চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে ২৩ কেজি গাঁজাসহ মোঃ সুমন (৩০) ও মোঃ লিটন মিয়া (২৫) নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় গাঁজা বহনকারী একটি কাভার্ডভ্যানও জব্দ করা হয়।
আজ ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সুজন বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার রাজাপুর গ্রামের সাহেব আলী মাতাব্বরের ছেলে ও লিটন মিয়া হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার নয়নপুর গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিল্লাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার সময় সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে অভিযান চালিয়ে একটি কাভার্ডভ্যান আটক করা হয়। পরে কাভার্ডভ্যানে তল্লাশী চালিয়ে ২৩ কেজি গাঁজাসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১২ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৪২ কেজি গাঁজাসহ তিন মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ৬ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোলপ্লাজা এবং গতকাল বুধবার বিকেলে বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বক্তারমুড়া ও একই দিন বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে পৃথক অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান এই মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। এসময় মাদকদ্রব্য বহনকারী একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল এলাকার মৃত তোতা মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৫০), ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার চর-কাছাপিয়া গ্রামের মোঃ হান্নান মিয়ার ছেলে নাঈম আহম্মেদ (২০) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কান্দিপাড়ার মোঃ ফজলু মিয়ার ছেলে মোঃ পিয়াস মিয়া (৩০)।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহম্মেদ জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে আশুগঞ্জ টোল প্লাজার সামনে থেকে মনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার শরীরে তল্লাশী চালিয়ে তার কোমরে ও পায়ে রাবার দিয়ে বিশেষ কায়দায় ফিটিং করা অবস্থায় ১২ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে বুধবার বিকেলে একই স্থানে অভিযান চালিয়ে একটি পিকআপ ভ্যান আটক করা হয়। পরে পিকআপভ্যানে তল্লাশী চালিয়ে ২২ কেজি গাঁজা উদ্ধার ও নাঈম আহম্মেদকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।
অপরদিকে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রাজু আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার বিকেলে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বক্তারমুড়া গ্রাম থেকে ২০ কেজি গাঁজাসহ মাদক পাচারকারী পিয়াস মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে ১ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ৬৩ কেজি গাঁজাসহ ৬ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় মাদকদ্রব্য বহনকারী একটি মিনি ট্রাক ও একটি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়।
আজ ১৫ জুলাই শনিবার সকালে ও শুক্রবার গভীর রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম টোল প্লাজার সামনে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার শ্রীনগর গ্রামের মোহাম্মদ আলী (৪০), সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার মাটিকাটা গ্রামের মোঃ সাইফুল ইসলাম (৩৪), নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের জাহিদুল হক (২৬), একই গ্রামের রকিব মোল্লা ২০), গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর গ্রামের সুশীল (৫৫) ও জয়পুরহাট জেলার সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের খাইরুল ইসলাম (৪৩)।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে থেকে ২৩ কেজি গাঁজাসহ সুশীলকে গ্রেফতার করা হয়। সকাল পৌনে ৯টার দিকে একই স্থানে পৃথক অভিযান চালিয়ে ২ কেজি গাঁজাসহ খায়রুলকে গ্রেফতার করা হয়। সকাল ৯টার দিকে একই স্থানে অভিযান চালিয়ে মোটর সাইকেল আরোহী মোহাম্মদ আলী ও সাইফুলকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে তল্লাশী করে তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, শুক্রবার গভীর রাতে একই স্থানে একটি মিনি ট্রাক আটক করা হয়। পরে মিনি ট্রাকে তল্লাশী করে ৩৮ কেজি গাঁজাসহ জাহিদুল ও রকিবকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে পৃথক চারটি মামলা দায়ের করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
