চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর সীমান্ত থেকে মনিকা রায় (৫৬) নামে এক ভারতীয় নাগরিক আটক করেছে বিজিবি। ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে বিজিবির হাতে আটক ওই নারী বাংলাদেশের নোয়াখালীর হাতিয়ায় তার মেয়ের বাড়িতে চার মাস বেড়ানো শেষে ফিরে যাচ্ছিলেন। এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় বিপ্লব চক্রবর্তী (৩৫) নামে এক মানবপাচারকারীকে আটক করেন বিজিবি সদস্যরা। ভারতে যাওয়ার সময় উপজেলার হাফপুর নামে সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
২৫ বিজিবি অধিনায়ক কর্ণেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, মনিকা রায় ভারতের পূর্ব বর্ধমান জেলার পারুলিয়া গ্রামের প্রেম লাল রায়ের স্ত্রী। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, চার মাস আগে ফেনী সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে এসে নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেয়ের বাড়িতে অবস্থান করেন।
মঙ্গলবার ট্রেনযোগে আখাউড়া রেলস্টেশনে এসে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে দুই বাংলাদেশি মানব পাচারকারী দালালের সহযোগিতায় পূর্ব কালাছড়া নামক এলাকা দিয়ে অবৈধ ভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তার কাছ থেকে একটি ভারতীয় আধার কার্ড, ভারতীয় ৫৩৫ রূপি, বাংলাদেশি ৬০০ টাকা, একটি স্বর্ণের চেইন, এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, দুটি স্বর্ণের আংটি ও একটি কাপড়ের ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। তাকে বিজয়নগর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এদিকে বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, বাংলাদেশি মানব পাচারকারি কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার রনাইতলা গ্রামের মতিলাল চক্রবর্তীর ছেলে বিপ্লব চক্রবর্তী (৩৫) কে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে কসবা বিওপির টহল দল সীমান্ত এলাকায় টহল পরিচালনাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হাফপুর নামক স্থান থেকে তাকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, ২-৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে পাচারে সহায়তা করার জন্য যাচ্ছিলেন তিনি। তাকে কসবা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
চলতি বছর পবিত্র হজ পালনে ইচ্ছুক সৌদি আরবের স্থানীয় বাসিন্দা ও সেখানে বসবাসকারী মুসলিম বিদেশি নাগরিকদের ২৪ এপ্রিল বুধবার থেকে হজ পালনসংক্রান্ত অনুমতি দেওয়া শুরু করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ হজযাত্রীদের জন্য এ অনুমতি দেশটির সরকারি প্ল্যাটফর্ম আবশার ও হজবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল আল আকবরিয়া এ খবর জানিয়েছে।
চলতি বছর সৌদি আরব একটি নতুন নীতির আওতায় বিদেশি হজযাত্রীদের জন্য আগেভাগেই হজবিষয়ক প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে। নতুন নিয়মানুযায়ী এ বছর কোনো দেশের জন্য সৌদি আরবের পবিত্র স্থানগুলোতে নির্দিষ্ট করে আর জায়গা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে না। খবর গালফ নিউজের।
আবাসন সুবিধা বিবেচনায় সৌদি আরবের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এ বছর হজযাত্রীদের জন্য চারটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। প্যাকেজগুলোতে খরচ পড়বে ৪ হাজার ৯৯ সৌদি রিয়াল থেকে শুরু করে ১৩ হাজার ২৬৫ রিয়াল। প্রতি রিয়াল ৩০ টাকা হিসাবে এ খরচ ১ লাখ ২২ হাজার ৯৭০ টাকা থেকে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৯৫০ টাকা। মন্ত্রণালয় বলেছে, তিন কিস্তিতে এ অর্থ পরিশোধ করা যাবে।
প্রথম দফা কিস্তির অর্থ (মোট খরচের ২০ শতাংশ) পরিশোধের শেষ সময় ছিল গত ১১ মার্চ। দ্বিতীয় কিস্তিতে ৪০ শতাংশ অর্থ ৩১ মার্চ পর্যন্ত নেওয়া হয়। শেষ কিস্তির অর্থ পরিশোধের চূড়ান্ত সময় ২৯ এপ্রিল।
অনলাইন ডেস্ক :
