলাদেশে স্পোর্টস সোসাইটি’র প্রধান উপদেষ্টা আ. ফ. ম কাউসার এমরানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাবেদ রহিম বিজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, গভ. মডেল গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক পারভীন আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ পাল বাবু, প্রেসক্লাবের সাবেক আইসিটি সম্পাদক মুজিবুর রহমান খান, ভারত-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মৈত্রী পরিষদ এর সভাপতি করবী চক্রবর্তী, সাধারন সম্পাদক সঞ্জয় দাস। সুষ্মিতা সাহার সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য দেন খেলো বাংলাদেশে স্পোর্টস সোসাইটির সাধারন সম্পাদক শিশির সিকদার।
ব্যাডমিন্টন খেলায় এককে রূপালী চ্যাম্পিয়ন, অনিতা রানার আপ হন। দ্বৈতে রূপালী ও নন্দিনি চ্যাম্পিয়ন এবং জান্নাত ও লিটা রানার আপ হন। এককে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ রূপালী ও দ্বৈতে জান্নাত। অতিথিরা খেলোয়ারড়দের হাতে নগদ টাকা ও ক্রেস্ট তুলে দেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘খেলো স্পোর্টস সোসাইটি নারীদের নিয়ে ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন খেলার মতো যেসব আয়োজন করছে সত্যিই প্রশংসনীয়। নারীদেরকে এগিয়ে নিতে হলে আমাদেরকে সুযোগ করে দিতে হবে। নারীরা এখন সমানতালে এগিয়ে চলছে’।
অনলাইন ডেস্ক :
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর অন্তর্বর্তী সরকারকে বিভিন্ন খাতের সংস্কারে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস। আজ ২২ সেপ্টেম্বর রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘ প্রতিনিধি এ আশ্বাস দেন। বৈঠকে গোয়েন লুইস বলেন, জাতিসংঘ বাংলাদেশের পুলিশ ও নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার এবং বন্যা পুনর্বাসন ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা করবে। এছাড়া অন্তর্বর্তী সরকার দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর বড় পুনর্গঠনের যে পরিকল্পনা নিয়েছে তাতেও সহায়তার কথা বলেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী। বৈঠকে সংস্কার, দুর্নীতি, বন্যা, রোহিঙ্গা সংকট এবং জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বিষয় উঠে আসে।
গোয়েন লুইস অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সংস্কার উদ্যোগের প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং তিনি ড. ইউনূসকে বিপ্লব-পরবর্তী প্রশাসনের প্রধান হিসেবে ‘অসাধারণ ভূমিকা নেয়ার জন্য’ ধন্যবাদ জানান।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিপ্লব ও পরবর্তী সময়টি সমগ্র জাতির জন্য ‘সর্বাধিক ঐক্যবদ্ধ মুহূর্ত’। তার সরকারের প্রধান কাজ ছিল প্রত্যেকের জন্য ‘একটি উদাহরণ স্থাপন করা’। এটি দেশের অর্থনৈতিক সংস্কার এবং প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ঠিক করার একটি দুর্দান্ত সুযোগ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকার একটি সমন্বিত জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা গড়ে তুলতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা দেশের ঝামেলা কমিয়ে দেবে এবং দুর্নীতি কমাতে সহায়ক হবে। সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কার করতে একটি কমিশনও গঠন করেছে, যাতে ভোট অবাধ ও সুষ্ঠু হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
৭ ডিসেম্বর নাসিরনগর হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। মুক্ত হয় নাসিরনগর উপজেলা। প্রতি বছরই এ দিনটিতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে উপজেলা প্রশাসন। ১৯৭১ সালের ১৫ নভেম্বর পাক হানাদার বাহিনী নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামবাসীর ওপর নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। উপজেলার ফুলপুর, নুরপুর, কুলিকুন্ডা, সিংহগ্রাম ও তিলপাড়া গ্রামের নিরীহ সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার চালোনো হয়। বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা ও সংগ্রামী জনতা পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে আজকের দিনে নাসিরনগর থানা অভ্যন্তরে (পুলিশ স্টেশন) স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করে।
ডেস্ক রিপোর্ট :
শিয়া সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান পবিত্র আশুরা উদযাপন ও তাজিয়া শোক মিছিলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
ডিএমপি কমিশনার আজ ২৬ জুলাই বুধবার সকালে রাজধানীর লালবাগ হোসাইনী দালান ইমামবাড়ায় পবিত্র আশুরা উদযাপন ও তাজিয়া মিছিল উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। শিয়া সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
কমিশনার বলেন, আগামী ২৯ জুলাই (১০ই মহরম) পবিত্র আশুরা। সারা বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় অত্যন্ত ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে থাকে।
হোসাইনী দালান ইমামবাড়া নিরাপত্তা সম্পর্কে তিনি বলেন, পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। রাস্তাগুলোও সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। আশুরার দিন অনুষ্ঠিত তাজিয়া শোক মিছিলের সামনে পিছনে ইউনিফর্ম পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ থাকবে। যেকোনো দুর্ঘটনা প্রতিরোধে পুরা এলাকা ডগ স্কোয়াড ও ম্যানুয়ালি সুইপিং করানো হবে। আশুরা উদযাপন ও তাজিয়া শোক মিছিল চলাকালীন সময় পুরো দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করা হবে এবং অনুষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সর্বদা সচেষ্ট থাকবে। তাজিয়া মিছিল উপলক্ষ্যে উচ্চস্বরে ঢাকঢোল না বাজানো, গায়ে চাদর জড়িয়ে মিছিলে না আসা ও শরীরে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম না করার জন অংশ গ্রহণকারীদের প্রতি অনুরোধ করেন ডিএমপি কমিশনার।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সমাবেশ করা রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক অধিকার, একইভাবে নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও ঢাকা মহানগর পুলিশের দায়িত্ব। কর্ম দিবসে জনগণকে কষ্ট দিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি না করে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে এসব কর্মসূচি পালন করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান ডিএমপি কমিশনার।
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘আপনারা সমাবেশ করেন, তবে এর কারণে জনগণ যেন কষ্ট না পায়। লোকজনের দুর্ভোগের বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে। হয়তো ভবিষ্যতে এমন সময় আসবে, জনগণ অতিষ্ঠ হলে আমাদের বাধ্য হয়ে এসব কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হতে পারে।’
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামানসহ যুগ্ম ও উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের আরো একটি মেগা প্রকল্প শিবপুর- রাধিকা সড়কের দুইটি অংশের মধ্যে আজ ১২ মে শুক্রবার রাধিকা অংশের পিচ ঢালাই কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।
কাজের উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৫ নবীনগর আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান, নবীনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো.মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক, বিশিষ্ট শিল্পপতি রিপন মুন্সি, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ প্যানেল মেয়র নাসির উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এডভোকেট সুজিত কুমার দেব, কাজী ইয়াবের হাসান জামিল মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম নজু, তাণ ও পূর্ণবাসন সম্পাদক নিয়াজুল হক কাজল, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক কবির আহমেদ, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার শফিকুর রহমান, কাজী ফেরদৌস, কার্যকরী সদস্য সাইফুর রহমান সোহেল, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।