হাজার হাজার মানুষের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র কলার ছড়ি প্রতীকের প্রার্থী মঈন উদ্দিন মঈন।
গত সোমবার ও মঙ্গলবার আশুগঞ্জ ও সরাইল উপজেলা থেকে দিনভর সাধারণ মানুষ, সুশীল সমাজ ও নেতাকর্মীরা স্বত:স্ফূর্তভাবে উপস্থিত হয়ে প্রিয় নেতাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এসময় নবনির্বাচিত এমপি মঈন উদ্দিন মঈনকে প্রীতি ও শুভেচ্ছা নিবেদন করেন।
গত রবিবার সন্ধ্যার পর থেকেই এই আসনের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ভোটের ফলাফল আসতে থাকলে বিভিন্ন এলাকা থেকে শতশত মানুষ বিজয় মিছিল করে জননেতা মঈন উদ্দিন মঈনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে থাকেন।
স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিত্ব, বিনয়, সততা, স্পষ্টবাদিতা ও জনপ্রিয়তা এবং প্রার্থীর প্রতি তরুণ-যুবসমাজ আকৃষ্ট হওয়া ইত্যাদি কারণে মঈন উদ্দিন জয়ী হয়েছেন।
উল্লেখ্য, মঈন উদ্দিন মঈন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহিরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। স্কুলজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন তিনি। ১৯৯০ সালের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের আলম-কামরুল-মেহেদী পরিষদে ছাত্র মিলনায়তন সম্পাদক পদে নির্বাচন করেছিলেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাববিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
গত ২১ ডিসেম্বর ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে মোবাইল ফোন হারিয়েছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার মো. আশিকুর রহমান। এ বিষয়ে তিনি আশুগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পুলিশ তদন্তে বেরিয়ে আসে ওই মোবাইল ফোনটিতে ব্যবহৃত হচ্ছে জেলার বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এইচ ইফরান উদ্দিন আহমেদের নামে রেজিস্ট্রেশন করা সিমকার্ড।
ইউএনও ইফরান উদ্দিন অবশ্য বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
শনিবার রাতে মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমার নামে নিবন্ধিত থাকা বাংলালিংকের একটি সিম অফিসের কর্মচারী জালালকে দিয়েছিলাম। এনআইডি কার্ড পাচ্ছিল না, তার নামে সিম নিবন্ধন করা যাচ্ছিল না বলে আমারটা দেওয়া হয়। কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে কিনে আনা একটি মোবাইল ফোনে সে সিমটি ব্যবহার করে। বিষয়টি যে এত দূর গড়াবে বুঝতে পারিনি।
এ ঘটনায় ভবিষ্যতের জন্য আমার একটা শিক্ষা হয়ে গেল। আমাকে আরো সতর্ক হতে হবে।’
এদিকে আশিকুর রহমান বাদী হয়ে ইউএনওর বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
আশিকুর রহমান জানিয়েছেন, মামলা দায়েরের পর থেকে তিনি বেশ চাপে আছেন। মোবাইল ফোনটি নিয়ে আসার জন্য থানা থেকে বলা হচ্ছে। কিন্তু এখন যেহেতু মামলা হয়েছে সেহেতু আদালতের মাধ্যমে বিষয়টির ফয়সালা হবে।
আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক আশিকুর রহমান তার মামলায় ও এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলার সময় অভিযোগ করেন, গত বছরের ২১ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু শামার একটি ইটভাটার সামনে থেকে তার স্যামসাং ব্র্যান্ডের একটি মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য জিনিস ছিনতাই হয়। তবে ছিনতাই মামলা পুলিশ নিতে চাইবে না বলে এ ঘটনায় চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি আশুগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
বিষয়টি তদন্ত করেন আশুগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান। পুলিশের তদন্তে মুঠোফোন ব্যবহারকারী হিসেবে আসামির নাম হিসেবে ইরফান উদ্দিনের (ইউএনও) নাম আসে।
আশিকুর রহমান বলেন, ‘মামলার আসামি হিসেবে ইউএনওর নাম আসার বিষয়টি আমিও নিশ্চিত হই। অফিস কর্মচারী ফয়সাল ফোনটি দেবে দেবে করে দেননি। উল্টো ফোনের কাগজপত্র দেওয়াসহ নানা কথা বলতে থাকেন। পরে আমি আদালতে মামলা দায়ের করি। মামলায় ইউএনওকে আসামি করা হয়েছে।’
হারিয়ে যাওয়া ফোন উদ্ধারের তদন্ত কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘ওই ফোনে ব্যবহার হওয়া সিমটি ইউএনওর নামে। বাদী অভিযোগ করেছিলেন ফোন হারিয়েছে। এখন একজন সেটি পেয়ে ফেরত দিয়েছে। বাদীকে বলার পর তিনি সেটি নিচ্ছেন না।’