বৃষ্টিতে যেমন ছাতা লাগে, তেমনই খুব রোদেও ছাতা লাগে।পৃথিবীর গায়ে বেশি রোদ লাগছে।যার থেকে বাড়ছে গরম।যাতে রোদ না লাগে সেজন্য এবার মহাকাশে বিজ্ঞানীরা ছাতা লাগাচ্ছেন।এভাবে পৃথিবীর গায়ে রোদ পড়া বাড়তে থাকলে গোটা বিশ্বটা তেতে উঠতে বেশি দেরি হবেনা। তাই পৃথিবীর গায়ে এভাবে রোদ পড়া আটকাতে হবে এই অভিনব পথে হাটছেন বিজ্ঞানীরা।
রোদ তো সূর্যের আলো। তাই সূর্যের আলোকেই ঢাকতে হবে। যাতে পৃথিবীতে উত্তাপ কম এসে পড়ে। সেজন্য সূর্য আর পৃথিবীর মাঝে ছাতা লাগাতে চলেছেন বিজ্ঞানীরা।
উষ্ণায়নের ধাক্কা সামাল দিতে বিজ্ঞানীরা সাধারণ মানুষের ছাতা দিয়ে মাথা ঢাকার পথে হাঁটলেন। সূর্যের রশ্মিকে যদি ছাতার মধ্যে দিয়ে পৃথিবীর গায়ে এসে পড়তে হয় তাহলে তার উত্তাপ ও তেজ অনেকটাই নিঃস্পৃহ হয়ে যাবে। তাতে পৃথিবী রক্ষা পাবে।
হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোনমি-র এক মহাকাশ বিজ্ঞানী ইসভান জাপুদি এই অভিনব উপায়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। যা বিশ্বের তাবড় বিজ্ঞানীদের মনে ধরেছে। তাই এই পথেই এগোতে চাইছেন তাঁরা। এজন্য অবশ্য যে বিশাল আয়োজন প্রয়োজন তা পৃথিবী থেকে ওভাবে পাঠানো সম্ভব নয়। কারণ তার ওজন অনেক হবে। আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে অনেক হাল্কা উপাদানের ঢাকা মহাকাশে পাঠানো হবে। যা দড়ির মত বাঁধা থাকবে। আর তার কাউন্টার ওয়েটের কাজটা করে দেবে অন্য গ্রহাণু।
পুরো ডিজাইন নিয়ে এখন কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে। তবে যে অভিনব ভাবনা জাপুদি উপহার দিলেন তা যদি বাস্তবায়িত করা সম্ভব হয় তাহলে উষ্ণায়নের চিন্তা অনেকটা কমবে। এখানে বলা প্রয়োজন যে আগেও এমন ছাতা নিয়ে ভাবা হয়েছিল। কিন্তু তা এতটাই ভারী হচ্ছিল যে তা মহাকাশে পাঠানোর উপায় ছিলনা। জাপুদি তাই অনেক হাল্কা ও নবতম প্রযুক্তি ব্যবহারের হদিশ দিয়েছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
৯৬তম অস্কারের জন্য মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়েছে। ২৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় চলচ্চিত্র বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কারের মনোনয়ন তালিকা ঘোষণা হয়। যে তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ-আমেরিকান চিত্রনাট্যকার, পরিচালক ও অভিনেত্রী নাজরিন চৌধুরী।
অস্কারের সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগের জন্য মনোনীত হয়েছে নাজরিনের পরিচালিত ‘রেড, হোয়াইট অ্যান্ড ব্লু’। সারা ম্যাকফারলেনের সহ-প্রযোজনায় স্বল্পদৈর্ঘ্য এ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন হলিউড অভিনেত্রী ব্রিটানি স্নো। যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাস রাজ্যের র্যাচেল নামে এক সিঙ্গেল মায়ের গল্পকে কেন্দ্র করে এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি।
ওয়েট্রেস পেশার ওই নারী তার দুই সন্তান নিয়ে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা নিয়ে এর গল্প। ওই রাজ্যে গর্ভপাত নিষিদ্ধ থাকায় তিনি অন্যত্র গিয়ে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। এর জন্য তাকে টাকা জোগাড় করতে হয়। এমন ঘটনাগুলোর মধ্যে তিনি কিছু হৃদয়বিদারক সত্যের সম্মুখীন হন, যা তার জীবনের গতিপথকে পরিবর্তন করে দেয়।
নাজরিন চৌধুরী অ্যামাজন প্রাইমের ‘জ্যাক রায়ান’ সিরিজের একটি, বিবিসি ওয়ানের ‘ইস্টএন্ডারস’ সিরিজের দুইটি, এএমসি চ্যানেলের ‘ফিয়ার অ্যান্ড ওয়াকিং ডেড’ সিরিজের আটটি পর্ব লিখেছেন। এছাড়া বেশ কয়েকটি টিভি অনুষ্ঠানের চিত্রনাট্যকার হিসেবেও কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে নাজরিনের। আর এবার ‘রেড, হোয়াইট অ্যান্ড ব্লু’র’ মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে বাজিমাত করলেন তিনি।
বাংলাদেশি মা-বাবার সন্তান নাজরিন চৌধুরী বেড়ে ওঠেন ইংল্যান্ডের দক্ষিণ পশ্চিম লন্ডনে। তিনি কিংস কলেজ লন্ডনে বায়োমেডিকেল সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করেন এবং ডাক্তার হওয়ার জন্য বিএসসি অনার্সসহ স্নাতক পাশ করেন। কিন্তু অবশেষে একজন লেখক হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করেন তিনি।
