চলারপথে রিপোর্ট :
নিম্ন আয়ের কার্ডধারীদের মধ্যে ভুর্তুকিমূল্যে অক্টোবর মাসের টিসিবির পণ্য বিক্রয় শুরু হয়েছে। আজ ২৩ অক্টোবর বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়।
বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুক্তা গোস্বামী। প্রত্যেক কার্ডধারীকে ৬০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি করে মশুর ডাল, ১০০ টাকা লিটার দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল এবং ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি চাল দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুক্তা গোস্বামী জানান, সদর উপজেলার স্বল্প আয় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। পৌর এলাকায় ৪হাজার ৯শত ৫২জনসহ সদর উপজেলায় ১৬ হাজার ৬শত ১৮ জন কার্ডধারী মানুষের মধ্যে এই পণ্য বিক্রয় করা হবে। আজ পৌরসভার সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর, কালভৈরব, কারখানাঘাট, আনন্দবাজার ও শেরপুর ঈদগাহ মাঠে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, স্বল্প আয়ের মানুষের আজ ২ কেজি তেল, ২ কেজি ডাল ও ৫ কেজি চাল দেয়া হয়েছে। চিনির বরাদ্দ না থাকায় চিনি দেয়া যায়নি। পরে পর্যায়ক্রমে সদর উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে। টিসিবির পণ্য নিয়ে কেউ যেন কোন রকম দুর্নীতি করতে না পারে সেজন্য আমাদের মনিটরিং অব্যাহত থাকবে।
এসময় সদর উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাহারি সব নাম। খেতেও সুস্বাদু। ২০০ রকমের পিঠা। নাম লেখা- পাটিসাপটা, দুধচিতই, পানতোয়া, মুখচাহনি, সন্দেশ-নেভিকুলা, নকশি, পোয়া, ভাপা।
সঙ্গে যে জেলায় পিঠাটি বিখ্যাত এর নামও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। সহজেই চিনে নিয়ে যে যার মতো কিনে খাচ্ছেন।
আয়োজনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজে। ওই কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আজ ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার আয়োজন করেন পিঠা উৎসবের।
বেলা সাড়ে ১০টার দিকে কলেজ প্রাঙ্গণে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন কলেজের পরিচালক এবং জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবু কাউসার। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইবনে আইন মারুফ, কলেজের উদ্যোক্তা ও পরিচালক (প্রশাসন) হারুন অর রশিদ, কলেজের উদ্যোক্তা ও পরিচালক শাহাদৎ হোসেন, কলেজের পরিচালক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা মোট ছয়টি স্টলে এসব বাহারি পিঠা নিয়ে হাজির হন। তাঁরা ছয়টি স্টলের নাম দেন-রজনীগন্ধা, অর্কিড স্টোর, বেলি, কাঠগোলাপ, গরিবের পিঠা ঘর, হাসনা হেনা।
রজনীগন্ধা স্টলে ৩৫ ধরনের পিঠা, অর্কিড স্টোরে ৩০ ধরনের, কাঠগোলাপে ২৬ ধরনের, গরিবের পিঠা ঘর ১২ ধরনের, হাসনা হেনাতে ৭৫ ধরনের, বেলী ৫০ ধরনের পিঠার পসরা বসে। মিষ্টি কুমড়া, মালাই রোল, ঝাল পাকন, শাহি টুকরা, সুয়াই, পাতা পিঠা, পাকন, পুডিং, ফুল পিঠা, নকশি পিঠা, দুধ পলি, ঝাল পাকন, কাপ পিঠা, মালপুয়া, দুধ চিতই, গোল পাক্কন, গাজরের হালুয়া, বিবিখানা, সুজির পিঠা, হৃদয় হরণ, ছিটা রুটি, শামুক, শিউলি, সাবুদানাদার, মরিয়ম ফুল, পোয়া, শাঝ, পুদিনা ভাপা ইত্যাদি সব পিঠার নাম সবার নজর কাড়ে।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইবনে আইন মারুফ ও পরিচালক (প্রশাসন) হারুন অর রশিদ জানান, কলেজের শিক্ষার্থীরা বেশ আগ্রহের সঙ্গে এসব পিঠা নিয়ে আসেন। তাদের এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে গ্রামীন সংস্কৃতিও ফুটে উঠে। শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারসহ ছয়টি স্টলকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
২ ব্যবসায়ীকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ৬ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা শহরের মেড্ডা বাজারে অভিযান পরিচালনা করে এই জরিমানা করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুক্তা গোস্বামী।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুক্তা গোস্বামী জানান, পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল ও ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মেড্ডা বাজারে বাজার মনিটরিং করা হয়। বাজার মনিটরিংয়ে রমজানকে সামনে রেখে কিছু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি ও ক্রয় রসিদ প্রদর্শন করতে পারেনি।