নাজরিন একাধারে চিত্রনাট্যকার, অভিনেত্রী, লেখক, নাট্যকার ও টেলিভিশন প্রযোজক। ২০০৬ সালে রিচার্ড ইমিসন অ্যাওয়ার্ড জেতে তার লেখা রেডিও নাটক ‘মিক্সড ব্লাড’। এছাড়া নিজের প্রথম উপন্যাস ‘মাই ইংল্যান্ড’-এর জন্য আর্টস কাউন্সিল ইংল্যান্ড থেকে অনুদান পান তিনি।
এবারের আসরে সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ক্যাটাগরিতে নাজরিনের ‘রেড, হোয়াইট অ্যান্ড ব্লু’ ছাড়াও মনোনয়ন পেয়েছে ‘দ্য আফটার’, ‘ইনভিনসিবল’, ‘নাইট অব ফরচুন’ ও ‘দ্য ওয়ান্ডারফুল স্টোরি অব হেনরি সুগার’। আগামী ১০ মার্চ রবিবার ওভেশন হলিউডের ডলবি থিয়েটারে অনুষ্ঠিত হবে এবারের অস্কারের বার্ষিক অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডের ৯৬ তম আসর।
এর আগে, মঙ্গলবার কালিফোর্নিয়ার স্যামুয়েল গোল্ডউইন থিয়েটার থেকে ২৩টি শাখায় মনোনয়ন ঘোষণা করেন অভিনেত্রী জাসি বিটস ও অভিনেতা জ্যাক কুয়েড। যা সরাসরি দেখানো হয়েছে অস্কারের দুই ওয়েবসাইটে (অস্কার.কম, অস্কারস.ওআরজি)। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও (টিকটক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, ফেসবুক) তা প্রচার করা হয়।
স্টাফ রিপোর্টার:
দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৬ কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৮ জন। রোববার (১১ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৪৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২১ হাজার ৭৮১ জন। তাদেরকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৪ কোটি ৮৮ লাখ ৫৬ হাজার ৪৯২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১২ কোটি ৬৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮৪৮ জন। এ সময়ে টিকার বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ পেয়েছেন ছয় কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন।
২০২১ সালের ১ নভেম্বর ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৩ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩৯ শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ২৪২ শিক্ষার্থী। দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছেন ৬৮৯ শিক্ষার্থী। তবে এখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়নি।
এদিকে, এখন পর্যন্ত ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮০০টি। এছাড়া দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১০ লাখ ৩৩ হাজার ৪২১ শিশুকে। অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত ভাসমান জনগোষ্ঠীর ৫ লাখ ৭৭ হাজার ১৮০ জনকে জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৭০ জন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর তলিয়ে গেছে। পানি উঠেছে আশপাশের অন্তত ১০টি গ্রামে। পানির তোড়ে একটি অস্থায়ী সেতু ভেঙে আখাউড়া-আগরতলা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত থেকে আখাউড়ায় ভারি বর্ষণ শুরু হয়।
সকাল থেকে বন্দরের পাশ বয়ে যাওয়া খাল দিয়ে ভারত থেকে তীব্র বেগে পানি ঢুকতে থাকে। এক পর্যায়ে স্থলবন্দর, বাউতলা, বীরচন্দ্রপুর, কালিকাপুর, বঙ্গেরচর, সাহেবনগরসহ অন্তত ১০টি গ্রামে পানি ঢুকে পড়ে। ভেঙে যায় গাজীরবাজার এলাকার অস্থায়ী সেতু। এর আগে গতকাল ২০ আগস্ট মঙ্গলবার খলাপাড়া এলাকায় হাওড়া নদীর বাধের কিছু অংশ ভেঙে পানি ঢুকতে শুরু করে।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেছেন।
দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন জানান, সকালে তীব্র বেগে ভারতীয় পাহাড়ি পানি ঢুকতে থাকে। এতে কয়েকটি গ্রামে পানি ওঠার পাশাপাশি আখাউড়া-আগরতলা সড়কের অস্থায়ী সেতু ভেঙে যায়। পুরো বন্দর এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।
ইউএনও গাজালা পারভীন জানান, বেশ কয়েকটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। এলাকাবাসী মিলে বাঁধের অংশ মেরামত করেছেন। সেতুটি মেরামতের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগকে খবর দেওয়া হয়েছে। তবে, দ্রুত যান চলাচলের উপযোগী করা যাবে না।