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কৃষি বিপণন আইন-২০১৮ এর ধারায় ২ মামলায় ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় সদর মডেল থানা পুলিশ উপস্থিত ছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘প্রবাসীর অধিকার, আমাদের অঙ্গীকার, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ, আমাদের সবার- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গতকাল বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস এবং কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্যোগে আজ ১৮ ডিসেম্বর বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া র্যালি ও আলোচনা সভা হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গন থেকে একটি র্যালি বের হয়ে প্রধান প্রদক্ষিণ শেষ করে। পরে জেলা প্রশাসকের হলরুমে জেলা প্রশাসক মোঃ দিদারুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল মতিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মোঃ ইকরামুল হক নাহিদ, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক গনেশ চন্দ্র মন্ডলী, কারিগরি প্রশিক্ষন কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মোঃ মাইনু উদ্দিন, জেলা ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সহকারী পরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার মাহমুদুল হাসান, ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তা মোঃ নূরুল্লাহ, ওকআপ কর্মকর্তা সনজিৎ কুমার নাথ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রবাসী কর্মীদের ১০ জন মেধাবী সন্তানের মাঝে ৩ লাখ ৫ হাজার টাকা মেধা বৃত্তি এবং ৫ প্রতিবন্ধী সন্তানকে ৬০ হাজার টাকা ভাতার চেক প্রদান করা হয়। এছাড়া সৌদি আরব ও বাহরাইন প্রবাসে গমনেচ্ছু ২ জনের মাঝে ঋনের ৫ লাখ টাকা, প্রবাসে এক প্রবাসীর মৃত্যুর পর তার পরিবারের নিকট প্রায় ১৭ লক্ষ টাকার বিতরণ করা হয়। তাছাড়া ৫ জন প্রবাসীর মাঝে বকেয়া বেতন ও আর্থিক অনুদান হিসেবে প্রায় ২৯ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, দেশের প্রাচীনতম চিকিৎসা পদ্ধতি “হোমিওপ্যাথিক” চিকিৎসা ব্যবস্থাকে সার্বজনিনভাবে গ্রহণযোগ্য ও প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। দেশ, জাতি এবং গোটা বিশ্ব উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে এগিয়ে গেলেও চিকিৎসা ক্ষেত্রে ‘এন্টিবাইয়োটিকের’ প্রয়োগে রোগাক্রান্ত বিপুল জনগোষ্ঠীকে বিপদজনক পথে টেলে দিচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে দেশের প্রাচীনতম চিকিৎসা পদ্ধতি ‘হোমিওপ্যাথিক’ চিকিৎসার প্রচার ও প্রসারে ‘এন্টিবাইয়োটিকের’ কুপ্রভাব থেকে জাতিকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।
তিনি গতকাল জেলাপরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক সম্মেলন ও প্রশিক্ষণ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এই অভিমত ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার আয়োজনে ডাঃ মোঃ আব্দুল কাদিরের সভাপতিত্বে এবং ডাঃ মোঃ ফারুকের সঞ্চালনায় বিশিষ্ট চিকিৎসা বিজ্ঞানি ডাঃ শেখ ফারুক এলাহী প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে স্থানীয় বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক সহ জেলার বিপুল সংখ্যক চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
১৪ ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্র মৈত্রীর উদ্যোগে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে একটি মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে সরকারি কলেজের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে ১৯৮৩ সালের এই দিনে মজিদ খানের কুখ্যাত শিক্ষানীতি বাতিলের প্রতিবাদে এবং স্বৈরাচার আর স্বৈরশাসনের সাম্প্রদায়িক, গণবিরোধী শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুস্পস্তবক অর্পন করেন।পরে শহীদ মিনারের পাদদেশে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য অ্যাড.মোহাম্মদ নাসির মিয়া, বিজয়নগর উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড দীপক চৌধুরী বাপ্পী,জেলা যুব মৈত্রীর সভাপতি কাজী তানভীর মাহমুদ শিপন, সাবেক ছাত্র মৈত্রী নেতা ও জেলা যুব মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, জেলা ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ছাত্র মৈত্রী নেতা মারিয়া,রেশমা, লিসা, রূপম, বসির, তাজিম প্রমুখ।